Logo
শিরোনাম

দেয়াল গাথুনী এবং প্লাস্টারের হিসাব

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

১০” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে।

০৫” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে।

গাথুনী এর প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়।

নিচের ছলিং এ প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে।পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়।

০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়।সিএফটি অর্থাৎ ঘনফুট।

এসএফটি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে।কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়।

ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০” ÷ ১২ = ০.৮৩৩)এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।* ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ওজন ১৯২০ কেজি।

* ১ ব্যাগ সিমেন্টে পানি লাগে ২১ লিটার।

* ১০০ এস,এফ,টি প্লাষ্টারে ১:৪ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।

* গাথুনীর প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়। সিলিং প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়।

* প্রতি এস,এফ,টি নিট ফিনিশিং করতে = ০.০২৩৫ কেজি সিমেন্ট লাগে।

* মসলা ছাড়া ১ টি ইটের মাপ = (৯ ১/২”*৪ ১/২”*২ ৩/৪”)

মসলাসহ = (১০”*৫”৩”)10 mm =1 cm

100 cm = 1 m (মিটার)Convert

1″ = 25.4 mm

1″ = 2.54 cm

39.37″ = 1 m

12″ = 1′ Fit

3′ = 1 Yard (গজ)

1 Yard = 36″

72 Fit = 1 bandil.

রডের পরিমান নির্ণয় করার পদ্ধতি

10 mm = 0.616 kg/m = 3 suta

12 mm = 0.888 kg/m = 4 suta

16 mm = 1.579 kg/m = 5 suta

20 mm = 2.466 kg/m = 6 suta

22 mm = 2.983 kg/m = 7 suta

25 mm = 3.854 kg/m = 8 suta

রডের ওজন

৮ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১২০ কেজি।

১০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১৮৮ কেজি।

১২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.২৭০৬ কেজি।

১৬ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৪৮১২ কেজি।

২০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৭৫১৮ কেজি।

২২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৯০৯৭ কেজি।

২৫ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন =১.১৭৪৭ কেজি।

উপরে যে কনভার্ট সিস্টেম দেয়া হয়েছে, এর প্রতিটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে বাস্তবে কাজ করা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেমে রডের আন্তর্জাতিক হিসাব করা হয় kg/m এ।আবার বাংলাদেশে সাধারন লেবারদের সাথে কাজ করার সময় এই হিসাব জানা একান্তই জরুরী এছাড়া ও নিম্নোক্ত বিষয় টিও জেনে রাখুন . . . .

8 mm -7 feet -1 kg

10 mm -5 feet -1 kg

12 mm -3.75 feet – 1 kg

16 mm -2.15feet -1kg

20 mm -1.8


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাড় কাঁপানো শীতে রংপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা উঠানামার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হিমেল বাতাসে কাঁপতে থাকে শীতার্ত মানুষজন। হাড়কাঁপানো শীতে রংপুরের বিপর্যস্ত জনজীবন। দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। শীতের ঠাণ্ডাকে অপেক্ষা করে পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হয়েছে নিজ কর্মে পেশাজীবীরাও।

রংপুরের গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, কাউনিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৩০টি চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষজনের দুর্ভোগ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। শীতবস্ত্র না পেয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। শীতের কুয়াশামাখা সরিষা ফুলের দানা, আবার মাকড়সার জালে বিন্দু বিন্দু কুয়াশাচ্ছল, প্রকৃতিতে ডেকে রাখা সূর্যের আলো আসার অপেক্ষা।

আলতাব হোসেন,মাসুদ রানা, বকুল মিয়াসহ কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ বলেন, উত্তরবঙ্গে শীত এমনিতেই একটু বেশি। এর মধ্যেই রংপুরে এক সপ্তাহ থেকে কুয়াশার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে নিম্নয়ের মানুষ। হিমেল হাওয়া ও কনকনে এই শীতে গ্রামের শিশু ও বৃদ্ধারা অসুস্থ হচ্ছে। শিশুদের দেখা দিচ্ছে নেমোনিয়া। এই শীতের ছিন্নমূল মানুষের দেখা দিয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগ । কোথাও থেকে পাচ্ছে না শীতবস্ত্র। তীব্র শীতে মাঠে গিয়ে কাজকর্ম করতে পারছে শ্রমজীবী মানুষ।

কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে দুপুরের পর অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাতে থাকছে না উষ্ণতা। ঠাণ্ডায় শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট চরমে পৌঁছেছে। ভোর থেকে কুয়াশার কারণে মহাসড়কে বাস-ট্রাকসহ সকল যানবাহনের চালকদের হেড লাইট জ্বালিয়ে সতর্ক থেকে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সাতমাথা এলাকায় কথা হয় ট্রাক চাল আজিজুল হকের সাথে। তিনি বলেন ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালাতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। নগরীর এলাকাগুলো কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে।

রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালকরা পড়েছেন বিপাকে। দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তারা স্বাভাবিক দিনের মতো যাত্রী পাচ্ছেন না। রিকশাচালক নাজিম হোসেন বলেন, এতো কুয়াশা যে প্যাডেল মারতে অসুবিধা হচ্ছে। সাথে শির শির বাতাস, যাত্রীও আগের মতো নাই। সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন বারোটা পর্যন্ত বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু পাল্লার বাস গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে, কেউ আবার শীতের মধ্যে কর্মের সন্ধানে, শীতের দাপটে কেউ আবার ঘরের ভেতরে। অনেকেই আবার একত্রিত হয়ে আগুন তাপানো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, এনিয়ে পথযাত্রীরা বললেন, আবহাওয়ায় মিল না থাকায় মানুষের কষ্ট বেশি বাড়বে এবার…।

রংপুর আবহাওয়া অফিসার মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুরে এবার যথা সময়ে শীত হচ্ছে, সাধারণত ডিসেম্বর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি শীতের তীব্রতা মাঝে মধ্যে থাকবে বলে এমনটাই জানালেন আবহাওয়া অফিসের

এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রংপুরে ডিসেম্বর মাস থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এখন তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকার কথা। সেখানে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। দিনের তাপমাত্রা ২৬ থাকার কথা সেখানে ২৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এই সময়টা সূর্যের আলো উপস্থিতি দিনের বেলায় বেশি সময় থাকতে সেই জন্য তাপমাত্রা একটু বেশি। ২৩, ২৪ তারিখের দিকে তাপমাত্রা আরো বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রংপুরের তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি জানান,শীতের প্রকোপের কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না। এ কারণে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। দিনে নগরীতে মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে পড়ে নগরী। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। এ কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, প্রচণ্ড শীতে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রংপুর শিশু বিভাগে দুদিনে কিছু শিশু ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। চলতি মৌসুমে পরিবারের অর্থ যোগাতে মধ্যবিত্ত পরিবারসহ হিমসিম খাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ। তাই শীতের কনকনে ঠান্ডা মোকাবেলা করেও কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষদের।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নানান আয়োজনে মাভাবিপ্রবিতে বিজয় দিবস পালন

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে  জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়রের পতাকা  উত্তোলনের  মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে ‘প্রত্যয়-৭১’ এর পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

পরে বিভিন্ন হল, বিভাগ, সাংবাদিক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ৩য় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, বাঁধন, ধ্রুবতারা, সাহিত্য সংসদ, ক্যারিয়ার ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রত্যয়-৭১ এর পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে :

 শিশুদের চিত্রাংকন ও বিস্কুট দৌড়, ছাত্র বনাম শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ভলিবল প্রতিযোগিতা, ছাত্রী, শিক্ষিকা, মহিলা কর্মকর্তা ও কর্মচারী পিলো পাসিং খেলা, গোবিন্দ মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা, বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাতে হলসমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন। 

সকল কর্মসূচিতে অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ  অংশগ্রহণ করছেন ।


আরও খবর



ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের সব বিভাগেই ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ২০ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় মাঝারি (১১-২২ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে সব বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ১৯ ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ২২ ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতে পারে রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে। অপেক্ষাকৃত হালকা পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে। খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে ১০০ থেকে ১৭৫ মিলিমিটার এবং বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোয় ৭৫ থেকে ১৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




মিউজিক ফেস্ট দিয়ে পর্দা উঠছে বিপিএলের

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামী ৩০ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। তার এক সপ্তাহ আগেই বিপিএলের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। সোমবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএল মিউজিক ফেস্ট ২০২৫। বিসিবির এই আয়োজন ঘিরে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। নতুন রূপে সেজেছে হোম অব ক্রিকেট।

রাতের এই জমকালো আয়োজনে প্রধান আকর্ষণ কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। সুর ও উন্মাদনার এই রাত হবে নতুন রূপে সাজানো বিপিএলের উদ্বোধন। এটি কেবল সঙ্গীত ও ক্রিকেটের এক মিলনমেলা নয়, বরং বাংলাদেশের কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক বিশেষ আয়োজন।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ রাহাত ফতেহ আলী খানের আবেগময় কণ্ঠে মুগ্ধ হতে প্রস্তুত দর্শকরা। তার পারফরম্যান্সের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গুনছে প্রায় ৩.৪ কোটি টাকা, যা অনুমোদন পেয়েছে গত শনিবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায়।

এ ছাড়া মঞ্চে পারফর্ম করবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী মাইলস, জেফার, অ্যাভয়েডরাফা এবং মুজা। বিপিএলের থিম সং ‘এলো বিপিএল’-এর সহপ্রযোজক মুজা ও অ্যাভয়েডরাফা। তাদের পারফরম্যান্সে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের অপূর্ব মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে, যা বিপিএলের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়াবে।

মিরপুরের পর চট্টগ্রাম ও সিলেটেও আয়োজন করা হবে মিউজিক ফেস্ট। তবে রাহাত ফতেহ আলী খানের পারফরম্যান্স থাকবে একমাত্র মিরপুর মঞ্চেই, যা এই আয়োজনকে করেছে আরো বিশেষ। স্টেডিয়ামের গেট খুলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে, যাতে দর্শকরা আগেভাগেই এসে উপভোগ করতে পারেন পুরো আয়োজন।

বিপিএলের এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে মিরপুর স্টেডিয়ামকে। পুরোনো স্থাপনায় রং করানো এবং গেটগুলোর সমানে বিভিন্ন ব্যনার দিয়ে সাজানো হয়েছে।


আরও খবর