Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গুতে এ বছর মৃত্যু ৫৫০ ছাড়াল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

প্রাণঘাতী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩১১ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫৫১ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ২৯৫ জন।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৩ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।  

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর ৯৭ হাজার ২১১ জন ডেঙ্গুরোগী ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯৯ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক এক শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক নয় শতাংশ নারী রয়েছেন।


আরও খবর



গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

আত্মপ্রকাশের একদিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সংগঠক শ্যামলী সুলতানা জেদনী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে এ তথ্য জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে জেদনী বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সংগঠক’ পদ থেকে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে পদত্যাগ করলাম।

তিনি আরো বলেন, ‘গত ৭/৮ মাস ছিল আমার জীবনের অন্যতম অভিজ্ঞতার সময়। পুরো সময়জুড়ে অনেক কিছু বুঝেছি, জেনেছি, শিখেছি। নানা রকম চিন্তাভাবনার মানুষের সঙ্গে মিশতে পারা এবং তাদের সঙ্গে গল্প করতে পারা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের অন্যতম অধ্যায়। জুলাই/আগস্টের পর আর সবার মতো আমার মনেও নানা আশা-আকাঙ্ক্ষার উদয় হয়েছে যার পুরোটা জুড়ে ছিল দেশের মানুষের জন্য কিছু করা এবং গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন। কাজেই গণঅভ্যূত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে এর ভীতকে মজবুত করার জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি। যখন মনে হয়েছে, হাতে সময় কম তবে কাজ অনেক; ঠিক তখনই সেমিস্টার ড্রপ দিয়ে এই জায়গাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। চলমান সেমিস্টারেও বেশিরভাগ ক্লাস করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে বিশেষ কারণে সবকিছু থেকে আজ ইস্তফা দিতে হচ্ছে।’

গত ৬ মাসে বোধহয় ১২০ দিনও বাসায় থাকতে পারিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মায়ের হাতের রান্না খেতে পারিনি। কারণ দেশের নানা প্রান্তের মানুষকে পড়ার জন্য, বোঝার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি। আমাদের সমাজে মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন এখনও আসেনি। কাজেই যখন রাত ২/৩টায় বাসায় ফিরতাম, গলির মোড়ের দোকানদার থেকে শুরু করে অনেকে আড়চোখে তাকাতো। এইসব উপেক্ষা করে চলার দারুণ ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা অবশ্য আমাকে দিয়েছে। পড়াশোনা/নিজের শখ/যত্ন বিসর্জন দেওয়া বা কারো কোনো ভাবনা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই কিংবা কোনো অনুশোচনা কাজ করছে না। তবে আজ খারাপ লাগছে এই ভেবে যে, গত ৬ মাস আমার মাকে আমি ঠিকঠাক সময় দিতে পারি নি বরং বেশিরভাগ সময় উপেক্ষা করে গেছি।’

জেদনী বলেন, ‘আমার এইটুকু জার্নিতে আমার মা সবচেয়ে বেশি সাপোর্টিভ ছিল, কি কি করেছে আমার জন্য সেগুলো বলা এখানে মুখ্য বিষয়ও নয় অবশ্য। সবকিছু বাদ দিয়ে এই জায়গাকে আপন করে নেওয়ার ফলে যা কিছু হারিয়েছি, তা নিয়ে মা মাঝেমধ্যে বকা দিলেও আজ যখন আমি এখান থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি; ঠিক তখনই আমার মায়ের চোখেও পানি দেখেছি!’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জন্য শুভকামনা রইল। ৫৪ বছরের কুৎসিত ছাত্র রাজনীতির অবসান এই প্লাটফর্মের হাত ধরে হোক, এই প্রত্যাশা! আপনারা সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করুন, স্বজনপ্রীতির অবসান ঘটিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করার দিকে অগ্রসর হোন। যোগ্য নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেয়া এবং মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠুন, মানুষের অধিকারের কথা বলুন।’

তিনি বলেন, ‘যাদের সঙ্গে এতদিন কাজ করেছি কিংবা গল্প করেছি, তাদের জন্যও শুভকামনা রইল। আপনারা এগিয়ে যান, সাংগঠনিকভাবে আপনাদের সঙ্গে না থাকলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রতিবাদে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব, অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার লড়াই আজীবন চলবে। আজকের সিদ্ধান্ত আমার জীবনের অন্যতম কঠিন এবং কষ্টের সিদ্ধান্ত। তবে আবুল মনসুর আহমেদের একটা লাইনকে আমি ধারণ করি বলি- এখানে থাকা আমার পক্ষে আর সম্ভব হয়ে উঠছে না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশীদ পদত্যাগ করেন। ইতোমধ্যে তিনি পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছেন।


আরও খবর



নওগাঁয় একাধীক ডাকাতি, চুরি ও অস্ত্র মামলার আসামী শান্ত আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার:

নওগাঁ জেলা পুলিশের অভিযানে ডাকাতি ও চুরি সহ একাধীক মামলার আসামী আতাউর রহমান শান্ত ওরফে বিপ্লব (৩৮) আটক। সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জ্বনাব গাজিউর বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী জানান, 

গতভোর রাতে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক নওগাঁর মহাদেবপুর থানার চেরাগপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ৭টি ডাকাতি ও ৪টি চুরি মামলা সহ ১৭টি মামলার আসামী আতাউর রহমান (শান্ত) ওরফে বিপ্লব (৩৮)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাবার নাম আব্দুল মজিদ মন্ডল। গ্রেফতারকৃত বিপ্লব  আন্তঃজেলা ডাকাত দলের নেতা। তার বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামুইরহাট, বদলগাছী এবং নওগাঁ সদর থানায় মোট ১৭টি মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে অস্ত্র মামলায় তার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় সড়কে বাস ডাকাতি ও আত্রাই উপজেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পথরোধ করে ডাকাতী সংঘটনের সাথে সে জড়িত। বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী তাকে নওগাঁ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ পূর্বক ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে ৭টি ডাকাতী, ৪টি চুরি, ২ টি চাঁদাবাজী, ২টি মাদক, ১টি মারামারী ও ১টি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জ্নাব গাজিউর।


আরও খবর



আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

রবিবার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সে‌স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। গত বছরের অক্টোবরে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন।


আরও খবর



আপসোস : না বুঝে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছিলাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মেহেরুন নেসা, সমন্বয়ক কুমিল্লা :

আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জীবনের সবচেয়ে বড় সংগ্রামটি করছিলাম কিছুদিন আগে। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম স্বপ্নপূরণের জন্য শুধুমাত্র তার কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট নয়, বরং সমাজের পুরনো এক নিয়মকে বদলানোর প্রয়োজন। সেই নিয়ম ছিল কোটা ব্যবস্থা, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য এক অন্যায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আন্দোলন করেছিলাম চাকরির জন্য, কোটা বাতিলের জন্য। ভেবেছিলাম দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে আর মুক্তিযুদ্ধের একপেশী গল্প যেই গল্প বেঁচে আওয়ামী লীগ আমাদের জিম্মি করেছিলো ১৫ বছর তা থেকে মুক্তির আশায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ৬ মাসে দেশে চাকরির বাজারের কোনো অগ্রগতি নেয়। 

৬ মাসে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সরকারি নিয়োগ পরিক্ষা হয় নি, বড় কোনো নিয়োগ সার্কুলার হয় নি। অনেক আশা নিয়ে দেশ সংস্কারের আশায় আন্দোলনে গিয়েছিলাম। অনেক রিস্ক নিয়ে পরিবারের কথা অবাধ্য হয়ে। সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছি সেদিন যেদিন দেখলাম আওয়ামী লীগ বিদায় হওয়ার পর আমাদের লোক গুলোই এক একটা দানবে পরিনত হয়েছে। 

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দেশে নিয়মের বালাই নেয় যে যেভাবে পারছে দেশটাকে অস্থিতিশীল করে, সুযোগ সুবিধা নিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। আন্দোলনের দিনগুলোতে অনেক স্বপ্ন দেখেছি। গ্রুপে সহযোদ্ধারা, সিনিয়ররা আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে আজ তার ছিটেফোঁটাও লক্ষ্য করছি না।

আমাদের কুমিল্লার গ্রুপে হাসনাত ভাইয়ের নির্দেশনা আমাদের অনেক অনুপ্রাণিত করতো। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা। আর এখন সেই হাসনাত ভাইকেই চিনতে পারি না। ক্ষমতার নেশায় আমাদের সহযোদ্ধারা সব অন্ধ হয়ে গেছে।

সবাই এখন ক্ষমতা চায়, তারা এখন আমাদের বোঝাতে চায় রাজনীতিতে যদি তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত না হয় কাউকেই নাকি আওয়ামী লীগ আর বিএনপি ছাড় দেবে না। আপনারা ত তখন আমাদের রাজনীতির কথা বলেন নি। 

আজ ছয় মাস পার হয়ে যায়, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সংস্কার আসেনি। আমাদের সমস্ত আশা, সমস্ত চেষ্টা, সমস্ত সংগ্রাম আপনাদের ক্ষমতার লোভে নিঃশেষ যাচ্ছে। আপনারা সরকারে আছেন সঙ্গে থেকেও কিছু করতে পারছেন না কেনো?

 তাহলে আওয়ামী লীগের লোকজন এখন যা বলছে তাই কি সঠিক। আপনাদের আন্দোলন ছিলো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোনো স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য নয়। নয়তো কেনো সেই কাঙ্ক্ষিত *কোটা সংস্কার* কখনোই বাস্তবে রূপ নেয়নি। বলতে দ্বিধা নেই আমদের সংগ্রাম, স্বপ্ন, আত্মত্যাগ কিছুই পরিবর্তন করতে পারেনি।

আমার এক বন্ধু শাহিনুর যে এই আন্দোলনে আমাদের ব্যাচের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিলো সে দেশের বাইরে চলে গেছে। যাওয়ার আগে আমাকে একটি ম্যসেজ দিয়ে গেছে। 

সে লিখেছে দোস্ত, ক্ষমা করিস আমাকে।  এটা শুধু আমার কথা নয়, এটা আমাদের অনেকের কথা, যাদের কষ্টগুলো কোনোদিন বুঝবে না কেউ। কিন্তু আমি জানি, আমরা আজ হারলেও, একদিন এই শহর, এই দেশ, এই পৃথিবী বদলাবে। আমার সংগ্রাম হয়তো একটি ফাটল সৃষ্টি করেছে, যে ফাটল একদিন বড় হয়ে পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

হয়তো আমাদের সংগ্রাম সফল হয়নি, কিন্তু আমাদের সংগ্রাম কখনো হারবে না। আমরা ট্র‍্যাপে পড়ে দেশের ক্ষতি করে ফেলেছি। তবে এই দেশ একদিন আবার ঘুরে দাঁড়াবে। দোয়া করিস যাতে দেশের যা ক্ষতি হয়েছে একদিন যাতে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারি। 

আমিও হয়তো দেশের বাইরে চলে যাবো কিছুদিনের মধ্যে। কিন্তু একটা আক্ষেপ থেকে যাবে না বুঝে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছিলাম, পাসপোর্ট করতে গিয়েই বুঝেছি দেশের কোনো পরিবর্তন হয় নি শুধু পরিবর্তন হয়েছে আমাদের মাথা বিক্রি করা কিছু সমন্বয়কদের।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




রমজানে শরীর চাঙ্গা রাখবে যে শরবত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রমজানে সারা দিনের তৃপ্তি মেটে ইফতারের সময়েই। তখন অন্য খাবারের চেয়ে শরবত পানেই ক্লান্তি দূর হয়। আর তাই তো ইফতারে থাকে নানা ধরনের শরবত। আজ আপনাদের জন্য এমনই কয়েকটি শরবতের রেসিপি নিয়ে এসেছি, যেগুলো রমজানে শরীর চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করবে।

 

রমজানে শরীর চাঙ্গা রাখতে শরবত

১) খেজুরের শরবত

বানাতে যা যা লাগবে

নরম খেজুর ১/২ কাপ

দুধ (ঘন হলে ভালো) ১ কাপ

বাদাম কুচি ১ চা চামচ

চিনি পরিমাণমতো (না দিলেও অসুবিধা নেই)

পানি পরিমাণমতো


যেভাবে বানাবেন

খেজুরগুলো ভালোভাবে ধুয়ে বিচি ফেলে দিয়ে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন। বরফ কুচি না দিলে খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজে রেখেও ঠান্ডা করে নিতে পারেন।

২) দুধ তোকমার শরবত

বানাতে যা যা লাগবে

দুধ ১/২ লিটার (মানুষ বেশি হলে পরিমাণ বাড়বে)

তোকমার দানা ১ টেবিল চামচ

চিনি ১ টেবিল চামচ

রুহ আফজা ১/২ চা চামচ



যেভাবে বানাবেন

দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। এবার এই তোকমা দানা দুধে মিশিয়ে নিন। চিনি ও রুহ আফজা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে বরফকুচি দিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

৩) তেঁতুলের শরবত

বানাতে যা যা লাগবে

তেঁতুল ১/২ কাপ

বিট লবণ ১/২ চা চামচ

কাঁচা মরিচ কুঁচি ১ টেবিল চামচ

ধনিয়া পাতা কুঁচি স্বাদমতো

চিলি ফ্লেক্স ১ টেবিল চামচ

ঠাণ্ডা পানি

 

যেভাবে বানাবেন

বিচি ছাড়িয়ে তেঁতুল কিছুক্ষণ একটি পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন। এর সাথে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে দিন। এবার সবগুলো উপকরণ এতে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার মিশ্রণটি ছেঁকে নিন আরেকটি পাত্রে। খাওয়ার আগে বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার তেঁতুলের শরবত।

৪) পুদিনা পেস্তার লাচ্ছি

বানাতে যা যা লাগবে

মিষ্টি দই ১ কাপ

পুদিনা ২ টেবিল চামচ

পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ

কাঁচা মরিচ ১ টেবিল চামচ

চিনি ২ টেবিল চামচ

বরক কয়েক টুকরো



যেভাবে বানাবেন

সবগুলো উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে ছেঁকে নিতে পারেন। এবার পরিবেশনের জন্য পছন্দের গ্লাসে ঢেলে তার উপর ছড়িয়ে দিন কয়েক টুকরো পুদিনা পাতা।

৫) তরমুজের শরবত

বানাতে যা যা লাগবে

তরমুজ কুঁচি ২ কাপ

চিনি ২ টেবিল চামচ

বিট লবণ ১/২ চা চামচ

লেবুর রস ২ চা চামচ

বরফ কুঁচি

যেভাবে বানাবেন

সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ছেঁকে নিলে তরমুজের দানাদার বিচিগুলোর স্বাদ মুখে লাগবে না। এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন বরফ কুঁচি দিয়ে।

রমজানে সারাদিন পর তৃষ্ণা মেটানোর জন্য শরবত বেশ উপকারি। দুধ ও বিভিন্ন ফলের আলাদা আলাদা উপকার থাকায় শরীরকে অল্প সময়ে চাঙ্গাও করে তোলে এই শরবতগুলো। তাইতো রমজানে শরীর চাঙ্গা রাখতে শরবতের জুড়ি নেই। এই রমজানে এই রেসিপিগুলো থেকে


আরও খবর

শীতের সবজি রান্নার রেসিপি

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শেষ পাতে ফিরনির রেসিপি

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪