Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

দেশের প্রথম ১ঘন্টার উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

রংপুর প্রতিনিধি :

দেশের ইতিহাসে  প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে।  চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়ে শপথ নিয়ে এলাকায় ফেরার আগেই অপসারণ।  রংপুরের  গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের  বিজয়ী চেয়ারম্যান   বিএনপি নেতা মোকাররম হোসেন সুজন শপথ গ্রহণের একঘণ্টা পরেই অপসারিত হয়েছেন। 

সারাদেশে ৪৯৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের অপসারণে সরকারি প্রজ্ঞাপনে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার নাম ছিল। 


শপথ গ্রহণ করে উপজেলা পরিষদ না পৌঁছাইতে সরকারিভাবে এই ঘোষণা চলে আসে। 


সোমবার সকাল ১১টায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কনফারেন্স রুমে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মোকাররম হোসেন সুজন। 


শপথ গ্রহণ করে এলাকায় ফেরার আগেই  জানতে পারেন স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক সারাদেশে ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়েছে। 


উল্লেখ্য, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ ২৯ মে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৮৩৩ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হন। 


পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন নির্বাচনি ট্রাইবুনালে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ব্যালট পূর্ণ গণনার  মামলা করেন। মোকাররম হোসেন সুজনের চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক। 


পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে শপথ গ্রহণের পক্ষে রায় নিয়ে আসেন। সকাল ১০টায় শপথ নেয়ার পর দুপুরে জানতে পারেন রোববার জারি করা প্রজ্ঞাপনে সারাদেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে তিনিও অপসারিত হয়েছেন।


আরও খবর



বাংলা বললেই জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জুন 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। ভারতের বহু বিজেপি শাসিত রাজ্যে এমনটাই হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ২৪ জুন রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নজরে আনতে চান মমতা।

বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, কয়েকদিন আগেও বিভিন্ন জেলার বহু লোকজনকে নিয়ে এসেছি। বাংলা ভাষায় কথা বললেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি বলে আটকে দেওয়া হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ? আমাদের রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে দেড় কোটি। সব রাজ্যের লোক আমাদের রাজ্যে কাজ করে। আমরা তো তাদের অপমান করি না? বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ? বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে আটকে দেওয়া হচ্ছে।

মমতা ব্যানার্জী আরো বলেন, বাংলার ৩০০ থেকে ৪০০ শ্রমিককে বাংলাদেশি বলে রাজস্থানে আটকে দেওয়া হয়েছে। এরকম আরো অনেক রাজ্যে হয়েছে। সেখান থেকে তাদের আমরা নিয়ে এসেছি। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার।

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমার রাজ্যের অনেককেই বাংলাদেশি বলে বন্দি রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশি বলে তাদের জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অথচ তাদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এসব কি হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উদ্দেশ্য করে মমতা ব্যানার্জী বলেন, বাংলায় যারা কথা বলে, তারা কি অপরাধ করেছে? এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে খুব কড়া প্রতিবাদ হবে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী বোধ হয় এই বিষয়গুলো জানেন না। আমি বিষয়টি তার নজরে আনবো। যাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে তারা ভারতীয়। স্বামী বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সকলেই বাংলা ভাষায় কথা বলতেন। তারা কি সব ভুলে গেছে? বাংলাকে দেখলেই কি অত্যাচার করতে হবে? তাহলে স্পষ্ট বলে দিক, বাংলা নিষিদ্ধ। একাধিক দেশে একই ভাষা হতে পারে। ভারতের অনেকে উর্দু বলেন, অন্য দেশে উর্দু বলা হয়। শুধু ভাষার কারণে তাদের অন্য দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে?

মমতা দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, আমরা কখনো বেআইনি কিছু করি না। গতকাল বাংলাদেশের হাইকমিশনার আমার কাছে এসেছিল। আমি প্রথমেই তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ভারত সরকারের অনুমতি আছে কি না। তিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরেই আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।

ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এই যুদ্ধের ফলে পরিবেশে দূষণের মাত্রা বাড়ছে এমন অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, বিশ্বের অনেক জায়গায় এখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এ ধরনের সংঘাতে পানি, স্থল ও আবহাওয়ায় দূষণ বাড়ছে। এসব বন্ধ করার জন্য এখন ওই পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা পুরোই পররাষ্ট্র বিষয়, যা ভারত সরকারের অধীনে। তবে কূটনৈতিকভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে যাতে যুদ্ধ বন্ধ হয়।

মমতা ব্যানার্জি বলেন, এটা পররাষ্ট্র বিষয়। যা ভারত সরকারের অধীন। কূটনৈতিকভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে, আমাদের অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে যাতে যুদ্ধ বন্ধ হয়। মমতার স্পষ্ট বক্তব্য, বৈদেশিক নীতি এবং কূটনৈতিক বিষয়ে কথা বলার আমার কোনো অধিকার নেই। বিশ্বের একজন উদ্বিগ্ন নাগরিক হিসেবে এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত।


আরও খবর



ইরানকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

আবারও আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইরানকে একটি বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তুলতে ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থ সহায়তা দেওয়া, নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা এবং বিদেশি ব্যাংকে আটকে থাকা বিলিয়ন ডলারের তহবিল মুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

চারটি সূত্র থেকে সিএনএন জানতে পেরেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা একাধিক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেগুলোর বেশিরভাগই প্রাথমিক পর্যায়ে এবং পরিবর্তনশীল। তবে একটি বিষয়ে অবস্থান ছিল অটল আর তাহলো- ইরান কোনোভাবেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না, যদিও ইরান বরাবরই বলছে, তাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য এটি প্রয়োজন।

সিএনএনকে দুটি সূত্র জানায়, অন্তত একটি খসড়া প্রস্তাবে ইরানের জন্য বেশ কিছু প্রণোদনার কথা উল্লেখ আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের একটি নতুন, ইউরেনিয়াম-সমৃদ্ধিহীন বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগ। যেটি শুধু জ্বালানি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। এই প্রস্তাব নিয়ে হোয়াইট হাউসে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং উপসাগরীয় অংশীদারদের মধ্যে এক গোপন দীর্ঘ বৈঠক হয়েছিল বলে জানিয়েছে দুটি সূত্র। বৈঠকটি হয়েছিল ইরানে মার্কিন হামলার আগের দিন।

একজন কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, এই অর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি দেবে না বরং যুক্তরাষ্ট্র চায় আরব অংশীদাররা এতে অর্থায়ন করুক। এর আগে পারমাণবিক আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে ইরানের পারমাণবিক শক্তি স্থাপনায় বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

একজন ট্রাম্প প্রশাসন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। কারও না কারও তো এই কর্মসূচির অর্থায়ন করতে হবে, তবে আমরা সে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না।

এই আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, অনেক ধরনের প্রস্তাব নিয়ে কথা চলছে এবং অনেকেই সৃজনশীল পথ খুঁজছেন।

অন্য যে প্রণোদনাগুলো প্রস্তাবে ছিল তার মধ্যে রয়েছে- ইরানের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোতে আটকে থাকা ছয় বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।

উইটকফ সিএনবিসিকে গত বুধবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি ব্যাপক ভিত্তিক শান্তিচুক্তি খুঁজছে। আরেক ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা বলেন, এই সব প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হলো ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে একটি পারমাণবিক কর্মসূচি চালাতে পারে, তবে তারা নিজেরা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। বরং ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আমদানি করতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র পরামর্শ দিয়েছে।উইটকফ বলেন, এই প্রস্তাবিত কর্মসূচি অনেকটা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো হবে।


আরও খবর



ইরানের পরবর্তী টার্গেট মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে তাদের পক্ষে সরাসরি যুক্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চরম ক্ষুব্ধ ইরান। ২১ জুন রাতে দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এমনকি ঘটনার পরপরই এ হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ আখ্যা দিয়ে ভাষণও দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার জবাব দিতে এই মুহূর্তে রীতিমত ফুঁসছে ইরান। এক্ষেত্রে তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়াতিও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন এ ব্যাপারে। যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, মার্কিন হামলার পর এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ঘাঁটির উপস্থিতির আর কোনো স্থান থাকবে না।

রবিবার (২২ জুন) ইরানের গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আলী আকবর বেলায়াতি বলেছেন, অন্যান্য দেশ যদি মার্কিন পদক্ষেপে সহায়তা করে, তবে তারাও ইরানের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

এদিকে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) মার্কিন হামলার পর এক বিবৃতিতে বলেছে, যেখান থেকে আগ্রাসন চালানো হয়েছে সেই স্থানটি ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে তেহরান।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, জর্ডান এবং সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

সবশেষ ২০২০ সালে এই অঞ্চলে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে সরাসরি আক্রমণ করেছিল ইরান। ইরাকে অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। প্রতিশোধ হিসেবে, আইআরজিসির বহির্মুখী শাখা, কুদস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



জঙ্গি সন্দেহে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানান, ২৪ এপ্রিল শুরু হওয়া অভিযানটি সেলাঙ্গর ও জোহর অঞ্চলে তিন ধাপে পরিচালিত হয়। তাদের মধ্যে পাচজনের বিরুদ্ধে শাহ আলম ও জোহর বারুর সেশন আদালতে সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট অপরাধের ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৫ জনের বিরুদ্ধে দেশে ফেরত পাঠানোর (ডিপোর্টেশন) আদেশ জারি করা হয়েছে এবং ১৬ জনের বিরুদ্ধে এখনো তদন্ত চলছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, দলটি মালয়েশিয়ায় আইএসের মতাদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছিল এবং নিজেদের কমিউনিটির ভেতরেই নিয়োগ সেল গঠন করেছিল।

সাইফুদ্দিন ইসমাইল বলেন, সেলগুলোর উদ্দেশ্য ছিল উগ্র মতাদর্শ প্রচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং শেষ পর্যন্ত নিজ দেশের বৈধ সরকার উৎখাত করা। মালয়েশিয়া কখনো কোনো বিদেশি উগ্রবাদী আন্দোলনের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না।

মন্ত্রী বলেন, আমরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব, যেন মালয়েশিয়া শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সন্ত্রাসী হুমকি থেকে মুক্ত থাকে। এই দেশকে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের অপারেশনাল ঘাঁটি বা ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করলে কঠোর, দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



চিকিৎসা না পেলে আবার জুলাই হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা চিকিৎসা বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, ঈদের ছুটির অজুহাতে হাসপাতালে ভর্তি না নিয়ে চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে কেউ কেউ এখন হাসপাতালের ফ্লোরেই থাকছেন।

এ অবস্থায় হাসপাতালে জুলাইয়ে আহতদের সুচিকিৎসা না মিললে আবারও জুলাই হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির সদস্যরা পরিদর্শনে গেলে চিকিৎসা বঞ্চিতরা তাদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

চিকিৎসা নিতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আহত সৌরভ। তিনি বলেন, এখানে কাউকেই সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। যারা ভর্তি ছিল কর্তৃপক্ষ তাদের বলেছে ঈদে বাড়ি যেতে এবং বাড়ি থেকে ঘুরে আসার পর তাদের আবার ভর্তি নেওয়া হবে। কিন্তু তারা (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) তাদের কথা রাখেনি।

সৌরভ বলেন, বাড়ি থেকে আসার পর আহতদের আর ভর্তি নেওয়া হয়নি। আর যারা আহত হয়ে পড়ে আছে তাদের শরীরে পচন ধরে যাচ্ছে। আপনারা যদি জিজ্ঞেস করেন, আহতরা একই সুরে একই কথা বলবে যে আমাদের চিকিৎসা দরকার।

‘আমরা যদি সুচিকিৎসা না পাই তাহলে এই হাসপাতালে আবার জুলাই হবে’, যোগ করেন এই জুলাই আহত।

চিকিৎসাধীন আরেক আহত আশিক বলেন, আমি বাড়ি থেকে ১১ দিন পর এসেছি। আমাকে ভর্তি নেয়নি। তারা বলেছে ভর্তি নেবে না, তাই আমি ফ্লোরে ঘুমাই এখন। কোনো চিকিৎসাও পাই না। যদি ভর্তি নেয়, চিকিৎসা দেয়, সেজন্য এখানেই থাকি।

হাসপাতালের ভেতরে কাঁধে ব্যান্ডেজ লাগানো আয়েশাকে ঘুরতে দেখা যায়। তিনি বলেন, আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলাম। চিকিৎসা ও সহায়তা আমার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি সেটা পাইনি।

এসময় অভিযোগকারী আহতদের চিকিৎসা প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র সিনথিয়া জাহিন আয়েশা বলেন, আমরা হাসপাতাল পরিদর্শন করে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। একজন মা তার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন, ফিরে আসার পর ছেলেকে আর ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন আমাদের কাছে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী সেই মা আমাদের জানান, তিনি হাসপাতালে এবং বাসাবাড়িতে কাজ করে ছেলের খাবার-ওষুধের টাকা জোগাড় করছেন। আমরা শুনেছি তাদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো আশ্বাসও দেওয়া হয়নি।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা। তাদের চিকিৎসা আপনারা দিচ্ছেন না সে বিষয়ে আপনাদের লক্ষ্য রাখা উচিত।

আমরা হাসপাতালে এসে অনেক অভিযোগ পেয়েছি, তাদের (আহতদের) ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। অনেক সময় অনেক কথা বলা হয়, আহতদের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছে, গ্রুপিং তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে তো তাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং ছিল না, প্রত্যেকে শেখ হাসিনার পতনের জন্য মাঠে নেমেছে। এই আহতদের এখন সুচিকিৎসা দরকার। যাদের প্রয়োজন তাদের বিদেশে পাঠাতে হবে।

হাসান আরও বলেন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনানের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমি নিরুপায়।’ কেন নিরুপায় এই প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এটা বলতে পারবেন একমাত্র স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। আমরা তার সঙ্গেই কথা বলব।


আরও খবর