Logo
শিরোনাম

দেশের ৭৪ উপজেলাকে দুর্গম ঘোষণা ইসির

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

যোগাযোগব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে দেশের ২৩ জেলার ৭৪টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন । এসব এলাকায় দায়িত্ব পালনকারীদের ভাতা নির্ধারিত হারের চেয়ে দেড় গুণ বেশি দেওয়া হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিয়োজিত লোকবলের ভাতা নির্ধারণের জন্য দুর্গম এলাকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত এসেছে। এতে ২৩টি জেলার ৭৪টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে উপজেলাগুলো তথ্য সংগ্রহকারী ও অন্যদের জন্য ভাতা/সম্মানী এবং অন্যান্য খাতে অর্থ বরাদ্দ নির্ধারিত হারের চেয়ে দেড় গুণ করা হয়েছে।

দুর্গম এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে : ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা; বরগুনার বেতাগী, পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা; বাগেরহাটের রামপাল, মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা; খুলনার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, দাকোপ ও কয়রা উপজেলা; নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা; কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা; হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমেরীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলা; সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, শাল্লা, জামালগঞ্জ, দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলা; কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা।

বরিশালের হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা; সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা; নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও খালিয়াজুরী উপজেলা; পটুয়াখালীর গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও দশমিনা উপজেলা; সাতক্ষীরার আশাশুনী ও শ্যামনগর উপজেলা; পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা; কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা; মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা; মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা; খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, লক্ষীছড়ি; খাগড়াছড়ি সদর ও দিঘীনালা উপজেলা; বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানছি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান সদর, রুমা ও লামা উপজেলা; রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচর, বরকল, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি সদর, রাজস্থলী, লংগদু, কাউখালী, কাপ্তাই, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলা।

ইসি কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, পার্বত্য অঞ্চল, হাওর অঞ্চল, দ্বীপ অঞ্চল ও সমতল ভূমিকে যোগাযোগব্যবস্থা, ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট ও দুর্গমতার ব্যাপকতা বিবেচনায় ভবিষ্যতে দুর্গম এলাকার তালিকা শ্রেণিভিত্তিক করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।


আরও খবর



কমলাপুরে চার স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনে বাড়ি ফেরা শুরু হয়েছে আজ। ভোর ৬টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে ঈদযাত্রা শুরু হয়।

বিশেষ এই ট্রেনযাত্রা উপলক্ষে বরাবরের মতো তিন স্তরের টিকিট চেকিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। স্টেশনে প্রবেশ পথে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবে স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টিকিট চেকিং কার্যক্রম কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত স্টেশন এলাকায় দেখা যায়, পার্কিং এরিয়ার পর থেকে প্রথম টিকিট চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে শুরুর দু-একজনকে টিকিট চেক করতে দেখা গেলেও বাকিদের তেমন একটা চেক করতে দেখা যায়নি। তারা বাধাহীনভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন। দু-একজন টিকিটবিহীন যাত্রী পেলে তাদের থেকে ৫০ টাকা হারে জরিমানাসহ গন্তব্য স্টেশনের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় চেকিং করা হচ্ছে টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে। এখানে তিনটি সারিতে টিকিট চেকিং করা হচ্ছে। এখানেও দুজনকে ধরলে একজনকে ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা।

সর্বশেষ চেকিং হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে। এখানে বেশ কয়েকজন টিটি কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। তবে এখানেও প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে যাওয়া যাত্রীদের টিকিট কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে না।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি প্রবেশপথে ছিলাম। চেকিং ভালোভাবে হচ্ছে। যখন যাত্রী কম থাকে তখন লোকবল কম থাকতে পারে। আমরা ভালোভাবে চেকিং করার ব্যবস্থা করেছি।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে ৫০৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান জানান, মেদান ইম্বি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অভিবাসীদের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এখানকার অনেক দোকানঘরের ওপরের তলা ভাড়া নিয়ে অবৈধ অভিবাসীরা বসবাস করতেন।

অভিযানকালে পালানোর চেষ্টাকালে দুই বিদেশি পুরুষ আহত হন। এছাড়া উঁচু হিলের জুতা পরা এক নারীও পালাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ইমার্জেন্সি মেডিকেল রেসপন্স সার্ভিস ইউনিট তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে ৮৯৫ জনকে পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৭৪৯ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয়। আটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি ছাড়াও নেপালি (১৪২ জন), ইন্দোনেশিয়ান (১০৯ জন) এবং কিছু ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকও রয়েছেন।

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া এবং ওয়ার্কিং ভিজিট পাসের অপব্যবহার। অনেক কর্মীকে দেখা গেছে যাদের জোহরের ওয়ার্কিং ভিসা থাকলেও তারা কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছিলেন।

পরিদর্শনে আরেো দেখা গেছে, বিদেশি শ্রমিকরা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন। ছোট ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে পাঁচ-ছয়জন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি বাড়িতে ৩০ জন পর্যন্ত ভাড়াটিয়া বসবাস করছিলেন।


আরও খবর



অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে ঝুঁকি বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

২০২২ সালে সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৩০ লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংখ্যা আগের তুলনায় অন্তত দশ গুণ বেশি। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ও পরে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহারের কারণে এ পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা বলছেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা এএমআর আজ আর শুধু চিকিৎসাবিদ্যার সংকট নয়, এটি হয়ে উঠেছে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ।

অস্ট্রেলিয়ার মুরডক চিলড্রেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ক্লিনটন হেলথ অ্যাকসেস ইনিশিয়েটিভের যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিশুরা এ সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গবেষকরা একে বলছেন, শিশুদের জন্য চুপিসারে এগিয়ে আসা এক বৈশ্বিক বিপর্যয়। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজেস জার্নালে।

এএমআর বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তখনই তৈরি হয়, যখন সংক্রমণ সৃষ্টি করা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই একে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অন্যতম বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে এ প্রভাব এতটা ভয়াবহ হবে, তা এতদিন স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯-২১ সালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওয়াচ অ্যান্টিবায়োটিকস-এর ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেড়েছে ১৬০ শতাংশ আর আফ্রিকায় ১২৬ শতাংশ। এগুলো এমন ওষুধ, যেগুলো সাধারণত গুরুতর সংক্রমণের জন্য রাখা হয়, যাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া যায়।

আরো ভয়াবহ হলো রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিকস, যেগুলো একেবারে শেষ ভরসা হিসেবে ব্যবহার হয়। এর ব্যবহার ৪৫ শতাংশ বেড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আফ্রিকায় বেড়েছে ১২৫ শতাংশ।

গবেষকরা বলছেন, এ প্রবণতা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতেই বহু সংক্রমণের আর কোনো কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি থাকবে না। তারা মনে করছেন, কভিড-১৯ মহামারীর সময় অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহার এ পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করেছে। ভাইরাস সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলেও বহু ক্ষেত্রেই সেগুলো ব্যবহার হয়েছে প্রতিষেধক হিসেবে।

গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর হার্ব হারওয়েল বলেন, ‘‌এটি একটি বৈশ্বিক সংকট, যা সবাইকে প্রভাবিত করছে। এককভাবে এর সমাধান করা সম্ভব নয়। অ্যান্টিবায়োটিক শুধু চিকিৎসায় নয়খাদ্য, পরিবেশ এমনকি পশু পালনেও ব্যবহার হয়, ফলে এদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বেড়ে যায়।

কিংস কলেজ লন্ডনের মাইক্রোবায়োলজির জ্যেষ্ঠ লেকচারার ডা. লিন্ডসে এডওয়ার্ডস বলেন, ‘‌এ গবেষণার ফলাফল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে শিশুস্বাস্থ্যে গত কয়েক দশকের অগ্রগতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এ সংকট মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞরা টিকাদান, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকা গ্রহণের মাধ্যমে ৪০-৫০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের সঠিক নির্দেশনা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিশ্চিত করাও জরুরি।

খবর বিবিসি।


আরও খবর



ঢাকায় ইইউভুক্ত দেশের ভিসা সেন্টার খোলার অনুরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যেসব দেশের ভিসা ঢাকা থেকে ইস্যু করা হয় না, ইইউ রাষ্ট্রদূতকে সেসব দেশের জন্য ঢাকায় একটি ভিসা সেন্টার খোলার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টার সঙ্গে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত Michael Miller সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ অনুরোধ জানান।

বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ইস্যু, অভিবাসন, মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধ, বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

উপদেষ্টা বলেন, ইইউভুক্ত দেশসমূহে বাংলাদেশ অন্যতম জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। তাছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন, চিকিৎসা সহ নানা কাজে প্রচুর বাংলাদেশী লোকজন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও জনসংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীর শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে অন্যতম। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে গিয়ে ইইউভুক্ত দেশের জন্য ভিসা সংগ্রহ সময়সাপেক্ষ, কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। তাই ইইউভুক্ত দেশসমূহের জন্য ঢাকায় একটি ভিসা সেন্টার খোলা অত্যাবশ্যক। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে ইইউভুক্ত দেশসমূহের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান।

বৈঠকের শুরুতে ইইউ রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইইউ বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াকে ইইউ সমর্থন করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ চাইলে ইইউ প্রয়োজনীয় দক্ষতা, সামর্থ্য, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা দিয়ে এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশে এ বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলের ঘাটতি রয়েছে বিধায় উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের জন্য ইইউভুক্ত দেশে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের অনুরোধ করেন। এসময় উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের আন্তরিকতা ও ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা হলে এটি ফলপ্রসূ হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। তবে ধীরে ধীরে এটির উন্নতি ঘটছে। এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ বাংলাদেশের নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত সংঘবদ্ধ মবসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক অপরাধ পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমছে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, যত বেশি সঠিক তথ্য জনগণকে সরবরাহ করা হবে, তত বেশি অপতথ্যের বিস্তার দূরীভূত হবে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশ বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আমি আমাদের মিডিয়াকে সবসময় সঠিক তথ্য পরিবেশনের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছি।

রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, অফিসিয়ালি বাংলাদেশে ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর চেয়েও বেশি শরণার্থী কক্সবাজারে বসবাস করছে যা ঐ অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকিস্বরূপ। সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আমাদের বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থাও রোহিঙ্গাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।

মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রতিবছর প্রচুর বাংলাদেশী ইউরোপে অভিবাসনের উদ্দেশ্যে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়। দালাল ও মানবপাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেকের প্রাণহানি ঘটে। তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ, লিবিয়া ও ইইউ এর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় ডায়ালগ আয়োজন ও পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। উপদেষ্টা এ বিষয়ে ইইউ'কে নেতৃত্ব প্রদান ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) খন্দকার মোঃ মাহাবুবুর রহমান, রাজনৈতিক-১ অধিশাখার যুগ্মসচিব মুঃ জসীম উদ্দিন খান, ঢাকাস্থ ইইউ ডেলিগেশনের কাউন্সেলর Jurate SMALSKYTE MERVILLE, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) Sebastian Rigger-Brown সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আদালতের গ্রিল কেটে টাকা ও স্বর্ণালংকার ‍চুরি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নাটোরে আদালতের স্টোররুমের জানালার গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে।এতে ৩৭ লাখ টাকাসহ ১৫ ভরি স্বর্ণ ও ১৭ ভরি রুপা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নাটোর আদালতের স্টোররুমে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালে আদালতের পুলিশ কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করলে স্টোররুমের তালা ভাঙা দেখতে পান। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাটি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান। পরে খবর পেয়ে এসপি মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইনসহ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন।

মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইর আমাদের সময়কে বলেন, সকালে স্টোররুমের জানালার গ্রিল কাটা ও তালা ভাঙা দেখতে পায় পুলিশ সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই স্টোররুমে তালা ভাঙা। এটি সংঘবদ্ধ চোরের একটি দল ঘটিয়েছে। তারা প্রথমে জানালার গ্রিল কেটে অফিসের প্রবেশ করে। এরপর স্টোররুমের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আনুমানিক নগদ ৩৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণ ১৫-১৬ ভরি এবং ১৭-১৮ ভরি রুপা চুরি করে পালিয়ে যায়। এর আগে চক্রটি আদালতের আশপাশের সিসিটিভি সংযোগ এবং ভিডিও রেকর্ডারসগুলো বিচ্ছিন্ন করে খুলে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্ত কাজ করছে।


আরও খবর