Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গুর চার ধরনের মধ্যে সব সক্রিয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :বর্ষার আগেই এবার চোখ রাঙাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর ৪টি ধরনই এখন সক্রিয়। বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই দেশজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ২ হাজার। দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রজনন মৌসুম। এবার বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই আক্রান্ত রোগী আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় ছয়গুণ বেশি। ফলে আক্রান্ত ও মৃত্যু আরো বাড়ার শঙ্কায় আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জটিলতা এড়াতে সরকারি ল্যাবে শনাক্তকারী কিট সরবরাহের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন চারজন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্রবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন চারজন ডেঙ্গুরোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি রোগীর দুই জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং দুই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে সারা দেশে সর্বমোট ৩৩২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২ হাজার ১৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৪৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৫৯ জন হয়েছেন। একই সময়ে সারা দেশে সর্বমোট ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগী ১ হাজার ৭৯৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগী ১ হাজার ১৮০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬১৩ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি এবং এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় দেশের বেশিরভাগ হাসপাতাল ডেঙ্গুর রিপোর্ট দেয়নি, তাই সেগুলো শনিবারের রিপোর্টের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

পরিসংখ্যান বলেছে, ২০২২ সালের প্রথম ৫ মাসে ডেঙ্গু রোগী ছিল ৩১৭ জন। ওই সময়ে এই রোগে কারো মৃত্যুর খবর মেলেনি। তবে এ বছরের প্রথম ৫ মাসেই আক্রান্ত ১ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রোগী বেড়েছে ১৬ গুণ।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজিস্ট ডা. মো. জাহিদুর রহমান খান বলেন, এই সংখ্যা সামনে আরো বাড়বে। কারণ দেশে এখন ডেঙ্গুর চারটি ধরণই সক্রিয় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতি ১০০ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে মাত্র ২৫ জনের লক্ষণ দেখা যায়। তাই জটিলতা এড়ানো ও সুচিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ডেঙ্গুর ধরণ পরীক্ষা করা দরকার। তবে এজন্য সরকারি হাসপাতালের ল্যাবে সরবরাহ করতে হবে শনাক্তকারী কিট। রোগটির টিকা ও ওষুধ না থাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই বলেছেন এই বিশেষজ্ঞ।

এছাড়া সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জনিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে। কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রোগে আক্রান্ত রোগী যদি কোমরবিডিটি বা দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে। ডেঙ্গু রোগের বিস্তারকে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বে অবহেলাকে দুষছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু রোগটি সারাবছর ধরেই ছড়াচ্ছে, তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশা নিধন কর্মসূচি সারাবছর অব্যাহতভাবে রাখতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ) অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, সম্প্রতি হওয়া বৃষ্টিপাত এর মূল কারণ হতে পারে। অনেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। এর মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবনের ছাদ, পার্কিংয়ের জায়গা, নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্ট। বাড়িতে জমিয়ে রাখা পানিতেও জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গু মশা। তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু নিধনে সঠিকভাবে কর্ম পরিচালনা করলে এ রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও ডেঙ্গু টেস্টকারীদের ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাদের বসবাসের স্থান যাচাই করে হটস্পট নির্ধারণ করতে হবে।

এরপর সে সব জায়গায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধ করতে হবে। বিশেষ করে উড়ন্ত মশারা ডেঙ্গু ছড়ায়। তাই এই হটস্পট নির্ধারণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নিধনে জনসম্পৃক্ততা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় ফগিং করে উড়ন্ত এডিস মশা নিধন কর্মসূচি জরুরি। কবিরুল বাশার আরো বলেন, এ বছর জুন মাসের শেষ দিকে ঈদুল আজহার ছুটিতে মানুষজন ঢাকা থেকে গ্রামে যাবে। এই সময়ে শহর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ গ্রামেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ঢাকার বাইরে আঞ্চলিক শহর ও গ্রামে ডেঙ্গু নিধনে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবছর অন্য বছরের তুলনায় মৌসুম শুরুর আগেই আক্রান্ত রোগী বেশি। তাই আগের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এরই মধ্যে অনেক রোগী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

এদিকে, ডেঙ্গুর প্রকোপে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অতিরিক্ত খরচ যাতে না হয়, সেজন্য মূল্য উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি বাবদ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নিতে পারবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো। এর বেশি নেওয়া হলে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারি হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা।

 


আরও খবর



মাভাবিপ্রবির ঐতিহ্যবাহী ভাসানী মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সাগর ঘোষ, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী ভাসানী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। 

গত রবিবার মেলার ৭ম দিনেও উপচে মানুষের পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে প্রতিদিন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলা ঘুরে শিক্ষার্থীদেরও  কয়েকটি স্টল দেখা যায়। সেখানে তারা নানা মুখরোচক খাবার যেমন: আচার, বার্গার, কফি (হট ও কোল্ড), পিৎজা, স্যান্ডুইচ ইত্যাদি বিক্রয় করছেন। এছাড়াও মেলাতে বহিরাগত বিক্রেতারা চুরি, ফুলদানি, ক্লিপসহ নানা দ্রবাদি নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছেন। মেলাতে কেউবা হাতে নকশা করছেন,  কেউবা প্রিয় মানুষকে পুতুল উপহার দিচ্ছেন। এছাড়াও মেলায় টাঙ্গাইলের বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম, জিলাপিসহ নানা মিষ্টি বিক্রয় করছেন। মেলায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের আনোগনায় প্রাণচ্ছোল পরিবেশ সৃস্টি হয়েছে। মেলায় ছোট-বড় সকলের জন্য নানা রাইড যেমন: দোলনা, স্লাইড, নাগরদোলা, মিনি ড্রাগন ট্রেন, বাউন্সি ক্যাসল,  নৌকাসহ বিভিন্ন রাইড রয়েছে। মেলার অন্যদিকে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসস্থ বিজয়াঙ্গণে মাওলানা ভাসানীর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীতেও নানা বয়সীদের লক্ষ্য করা যায়। এই মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো তালের তৈরী টুপি। যা প্রায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছে। এই টুপির নাম হচ্ছে ভাসানী টুপি। 

মেলায় টাঙ্গাইল শহর থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী আদিতি আরিয়ান প্রান্তি বলেন, আমার দেখা টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় মেলা এই ভাসানী মেলা।  আমরা সপরিবার এই মেলাতে এসেছি। মেলা থেকে কাঁচের চুড়ি কিনেছি দুই ডজন, ছোট ভাইয়ের জন্য খেলনা বন্দুক কিনেছি, নাগরদোলায় উঠেছি। সব চেয়ে ভালো লেগেছে এউ মেলায়  কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। ফটকের চারপাশে শোভা পাচ্ছে নানা রং-বেরঙের আলোকসজ্জা। চারপাশে কোলাহল। ছোট-বড় নানা খাবার-খেলনার দোকান, গহনা, প্রসাধনীর দোকান সব মিলিয়ে মেলার পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত।

মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরফদার রোহান বলেন, সব মিলে এক অসাধারণ এক সময় কাটিয়েছি এই ভাসানী মেলায়। আমরা চাই প্রতি বছর এভাবেই মেলা হোক। সারাদেশ থেকে সবাই ভাসানী মেলা সম্পর্কে জানতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নানা রকমের স্টল দিয়েছে, দেখে আরও ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ থেকে এতো বড়ভাবে ভাসানী মেলার আয়োজন হয়নি। মেলা আয়োজনে যারা আছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতি কার্যকর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর চারটায় এই চুক্তি কার্যকর হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তি উভয় পক্ষ মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ১০-১ ভোটে এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও লেবাননের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে কথা বলার পর বাইডেন নিশ্চিত করেন যে, স্থানীয় সময় ভোর চারটায় যুদ্ধ বন্ধ হবে। এর মধ্য দিয়ে লেবানন সীমান্তে ১৪ মাস ধরে চলা লড়াই অবসানের একটি পথ তৈরি হয়। ইতোমধ্যে এই লড়াইয়ে হাজারও মানুষের প্রাণ গেছে।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার ১০-১ ভোটে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পরপরই হোয়াইট হাউসে বক্তৃতা দিতে আসেন বাইডেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে তার কথা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪ টায় যুদ্ধবিরতি শুরু করতে তারা দুজনেই সম্মত হয়েছেন। বৈরিতার স্থায়ী অবসানের লক্ষ্য নিয়ে এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পরিকল্পনা করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের যা অবশিষ্ট আছে, তাদের আর ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে দেওয়া হবে না।

চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। একই সময়ে লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েল সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেবে, যাতে হিজবুল্লাহ সেখানে আবার কোনো অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ না করতে পারে।

এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তাদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসান ফাদলাল্লাহ লেবাননের আল জাদেদ টিভিকে বলেছেন, এ চুক্তি লেবাননের রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের সম্প্রসারণকে সমর্থন করলেও হিজবুল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। হাজারো মানুষ আমাদের প্রতিরোধে যোগ দেবে। আমাদের নিরস্ত্র করার যে প্রস্তাব ইসরায়েলি দিয়েছিল, সেটা ভেস্তে গেছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন এক্স পোস্টে লিখেছে, এ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় ইসরায়েলি ও লেবানিজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহু মাস ধরে চলা আলোচনার চূড়ান্ত পরিণতি।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাভাবিপ্রবিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

গণআন্দোলন ও গণমানুষের রাজনীতির প্রাণপুরুষ স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে "'মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ' শীর্ষক" আলোচনা সভায় অংশ নিতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম।

আজ ১৩ নভেম্বর ২০২৪ (বুধবার) বিকাল ৩ ঘটিকায় মাভাবিপ্রবির দরবার হলে অনুষ্ঠিত হয়  আলোচনা সভা।

উক্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাভাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া পাশাপাশি প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।

আরও উপস্থিত ছিলেন আখতার হোসেন সদস্য সচিব, জাতীয় নাগরিক কমিটি, আরিফ সোহেল সদস্য সচিব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,

মাসুদুর রহমান রাসেল সদস্য সচিব, মওলানা ভাসানী পাঠচক্র, মাহমুদুল হক সানু মহাসচিব, ভাসানী ফাউন্ডেশন।

আলোচনা সভায় আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমাদের পিতা একজন নয়। অনেকের অবদান রয়েছে দেশ গঠনে। তার মধ্যে অন্যতম মাওলানা ভাসানী। পাশাপাশি তিনি টাঙাইল স্টেডিয়ামের নাম শহিদ মারুফ স্টেডিয়াম নামকরণের কথা জানান।

অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল মওলানা ভাসানী পাঠচক্র ও জাতীয় নাগরিক কমিটি, টাঙ্গাইল জেলা।


আরও খবর



তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রিতে, আরও কমবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সামনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল একই সময়ে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এই জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল হাওয়ায় শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছেন মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল ১০টার পর কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও বিকেল চারটার পর আবার হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ বাড়ছে। গরম কাপড়ের অভাবে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ অনেক কষ্টে দিন পার করছেন। শীতের কারণে কাজে যেতে না পারায় অনেকের সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছে। অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।

সকালে সদর উপজেলার সামনে কথা হয় রিকশা চালক কুরবান আলীর সঙ্গে। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সারাদিন যতক্ষণ গরম থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।

এদিকে শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।


আরও খবর



ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকায় শনাক্ত হয়েছে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। গত তিন মাসে আটজনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা গেছে। গত বছরও পাঁচজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত।

বুধবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, জিকা ভাইরাস দেশে প্রথম ২০১৪ সালে শনাক্ত হয়। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক।

গবেষকরা বলছেন, জিকার পাশাপাশি ঢাকা শহরে এখন চিকুনগুনিয়ায় অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এর অর্থ ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়া—এই তিন রোগে ঢাকা শহরের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ তিনটি ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কাছের সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করাতে হবে।

জিকা ভাইরাসের দুটি ধরন আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। একটি আফ্রিকান অন্যটি এশিয়ান। আইসিডিডিআরবি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের পাওয়া জিকা ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ধরনটি এশিয়ান।


আরও খবর