Logo
শিরোনাম

দেশের প্রেক্ষাগৃহে দুই নতুন সিনেমা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রেক্ষাগৃহের মুক্তি পেয়েছে দুটি সিনেমা। আহসান সারোয়ারের ‘রং ঢং’ ও রেজাউর রহমানের ‘থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স’। চার বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পর আলোর মুখ দেখছে রং ঢং, অন্যদিকে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে নির্মিত হলেও সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স।

রং ঢং : চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির কিছু নবীনের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ২০১৬ সালে আহসান সারোয়ার শুরু করেছিলেন রং ঢং সিনেমার শুটিং। দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে দৃশ্য ধারণের কাজ। ২০১৯ সালে সেন্সর বোর্ডে জমা পড়লে আটকে যায় সিনেমাটি। প্রথমে সংশোধনী দিলেও পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ করা হয়। চার বছর সেন্সরে আটকে থাকার পর গত বছর আপিলের মাধ্যমে ছাড়পত্র পেয়েছিল সিনেমাটি।

অবশেষে আজ দেশের পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে রং ঢং। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, আরমান পারভেজ মুরাদ, লুৎফুর রহমান জর্জ, ফারুক আহমেদ, ডা. এজাজুল ইসলাম, প্রাণ রায়, রাকিব হোসেন ইভন, মাখনুন সুলতানা মাহিমা, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ।

থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স : অসংখ্য ক্যাজুয়াল ও অনলাইন ডেটিংয়ের পর বিয়ের জন্য রাজি হয় প্রিয়ন্তী। তার একটাই চাওয়া—ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। মানে বাড়ি কিংবা কনভেনশন সেন্টারে নয়, দূরে কোনো পর্যটনকেন্দ্রে হতে হবে এই বিয়ের আয়োজন। প্রিয়ন্তীর ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানের দায়িত্ব পায় সায়রা। প্রিয়ন্তীর বিয়েকে কেন্দ্র করে সেখানে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।

এমন গল্পে রেজাউর রহমান বানিয়েছেন থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স। এতে প্রিয়ন্তী চরিত্রে দেখা যাবে প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে আর সায়রা চরিত্রে আছেন কারিনা কায়সার। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছিল ওয়েব ফিল্ম হিসেবে। গত ১৮ জুলাই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তী সময়ে চরকি জানায়, ওটিটিতে নয়, সিনেমা হলে দেখা যাবে প্রিয়ন্তীর বিয়ে। এতে আরও অভিনয় করেছেন সৈয়দ জামান শাওন, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মিলি বাশার, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী প্রমুখ। আজ দেশের ২৩টি হলে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।



আরও খবর



বেড়েছে সরবরাহ, সবজির বাজারে স্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভরা মৌসুমে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে শীতের সবজির। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের শাক-সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বেশির ভাগ সবজি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেকটাই বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় শীতকালীন সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি আশানুরূপ বাড়েনি। কিন্তু দাম কম থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

বাজারে মানভেদে শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ টাকা পিস, প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, খিরাই ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং জলপাই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ঢেরস ৮০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা ৮০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক ১০, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, এখন সবজি কিনে খুব স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর হলেও বাজারে সবজি কিনে স্বস্তি মিলছে। তবে দু-এক বছর আগে শীতের সময় সবজির দাম আরও কম থাকতো। তারপরেও কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এখন সবজির দাম কমাটাই স্বস্তির বিষয়।

খিলগাঁও বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাব্বি বলেন, বাজারের সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে তুলনায় এই সপ্তাহে কিছু কিছু সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং কিছু সবজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

সবজি বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি সবজির দামি অনেকটাই কমেছে। এই বিক্রেতার দাবি, সবজির দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি। সবজি সরবরাহ বাড়ার কারণে বিক্রি অনেক কমেছে। একই কথা বলেছেন এই বাজারের আরও কজন বিক্রেতা। তবে রাজধানীর অন্যান্য বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সবজির দাম কমায় ক্রেতারা এখন সেসব সবজি বেশি করে কিনছেন। রামপুরা, মালিবাগ বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, আগে এক আইটেমের সবজি যদি পাঁচ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেটা ৮-১০ কেজি বিক্রি হয়। এতে তারাও লাভবান হচ্ছেন।


আরও খবর



ঢাকার আকাশে কালো মেঘ, বৃষ্টির বার্তা

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীতের মধ্যেই ঢাকার আকাশে কালো মেঘ জমেছে। ভোর থেকে আকাশ মেঘলা হয়ে উঠে। যদিও তেমন ঘন মেঘ নয়। অনেক সময়জুড়েই আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর সর্বশেষ যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে আজ ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে সামান্য অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এর পরের ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন রোববার (২২ ডিসেম্বর) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

তার পরদিন সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এদিকে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক-১) জানানো হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৩.৬° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৩.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। বর্তমানে নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় ডিবির অভিযানে গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ ২ জন আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি'র) চৌকস টিম। উদ্ধার করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে সারে ৯ কেজি গাঁজা ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিল।

শনিবার ৪ জানুয়ারী বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি'র) অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান। তিনি জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নওগাঁ শহরের চকমুক্তার ও সুলতানপুর এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালানো হয়। আটককৃত দু'জন হলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কুতুবপুর এলাকার মিঠুন আলী (৩৪) ও নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার ইমরান হোসেন (৩৫)।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিনগত রাতে নওগাঁ শহরের চকমুক্তার এলাকার একটি পার্সেল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি দল। এ সময় মিঠুন আলী নামের ঐ ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক পূর্বক তার হাতে থাকা একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশি করে ১০টি প্যাকেটে মোড়ানো সারে ৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এছাড়া পৃথক অভিযান পরিচালনা করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই রবিউল এর নের্তৃত্বে চৌকস অভিযানিক দল ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ইমরান হোসেন কে আটক করেন। জব্দকৃত ফেন্সিডিল এর মূল্য আনুমানিক ৭৫ হাজার টাকা। এঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা শেষে আটককৃত দু'জনকে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ন্যায্য মূল্যের দোকানে মিলছে স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হওয়া ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলোতে বাজারের তুলনায় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। এই দোকানে ৯০-১০০ টাকা কম মূল্যে মাংস পেয়ে খুশি স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। শুধুমাত্র নওগাঁতেই চালু করা হয়েছে এই ন্যায্য মূল্যের দোকান। ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে পুরো দেশে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ মডেল হিসেবে মূল্যায়িত হবে বলে মনে করছেন নওগাঁর সচেতন মহল। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের এমন উর্দ্ধগতির বাজারে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের স্বল্প মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রাপ্যতার কথা চিন্তা করে গত ২৩ নভেম্বর থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নির্দেশনায় জেলার ১১টি উপজেলায় প্রশাসনের পরিচালনায় চালু করা হয়েছে ন্যায্য মূল্যের দোকান। যে দোকানে বাজারের তুলনায় সাশ্রয়ী মূল্যে আলু, পেঁয়াজ এবং ডিম পাওয়া যাচ্ছে। দোকানগুলোয় বর্তমানে নতুন আলু ও পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি এবং ডিম ৪৫ টাকা হালিতে পাওয়া যাচ্ছে। এই দোকান থেকে একজন ক্রেতা দুই হালি ডিম এবং দুই কেজি করে আলু, পেঁয়াজ ও মাংস কিনতে পারবেন। বাজার মূল্য থেকে কিছুটা কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন সকল শ্রেণির ভোক্তারা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে ন্যায্য মূল্যের এই দোকান। শুক্রবার থেকে সেই দোকানগুলোর পণ্যের তালিকায় নতুন পণ্য হিসেবে সংযোজন করা হয়েছে স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস। একজন ভোক্তা প্রতি শুক্রবার ন্যায্য মূল্যের এই দোকান থেকে স্বল্প মূল্যে দুই কেজি গরুর মাংস ক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে খোলা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭৫০ টাকা। ফলে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে গরুর মাংস এখন অনেকটাই ডুমুরের ফুলের মতো দুষ্প্রাপ্য বস্তু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এমতাবস্থায় মাসে অন্তত একবার এই সব মানুষদের খাবারের তালিকায় গরুর মাংস সংযোজন করতে জেলা প্রশাসন স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলার সদর, রাণীনগর, মান্দাসহ অন্যান্য উপজেলা পরিষদের ন্যায্য মূল্যে মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রাণীনগর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ন্যায্য মূল্যের দোকানে প্রায় দুই মন ওজনের একটি গরু সকাল ৯টায় জবাই করা হয়। সাড়ে ১০টার মধ্যে মাংস কেটে সাইজ করা হয়। মাংসের দাম কম হওয়ার কথা শুনে ক্রেতারা ছুটে আসেন। আবার অনেকে দেখার জন্যও আসেন। মাংস নিতে ইচ্ছুক অনেকেই লাইনে দাড়িয়ে তালিকায় নাম লেখান। ঘন্টাব্যাপী সময়ের ব্যবধানে মাংস বিক্রি শেষ হয়ে যায়। উপজেলা সদরের রনসিংগা গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুল জব্বার বলেন বাজারে গরুর মাংসের যে দাম কিনতে না পারার কারণে সেই মাংসের স্বাদ ভুলেই গেছি। বর্তমানে বাজারে ৬৯০-৭০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে যা আমার মতো নিম্ন আয়ের মানুষের কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। আবার বাজারে কম পরিমাণ মাংসও বিক্রি হয় না। অথচ ন্যায্য মূল্যের দোকানে স্বল্প মূল্যে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস কেনা যাচ্ছে। এতে করে আমি পরিবারের সদস্যদের মাসে অন্তত একবার একবেলা গরুর মাংস খাওয়াতে পারবো। এমন দোকান চালু হওয়ায় আমি খুবই খুশি। এমন দোকান যেন কখনও বন্ধ না হয়। এখন থেকে আমিষের চাহিদা পুরণে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুবিধা হবে। নওগাঁ সদর উপজেলার চকমুক্তার মহল্লার বাসীন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী সানাউল্লাহ বলেন, খুচরা বাজারে বরাবরই মাংসের দাম বেশি থাকে। মুরগি খাওয়া হলেও গরুর মাংস তেমন একটা কেনা হয় না। দাম কিছুটা কম পেয়ে এক কেজি কিনেছি। মাংস মোটামুটি ভাল। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য এমন উদ্যোগ অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে।

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. রবিন শীষ বলেন, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু হওয়ার পর সুবিধা পাচ্ছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। আলু, পেঁয়াজ ও ডিম এর সাথে গরুর মাংস যোগ করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবার গরুর মাংস বিক্রি হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি এবং সর্বনিম্ন ২৫০গ্রাম পর্যন্ত মাংস কিনতে পারবেন। এক কথায় সকল আয়ের মানুষই তাদের সামর্থ্য অনুসারে গরুর মাংস এই দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে সচেতনামূলক কিছু বিষয়ও প্রচার করা হচ্ছে। পলেথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। কেউ চাইলেও পলেথিনে পণ্য বিক্রি করা হবে না। এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে জেলার মানুষরা ব্যাপক ভাবে উপকৃত হচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।


আরও খবর



চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বলবেন- তার প্রমাণ কি আপনারা যে পারবেন? তার প্রমাণ হচ্ছে আমাদের দলের কর্মীরা চাঁদাবাজিও করে না, দখলদাবাজিও করে না বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে আমির বলেন, নারী-পুরুষের ব্যবধান এনে আমাদেরকে বলে- জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে। মহিলারা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি। যারা সন্তুষ্টির সঙ্গে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্যান্য ধর্মের মায়েদের আমি কীভাবে বোরকা পরাবো? ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে? কোনোটাই দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, তারা যা পছন্দ করবেন, তাই পরবেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি। আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে। তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরোয় পরিণত হবে।

শফিকুর রহমান বলেন, এই রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সম্পদ, ইজ্জত ও জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এদেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবে। ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা উপহার দেব, যাতে এ দেশের যুবক-যুবতীদের সার্টিফিকেট নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে না ঘুরতে হয়। কাগজের টুকরো নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না। পড়াশোনা শেষে চাকরি বা কাজ পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যুবক-যুবতীদের প্রতিটি হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। এ দেশের মানুষ আর বিশ্বে চাকরির জন্য যাবে না। এর আগে বিশ্ব থেকে এদেশে চাকরি করতে আসতো। সেই গৌরব ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মেজোরিটি মাইনোরিটি দিয়ে তারাই ৫৩ বছর আপনাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নাই। অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে।

শফিকুর রহমান বলেন, যেই সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না, যেই সমাজে দখল বাণিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না। সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাব।

তিনি আরও, আমরা দুই দুইবার স্বাধীন হয়েছিলাম ৪৭ ও ৭১ এ। স্বাধীনতা লগ্নে যারা জাতিকে ওয়াদা করেছিলেন, যে সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার। তারা কেউ অধিকার ফিরিয়ে দেননি। তারা কথা রাখেননি। তারা জাতির সাথে বেইমানি করেছে। জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর এখনো পর্যন্ত, ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে নিজের তালুক মনে করতেন, চেতনার কথা বলে তারাই এ জাতিকে লুণ্ঠন করেছেন। গণহত্যা চালিয়েছেন, আকাম-কুকাম ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছেন। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছেন। গত সাড়ে ১৫ বছরের আমলে যার হিসাব বের হয়ে এসেছে ২৬ লাখ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় পাঁচ গুণ। দেশে যেখানেই তাদের হাড়িতে হাত ঢুকছে সেখানেই টাকার খনি। এ টাকা এরা পেল কোথায়? তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পিয়নের ছিল সাড়ে চার শ কোটি টাকা। পিয়নের এতো টাকা হলে মালিকের কত টাকা?

জামায়াতের আমির বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকে মালিকের পরিবার ৫৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। মেগা উন্নয়নের নামে মেগা ডাকাতি করা হয়েছে। একটা পদ্মা সেতু তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে সেই খরচে কমপক্ষে চারটা পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। তাহলে বাকি তিনটি গেল কোথায়। দেশের টাকা দিয়ে যারা বিদেশে বেগমপাড়া গঠন করেছেন তারাই এই টাকা চুরি করেছেন। কিন্তু চোরের মার বড় গলা। প্রত্যেকটা প্রকল্পে নিজেদের দলের লোককে কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করেছে। আমি আর মামু মিলে কারবার চালাইছে। এভাবে তারা দেশটাকে ফুকলা করেছে। ব্যাংকগুলোকে শেষ করে দিয়েছে। ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে ইসলামী ব্যাংককে শেষ করে দিয়েছে। এই ব্যাংকের টাকা চুরি করেছে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা। বাংলাদেশ তাদের ইনকাম সোর্সের জায়গা। আর তাদের কলিজা বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়। তারা ও তাদের ছেলেমেয়ে বেগমপাড়ায় থাকে। তারা দেশকে ভালোবাসলে এই দেশেই থাকতো এবং এই দেশে অবদান রাখতো।

তিনি বলেন, এরা শুধু বিরোধী দল ও আলেম উলামাদের ওপর নির্যাতন করেনি। ১৮ কোটি মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে। ১৮ কোটি মানুষকে বেইজ্জতি করেছে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। সিন্ডিকেট করে বাজারে অগ্নিমূল্য চালু করে দিয়েছিল। এই সরকার এখনো ভাঙতে পারেনি। সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়ে গেছে। আগে যাদের কাছে ছিল, এখন আরেকদল সেটা তাদের হাতে তুলে নিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের হাত ভেঙে দিতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের শোষণ চালানো যাবে না।

কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারেক হোসেন, অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যক্ষ খন্দকার এ কে এম আলী মুহসিন, কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমরান খান প্রমুখ।

এই কর্মী সম্মেলনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নামে। সম্মেলন প্রাঙ্গণ ও আশপাশে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। খুব সকাল থেকে শীত উপেক্ষা করে মানুষের জমায়েত হয়। সম্মেলন স্থান ছাপিয়ে সড়কে মানুষের ঢল নামে। শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দেয়।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫