Logo
শিরোনাম

দেশে শান্তি বজায় রাখতে ধৈর্য ধরার আহ্বান

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বল প্রয়োগ না করার এবং ধৈর্য ধরে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেছেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আজ দুপুরে সাভার সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ বক্তব্য দেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা এখন দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত। দেশ ও জাতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। যতদিন না আমরা একটি নির্বাচিত সরকার পেয়ে যাই, আমাদের ধৈর্য ধরে এই কাজ করতে হবে। দেশের মধ্যে কোন ধরনের অশান্তি ও শৃঙ্খলার অভাব যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন,"আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছি, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজগুলোই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম খুব দ্রুত এই কাজ শেষ করে সেনানিবাসে ফিরে আসব, কিন্তু কাজটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।"


জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেন,"আমাদের এই কাজটি করতে হবে, আমাদের দেশের জন্য। আমি জানি, দীর্ঘ সময় ধরে আমরা এই কাজগুলো করছি, তাই ধৈর্য থাকতে হবে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজটি শেষ করতে হবে। দেশ এবং জাতির জন্য আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে যতদিন না আমরা একটি নির্বাচিত সরকার পেয়ে যাই, এবং দেশ একটি শৃঙ্খলা ফিরে পায়।"


তিনি আরও বলেন,"এটা নিশ্চিত করতে হবে, কোনো ধরনের উশৃঙ্খল কাজ যেন না হয়। বলপ্রয়োগ কখনও কখনও প্রয়োগ হতে পারে, তবে সেটা হবে যথাসম্ভব প্রপোরশনেট এবং যত কম বলপ্রয়োগ করা যায়, ততই ভালো।"
শেষে সেনাপ্রধান বলেন,"ইনশাআল্লাহ, যদি আমরা সবাই একসাথে কাজ করি, আমরা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারব এবং একটি সুন্দর দেশ পাবো।


আরও খবর



রাজধানীতে ফিরে এলো ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্য

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সুলতানি আমলে পুরান ঢাকায় একসময় ঈদ মিছিল হতো। সেই ঐতিহ্য অনুসরণ করে এবার ঈদ আনন্দ মিছিল বের করা হবে, পাশাপাশি আয়োজন করা হবে ঈদ মেলার।

১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হলেও নামাজ, রোজা ও ঈদ উদ্‌যাপনের প্রচলন হয় তার বেশ আগে থেকেই। তবে ঘটা করে ঈদ পালনের রীতি শুরু হয় স্বাধীন সুলতানি আমলে।

ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আনন্দ ভাগাভাগি হতো। তবে বঙ্গদেশে ঈদ উদযাপনকে প্রাণবন্ত করে তোলে মোগলরা। মোগলদের সময় ঈদ উদযাপনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ঈদ মিছিল। রাজধানীতে ঈদের দিন মোগল সম্রাটরা নামাজ পড়তে যেতেন মিছিল করে। মোগলাই জৌলুস প্রকাশিত হতো সেই ঈদ মিছিলে। 

১৬১০ সালে বাদশাহ জাহাঙ্গীরের আমলে সুবেদার ইসলাম খাঁ চিশতী যখন বাংলা সুবার রাজধানী বিহারের রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। নায়েব-নাজিমদের আমলে ঈদ মিছিল বিস্তৃতি লাভ করে ও বর্ণাঢ্য হয়। ব্রিটিশ আমলেও সগৌরবে বহাল ছিল ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য। পাকিস্তান আমলে এটি অব্যাহত থাকলেও এক পর্যায়ে বন্ধও হয়ে যায়।

এরপর গত শতাব্দীর শেষ দশকের শুরুতে চালু হয় ঢাকার ঈদ মিছিল। তবে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আবেদন ধরে রাখতে না পেরে এখন প্রায় হারিয়ে গেছে পুরান ঢাকার ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য।

গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি এই সরকারের পক্ষ থেকে হারানো ঈদ মিছিলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দিন যত যাচ্ছে ঈদ আয়োজনটি ক্রমে কালেক্টিভ, সামাজিক রূপ থেকে ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক উৎসবে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা ঈদের দিন অনেকটাই টিভি দেখে, ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি।

তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে তিনি বলেন, সুলতানি আমল কিংবা মোগল আমলে ঈদের ঐতিহ্য নামাজের পর ঈদ মিছিল, আমরা সেই ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত করতে চাই। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলা মাঠে ঈদের জামাতের পর একটি বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করব।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের জামাতের পর ঈদ আনন্দ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে। ঈদ মিছিলটি হবে বর্ণাঢ্য। মিছিলের সামনে শাহি ঘোড়া ও সামনে-পেছনে ২০টির মতো ঘোড়ার গাড়ি থাকবে। ঈদকে আরো বেশি আনন্দময় ও জমকালো করতে থাকছে ঐরাবত হাতি। ব্যান্ড পার্টি থাকবে, সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাসসংবলিত চিত্রকলাও থাকবে। নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই ঈদ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করবে। অন্যান্য ধর্মামাবলম্বীও আসবেন। এর মাধ্যমে ঢাকার ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, ঈদ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। ঈদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। এ ছাড়া ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাতাসা থাকবে আপ্যায়নে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ২০০টির মতো স্টল থাকবে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নানা ধরনের পণ্যসামগ্রী, খাবার, চটপটি থাকবে। শিশুদের আনন্দের জন্য নাগরদোলা ও খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমাদের ঈদ আনন্দ উৎসব শুধু পুরুষ বা নারীর জন্য নয়, এখানে শিশুদের জন্যও নানা আয়োজন থাকবে। পুরো পরিবার নিয়ে সবাই যেন উপভোগ করতে পারেন এই ব্যবস্থা থাকছে ডিএনসিসির ঈদ আনন্দ উৎসবে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখতে নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের টানা ৯ দিনের ছুটিতে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিকভাবে খোলা থাকবে। এর মধ্যে এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু থাকবে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

একই সঙ্গে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যাতে সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এটিএম বুথের নিরাপত্তার সঙ্গে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে কোনো সাইবার হামলার বার্তা পেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকদের সতর্ক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এটি সব মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সাপ্তাহিক ছুটি, ঈদের ছুটি ও বিশেষ ছুটি মিলে এবারের ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি থাকছে। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে ঈদের ছুটি। চলবে টানা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এ হিসাবে আজ মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ও আগামী বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিক লেনদেন হবে।


আরও খবর



২৬সালের ফেব্রুয়া‌রির আগে নির্বাচন চায় জামায়াত

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আগামী বছরের রমজান আগে অর্থ্যাৎ ২০২৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই ভোট নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক এবং অ্যানড্রু হেরাপের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে এ বৈঠক হয়। নির্বাচনের কখন কীভাবে হবে-তা মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানতে চেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান জামায়াত আমির। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তিনি প্রতিশ্রুতিতে ঠিক আছেন কি না জামায়াত দেখতে চায়। তবে জামায়াতের অবস্থান হলো, আগামী বছরের রমজানের আগেই নির্বাচন হয়ে যাওয়া উচিত। জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করলে, ঝড়-বর্ষা আসবে। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে। তখন আবার নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। তাই রমজানের আগেই নির্বাচন হয়ে যাক। এটা জামায়াতের মতামত। রমজান মানে আগামী বছরের প্রথম রোজ।

আগামী বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রমজান শুরু হতে পারে। এর আগে নির্বাচন চান ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন জামায়াত আমির।

আওয়ামী লীগ প্রস‌ঙ্গেও বৈঠকে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, জাতি এখনও ট্রমার মধ্যে রয়েছে। বহু আহত এখনও হাসপাতালে। জুলাইয়ের শহীদ পরিবার এখনও শোকে রয়েছে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের ‌বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে জামায়াত চায় সুষ্ঠু বিচার।

জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় বলে বৈঠকে জানিয়েছে জামায়াত। রাজনীতি এবং নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াত আমির।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। তারা জানতে চেয়েছেন কখন কীভাবে নির্বাচন হবে। সব দলের প্রত্যাশিত সংস্কার নিয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চেয়েছেন। তারা জানতে চেয়েছে, ক্ষমতায় গেলে জামায়াতের অর্থনৈতিক এবং কূটনীতিক নীতি কী হবে। আঞ্চলিক বিষয়ে জামায়াতের অভিমত জানতে চেয়েছেন। সংখ্যালঘু, নারী অধিকার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। শ্রমিক অধিকার নিয়েও কথা হয়েছে। এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।’

সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। যদিও তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। শফিকুর বলেন, শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছি। ইতিমধ্যে সরকারও শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে। বাংলাদেশ একটি নাজুক সময় পার করছে। আশা করি, তা উপলব্ধি করে যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।

শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে বিশ্বাসী। তা দলে চর্চা করে। একই চর্চা দেশের জন্য করবে। এর জন্য যা প্রয়োজন জামায়াত করবে। এই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



সব বিদেশী মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

এখন থেকে সব ধরনের বিদেশী মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের নামে খোলা বৈদেশিক হিসাবের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারিত হবে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এতদিন শুধু অনুমোদিত চারটি বৈদেশিক মুদ্রা ডলার, পাউন্ড, ইউরো ও ইয়েনে প্রবাসীদের হিসাব খোলার সুযোগ ছিল। এখন অনুমোদিত মুদ্রার পাশাপাশি ব্যবহারযোগ্য সব বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা। এ সুযোগ দেয়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনাবাসী বাংলাদেশীরা অনুমোদিত বিদেশী মুদ্রার পাশাপাশি ব্যবহারযোগ্য বিদেশী মুদ্রায় প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি (পিএফসি) হিসাব এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (এনএফসিডি) হিসাব খুলতে পারবেন। পিএফসি ও এনএফসিডি হিসাবের বিপরীতে সুদের নির্ধারিত হারও প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




মোদি-ইউনূস বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়াও বৈঠকে সীমান্তে হত্যা, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ০৪ এপ্রিল দুপুরে দুই প্রতিবেশি নেতার মধ্যে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তুলে ধরা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অত্যন্ত গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’

প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং ভারতে বসে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, এসব বিষয় বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে হত্যা, তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হলো। এই বৈঠককে বাংলাদেশে জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর থেকে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসাবে দেখা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ, সিএ-এর প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিমসহ অন্যান্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলন ২ থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এতে অংশ নিয়েছেন ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের সরকার প্রধানরা। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা, যাতে একসঙ্গে নিরাপত্তা এবং উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিমসটেক বিপুল সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে যদি সদস্য-রাষ্ট্রগুলি সংকীর্ণ রাজনীতি এবং অভ্যন্তরীণ লক্ষ্যগুলি বাদ দিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

২০০০ সালে ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৩ সালে আন্তঃবিমসটেক বাণিজ্য বেড়ে ৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর জনসংখ্যা ১৬৭ কোটি। মোট জিডিপি ২.৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার।


আরও খবর