Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজ হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকার তেজগাঁওয়ের স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়াকে (৪৭) হত্যার ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের নারীসহ পাঁচজন জড়িত ছিলেন। এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জানা যায়, সমকামী ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজকে হত্যা করেছে তারা।

এর আগে ৭ মার্চ সন্তানদের স্কুল থেকে বাসায় দিয়ে কাজে বেরিয়ে নিখোঁজ হন স্থপতি ইমতিয়াজ। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও স্বামীকে না পেয়ে কলাবাগান থানায় জিডি করেন ইমতিয়াজের অসহায় স্ত্রী স্থপতি ফাহমিদা।

গণমাধ্যমে কান্নারত কণ্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, আমাদের তো কোনো শত্রু নেই! তাহলে শত্রুহীন লোকটাকে এভাবে খুন করল কারা?

ওদিকে সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। স্বামী ঘরে ফেরে না। যতক্ষণে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান মিলল, ততক্ষণে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়ে গেছেন ইমতিয়াজ। কিন্তু থানায় জিডি থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হলো কী করে? ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ নিয়ে ৮ মার্চ তার স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পরদিন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ইমতিয়াজের লাশ উদ্ধার হয়। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি। বেসরকারি একটি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনরা।

ডিবি পুলিশ জানায়, সমকামী ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তিন সন্তানের জনক ইমতিয়াজের পরিচয় হয় আলিফ নামের এক তরুণের সঙ্গে। তার ডাকে ৭ মার্চ দুপুরে ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাসায় যান তিনি। বাসাটি ছিল আরাফাত ও তার তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গী মেঘের। সেখানে পূর্ব-পরিকল্পনা মতো ইমতিয়াজের ওপর হামলে পড়ে আরাফত, মেঘ এবং মুন্না। আটকে রেখে অর্থ দাবি করলে ইমতিয়াজ দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে বেদম মারধর এবং অত্যাচারের শিকার হয়ে একপর্যায়ে মারা যান ইমতিয়াজ।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা সমকামী এবং হিজড়া সদস্য। তারা একটি গে চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে পূর্ব থেকে সমকামী বিভিন্ন লোকজনকে রুম ডেটের কথা বলে টার্গেট করে বাসায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কায়দায় তাদের ব্লাকমেইল করে টাকাপয়সাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে আসছে।

ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার আলিফের সঙ্গে গে-চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারই সূত্র ধরে গত ৭ মার্চ দুপুরে আলিফকে ইমতিয়াজ ফোন করলে তাকে কলাবাগান থানার ক্রিসেন্ট রোডের আরাফাতের বাসায় যেতে বলা হয়।

ইমতিয়াজ সেখানে গেলে আলিফ তাকে নিয়ে রুমের ভেতর আপত্তিকর অবস্থায় থাকাকালীন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আরাফাত, মেঘ, মুন্না ও আনোয়ার রুমে প্রবেশ করে ওই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভিকটিমকে মারধর শুরু করে এবং বড় অঙ্কের অর্থ দাবি করে। ইমতিয়াজ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার বুকে, পিঠে, আঘাতসহ প্রচণ্ড মারধর করে। যার কারণে ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়।

ঘটনা ধামাচাপা দিতে মগবাজার থেকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে আসে মেঘ। আরাফাত ডেকে আনে আনোয়ারকে। ইমতিয়াজের লাশ পেছনে ঢুকিয়ে সুবিধাজনক একটি স্থান খুঁজতে থাকে তারা। একসময় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানা এলাকার কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশে ঝোপে লাশটি ফেলে যে যার মতো গা ঢাকা দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

ডিবির তেজগাঁও বিভাগের নেতৃত্বে টানা অপারেশনে গ্রেপ্তার হয় মেঘ, আনোয়ার ও মুন্না। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। তবে আরাফাত আর আলিফ পালিয়ে গেছে ভারতে। চক্রটি এভাবে ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

 


আরও খবর



অবরুদ্ধ বিএসএমএমইউ ভিসি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কর্মচারীদের সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে তার কার্যালয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ কর্মচারী অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীরা

শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে কর্মচারীরা শারফুদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ অবরুদ্ধের কথা অস্বীকার করেছেন

কর্মচারী নেতা দিপু বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে তার রুমে অবরুদ্ধ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমরা একটি কর্মচারী নীতিমালা চাচ্ছি। বর্তমান প্রশাসন গত তিন বছর ধরে টালবাহানা করে সময় পার করছে। বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ২৮ মার্চ শেষ হবে। অথচ তিনি এখনও বলছেন তোমরা কাজে যাও আমি দেখব।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা না রাখার অভিযোগ করে তিনি বলেন, বর্তমান উপাচার্যের সময়কালে সর্বশেষ সিন্ডিকেটের সভা আগামী ২০ তারিখ। সেটা সমস্ত অবৈধ কাজের মধ্যে করে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে টালবাহানা।

তবে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ অবরুদ্ধ হয়নি বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ

বিষয়ে জানতে চাইলে জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত সুব্রত বিশ্বাস ঢাকা মেইলকে বলেন, একটা জটলা রয়েছে। কর্মচারীরা কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে স্যারের কাছে এসেছে। তবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। স্যারসহ আমাদের কার্যালয়ে লোকজন আসা যাওয়া করছে

জনসংযোগ বিভাগের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনরতরা। তারা জানান, উপাচার্য ভেতরে আছেন। আমরা এখানে ৪০০-৫০০ জন কর্মচারী অবস্থান করছি। জনসংযোগ বিভাগ টাকা খেয়ে ভিসির অনৈতিক কাজে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে


আরও খবর



তরমুজের ব্যাপক দরপতন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর আড়তে তরমুজ রাখার জায়গা পাচ্ছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এতে বাধ্য হয়ে ট্রাক ও ট্রলারে রেখেই চলছে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা। তবে তরমুজ কেনার পাইকার কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তিন দিন ধরে আড়তে তরমুজের সরবরাহও বেড়ে গেছে। এতে দাম নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে।

সরেজমিনে মুক্তারপুর তরমুজ আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ১২টি আড়তের সামনে তরমুজের স্তূপ। আড়তগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আড়তগুলোর সামনে রয়েছে তরমুজ ভর্তি ১০টি ট্রাক। পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ৬টি ট্রলার ভর্তি তরমুজ। এসব ট্রলার ও ট্রাকে কয়েক লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। রাতে ট্রলার ও ট্রাক থেকে তরমুজ নামাতে দেখা গেলেও তরমুজ কেনার পাইকার তেমন দেখা যায়নি।

আড়তে তরমুজ নিয়ে আসা কৃষক ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪-৫ দিন আগে বরিশাল বিভাগে সামন্য শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হলে তরমুজ সাধরণত নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই কম বেশি ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষক শিলা বৃষ্টির ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে বাজারে প্রচুর পরিমাণ তরমুজের সরবারহ বেড়েছে। যার কারণে দাম অনেক কমে গেছে।

এই আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, চার দিন আগে আমাদের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রতিদিনিই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই নষ্ট হওয়ার ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে এই আড়তে নিয়ে আসছিলাম। দুই দিন ধরে ঘাটে ট্রলার ভিড়িয়ে বসে আছি। বেচাবিক্রি তেমন নেই। আগে যে তরমুজ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন তা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামে তরমুজ বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে।

একই এলাকার অপর চাষি মিজান হাওলাদার বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে জমি থেকে তরমুজ সব তুলে ফেলছি। এখন আড়তে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারছি না। সবকিছুর দাম বেশি। এ বছর তরমুজ লাগানোর মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তরমুজের চারার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই তরমুজের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। যে তরমুজ উৎপাদন করতে আমাদের ১২০-১৫০ টাকা খরচ হয়েছে, এখন তা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাহিন এন্টার প্রাইজের মালিক আলমগীর কবির বলেন, গত শনিবার থেকে তরমুজের দাম অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। কৃষকরা বলছে শিলাবৃষ্টির কারণে তারা তরমুজ জমি হতে তুলে নিয়ে আসছে। আড়তে প্রচুর তরমুজের আমদানি হয়েছে, কিন্তু ক্রেতা আগের চেয়ে কমছে। যার কারণে দাম অনেক কমলেও পাইকাররা সেভাবে আসছে না।

মুক্তারপুর আড়ত সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, তরমুজের অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের তরমুজ আড়তে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৪ দিন আগেও যা ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। শিলাবৃষ্টির কারণে কৃষক সব তরমুজ কেটে একসঙ্গে আড়তে নিয়ে আসছেন, যার কারণ আমরা আড়তে তরমুজের জায়গা দিতে পারছি না। আমার এখানে ১২টি আড়তের প্রত্যেকটি তরমুজে ভরপুর জায়গা দেওয়ার স্থান নেই। তরমুজ প্রচুর থাকলেও সেভাবে পাইকার নেই।

 


আরও খবর



ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঈদের পরে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিন। কারওয়ান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেওয়া যাবে না।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির আওতাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের গাবতলীর আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মেয়র একটি চমৎকার সুযোগ আপনাদের জন্য দিচ্ছেন। আপনাদের অবশ্যই এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। মেয়র বলেছেন পাশেই নদীর পাশে বিজিবি মার্কেটে মাছের আড়ৎ নির্মাণ করে দেবেন। সব সুবিধাই আপনাদের জন্য নিশ্চিত করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন মেট্রোরেল হয়ে গেছে। কারওয়ান বাজার ধীরে ধীরে সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ট্রাক ঢুকতে অনেক সমস্যা হয়। এছাড়া কারওয়ান বাজারের ট্রাক তেজগাঁওয়ের রাস্তা দখল করে রেখেছে। কারওয়ান বাজার স্থানান্তর করে ওই এলাকার পরিবেশ সুন্দর করতে হবে। গাবতলীতে স্থানান্তর হওয়ার পরে আপনাদের কি কি সুবিধা প্রয়োজন সে বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলাপ করবেন। মেয়র আপনাদেরই প্রতিনিধি তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।


আরও খবর



অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রকে চাঁদাবাজীর মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে জায়গাঁ-জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র মিনহাজ (১৩) কে প্রধান আসামী ও তার কলেজ পড়ুয়া ভাই মোরসালিন (১৭) কে দ্বিতীয় আসামী এবং দুই শিক্ষার্থীর  বাবাকে ৩নং আসামী করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ কোর্টের নোটিশ জারী কারক মোঃ আবু সাঈদ ও তার স্ত্রী কম্পিউটার অপারেটর শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে। এঘটনায় ঐ দু'জন শিক্ষার্থীর বাবা মোঃ মতিউর রহমান প্রধান বিচারপতি ও জেলা দায়েরা জজ বরাবর বুধবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতে দুই শিক্ষার্থী জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত মিনহাজ এর কলেজ পড়ুয়া বড় ভাইকে জামিন দিলেও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী ছাত্র মিনহাজ এর জামিন না মঞ্জুর করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ কোর্টে নোটিশ জারী কারক হিসেবে কর্মরত মোঃ আবু সাঈদ ও কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা সম্পর্কে আমার ভাতিজা ও ভাতিজা বউ । তারা স্বামী-স্ত্রী নওগাঁ কোর্টে চাকুরী করার সুবাদে ক্ষমতার অপ-ব্যবহার ও দাপট দেখিয়ে আমাকে সহ আমার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলেকে হত্যার হুমকি সহ ভঁয়ভিতি দেখিয়ে ও একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হুমকির মুখে রেখে জোর পূর্বক আমাদের জায়গাঁ-জমি দখল করে আসিতেছে। এমনকি নোটিশ জারী কারক আবু সাঈদ তার ভাই, বোন ও মাকে বাদী করে গত ৪ বছরে অগ্নি সংযোগ, স্বর্ণলংকার লুটপাট, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজী, চুরি সহ নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে নওগাঁ  আদালত ও মহাদেবপুর থানায় মোট ৬ টি মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে। আমি সিএনজি চালানোর পাশাপাশি গ্রামে বাড়ির পাশে ছোট দোকান ও কৃষি কাজ করে পরিবার নিয়ে জীবন-যাপন করি সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আমি আমার কলেজ পড়ুয়া বড় ছেলে মোঃ মোরসালিন এবং আমার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট ছেলে মিনহাজ কে সাথে নিয়ে জমিতে আইল দেওয়ার কাজ করা কালে আবু সাঈদ তার স্ত্রী, ভাই, শ্যালক সহ পরিবারের লোকজন নিয়ে হঠাৎ করেই জমিতে এসে আমাদের এলোপাথারী ভাবে মারপিট শুরু করেন। মারপিটে দুই শিক্ষার্থী সহ তাদের বাবা ৩ জন আহত হলে এসময় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতেও বাধা দেন বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনার খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে আবু সাঈদ তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের সহযোগীতায় স্থানিয়রা আহত দুই শিক্ষাথী ও তাদের বাবাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, আমার ছেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ৪ দিন নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। এঘটনায় আবু সাঈদ তার মা সকিনাকে বাদী করে ফের চাঁদাবাজী, শ্লীলতাহানী, চুরি সহ আরো ধারা যুক্তকরে আবারো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

এব্যাপারে অভিযোগকারী মতিউর রহমান বলেন, আবু সাঈদ ও তার স্ত্রী বিচারিক আদালতে কর্মরত থাকায় তারা ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে। তারা আমার স্কুল পড়ুয়া নাবালক ছেলে ও কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে বলে এলাকাবাসী গণ-স্বাক্ষর করে দিয়েছেন, যা আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার চাই। এব্যাপারে আবু সাঈদ এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হলেও সে গ্রামে না থাকায় (তার ভাইয়ের দেওয়া মতে মুঠোফোন নাম্বারে ফোন দিলেও অপর কেউ মুঠোফোন রিসিভ করায়) আবু সাঈদ এর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, জায়গাঁ-জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে দুই শিক্ষার্থীকে মারপিট করা হলেও পরে আমরা শুনছি যে ঐ ঘটনায় নাকি মারপিটের শিকার দুই শিক্ষার্থীকেই আসামী করে চাঁদাবাজীর মামলা করা হয়েছে যা সঠিক নয় বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।    


আরও খবর



মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।

সোমবার রাতে রমজান উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে তিনি বলেছেন, মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি। সবার জীবন মঙ্গলময় হোক। পবিত্র মাহে রমজানে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।

দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্যলাভ এবং ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়। সিয়াম ধনী-গরিব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।

বাণীতে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছলতা ও সংঘাত পরিহার এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন, সব ধরনের কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করি। সিয়াম পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি ও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।


আরও খবর