Logo
শিরোনাম

দীর্ঘ ১১ বছর পালিয়ে থাকার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

দীর্ঘ ১১ বছর পালিয়ে থেকেও রক্ষা পেলোনা' যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কে আটক করছে র‌্যাব।

মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। কিন্তু 

দীর্ঘ ১১ বছর ধরে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পলাতক ছিলেন। অবশেষে র‍্যাব-৫, ও র‍্যাব-১, এর যৌথ অভিযান চালিয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রায়হান ওরফে মুন্না গ্রেফতার করেছে।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়, বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে থানার মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ রায়হান ওরফে মুন্না প্রাং (৪৫) কে ২৩ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রায়হান ওরফে মুন্না জয়পুরহাট জেলা সদর থানার শান্তিনগর মাছুয়াপল্লি এলাকার মৃত মাজেদ এর ছেলে। তাকে ঢাকা জেলার বিমান বন্দর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেন র‌্যাব।

র‌্যাব আরো জানায়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী রায়হান ওরফে মুন্না নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল চোরাচালান এর অভিযোগে ২০১২ সালের ২৪ জুন সান্তাহার রেলওয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ৩১ জুলাই ২০২৩ তারিখে জয়পুরহাট জেলার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রায়হান ওরফে মুন্না কে যাবজ্জীবন সাজা পাদান করেন। মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই র‍্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামী রায়হান ওরফে মুন্না কে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেন এবং আসামী মুন্না প্রতিনিয়ত অবস্থান পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্বগোপনে থাকেন। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার বিমান বন্দর থানা এলাকায় অবস্থান সনাক্ত করাই পরই ঢাকার বিমানবন্দর থানা এলাকা হতে র‌্যাব-৫ ও র‍্যাব-১ এর যৌথ আভিযানে মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জয়পুরহাট জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র‍্যাব।


আরও খবর

শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দেশে চাল আমদানির প্রয়োজন নেই.....নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

দেশে সরকারি ভাবে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও চলতি মৌসুমে আউশ ধান চাষ বেশি হওয়ায় আমদানির প্রয়োজন আর হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। 

বুধবার দুপুরে তিনি নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় নব-নির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেওয়ার সময় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে গোডাউনে সর্ব কালের সর্বোচ্চ খাদ্য মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি খাদ্যশস্য রাখার জায়গা না থাকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুই মাসের চাল এক সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আরো পাঁচ লাখ মেট্রিক টন গম পাইপলাইনে রয়েছে। ফলে দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই।

অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা, সাপাহার উপজেলায় চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে তিনি পোরশায় আরো একটি নব-নির্মিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর উদ্বোধন করেন।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে কলেজ ছাত্রীকে মারধর, ৭ জনের নামে মামলা: ১জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে কলেজে যাওয়ার পথে সুবর্ণা মুনতাহা রিজমিকে মারধর ও কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত তানজীদ আহমেদ রিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের দক্ষিন মজুপুর এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,

এর আগে শনিবার রিজমিকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তার নানা আব্দুর সাত্তার ভূঁইয়া বাদী হয়ে অভিযুক্ত রিয়ান ও তার মা তাহমিনা আক্তারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জনকে আসামী করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রিজমি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ও সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের লাহারকান্দি গ্রামের মুরাদ হোসেনের মেয়ে। কলেজ আসা-যাওয়ার পথে রিয়ানের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। রিয়ান ও তার মা তাহমিনা কৌশলে দুটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে রিজমির স্বাক্ষর নেয়। পরে রিয়ানকে রিজমির স্বামী দেখিয়ে জালিয়াতি করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের অ্যাফিডেভিট করেন। 

গত ২৯ আগস্ট দুপুর সোয়া ১টার দিকে কলেজ যাওয়ার পথে মদিন উল্যা হাউজিংয়ের সামনে রিয়ানসহ অজ্ঞাত আসামিরা তার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারে রিয়ান।  এসময় চিৎকার-চেচামেচি করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়ান তার কপালে আঘাত করে। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টাও করা হয়। পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

অভিযুক্ত রিয়ান লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের রাফি আহম্মদের ছেলে। সে দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

সদর মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা হাতেই পেয়েই আসামিকে গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করি। প্রধান অভিযুক্ত রিয়ানকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



সংসার চলছেনা স্বল্প আয়ের মানুষের

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে অস্থিরতা যেন কাটছেই না। ফলে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ। বাজারে গিয়ে তারা হিমসিম খাচ্ছেন। মাস শেষে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের এসব মানুষকে।

বাজারে গিয়ে সাধ্যের মধ্যে চাহিদামত পণ্য ক্রয় করতে না পেরে বিপাকে পড়ছেন তারা। ফলে প্রতিদিনের খরচের তালিকায় করতে হচ্ছে কাটশাট। অনেক সময় কমিয়ে দিচ্ছেন খাবারের মেনু।

বর্তমান পরিস্থতিতে কারো কারো পক্ষে সংসারের ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেকে সঞ্চয় ভেঙে ছেলে-মেয়েদের পড়ার খরচ জোগাচ্ছেন। সন্তানদের পুষ্টিকর খাবার তো দুরের কথা স্বাভাবিক দুবেলা দুমুঠো খাবারই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষ করে স্বল্প বেতনে চাকরি করা শিক্ষিত মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে গেছে। তারা না পারছেন বলতে, না পরছেন সইতে।

যদিও নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ইতোমধ্যে কিছু পণ্যের দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে না। খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না। ক্রেতাদের পণ্য কিনতে হচ্ছে বিক্রেতাদের নির্ধারিত দামেই।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও রেলগেট, শান্তিনগর, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মুগদা, রামপুরা, উলনসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মাছ-মুরগি সবজিসহ সব পণ্যের দাম বাড়তি। কাঁচা মরিচ, আদা ও টমেটোর দাম আবারও বেড়েছে। সবজি মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

ইমরান হোসেন রাজধানীর বাংলামোটরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন শনির আখরা এলাকায়।

তিনি বলেন, বাসা আর অফিস কাছাকাছি। যাতায়াত খরচ নেই। একটি মেয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। যে বেতন পাই তা বাসা ভাড়া দিয়েই শেষ। চাকরির পাশাপাশি ছোট একটা ব্যবসা করি। ব্যবসা আর চাকরি মিলে কোনোমতে সম্মান নিয়ে বেঁচে আছি।

ইংরেজিতে মাস্টার্স করা আফজাল আরও বলেন, গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। মাসে একবার বাড়ি যাই। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা আছেন। তাদের খরচসহ দেখভাল করতে হয়। যে আয় করি তার চেয়ে ব্যয় বেশি।

একটা কথা কি জানেন, আমরা যারা শিক্ষিত স্বল্প আয়ের মানুষ। আমাদের চেয়ে বেশি কষ্টে আর কেউ নেই। না পারি হাত পাততে, না নারি সম্মান নষ্ট করতে। বাজারের যে অবস্থা। ভয়ে বাজারে যাই না। কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি।

রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় থাকেন রফিকুল ইসলাম। বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তগাছায়। মিডিয়া কর্মী রফিকুল জানান, এভাবে চলা যায় না। প্রতি মাসেই ঋণ হতে হচ্ছে। বেতন বাড়ছেনা। ইনক্রিমেন্ট নেই। সঞ্চয়তো দুরের কথা, ঢাকা শহরে বেতনের টাকা দিয়ে থাকা যায় না। যে বেতন পাই বাসা ভাড়া দিতেই শেষ। কিন্তু একশেণীর মানুষের কাছে টাকার অভাব নেই, তাদের কোনো সমস্য নেই। তারা টাকার পাহাড় বানাচ্ছে। সমস্যা শুধু আমাদের মত মানুষের।

এদিকে বাজারে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, নিত্যপণ্যের মজুত ও সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বাজার ও গুদামে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য এক বা একাধিক পণ্য টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে আলু, ডিম, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে কারা ভোক্তার পকেট কেটেছে, অসাধু পন্থায় অতিমুনাফা করছে, সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে। তাই ভোক্তাদের স্বার্থে অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। তবেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা কমবে।


আরও খবর



অক্টোবরেই ট্রেন যাবে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯৫ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি পাঁচ কিলোমিটার রেললাইন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। এরপর অক্টোবরের মাঝামাঝি এই রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের জন্য পটিয়া স্টেশনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ছয়টি বগি ও দুই হাজার ২০০ সিরিজের একটি ইঞ্জিন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন।

এ প্রসঙ্গে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ৯৫ কিলোমিটারে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ। বাকি কাজ আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেষ হবে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হবে। অক্টোবরের মাঝামাঝি এ রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এরপর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

প্রকল্প কর্মকর্তা আরও বলেন, এ প্রকল্পে ৩৯টি বড় সেতু, ২৪২টি কালভার্ট ও ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৯টি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে ছয়টি স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি তিনটি স্টেশন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। সব কটি স্টেশনে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম।

পটিয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, গত ১ আগস্ট থেকে কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ শুরু হয়। ৭ আগস্ট থেকে ব্রিজ দিয়ে ট্রেন এবং যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগেই ৬ আগস্ট ছয়টি নতুন বগি এবং একটি দুই হাজার ২০০ সিরিজের ইঞ্জিন আনা হয়। যেগুলো রাখা আছে পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনের সামনে।

তিনি আরও বলেন, কোরিয়া থেকে আনা এসব বগিতে ৬০ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। শিগগিরই এ রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে শুনেছি।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, রেললাইনের কাজ শেষ পর্যায়ে। অক্টোবরেই আমরা পরীক্ষামূলক ট্রেন চালাবো। তবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালাতে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে এ রুটে দুই জোড়া ট্রেন চলবে। পর্যায়ক্রমে যাত্রীর চাহিদা বিবেচনা করে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ১০০ কিলোমিটার গতিতে এ রুটে ট্রেন চলাচল করবে।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা।

২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ। ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৯২ কিলোমিটার অংশে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে সাগর উড়াও নামে এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে একই গ্রামের মৎস্য চাষি একটি পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর গ্রামে।

নিহত সাগর উড়াও মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর আদিবাসীপাড়া গ্রামের 

অনিল উড়াও এর ছেলে।

নিহতের স্বজন ও স্থানিয় সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টারদিকে চেরাগপুর মোড় থেকে পুকুরে মোটর সেট করে পানি সেচ দেওয়ার কথা বলে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যান চেরাগপুর ফকিরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলী মন্ডল এর ছেলে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন (৩৮)। পরেদিন শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে চেরাগপুর গ্রামের মোড়ের পার্শ্বে অপর একটি পুকুরের পানিতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখতে পান স্থানিয়রা। মহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে পুকুর পাড়ে লোকজন ভীর জমান। খবর দেওয়া হয় থানা পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্র মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহায়তায় পুকুরের পানি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করার পর মৃতদেহটি সাগর উড়াও এর বলে সনাক্ত করেন স্বজনরা। ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানান ওসি। খবর পেয়ে মহাদেবপুর (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন পুলিশ।

স্থানিয়রা ও থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুঃ ৮ টারদিকে

মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন তার মাছ চাষের পুকুরের পানি বিদ্যুৎ চালিত মোটর দিয়ে সেচ দিবেন জানিয়ে গ্রামের মোড় থেকে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরের দিন শুক্রবার মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন এর পুকুরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পদ্দপুকুর নামক অপর একটি পুকুর থেকে পিঠের নিচে কোমরের কাছে বিশাল ক্ষত অবস্থায় সাগর উড়াও এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকার ঘটনাটি থানা পুলিশকে স্থানিয়রা অবগত করলে সাথে সাথে পুলিশ প্রথমে বেলাল হোসেন এর মাছ চাষকৃত পুকুরে গিয়ে পানি সেচ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্থানিয়দের উপস্থিতিতে বেলাল হোসেন এর বাড়ি থেকে পুকুরে পানি সেচ কাজে ব্যবহারীত কাঁদা-মাটি মাখা বিদ্যুতের তার উদ্ধার করেন। পুকুরের পানি সেচ দিতে  অবৈধ্যভাবে নিজ বাড়ি থেকে তার টেনে পুকুরে নিয়ে মোটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় সেখানে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে সাগর উড়াও এর মৃত্যু হয়েছে এবং সু-চতুর মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন নিজেকে ঘটনার দায় থেকে রক্ষা করতে তার পুকুর পাড় থেকে মৃতদেহটি রাতের কোন এক সময় তুলে এনে পার্শ্বের অপর এক জনের পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার পর সে ও তার পরিবারের লোকজন গাঁ-ঢাকা দিয়েছেন বলেই স্থানিয় লোকজন বলাবলি করছেন।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এঘটনায় আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে। 


আরও খবর