বুলবুল আহমেদ সোহেল; নারায়ণগঞ্জঃ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মেহাম্মদ কাদের বলেছেন, দেশের মালিকানা জনগনের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়ার পথে। সামনে নির্বাচন ঘিরে যে ধরনের পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছে। সেখানে যারা ক্ষমতায় আছে তারা যেকোন ভাবেই হোক ক্ষমতায় আসতে হবে এর জন্য অর্থ এবং পেশিশক্তি দিয়ে দলীয় করন করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। আর যারা বিপক্ষ দল তারাও বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছে ক্ষমতায় আসতে। তারা জানে যে পরাজিত হলে তাকে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে।
শুক্রবার (১৭ জুন) বন্দর সমরক্ষেত্রে আয়োজিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন
তিনি আরো বলেন -বর্তমান সরকারের আমলে দেশের ৮ হাজার কোটি অবৈধ টাকা সুইস ব্যাংকে রাখা হয়েছে। সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে নাম মাত্র টেক্স দিয়ে ভাগাভাগি করে নেয়ার পায়তারা চলছে। সম্মেলন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য গেলাম কিবরিয়া টিপু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একে এম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা সহ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
এমপি সেলিম ওসমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন এই সম্মেলনের কারনে আমাদের কমিটি গুলো সম্পুর্ন করা হয়নি। নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে জাতীয় পার্টির দুর্গ। এই দুর্গে কোন দিন ফাটল ধরাতে পারবে না। আমার নারায়ণগঞ্জের নেতারা কোনদিন লোভি ছিলো না। তাদের টেন্ডারবাজি বা চাদাঁবাজি করার কোন দরকার নাই। তারা শুধু জানে মানুষের সেবা করতে, এছাড়া তাদের আর কোন চাহিদা নাই। দল যখন ভালোর দিকে যায় তখন, ছেচরা, চাদাঁবাজ দলে ঢুকার চেষ্টা করে। আমরা ইতিমধ্যেই এক ভুমিদস্যুকে দলের থেকে বহিস্কার করিছি।
তিনি আরও বলেন, এমন কোন লোককে জাতীয় পার্টিতে ঢুকিয়ে দিয়েন না যাতে করে আমাদের গর্ব নষ্ট হয়ে যায়। সে যেই হোক না কেনো, কোন জমি দখলকারি কোন চান্দাবাজ অন্তত এই নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টিতে ঢুকতে দিবো না। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন করতে চাই, ‘আমাদের এমন বাজেট দিন যাতে আমরা বেঁচে থাকতে পারি, অসহায় যাতে না হয়ে পারি। আমরা এতদিন বর্তমান সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলাম, তবে এখন আমরা বিরোধী দলে থেকেও সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ করবো যাতে এই বিষয়ে তারা সরকারের সাথে আলোচনা করেন। পরে আমরা চিন্তা করবো যে আন্দোলনে যাবো কি না।’
এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠন করার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। এসময় তিনি জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদসহ প্রয়াত সকলে নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সম্মেলন শেষে জেলা ও মহানগরের নব-নির্বাচিত কমিটি ঘোষণা করা হয়। সানাউল্লাহ সানুকে সভাপতি ও আবু নাঈম বিপ্লবকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে মহানগর কমিটিতে সভাপতি পদে মোদাছিরুল হক দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়।