Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

ডেঙ্গুতে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যু, স্যালাইন সংকট

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। প্রতিদিন মৃতের সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের তালিকাটাও লম্বা হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর পানিশূন্যতা ও রক্তের ঘনত্ব স্বাভাবিক রাখতে তাদের শিরায় স্যালাইন দিতে হয়। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইনের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এর ফলে ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যবহৃত পণ্যটির সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষত রাজধানীর ফার্মেসিগুলো থেকে এক প্রকার উধাও হয়ে গেছে স্যালাইন। তবে হাসপাতালে কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোগীরা আশঙ্কা করছেন, যেভাবে রোগী বাড়ছে তাতে হাসপাতালে সরকারি খরচে দেওয়া আইভি ফ্লুইড সরবরাহ যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় ব্যবহার করা স্যালাইনের সংকট তীব্র হতে পারে।

প্রধানত শিরায় চার ধরনের স্যালাইন দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ পানির ঘাটতি পূরণ, গ্লুকোজ স্যালাইন, হৃদরোগীদের স্যালাইন এবং ডায়রিয়া-কলেরা রোগীদের স্যালাইন। এর মধ্যে প্রথমটি বা সাধারণ স্যালাইন ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। দেশে যে হারে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সংকটের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। ইতোমধ্যে ওষুধের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না ডেঙ্গুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত পণ্যটির।

রাজধানীর শাহবাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা ও মগবাজারের বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে স্যালাইনের তীব্র সংকটের চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, গত দুই সপ্তাহ ধরে তাদের কাছে স্যালাইনের সরবরাহ নেই। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বাজারে স্যালাইনের সংকট থাকলেও হাসপাতালে কোনো সংকট নেই।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকের দুতলায় স্থাপিত ডেঙ্গু কর্নারে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে অবস্থান করা প্রায় প্রত্যেক রোগীকে শিরায় দেওয়া স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ রোগীর সরকারি স্যালাইন চললেও অনেকে বাইরে থেকে কেনা স্যালাইন দিচ্ছেন।

মহিলা ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন কোহিনূর বেগম। আশুলিয়া থেকে আসা পঞ্চাশোর্ধ্ব এই নারী ডেঙ্গু ছাড়াও ডায়াবেটিস ও লিভারজনিত রোগে ভুগছেন। কথা বলার সময় তার শিরায় ৫০০ মিলি লিটারের স্যালাইন চলছিল, যেটি বাইরে থেকে কেনা। ওই সময় পাশের স্ট্যান্ডেই আগে ব্যবহার করা একটি সরকারি স্যালাইনের খালি প্যাকেট ঝুলতে দেখা যায়।

জানতে চাইলে কোহিনূরের এক স্বজন বলেন, সাধারণত হাসপাতাল থেকেই স্যালাইন দেয়। না থাকলে বাইরে থেকে আনতে হয়।

মিরপুর থেকে হাসপাতালটিতে আসা প্রিয়াঙ্কা তালুকদারের মেয়ে বলেন, তার মা গত চারদিন ধরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। প্রাথমিক অবস্থায় বাসায় থেকে চিকিৎসা নিলেও হঠৎ তার (প্রিয়াঙ্কা তালুকদার) প্রচণ্ড বমি হওয়ায় ডেঙ্গু শনাক্তের তৃতীয় দিনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে আসার পর থেকে মোট দুটি স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে ওষুধ দেওয়া হলেও দুটি স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।

তবে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনার তথ্য অসত্য দাবি বলে দাবি করেছেন কর্তব্যরত কয়েকজন নার্স। তাদের দাবি, হাসপাতাল থেকেই স্যালাইনসহ রোগীর সব কিছু দেওয়া হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্সিং কর্মকর্তা বলেন, যত সেবা বা সুযোগ সুবিধাই দেওয়া হোক না কেন, রোগীদের অভিযোগ থাকবেই। রোগীদের কোনো স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে না। আমাদের স্টকে পর্যপ্ত স্যালাইন আছে।

সরকারি লোগো ছাড়া স্যালাইনের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি স্যালাইনেই সরকারি লোগো আছে। বাইরের যেগুলো দেখেছেন, ভালো করে লক্ষ্য করে দেখবেন সেগুলোর গায়েও সিল দেওয়া আছে। চাহিদা বাড়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরেও স্যালাইন কেনা হচ্ছে। ফলে সাধারণ দৃষ্টিতে মনে হতে পারে বাইরের কিন্তু আসলে সেগুলো আমাদেরই দেওয়া।

এছাড়া নতুন ভর্তি হওয়া অনেক রোগীদের নামে বরাদ্দ চালু না হওয়ায় এবং অনেকে অপেক্ষা করতে রাজি না হওয়ায় তারা নিজ উদ্যোগে স্যালাইন কিনে আনছেন বলেও দাবি করে তিনি। বিএসএমএমইউর আশপাশের কোনো ফার্মেসিতে স্যালাইন নেই বলে জানান কর্তব্যরত ওই নার্সিং কর্মকর্তা।

একই চিত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। সেখানে ঘুরে দেখা গেছে, রোগীদের সিংহভাগই স্যালাইন পাচ্ছে হাসপাতাল থেকে। তবে বিশেষ কারণে কয়েকজন রোগীকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ফার্মেসি থেকে।

ঢামেকে স্যালাইন সংকট নেই জানিয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, আমাদের এখন প্রতি মাসে এক লাখ ব্যাগ স্যালাইন লাগে। ডেঙ্গু আসার পর থেকে ৪০-৪৫ হাজার ব্যাগ বেশি লাগছে। অর্থাৎ প্রতিদিন রোগী ভেদে স্যালাইন প্রয়োজন হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার ব্যাগ। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে স্যালাইনের কোনো সংকট নেই। রোগীদের প্রয়োজনীয় স্যালাইন হাসপাতাল থেকেই দেওয়া হচ্ছে।

বাজারে নেই স্যালাইন : বিএসএমএমইউর সরেজমিনকালে একজন নার্সিং কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালটির আশপাশের কোনো ফার্মেসিতে শিরায় প্রয়োগ করা সাধারণ স্যালাইন নেই। এটি প্রমাণে তিনি একটি কাগজে ৫০০ মিলির স্যালাইনের চাহিদার কথা লিখে দেন। সেটি নিয়ে হাসপাতালটির আশপাশের আট থেকে দশটি দোকান ঘুরলেও কোথাও স্যালাইন পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে বিএসএমএমইউর পাশের মেডিসিন মার্কেটের জনপ্রিয় ফার্মেসিতে ১০০০ মিলির স্যালাইন পাওয়া গেলেও ৫০০ মিলির স্যালাইন পাওয়া যায়নি।

বাজারে স্যালাইন নেই জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ডেঙ্গুর কারণে চাহিদা বেড়েছে। ফলে গত দুই সপ্তাহ ধরে সরবরাহ নেই। অনেক ক্রেতা কিনতে চাইলেও তারা দিতে পারছেন না।

কারণ হিসেবে শাহবাগের সরকার ফার্মেসির স্বত্ত্বাধিকারি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ায় কোম্পানিগুলো ফার্মেসিতে না দিয়ে সরাসরি হাসপাতালকে স্যালাইন দিচ্ছে। ফলে আমাদের সাপ্লাই নাই।

একই চিত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার ওষুধের দোকানগুলোতেও। বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহের অধিক সময়ে সাপ্লাই নেই। ফলে ক্রেতারা আসলেও আমরা দিতে পারছি না। মূলত হাসপাতালে চাহিদা বাড়ায় কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ করছে।

যা বলছে কর্তৃপক্ষ : দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ ও স্যালাইন সরবরাহ করে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। তবে প্রতিষ্ঠানটির স্যালাইনের নিজস্ব উৎপাদন না থাকায় বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি থেকে তা কিনে হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করে।

এ বিষয়ে ইডিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির বলেন, গত বছর ৬০ লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চাহিদা ছিল। এখন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চাহিদা ১০ গুণের বেশি বেড়েছে। এ চাহিদা পূরণ করেছে বেক্সিমকো, স্কয়ার, একমি, পপুলার, ওরিয়ন, লিব্রা ও অপসোনিন। রেশনিং প্রক্রিয়ায় হাসপাতালগুলোকে স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যেন স্যালাইন সংকট না হয়, সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন।

গত ৬ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত হোসেন বলেন, এই সংকটের দায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের একার নয়। এ বিষয়ে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানানো হয়েছে। কেন সংকট ও কোথায় দাম বেশি রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর তদারকি করছে।

 


আরও খবর



নওগাঁয় মা-বাবার সামনেই সড়কে ঝরলো শিশুর প্রাণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সিএনজি চালিত অটোবাইকের ধাক্কায় ব্যাটারী চালিত  ভ্যানের উপর মায়ের কোলে বসে থাকা মাত্র আড়াই বছর বয়সি মোসাঃ আছিয়া জান্নাত নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এসময় নিহত শিশুর মা ও দাদা-দাদি আহত হয়েছেন। এদূর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার ১৭ জুন বেলা ১১টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়ন পরিষদের পাশে এলাকায়। নিহত শিশু আছিয়া জান্নাত মান্দা উপজেলার চকরামপুর গ্রামের জৈনক আকাশ আলীর মেয়ে। নিহত শিশু আছিয়া জান্নাতের দাদা মোজাম্মেল জানান, তিনি নিজে, তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম, ছেলে আকাশ আলী ও ছেলের বউ মৌসুমী আক্তার এবং নাতনী মোসাঃ আছিয়া জান্নাতকে সাথে নিয়ে একটি ভ্যান যোগে ঈদের দাওয়াত খেতে পাশের রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পৌছালে হঠাৎ করেই দ্রুতগামী সিএনজি চালিত একটি অটোবাইক তাদের বহণকারী ভ্যানে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় ভ্যানের উপর মায়ের কোলে বসে থাকা শিশু আছিয়া জান্নাত সহ তারা ভ্যান থেকে ছিটকে রাস্তার উপর পড়ে আহত হোন। সাথে সাথে তাদের মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশু আছিয়া জান্নাত কে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে মান্দা থানা পুলিশ দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে সিএনজি চালিত অটোবাইক সহ তার চালককে পুলিশি হেফাজতে নেয়। শিশু আছিয়া জান্নাতের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার, স্বজনসহ এলাকার লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। দূর্ঘটনায় শিশু নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের নিকট শিশুর মৃতদেহ হস্তান্তরের পস্তুতি চলছে।


আরও খবর



তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না!

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে ইতিহাসের জঘন্যতম নৃশংসভাবে। বিএনপি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বলেছেন, দেশে তো সরকার আছে, প্রশাসন আছে, তারা কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না?


বিএনপি দাবি করছে, তারা আইন প্রয়োগে কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না। অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।


এর আগেও, বিএনপি নানা অপরাধে জড়িত নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করেছে। হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কিন্তু কিছুতে কিছু হয়নি, হচ্ছে না। পরিস্থিতি আরো বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে। অপরাধ বেড়েছে, নৃশংসতা বেড়েছে। এর অর্থ হলো, বিএনপি'র বহিষ্কার বা হুঁশিয়ারি কাজ করছে না।


কেনো বিএনপি দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারছে না? ঘাটতি কোথায়?


ফ্যাসিনার আমলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেনি। তখন অপকর্ম করার সুযোগ ছিলো না। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা ভিন্ন। দীর্ঘদিনের দমন-পীড়নের পর নেতাকর্মীরা সুযোগ পেয়ে অনেকেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সুবিধাবাদীরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এই অবস্থার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, বিএনপিতে কার্যকর নেতৃত্বের অভাব।


সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরলেই বিএনপি দায়মুক্ত হবে না। জনগণ তা গ্রহণ করবে না। জনগণ বলতে শুরু করেছে, যে দল নিজের নেতাকর্মীর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনা, সেই দল দেশের নিয়ন্ত্রণ কিভাবে রক্ষা করবে?!


দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে- তারেক রহমানকে দেশে আসতে হবে। সরকারের সাথে প্রশাসনের সাথে এসব বিষয়ে আন্তরিক বৈঠক করতে হবে।


তিনি কেনো দেশে ফেরেননি বা ফিরতে পারছেন না- তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। 


অন্যদিকে, ফ্যাসিবাদ বিরোধী যারা বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন, তারা ভুল করছেন।


আরও খবর



মোটরযান পরিদর্শক আমিনুলের নেতৃত্বে মাসে লুটপাট কোটি টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সাভারর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) A.D নুর হোসেন ও মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তিনি দালালদের সরকারি আশ্রয়-প্রশয় দিয়ে অফিসের চেয়ার-টেবিলে বসিয়ে ঘুষসহ নানামুখী দুর্নতিমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে উৎসাহিত করেন বলে অভিযোগ।

গাড়ির ফিটনেস, লাইসেন্স করতে গেলে ভোগান্তির শেষ থাকেনা সেবা নিতে আসা মানুষদের। সেইসাথে আছে তার সিন্ডিকেটভূক্ত দালালদের নির্লজ্জ দৌরাত্ম। মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের ইচ্ছে মতো টাকা দালালদের হাতে না দিলে কোনো কাজই হয় না এই অফিসে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশন না দেয়ার বিধান থাকলেও উৎকোচের বিনিময়ে লার্নার (শিক্ষানবিশ) কার্ডধারীদের নিয়মিতই রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে সাভারের বিআরটিএ অফিস থেকে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার বিনিময়েও নেয়া হচ্ছে বাড়তি ঘুষের টাকা। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এই সাভার কার্যালয়টি। এই অফিসের A.D নুর হোসেন ও মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল খানের যোগসাজশে গড়ে ওঠেছে দালালদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, লাইসেন্স প্রতি ৩ গুণ, ৪ গুণ টাকা বেশি দিতে বাধ্য করা হয় ভুক্তভোগীদের।

এভাবেই বিআরটিএ সাভার অফিসের AD নুর হোসেন ও মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান কথিত অফিস স্টাফ ও দালালদের সাথে আঁতাত করে প্রতিমাসে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা যায়।

রোড পারমিট, মালিকানা বদল, ফিটনেস, চোরাই গাড়ির জাল কাগজ প্রস্তুত ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, নাম্বার প্লেট, অকৃতকার্য মোটরযান চালকদের কাছ থেকে মোটা অংকের দক্ষিণা নিয়ে গ্যারান্টি সহকারে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে দিয়েই মূলতঃ এঁরা লুটপাট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

এতে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হলেও A.D নুর হোসেন ও মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল গড়েছেন নামে বেনামে অবৈধ সম্পদের পাহাড়।আমিনুল ইসলামের দপ্তরে ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারী ফিস জমা বাদেও প্রতিটি ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে নেন ৪/৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতিটি রোড মারমিট থেকে গোপনে হাতিয়ে নেন ৫০ হাজার টাকা থেকে ২/৩ লাখ টাকা। চোরাই গাড়ির জাল কাগজ প্রস্তুতে নেন গাড়ির মূল্যমান ও শ্রেণী বিশেষে ৫০ হাজার থেকে থেকে ২ লাখ টাকা। মালিকানা বদলের ক্ষেত্রে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। কাগজে ত্রুটি থাকলে গোপনে হয় মোটা অংকের লেনদেন। গাড়ির ফিটনেস বাবদ নেন ২৫/৩০ হাজার টাকা করে।

এসব টাকার ৪০% নেন সহকারী পরিচালক ( ইঞ্জি:), ৩৫% টাকা নেন পরিদর্শক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান,, আর বাকি ২৫% টাকা যায় অফিস স্টাফ আর দালালদের পকেটে। এডি ও পরিদর্শক আমিনুলের যৌথ উদ্যোগে এই অসাধু উপায়ে অর্জিত টাকা থেকে হেড অফিস ম্যানেজের নামে একটি অংশ চলে যায় দক্ষিণার নামে। এভাবেই তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি টাকা।

অনুসন্ধানে জানা যায় শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নিজেদেরকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও শেখ হাসিনার প্রিয়জন পরিচয় দিয়ে তারা কর্মস্থলগুলোতে স্ব-স্ব ক্ষমতার বলয়ে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি সিন্ডিকেট।

জনশ্রুতি আছে জুলাই আগস্ট ২০২৪ এর ছাত্র আন্দোলন দমন করতে এডি নুর হোসেন ও মোটরযান পরিদর্শক প্রতিরাতে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে করতেন গভীর শলাপরামর্শ। আর ছাত্র আন্দোলন দমাতে লক্ষ লক্ষ টাকা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডারদের মাঝে বিতরণ করেন।

তবে ৫ই আগষ্ট পট পরিবর্তনে শেখ হাসিনা দিল্লি পালিয়ে গেলে এডি নুর হোসেন ও মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল টানা প্রায় ২ সপ্তা লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান।

তবে কিছুদিন পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকলে আস্তে আস্তে এঁরাও মাটি ফুঁড়ে বের হতে থাকে। এরপর সপ্তাহ দুই ফেরেস্তা সেজে থাকলেও এখন আবারো শেখ হাসিনার দোসর এই চক্র পূর্বের ন্যায় স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।

( চলবে)


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে বন্ধ ছিলো রাণীনগরে ৪ টি মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জুন 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

এবার ঈদুল আজাহার দীর্ঘ ছুটিতে বন্ধ ছিলো নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মানব সেবা ও পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রম। ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্র সংলগ্ন ৪টি ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা। অথচ সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে ঈদের ছুটিতে সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় উপজেলাজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রে জানা, গত ৫ই জুন থেকে ঈদুল আজাহার ছুটি শুরু হয়। দীর্ঘ ১০দিনের ঈদের এই ছুটির সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মানব সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থেকে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা এবং গর্ভকালীন সেবা, প্রসবসেবা, প্রসব-পরবর্তী সেবা, সাধারণ কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়। কিন্তু রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মিরাট, গোনা, বড়গাছা ও পারইল ইউনিয়নের মডেল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকার কারণে এই অঞ্চলের কোন মানুষই সেবা পায়নি। অথচ নিজের বিভাগকে খুশি করতে এবং নিজেদের অনিয়ম আর দুর্নীতিকে হালাল করতেই উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সেবা প্রদান না করেও সেবা প্রদান করার বিষয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে করে নানা অনিয়মে জড়িত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে সেবা গ্রহিতাদের মাঝে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। গোনা ইউনিয়নের গোনা দীঘির পূর্ব পাড়ার ডিস ব্যবসায়ী রুস্তুম সরদার জানান ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে গোনা কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা ছিলো না। মাঝে মধ্যে এক ঘন্টা কোন দিন দুই ঘন্টার জন্য খোলা থাকে এই হাসপাতালটি। ডাক্তার কখন আসে আর কখন যায় তার কোন ইয়াত্তা নেই। গেলে কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। আর হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা বলেন ওষুধের বরাদ্দ নেই।

গোনা খানপাড়ার মৃত আব্দুর রহমান মন্ডলের ছেলে জনাব আলী জানান তার বাড়ি গোনা কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন। এবার ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে হাসপাতালটি খোলা ছিলো না। ঈদের ছুটিতে খোলা থাকলে অবশ্যই দেখা যেতো। লোকজন ওষুধ নিতে আসতো। ঈদের ছুটির মধ্যে খোলা থাকলে অবশ্যই দেখতে পেতাম। ঈদের পর এখন খোলা থাকে হাসপাতালটি।

একই অবস্থা ছিলো উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পারইল ইউনিয়নের পারইল বাজার মাদ্রাসা সংলগ্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ। উপজেলার চারটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রই ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে পুরোপুরি বন্ধ ছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। সেবা প্রদান না করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের মাঝে নেতিবাচক ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করায় এমন জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে উপজেলার সচেতন ব্যক্তিরা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরে আলম জানান জনবল ও ওষুধের সংকটসহ নানা সমস্যা মাথায় নিয়ে দেশের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সেবা প্রদানের চেস্টা করে আসছে। আর তিনি উপজেলাতে সবেমাত্র যোগদান করেছেন। তিনি সেবা প্রদান না করার বিষয়ে খোঁজ খবর নিবেন বলেও জানান।


আরও খবর



জুলাইয়ের মধ্যেই ঘোষণা হবে ‘জুলাই সনদ'

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ |

Image

আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্তের লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। ১৭ জুন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শুরুতে তিনি এই কথা জানান।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘হয়তো সব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হবে না। কিন্তু সবাইকেই ছাড় দেওয়ার মনোভাব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’

আলোচনার শুরুতেই আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য যেটা আমরা বারবার বলেছি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংকল্পবদ্ধ যে, আমরা জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যে সহযোগিতা করছেন সেজন্য দলগুলোর প্রতি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আশা করছি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে, আমাদের পক্ষে অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করছি সমস্ত বিষয়গুলোতে যাতে আমরা সকলে একমত না হলেও সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ে মতে আসতে পারি।’

ঐকমত্য কমিশনের প্রধান জানান, এখন থেকে টানা তিন দিন আলোচনা চলবে। এরপরেও আলোচনা অব্যাহত থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলো রাজি থাকলে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারেও আলোচনা করতে রাজি কমিশন।

বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এনসিপির তাসনিম জারা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, বিএলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ জাসদের মোস্তাক হোসেনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন। বৈঠক রয়েছেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

ঈদুল আজহার আগে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হয়। মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মূল আলোচনা শুরু করেছে কমিশন। এই আলোচনায় সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদ, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

গত অক্টোবরে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিনের প্রতিবেদন জমা পড়ে ফেব্রুয়ারি মাসে। এসব প্রতিবেদনের সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তারা সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত জানতে চায়- যাদের মধ্যে ৩৩টি মতামত জানায়। এরপর ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশনের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সংলাপ সম্পন্ন করে ঐকমত্য কমিশন।


আরও খবর