Logo
শিরোনাম

দেশ রক্ষায় এই সরকারকে বিদায় করতে হবে : মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের আন্দোলনের সম্মান জানিয়ে সেদিন তত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল। এই তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী সবার আগে ছিল জামাতের। আজ তাদের নাকি আবার আপোষ হচ্ছে শুনলাম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চাইলে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন তিনি যদি চাইতেন। আর আপনারা কী করলেন। শত শত মানুষকে গুম করলেন হত্যা করলেন। এভাবে একটা দেশ কখনও চলতে পারে না। 

তিনি বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে এই লুটেরা সরকারকে বিদায় করতে হবে। এদের বিদায় না করলে উন্নয়ন হবে না। মানুষের পেটে ক্ষুধা রেখে দুটো ব্রিজ করলে উন্নয়ন হয় না। আগে পেটের ভাত তারপর উন্নয়ন। যে উন্নয়নের চেয়ে বেশি নিজের পকেটের উন্নয়ন হয় সেই উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন নেই। 

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, ওরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। আমি বলিনি, এটা শিল্প মন্ত্রী বলেছে। দেশের জনগণ এই লুটপাটের কারণে দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে গেছে৷ আমরা বারবার প্রতিবাদ করেছি। সরকারের বোধদয় হয়নি। 

ব্রিজ করতে বাইরে লাগে ছয় সাত হাজার ডলার। আমার দেশে লাগে ত্রিশ হাজার ডলার। এটা কী মগের মুল্লুক নাকি। সরকারি কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লেগে আছে। এ বলে তুই বেশি খেয়েছিস ও বলে তুই বেশি খেয়েছিস। পানির দাম, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। ওরা বলে তেলের দাম বাড়াবো না আন্তর্জাতিক বাজারের দামে ছেড়ে দিবো। এতদিনে কেন। আমার নেত্রী কী দেশ চালায়নি ভর্তুকি দেয়নি। তখন কী দাম বেড়েছিল? বাড়েনি। 

তিনি বলেন, ওদের এক নেতা এক এগারোর সময় জেলে আমার সামনে কান ধরে উঠবস করেছিলো। বলেছিল আর রাজনীতি করবো না ভাই। আজ সেই নেতা বড় বড় কথা বলেন। তিনি বলেন খেলা হবে। আমরা আপনাদের এইসব খেলায় অংশগ্রহণ করবো না৷ খেলা তো শুরু হয়ে গেছে। আমরা আপনাদের সাথে কোন ঝামেলায় যেতে চাই না৷ 

তিনি আরো বলেন, এখনও সময় আছে মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। নয়ত পরে পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবেন না। আপনারা কীভাবে পালাবেন চিন্তাভাবনা করেছেন। আপোষে গেলে যান জোর করে পালাতে পারবেন না। জনগণ আপনাদের বিচারের পাল্লায় তুলবে। জনগণ আপনাদের ছাড়বে না। যারা গুম হয়েছে তাদের বাবা মা আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না। 

নারায়ণগঞ্জের অনেক নেতা কারাগারে আছে। আরেকটা ছেলে আছে। সেও জেলে, নাম জাকির খান। আমরা জেল থেকে তাদের মুক্ত করবো। এ সরকারের কাছে আর মুক্তি চাই না আমরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা ও সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম ইমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




দশমিনায় বরযাত্রীসহ নৌকা ডুবি,পটুয়াখালীতে নিখোঁজ চারজনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা :

তেঁতুলিয়া নদীতে বিয়ের বরযাত্রীসহ নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ চাঁর জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের পাতারচর এলাকার চর ঘুর্নির নামক স্থান থেকে নববধূর ছোট বোন মারুফা বেগম (৮), গলাচিপা উপজেলার বদনাতলী নামক স্থান থেকে বর রাব্বি হাসান (২০) ও বরের মা সেলিনা বেগম (৪৫) এবং খাদিজার (৫)কে উদ্ধার করেন পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল।

জানা যায়, উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চরশাহজালাল গ্রামের হুমায়ন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সাথে রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বির একমাস পূর্বে বিয়ে হয়। রাব্বির স্বজনরা গত ১৮তারিখ মঙ্গলবার নববধূর বারিতে বৌভাতে অংশগ্রহন করেন। ওই বৌভাতে রাব্বি সহ পনেরজন বরযাত্রী চরবোরহান নববধূর বাড়িতে যান। বৌভাত শেষে গত শুক্রবার ৪টার দিকে নববধূকে নিয়ে ফেরার সময় তেঁতুলিয়া নদীর মাঝপথে হঠাৎ ঝঁর শুরু হয়। ঝঁরের গতি বেশি থাকায় নৌকা উল্টে সবাই নদীতে ডুবে যায়। তখন স্থানীয় জেলারা নৌকা ডুবতে দেখে কাছে আসে এবং কনেসহ ১৫জনকে উদ্ধার করে। তবে বরসহ চারজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরসহ চারজন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভসের একটি ডুবুরি টিম ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। নিখোঁজ চারজনকে গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় গলাচিপা উপজেলার বদনাতলীর তেতুলিয়া নদী থেকে বর রাব্বি হাসান (২০) ও বরের মা সেলিনা বেগম (৪৫) এবং বেলা ১১টার দশমিনা উপজেলার নববধূর ছোট বোন মারুফা বেগম (৮)  আর দুপুর আড়াইটায় দশমিনা উপজেলার চরঘুর্ণির তেতুলিয়া নদী থেকে খাদিজার (৫)কে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেয়। পরে দশমিনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পালোয়ান ও পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম তেঁতুলিয়া নদী থেকে থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে

এবিষয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের স্টেসন অফিসার মো. রেজোয়ার বলেন, শুক্রবার বরযাত্রীসহ নৌকা ডুবির ঘটনায় আমরা উদ্ধারকাজ চলমান রাখি এবং রোবরার সকালে পৃথক পৃথক স্থান থেকে নিখোঁজ চারজনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাদ আসর উপজেলার আউলিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে স্ব-স্ব পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।


আরও খবর



মার্কিন ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল এবং ফার্মাসিউটিক্যালে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌আমি আপনাদের আমাদের নবায়নযোগ্যযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদিসহ অনেক গতিশীল ও সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশে সুযোগ অন্বেষণ ও বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

২ মে ‌‌ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনমিক পার্টনারশিপ: শেয়ার্ড ভিশন ফর স্মার্ট গ্রোথ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিলের মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ইউএস চেম্বার অব কমার্স ওয়াশিংটন, ডিসির গ্রেট হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ইউএস-বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের যাত্রায় অংশীদার হিসেবে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আমি আজকে এখানে আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং ২৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে।

প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতির কথা আবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা, ট্যাক্স হলিডে, রয়্যালটি রেমিটেন্স, বাধাহীন প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ ও মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন সুবিধা রয়েছে। আমরা আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিনিয়োগ জলবায়ু উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে আমাদের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

তিনি বলেন, তিনি আশাবাদী যে, যুক্তরাষ্ট্র এ চ্যালেঞ্জিং উদ্যোগে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য একটি মসৃন ও অনুমানযোগ্য সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনশীল অংশীদার হবে।

যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অনেক ক্ষেত্রে নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য হলো আমাদের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা। আমাদের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের মধ্যে সম্পর্কের তা প্রতিফলিত হচ্ছে। ২০২১-২০২২ সালে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশে একটি শিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাপানের প্রস্তাবের উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই আমাদের লক্ষ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নীত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন সর্বজনীনভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, সুশাসনের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও স্থিতিশীলতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি খাতে অগ্রগতির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে যা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এ কারণেই ইদানীং বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স ইউকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু গত বছর ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিশ্বে সর্বোচ্চ এবং গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৩ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত দেশে পরিণত করবে। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মানে অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের ওপর এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এবং চেয়ারম্যান এক্সেলরেট এনার্জি স্টিভেন কোবোস, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস (বিসিজি) হ্যান্স-পল বার্কনার, মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক পলিসি অপারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি অরোরা, বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এরিক ওয়াকার এবং গ্লোবাল হেড অব এক্সপ্রোরেশন অ্যান্ড নিউজ এক্সনমোবিলের ভেঞ্চার ড. জন আর্ডিল উচ্চ-স্তরের গোলটেবিলে বক্তৃতা করেন।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট-সাউথ এশিয়া অ্যাম্বাসেডর অতুল কেশপ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বোয়িং ইন্ডিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট শাইল গুপ্ত, ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান কেভিন রোপেকে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত ছিলেন টইউজ-এর পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স-এশিয়া প্যাসিফিক মাইক অরগিল, ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান মিলার, ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাহী পরিচালক সন্দীপ মাইনি এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের পরিচালক সিদ্ধান্ত মেহরা।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ব্রিফিং সেন্টারে ইউএসবিবিসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের সঙ্গে দুটি পৃথক বৈঠকে এবং ইউএস চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইওদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে যোগ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি গর্বিত নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি এবং বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। অনুমান করা হচ্ছে এই অর্থনীতি ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি। এটি প্রকৃত মূল্যে কয়েক বছরের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হতে চলেছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নীতিগুলো অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের থেকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃহত্তর প্রতিবেশীদের তুলনায় বেশি।

তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বাংলাদেশকে নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দেশ হিসেবে এবং বিশ্বব্যাপী নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে স্থান দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাজার এবং এর ভৌগোলিক অবস্থান ৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার বাজারের কেন্দ্রে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলে ও এর বাইরেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য একটি আদর্শ জায়গা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। আমাদের ভৌত, আইনি এবং আর্থিক অবকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, অবকাঠামোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা সারা দেশে দৃশ্যমান। তিনি বলেন, বৃহৎ পদ্মা নদীর ওপর গত বছর আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের দীর্ঘতম সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন করেছি, যা এখন আঞ্চলিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মেট্রোরেলও নির্মাণ করেছে, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বন্দরের অবকাঠামো উন্নত করেছে। এগুলো অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের জলবায়ু দায়িত্বশীল প্রবৃদ্ধি নীতি, শ্রম সংস্কার, এবং শ্রম নিরাপত্তা মান উন্নয়ন প্রশংসার দাবিদার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গর্বিত যে ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) দ্বারা প্রত্যায়িত বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে ৫৩টি বাংলাদেশে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর জন্য, আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং রপ্তানি ভিত্তি প্রসারিত করতে আমাদের সমর্থন প্রয়োজন হবে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



মাছ নাকি মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট ?

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া বাঙালির চলে না। মাছ ভীষণই উপকারী এক খাবার। নিয়মিত মাছ খেলে শরীরে ভিটামিন, খনিজ, জরুরি ফ্যাটের ঘাটতি মেটে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মাছ খাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকে খুবই কম।

অনেকে আবার মাছ খাওয়ার পাশাপাশি মাছের তেলের সাপ্লিমেন্টও খান। কেউ কেউ আবার মাছ বাদ দিয়ে শুধু মাছের তেলের সাপ্লিমেন্টের উপরই নির্ভর করেন।

এখন প্রশ্ন হল, মাছের সঙ্গে কি মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট চলতে পারে? এই দুটির মধ্যে কোনটা বেশি উপকারী? এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়ের সাথে কথা বলেছেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়।

পুষ্টিতে ভরপুর মাছ: মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন শরীর সহজেই গ্রহণ করে নেয়। এর ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে মাছের কোনও জুড়ি নেই। এছাড়া মাছে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়োডিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপকারী উপাদান রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত মাছ খাওয়া জরুরি। এর থেকেই দেহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারে। এর ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে শুরু করে চোখ, কিডনিসহ একাধিক অঙ্গ সুস্থ থাকে। তাই দিনে অন্তত একবেলা মাছ খাওয়া উচিত।

মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট অত্যন্ত উপকারী : পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে শরীরের জন্য উপকারী ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। মাছের তেলের সাপ্লিমেন্টে ইপিএ এবং ডিএইচএ- এই দুই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে । এই দুই উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ত্বক থেকে শুরু করে চুল ও মস্তিষ্কের খেয়াল রাখার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট। তাই এই তেলের চাহিদা সবসময়ই বেশি।

কোনটা বেশি উপকারী?

পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, মাছ হল প্রাকৃতিক খাদ্য। এতে শুধু ওমেগা থ্রি নয়, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। এমনকী এতে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনও। এ কারণে মাছের বিকল্প হিসাবে মাছের তেলের সাপ্লিমেন্টের কথা ভাবাই যায় না। এক্ষেত্রে মাছই সেরা। তবে অনেকের শরীরে ওমেগা থ্রি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অনুযায়ী মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। আপনি কতটা পরিমাণে এই সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন তাও জানাবেন বিশেষজ্ঞ। এতে সমস্যার কিছু নেই। তবে মাছ খাওয়া ছেড়ে মাছের তেলের সাপ্লিমেন্ট খাওয়া ঠিক নয়।

 


আরও খবর

আম পান্না তৈরি করবেন যেভাবে

শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩




বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ১ ডলার বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে মজুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ আঁটসাঁট হয়েছে। পাশাপাশি ওপেক প্লাসের উত্তোলন কমার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দর বৃদ্ধি পেয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, বুধবার (২৪ মে) আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ৬৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭৭ ডলার ৫২ সেন্টে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৫ সেন্ট বা ১ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৩ ডলার ৬৬ সেন্ট।

ওএএনডিএর জ্যেস্ঠ বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, সৌদি আরব তেলের উত্তোলন আরও কমানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দাম চড়া হতে শুরু করেছে।

আগামী ৪ জুন বৈঠকে বসবে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো এবং তাদের মিত্রদের জোট ওপেক প্লাস। সেখানেই জ্বালানিটির উৎপাদন কমানোর ঘোষণা আসতে পারে।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে লেখা এক নোটে সিএমসি মার্কেটস বিশ্লেষক টিনা টেঙ বলেন, মূল্য স্থিতিশীল রাখতে তেলের উত্তোলন আরও কমাতে পারে ওপেক প্লাস। এতে জ্বালানি পণ্যটির দামে উত্থান ঘটেছে।


আরও খবর



পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

চার পাঁচ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বর্তমান দাম অস্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেঁয়াজের কেজি সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা হতে পারে

রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব বলেন কথা বলেন তিনি কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দ্রুত ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে ৪৫ টাকার নিচে চলে আসবে বলে জানান তিনি বলেন, এবছর গেলো বছরের চেয়ে লাখ টন পেঁয়াজ কম উৎপাদন হলেও, পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ আছে গত কয়েকদিন বাজার পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়


আরও খবর