Logo
শিরোনাম

দেশে প্রতিদিন নিউমোনিয়ায় ৬৫ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিশ্বজুড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের জন্য অত্যন্ত জটিল সমস্যা নিউমোনিয়া। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আর বাংলাদেশে প্রতি বছর নিউমোনিয়ায় ২৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়।

এমন প্রেক্ষাপটে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করুন, প্রতিটি প্রশ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে রবিবার (১২ নভেম্বর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সব হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও লাং ফাউন্ডেশন সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দশক ধরে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর প্রথম কারণ নিউমোনিয়া। আর বায়ুদূষণের কারণে এই রোগে আক্রান্তের হার শহরে বসবাসকারী ও গরিবদের তুলনামূলক বেশি। তবে শহর ও গ্রাম উভয় জায়গায় বেশি মারা যাচ্ছে অক্সিজেনের অভাবে।

দেশে শীতকালে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। তবে শিশুর জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে নিউমোনিয়ার আশঙ্কা ১৫ শতাংশ কমে যায়। আর ঘরের বাতাসের গুণগতমান উন্নত করে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমানো সম্ভব।

বারডেম হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, নিউমোনিয়ার শুরুতে কাশি হয়; যা সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এ থেকে শ্বাসকষ্ট এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

শিশু বিশেজ্ঞরা বলছেন, শিশুর শ্বাসকষ্ট, জ্বর-কাঁশি, শ্বাসের সময় বুক ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ। শীতকালে এই রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মায়েদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় বিয়ের পরের দিন মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় বরের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বিয়ে করে নতুন বউকে বাড়িতে আনার পরের দিন বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানের জন্য দই-মিষ্টি নিয়ে বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় বরের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এমৃত্যুর ঘটনায় বিয়ে বাড়িতে আনন্দের পরিবর্তে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া। একই দূর্ঘটনায় গুরুতর জখম হোন বরের ভগ্নিপতি। এদূর্ঘটনাটি ঘটে

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সারে ৮ টার দিকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গন্ডগোহালী এলাকায়। নিহত বর সাজেদুর রহমান (২৪) হলেন, আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের আজাদুল প্রামানিক এর ছেলে এবং বরের আহত ভগ্নিপতি মিশন এর বাসা নওগাঁ জেলা সদর উপজেলায়। নিহত বর সাজেদুর রহমানের অপর এক ভগ্নিপতি রতন ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর সাজেদুর রহমানের বিয়ে সম্পন্ন হয়। আজ শনিবার বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৌভাত অনুষ্ঠানের জন্যে দই-মিষ্টি কেনার উদ্দেশ্যে আত্রাই উপজেলা বাজারে একটি মোটরসাইকেল যোগে সাজেদুর রহমান ও মিশন হোসেন যান। তারা দু'জন দই-মিষ্টি কিনে তা একটি ভ্যান যোগে পাঠিয়ে দিয়ে তারা দু'জন মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে আসছিলেন। আসার পথে আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের গন্ডগোহালী গ্রামের দিকে নেমে যাওয়া রাস্তার মোড়ে পৌছার পর সেখানে একটি ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পিচ্ছিল রাস্তার উপর মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যান তারা। এসময় তাদের দু'জন কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসার জন্য

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান লোকজন।

আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টারদিকে সাজেদুর ও মিশন নামে দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় সাজেদুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

চিকিৎসক আরো জানান, সাজেদুর বুকে আঘাত পেয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে মিশনের পা এবং মুখে জখম হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।

এব্যাপারে আত্রাই থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে পুলিশ। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালানো এবং রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যান গাড়ীর সাথে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের কোনো এখতিয়ার নেই

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারের কোনো এখতিয়ার নেই বলে মত দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর সাত দফা বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটির নেতারা। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে দেশ পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তার দাবি করেন আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন যে অপশাসন করে গেছে যে গণহত্যা করেছে তাদের আর এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আর তাদেরকে যারা এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে তারা জাতীয় বেইমান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে। ২০০৮ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত যে ভারত বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদ বাস্তবায়ন করেছে সেই ভারতকে তিন হাজার মেট্রিকটন ইলিশ পাঠানো ঠিক হয়নি বলেও মতামত দেন তারা। তারা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ যদি রাজনৈতিক দল করতে চায় তাদের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দল করতে হবে। কোনো গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দল কখনোই রাজনীতিতে ফিরতে পারে না আওয়ামী লীগেরও সেই সুযোগ নেই। দেশের আদালতে তার যেমন বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা যাবে না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়কের নামে ছাত্রলীগ বা শিবিরের নেতাকর্মী তাকাটা ক্ষতির কিছু না তারা অন্যায় করলে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে পিটিয়ে হত্যা কেউ সমর্থন করে না।পতিত সরকারের এজেন্টরা এসব কাজে জড়িত থাকতে পারে। 


আরও খবর



অভয়নগর উপজেলায় বাংলাদেশ গন অধিকার পরিষদের সমন্বয়কদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image



 নিজস্ব প্রতিবেদক , খুলনাঃ


যশোর জেলার  অভয়নগর উপজেলায় ছাত্র যুব শ্রমিক, 

পেশাজীবী ও গণঅধিকার পরিষদের সমন্বয়ে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন 

মোঃ ইসরাফিল হোসেন সদস্য সচিব গণ অধিকার পরিষদ অভয়নগর উপজেলা,  সঞ্চালনা ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোসাম্মাৎ কবিতা খাতুন কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় উপ কমিটির প্রধান সমন্বয় শ্রমিক অধিকার পরিষদ, প্রধান অতিথি মোঃ জিল্লুর রহমান সাবেক যুগ্ন আহবায়ক যশোর জেলা, উপস্থিত ছিলেন লিমা খাতুন সাবেক সিনিয়র ছাত্রনেত্রী ছাত্র অধিকার পরিষদ যশোর জেলা উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাকিব হোসেন ছাত্রনেতা ছাত্র অধিকার পরিষদ যশোর জেলা, উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুল ইসলাম সাবেক সদস্য সচিব যুব অধিকার পরিষদ অভয়নগর উপজেলা,উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুবনেতা মোঃ মুফতি হাসান যুব অধিকার পরিষদ অভয়নগর উপজেলা উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন সোলাইমান হোসেন যুব নেতা উপস্থিত ছিলেন মফিজুর রহমান শ্রমিক নেতা,আরো উপস্থিত ছিলেন অভয়নগর উপজেলার নেতা  কর্মী।  বক্তারা বর্তমান প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন এবং কোন দখল চাঁদাবাজি কোন প্রকার অন্যায় এই দেশে আর হতে দেওয়া চলবে না কেউ অন্যায় করলে সাথে সাথেই প্রতিহত করা হবে কোন প্রকার বৈষম্যর ঠাঁই হবে না ছাত্র জনতার বিজয় কোনভাবেই বিফলে যেতে দেওয়া যাবে না সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশকে একটি সুন্দর রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে বলেন এবং অভয়নগর উপজেলাকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সামনের দিকে এগুনোর কথা বলেন জনতার অধিকার আমাদের অঙ্গীকার


আরও খবর



ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা; পাঁচ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

গত ২০১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত অনুমান ০৭:৪৫ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের অতিথি কক্ষে চোর সন্দেহে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক কর্তৃক এক ব্যক্তিকে চড় থাপ্পড় ও মারধর করার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে হলের দক্ষিণ ভবনের অতিথি কক্ষে তাকে আবারো বেধড়ক মারপিট করা হয় মর্মে জানা যায়। এক পর্যায়ে তার অচেতন হয়ে পড়ার সংবাদ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উক্ত ঘটনা শাহবাগ থানায় অবহিত করলে পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। ঢকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন পূর্বক নিহতের লাশ তার আত্মীয়-স্বজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের নাম তোফাজ্জল হোসেন (৩৫)।


উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা রুজু হবার পর তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল বডি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছেন। আটককৃতরা হলেন-১। মোঃ জালাল মিয়া ২। সুমন মিয়া ৩। মোঃ মোত্তাকিন সাকিন ৪। আল হুসাইন সাজ্জাদ ও ৫। আহসানউল্লাহ। 

ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, জড়িতদের চিহ্নিতকরণ ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে।


আরও খবর



দুদিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরে গত দুদিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে নিম্নাঞ্চল। ফলে ফের বন্যার আশঙ্কা করছে জেলাবাসী। জেলার রামগতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। সিনিয়র আবহাওয়া অবজারভার সোহরাব হোসেন

শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। তিনি আরো জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে । আগামী রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।

বন্যার পানির নিচে তলিয়ে ছিল, গত কয়েকদিন ধরে ওইসব এলাকার পানি নামতে শুরু করে। কোনো কোনো এলাকা থেকে পানি নেমেও যায়। তবে শুক্র ও শনিবার ভারী বৃষ্টিতে আবারও কোথাও কোথাও পানি উঠে গেছে। তলিয়ে গেছে চলাচলের রাস্তা। যেসব এলাকা এখনও পানির নিচে, সেখানে পানির উচ্চতা আবারও বেড়েছে। খালে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকায় ঠিকমতো পানি নামতে পারছে না। এখনো জেলার ২০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১০ ওয়ার্ডের প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রাজাপুর ও জামির তলী গ্রামের তিন হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছে। তারা ত্রানসহায়তাসহ আর্থিক তেমন সুবিধা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন। ওই এলাকায় চলাচলের রাস্থায় পানি থাকায় যাতায়াতে বিগ্নঘটছে। নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে বন্যায় কবলিত এলাকাবাসীর। 

রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহসিন মিয়া জানান, বন্যার পানি শেষ না হতেই গত দুদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে বন্যার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান বলেন, নদীতে পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। জোয়ার এলে পানি বাড়ে। আবার ভাটা পড়লে পানি কমে যায়। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যেসব জায়গায় এখনো পানিবন্দী মানুষ রয়েছেন ওইসব এলাকার খালগুলো দিয়ে দ্রুত পানি সরানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে মেঘনায় পানি বাড়ায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর