Logo
শিরোনাম

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সদরুল আইনঃ


বেইজিংয়ে তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বুধবার (জুলাই ১০) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।


এর আগে বুধবার (জুলাই ১০) রাত ১০টা ৫ মিনিটে (বেইজিং সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি।


গত সোমবার সন্ধ্যায় তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিং আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



সফরের শেষ দিন বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


এর আগে দুপুরে একই স্থানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


দুপুরে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে ২১ সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই করে বাংলাদেশ ও চীন। এছাড়া সাতটি ঘোষণাপত্র সই করে দুই দেশ।


দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আগে গ্রেট হলে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।


সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (জুলাই ০৯) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনা বিপ্লবের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।


এ দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) চেয়ারম্যান ওয়াং হানিং এবং এশিয়ান অবকাঠামো ও বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন।


মঙ্গলবার সকালে বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা হোটেলে ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সুবিধা’ শীর্ষক এক সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, ইরানি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথ থেকে সরিয়ে আনতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের মরিসটাউন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইরান বিষয়ে ভালো কোনও খবর দিতে পারব বলেই আমি আশা করি। দুদিন বাদে আমি ভালো না খারাপ খবর দিতে পারব, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই। তবে, ভালোকিছু হবে বলেই আমি আশাবাদী।

ইরানের সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। অবশ্য ইরানি প্রতিনিধিদলে সঙ্গে বিশেষ মার্কিন কূটনীতিবিদ স্টিভ উইটকফের বৈঠকের বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য দেননি তিনি।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমের সঙ্গে তেহরানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে। এদিকে, ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিজ মাটিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার থেকে তারা সরে আসবে না। তবে সমৃদ্ধকরণের মাত্রা হ্রাস এবং উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম মজুদের পরিমাণ কমাতে আপত্তি নেই তেহরানের। তবে এই মাত্রা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির উল্লিখিত হারের কম হতে পারবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইরান।

কয়েক দফা বৈঠকের পর, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তেহরান-ওয়াশিংটন একজায়গায় সম্মত হয়েছে-তারা উভয়েই সামরিক পন্থার বদলে কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। তবে, বেশ কিছু জায়গায় দু পক্ষেরই আপত্তির কারণে সমঝোতায় আসতে পারছেন না মধ্যস্থতাকারীরা। সামরিক আগ্রাসনের ঝুঁকি এড়াতে চাইলে এই মতবিরোধ প্রশমন করতে উভয় পক্ষেরই নমনীয় হতে হবে।

তবে, দু পক্ষের কেউই ছেড়ে কথা বলছেন না। যেমন, এক বক্তব্যে ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সত্তা বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প। স্বাভাবিকভাবেই তার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ইরান।

ওই মন্তব্যের জবাবে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইরানকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছেন ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, চাইলেই আমাদের ধামকি দিয়ে, নিষেধাজ্ঞার চাপে রেখে পরে এসে মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো যায়। অথচ তারাই মধ্যপ্রাচ্যে সবরকম অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী।

ইরানের অভিযোগ, তারা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবেচনা করলেও, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বা শিথিলের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। পারমাণবিক কর্মসূচির জের ধরে ইরানের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় দেশটির অর্থনীতিতে প্রায় ধস নেমেছে।


আরও খবর



বিআরটিএ বদলি নিয়ে কানামাছি খেলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দুর্নীতির প্রসঙ্গ এলে যে-সব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিম্নপদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদধারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের আমলে এই প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি না করাই যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তেমনি একটি বড় চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়

৫ আগস্টের পর বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব চালিয়ে আসা গৌতম চন্দ্র পালকে ওএসডি করা হয়েছে। মো. ইয়াসীনকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ্রেড-১ পদমর্যাদার এ কর্মকর্তাকে বদলি করে  (৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মো. ইয়াসিন এর আগে মুদ্রণ ও প্রকাশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন জনাব মো. ইয়াসিনকে অব্যহতি দিয়ে ৪ জুন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদকে বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা চলমান প্রক্রীয়ার অংশ ।

এখানে দেখা যায় চেয়ারম্যান ২ বার বদল হলেও বিআরটিএ-তে এখনো বহাল দুর্নীতির 'মাস্টারমাইন্ড' শহীদুল্লাহ  যাকে সম্প্রতি ওএসডি করা হয়েছে তারপরও চার মাসেও  তিনি স্বপদে  মিরপুরে আছেন


স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে চেয়ার ধরে রেখেছেন কিছু আমলারা। পলাতক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে অর্থ যোগানদাতাদের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে এই শহীদুল্লাহর নাম। 

বিআরটিএ সূত্র জানায়, সংস্থাটি থেকে ঘুষ ও চাঁদা তুলে ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত নির্বাচনী তহবিল গঠনে বড় ভূমিকা রাখতেন শহীদুল্লাহ। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উপ-পরিচালক ছানাউল হক, তৌহিদ হোসেন  ও রফিকুল ইসলাম

তৌহিদ হোসেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের এলাকা নোয়াখালীর পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএকে উৎকোচ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। 

বিআরটিএতে দালাল সিন্ডিকেট শক্তিশালী করার মূল কারিগরই ছিলেন এই শহীদুল্লাহ ও রফিকুল। এই দুই কর্মকর্তার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে দালাল ছাড়া কোনো কাজই হতো না। কারণ দালাল চক্রের মাধ্যমে কাজ করলেই মিলত মোটা দাগের উৎকোচরফিকুল ইসলাম এবং তৌহিদুল হককে গত ১৪.১০.২০২৪ বদলি করা হলেও তাদের পূর্বের কর্মস্থলে এখনো কাউকে স্থলাভিত্তিক করা হয়নি । গোপন সংবাদে যানা যায় তারা উপরের মহলকে খুশি করে পুনরায় পূর্বের কর্মস্থলে যোগদানের ব্যবস্থা করেছে


আসছে বিআরটিএর ডিডি তৌহিদ হোসেন এর আমলনামা



আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




আত্রাইয়ে কৃষকের ঘরে ৩৬মনের ষাঁড় কাঙ্খিত দর পাওয়া নিয়ে শংকা!

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মফস্বল এলাকায় কোরবানীতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৩৬মন ওজনের একটি ষাঁড়। গত প্রায় চার বছর ধরে লালন-পালন করে ষাঁড় প্রস্তুতে সফল হলেও কাঙ্খিত দর পাওয়া নিয়ে চরম শংকায় পরেছেন তিনি। ষাঁড়টি প্রস্তুত করেছেন আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়নের তিলাবুদুরি মল্লিক পাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে প্রবাস ফেরৎ কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জাহিদুল মল্লিক।

তিনি জানান,গত ২০১৯সালে সৌদি আরবে গিয়ে দালালের খপ্পরে পরে নি:স্ব হয়ে মাত্র দুই বছরের মাথায় দেশে ফিরে আসেন। এরপর কৃষি কাজের পাশা পাশি বাড়ীতে গরুর খামার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সে সময় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রথমে একটি গরু দিয়ে শুরু করেন খামার।এরপর জমি বিক্রি করে ধীরে ধীরে খামারের পরিধি বাড়াতে থাকেন। এতে তার খামারে প্রায় ১২টি গরু তোলেন। কিন্তু গো-খাদ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু পালনে লোকসান হতে থাকলে খামার থেকে গরু বিক্রি করে গরুর সংখ্যা কমে দেন। তিনি আরো জানান,গত সাড়ে তিন বছর আগে বাড়ীর একটি গাভীকে ফ্রিজিয়ান জাতের বীজ দিয়ে প্রজনন করান। এরপর এই ষাড় জন্ম নেয়। শুরুতেই ষাঁড়ের দৈহিক গঠন দেখে পশু চিকিৎসকের পরামর্শে ষাঁড়টি লালন পালন শুরু করেন। এতে চোখের সামনে ধীরে ধীরে দানব আকার ধারণ করতে থাকে ষাঁড়টি। কৃষক জাহাঙ্গীর জানান,ষাঁড়ের পরিচর্জায় স্ত্রী-সন্তান সবাই শ্রম দেয়। ষাঁড়টি সম্পন্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাকা কলা,গম-ভূট্রার ভূষি আর ঘাস-খর খাইয়ে বড় করা হয়েছে ষাঁড়টি। তবে গ্রামের মধ্যে ছোট্র এই খামারে এত বড় দানব আকারের ষাঁড় রয়েছে এমনটি কেউ জানতো না। তবে বিক্রির জন্য লোকজনকে বলাবলি করতে থাকলে গ্রামের এবং প্রতিবেশি গ্রামের লোকজন একনজর দেখার জন্য ছুটে আসছেন। এখন প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকা থেকে ষাঁড়টি দেখতে এবং কিভাবে প্রস্তত করা হয়েছে তা জানতে লোকজন ছুটে আসছেন তার বাড়ীতে। জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, স্বপ্ন ছিল গরু পালনে সফল হবার,এতো বড় গরু প্রস্তুত করে সেই সফলতার নাগাল ধরতে পেরেছেন। তিনি বলছেন,স্বপ্নের ষাঁড়টি হয়তো ১৪লাখ টাকায় বিক্রি হবে। কিন্তু এপর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭-৮লাখ টাকা দাম বলছেন ক্রেতারা। তিনি বলছেন, ক্রেতারা যে পরিমানে দাম বলছেন,ষাঁড় প্রস্তুত করতে এর অধিক পরিমানে ব্যয় হয়েছে। ফলে কাঙ্খিত দর পাওয়া নিয়ে চরম শংকায় রয়েছেন জাহাঙ্গীর মল্লিক।

আত্রাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা আবু আনাছ বলেন,এবার উপজেলায় কোরবানী পশুর চাহিদা রয়েছে ২৭হাজার ৮৮৫টি,এর বিপরীতে কোরবানীর মোট পশু প্রস্তুত হয়েছে ৫৩হাজার ৫৬৭টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৮হাজার ৬০৮টি,মহিষ ৩০টি,ছাগল ৩৮হাজার ৩৩৯টি ভেড়া ৬হাজার ২০টি এবং গাড়ল রয়েছে ৭০টি। তিনি জানান, যতগুলো গরু রয়েছে এর মধ্যে তিলাবুদুরি গ্রামের জাহাঙ্গীর মল্লিকের ষাঁড়টি সবচাইতে বড়। কর্মকর্তা বলেন,রাজধানী বা বিভাগীয় পর্যায় ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে এতো বড় ষাঁড় বিক্রি হওয়া একটু মস্কিলই। তবে আমরাও চেষ্টা করছি যেনো ষাঁড়টি বিক্রি হয়। 


আরও খবর



তিস্তায় বাড়ছে পানি, খুলল ৪৪ জলকপাট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ |

Image

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাটসহ উত্তরের কয়েকটি জেলায় তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ বন্যায় শঙ্কায় আছেন। এ কারণে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৮৬ মিটার (অটো গেজ), যা বিপৎসীমার মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)।

জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বাড়লে আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরাঞ্চলগুলো। তিস্তাপাড়ে চর রয়েছে ৭৬টি। এসব এলাকায় অধিকাংশ মানুষ বাস করেন নদীর চরজমিতে, যেখানকার ঘরবাড়ি তুলনামূলক নিচু। ফলে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, সরাসরি বন্যার আশঙ্কা নেই, তবুও স্থানীয়দের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার চর ডাউয়াবাড়ী এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যা এলে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঠের ফসল, গরু-ছাগল, বাড়ির জিনিস সব ভেসে যায়। এবারও ভয়ে আছি।

জানতে চাইলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তিস্তার পানি বাড়ছে।তাই তিস্তাব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।


আরও খবর



প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে নওগাঁয় এলেন ভারতীয় কিশোরী

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সীমান্ত পেরিয়ে প্রেমের টানে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নুপুর সরকার (১৬) নামের এক ভারতীয় কিশোরী। গতকাল দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বামন পাড়া বিওপি সীমান্ত পিলার ২৪৫/সি এস এলাকা দিয়ে কিশোরী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনায় সীমান্ত আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাবনগোলা থানার কাশেমপুর গ্রামের নুপুর সরকারের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বাংলাদেশি যুবক মাসুদের পরিচয় হয়। পরে মাসুদ ভারতে কাজ করতে গেলে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এরপর গতকাল দুপুরে প্রেমিক মাসুদের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে কিশোরীটি। তবে ভারতের বিএসএফ সদস্যরা মাসুদকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যান। নুপুর একাই বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করলে বামন পাড়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন। বিজিবি সূত্র জানায়, ঘটনার পরপরই পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেয়েটিকে ফেরত নেয়ার জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে সন্ধ্যায় বিজিবি সদস্যরা তাকে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করেন।

সত্যতা নিশ্চিত করে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিজ বলেন, বিজিবির মাধ্যমে মেয়েটিকে থানায় হস্তান্তরের পর সীমান্ত আইন অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে থানায় রাখা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর