Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল :

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, "দেশের সরকারি হাসপাতালের সেবার মান আরো বৃদ্ধি করতে ঢাকাসহ সকল জেলা সদর হাস্পাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এর আগে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা চালু করা হয়েছে। আজ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এই ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা ব্যাবস্থা উদবোধন করা হলো। এর ফলে এখন থেকে এই জায়গাতেই একজন রোগী সব রকম সেবা ঝামেলামুক্ত থেকেই পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি, এখানে ৫০০ বেড থেকে নতুন করে উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ করে এই হাসপাতালে আজ থেকে প্রায় ১৩৫০ বেডের সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলো। এখানে নানারকম টেস্ট সুবিধা, আইসিইউ, এসডিইউ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এখন থেকে আর কোন রোগীকে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। রোগীরা এই হাসপাতালে এখন থেকে উন্নত বেডে চিকিৎসা নিতে পারবে।"

আজ বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি এন্ড ক্যাজুয়াল্টি (ওএসইসি) সার্ভিস এর উদবোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্সদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শুধু উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ করার কাজেই সরকারের ৯২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৭৫ হাজার স্কয়ার ফিটের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২ টি নতুন অপারেশন থিয়েটার সহ শতশত বেড বৃদ্ধি করা হলো। কিন্তু এগুলোতে যদি সেবা দিতে কাজ করাই না হয়, মানুষকে সেবা দিতে নৈতিকতা কাজ না করে তাহলে সরকারের সব প্রচেষ্টা নষ্ট হবে। কোন যন্ত্র নষ্ট হলে তা যদি ঠিক না করে ফেলে রেখে রোগীদের বাইরে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয় সেটা নৈতিক অপরাধ হবে। এজন্য যন্ত্র নষ্ট হলে তা মেরামত করতে হবে, মেরামত না হলে নতুন করে কিনতে হবে, কিন্তু সরকারি সেবা নিতে আসা অসহায় রোগীদের নিজেদের সরকারি হাসপাতালে সেবা না দিয়ে বেসরকারি কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পাঠানো যাবে না।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড মুহ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিকিৎসা সেবা দিয়ে আপনারা সরাসরি মানুষের দোয়া পান, মানুষের ভালোবাসা লাভ করতে পারেন যা অন্য কোন পেশায় চাকরি করে পাওয়া অসম্ভব। কাজেই এই দোয়ার কাজটি আরো দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। কোন অসহায় মানুষ যেনো সরকারি হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে চলে না যান সেটি আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। আর ভালো কাজ করলে আপনাদের জন্য সরকার সব সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি করবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাচিপ এর সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিলন,  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর আহমেদুল কবীর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী সফিকুল আজম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবিএম মাসুদুল আলম, পরিচালক খলিলুর রহমান সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।


আরও খবর



৩৮ দিন কারাবাসের পরেও চাকরি বহাল, গণপিটিশনে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ে ৩৮ দিন কারাবাস করেও চাকরি বহাল থাকায় স্থানীয়দের গণপিটিশনে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে স্থানীয়রা ডেপুটি স্পিকারের সুপারিশসহ গণপিটিশন দায়ের করেন।

বুধবার (২০ মার্চ) দিনভর তদন্ত করেন তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায়।

অভিযোগে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুর্গাপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলে সরকার। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের সহায়তা করতে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়। গত ২০১১ সালের মে মাসে আদিতমারী উপজেলায় যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত রয়েছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক। তিনি যোগদানের পরে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে খুলে বসেন নিজস্ব চেম্বার। মেয়ের নামে গড়ে তুলেন তানিশা মেডিকেল সেন্টার।

অভিযোগ উঠে, হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসলে তাদেরকে নিজেস্ব চেম্বারে ডাকেন স্যাকমো ওমর ফারুক। চেম্বারে রোগী ভিড়াতে রয়েছে বিশাল দালাল চক্র। দালাল চক্র নির্ধারীত বখসিসে রোগীদের পাঠান এবং পেশি শক্তি দিয়ে স্যাকমো ওমর ফারুককে পাহারা দেন। গত ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্যাকমো ওমর ফারুকের নিজেস্ব চেম্বার তানিশা মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে নানান অনিয়মের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ স্যাকমো ওমর ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেন সাজাপ্রাপ্ত স্যাকমো ওমর ফারুক। আদালত ৩৮ দিনের কারাবাসকে সাজা হিসেবে গণ্য করে আপিল মঞ্জুর করেন। এরপর এ দুই রায়ের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল (নং ৪৫/২০১৭) করেন তিনি। সেখানে আপিল না মঞ্জুর করে আগের রায় বহাল করেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন নং ১৬১৪/২০১৭ দায়ের করেন স্যাকমো ওমর ফারুক। যা একক বেঞ্চে খালাস পান তিনি। মামলা থেকে খালাস পেয়ে পুনরায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। স্বাস্থ্য বিভাগে বিশাল ক্ষমতাধর এ স্যাকমো মুহুর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল কিছু ম্যানেজ করে বরখাস্তাদেশ বাতিল করে নেন। একই সাথে ৩৮ দিন কারাবাস করা সময়ের বেতন ভাতাদিও উত্তোলন করেন তিনি।

বরখাস্তাদেশ বাতিল করে নিয়ে পুনরায় বেস্ট পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে তিনি চালু করেছেন তার পুর্বের ব্যবসা। স্খানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও তাকে বদলি করাতে পারেনি। ক্ষমতার প্রভাবে সকলকে ম্যানেজ করে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। একই কর্মস্থলে যুগপুর্তি হলেও বদলি করাতে পারেননি কেউ।

অবশেষে স্থানীয়রা স্যাকমো ওমর ফারুকের নানান অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচিকিৎসার চিত্র তুলে ধরে তার বদলি দাবি করে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে গণপিটিশন দায়ের করেন। সেই গণপিটিশনে বদলির সুপারিশ করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামছুল হক টুকু। অপশেষে সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পড়েন সিভিল সার্জনের গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত টিম। বুধবার দিনভর বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলেন তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায়।

তদন্ত টিমের সামনে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে তার নিজেস্ব দালালদের বুধবার দিনভর হাসপাতাল চত্ত্বরে বসিয়ে রাখেন স্যাকমো ওমর ফারুক। তদন্ত টিম যাতে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে না পারে এবং সাধারণ মানুষ দালালদের ভয়ে তদন্ত টিমকে স্যাকমোর বিরুদ্ধে কোন তথ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠছে । সব মিলে এ অভিযোগও খেয়ে ফেলতে উপর মহলকে ম্যানেজে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে স্থানীয়দের দাবি।

এতবড় সাজা ভোগ করেও একই স্টেশনে বহাল রয়েছেন দেশে দ্বিতীয় এমন কোন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী নেই বলেও মন্তব্য করে ভাদাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, তদন্ত টিম আসবে জেনে তদন্ত টিমের সামনে দালালদের রেখেছিলেন স্যাকমো ওমর ফারুক। হাসপাতাল চত্তর ছিল স্যাকমোর দালালে ভরা। সাধারণ মানুষ ভিড়তে পারেনি তদন্ত টিমের সামনে।

অভিযুক্ত স্যাকমো ওমর ফারুক বলেন, বিগত সময়েও আমার বিরুদ্ধে এমন বে নামি অভিযোগ করেছিল। তখনও কিছু করতে পারেনি এখনও পারবে না। তাই তদন্ত টিমের সামনেই আসেনি অভিযোগকারীরা।

তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায় বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সিভিল সার্জন মহোদয়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা তদন্ত করছি। স্যাকমোর মামলা ও রায়ের বিষয়টি আদালতের কাগজেই প্রমাণিত। দীর্ঘ এক যুগ একই স্টেশনে থাকা স্যাকমোকে বদলি করাতে গণপিটিশনে ডেপুটি স্পিকার সুপারিশ রয়েছে। যা আরও ভাবিয়ে তুলছে। আমরা সব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’


আরও খবর



রামগড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা, রামগড়  :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর বেলা ২টায় রামগড় উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় উপজেলার রামগড় ১নং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওর্য়াড়ের হাতির খেদা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ইজারা ব্যাতিত অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগড় উপজেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাশ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে "বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন" ২০১০ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে পাইপসহ বালু উত্তোলনের দুইটি মেশিন একটি এস্কেভেটর ও বালু পরিবহনের জন্য বালু বোঝাই ব্যবহৃত ১টি ট্রাক এবং ৫ হাজার ঘনফুট সাদা বালু জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে ঘটনাস্থলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় রামগড় পৌরসভার ০৮নং ওয়ার্ড়ের সদু কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা মো.এরশাদ উল্ল্যাহ এর ছেলে অভিযুক্ত মো.ওমর শরীফ (৩২)কে আটক করা হয়। উক্ত অভিযুক্ত ব্যাক্তি নিজের অপরাধ স্বীকার করায় "বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন" ২০১০ সংশ্লিষ্ট এর ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে ৩ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উক্ত অর্থদন্ডের অর্থ নগদ পরিশোধ করায় আসামীকে সর্তক করে তাৎক্ষণিক ছেড়ে দেওয়া হয়।


এসময় পাইপসহ জব্দকৃত বালুর মেশিন দুইটি এবং বালু পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ট্রাকটি রামগড় থানার সংশ্লিষ্ট উপ-পরিদর্শকের নিকট জিম্মায় দেওয়া হয়। এবং এস্কেভেটর ও ৫ হাজার ঘনফুট বালু স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় রাখা হয়। আদায়কৃত অর্থদন্ড চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে আদায়কৃত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি স্বার্থন্বেষী মহল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় হাতে নাতে প্রমান পাওয়ায় মো.ওমর শীরফকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পাইপসহ দুটি মেশিন একটি এস্কেভেটর বালু পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও ৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের এধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের বাজারে রমজানের প্রভাব

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রমজান শুরুর আগেই বাজারে নিত্যপণ্যের দামে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাড়িয়ে দিয়েছে দাম। সবজির বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।

ইফতার আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন, শসা, লেবু ও কাঁচামরিচের দামে লেগেছে আগুন। অনেক গ্রাহক আগেভাগেই এসব পণ্য বেশি পরিমাণে কিনে মজুদ করছেন। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর।

নগরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাফিয়ে বাড়ছে বেগুনের দাম। শসা ও লেবু বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচামরিচের দামও প্রতিদিন বাড়ছে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি বেগুন সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। কয়েকদিন আগেও পণ্যটি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লেবুর দাম। বাজারে ভালো মানের প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ফলে একটি লেবু কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা। এ ছাড়া শতক ছাড়াচ্ছে শসা। মান বিবেচনায় পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ক্ষিরা। কাঁচামরিচ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে নতুন করে বাড়ছে আলুর দাম। বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ টাকায়।


অপরদিকে চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও চিড়ার দামও বাড়তি। মাছ-মাংসের বাজারেও একই চিত্র। বর্তমানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়, মশুর ডাল কেজি ১৪০ টাকা, চিড়া প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা ও খেজুর মানভেদে ২৯০ টাকা থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মোটা সিদ্ধ চাল ৫৫ টাকা, আতপ চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০টা থেকে ৮৫০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা এবং রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার রয়েছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। এসব সিন্ডিকেট সরকারকেও জিম্মি করে ফেলে। রমজান মাসে পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি হওয়ার পরও দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ড. ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১১ সাল‌ থেকে টানা ৫ বছরে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টের আয়কর বাবদ এই অর্থ পরিশোধ করতেই হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

কর ফাঁকিসংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছিল। বিবৃতিতে তারা কর বকেয়ার বিষয় স্পষ্ট করে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছিল। ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা।

বিবৃতিতে বলা হয়, তার (ড. ইউনূস) উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রিলব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ, সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

এতে আরও বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।


আরও খবর



সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) কর্তৃক বাজার মনিটরিং

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান :

রমজানের পবিত্রতা ও বিশুদ্ধতা রক্ষা ও ঈদুল ফিতরে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের  নাগালের মধ্যে রাখতে মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, পিপিএম সেবা স্যারের নির্দেশক্রমে বাজার মনিটরিং করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, রাজাপুর সার্কেল, জনাব মাসুদ রানা। এসময় রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্যান্য অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

রাজাপুর থানার অন্তর্গত বাইপাস মোর,বাগরী বাজার, পুটিয়াখালী বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

মনিটরিং এর অংশ হিসেবে চাল, ডাল, চিনি, চিড়াসহ অন্যান্য মুদি মালামাল, খেজুর সহ অন্যান্য ফল, মাছ, মাংস, শাক সবজি ইত্যাদি পণ্যের দাম, ওজন, মান পরিমাণ যাচাইসহ কৃত্রিম সংকট তৈরীর জন্য অতিরিক্ত মজুদ আছে কিনা তা যাচাই করা হয় এবং বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়। ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকান স্থাপন করে পন্য বিক্রিতে ব্যবসায়ীদের নিষেধ করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মো: মাসুদ রানা  এ মনিটরিং চলমান থাকবে বলে জানান।

সাধারণ মানুষ এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।


আরও খবর