Logo
শিরোনাম

ঢাবিতে থাকছে না মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনি কোটা

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা এবং খোলোয়াড় কোটা বাতিলের জন্য আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের ‘সন্তানদের’ জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) রেজিস্ট্রারকে -মেইলে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশ পাওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টে রিটসহ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক কর্মকর্তারা সব গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের কোটা সংস্কার আন্দোলন শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।

নোটিশে আরও বলা হয়, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই মেধার ভিত্তিতে হতে হবে এবং অন্য কোনো মানদণ্ডে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সাধারণত বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী এবং অযৌক্তিক। কোনো বৈধ রাষ্ট্রীয় উদ্দেশ্যের সঙ্গে এর কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই।

মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি উল্লেখ করে এতে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য সরকারি, আধাসরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে মাত্র শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও এই রায় প্রয়োগ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটায় ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করা সংবিধান সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি।

পোষ্য কোটা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (০৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নারী বা শিশুদের অনুকূলে বা নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের উন্নতির জন্য বিশেষ বিধান করা যেতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েরা সেই মানদণ্ড পূরণ করে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ওয়ার্ড বা পোষ্য কোটায় শতাংশ সংরক্ষণ করা বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী অযৌক্তিক।

এছাড়া খেলোয়াড় কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে এতে বলা হয়, খেলোয়াড়দের কোটায় ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া খেলোয়াড়দের কোটা সংবিধানে সংজ্ঞায়িত পশ্চাৎপদ বিভাগের অধীনে পড়ে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশেষ কোটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি। এছাড়া খেলোয়াড় কোটায় স্বজনপ্রীতি দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে।


আরও খবর

পদোন্নতি পেলেন মাভাবিপ্রবির ২৩ শিক্ষক

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সৌদিতে ভয়াবহ বন্যা, হাই রেড অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 |

Image

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির বিভিন্ন শহর মারাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

 দেশজুড়ে বিভিন্ন স্তরের সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এর মধ্যে পশ্চিম সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা এবং মদিনার পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হাই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী রিয়াদ, মধ্য সৌদি আরব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আসির এবং জাজানে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের মধ্যে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রেড ক্রিসেন্টসহ দেশটির উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ ভারি বৃষ্টির সতর্কতার প্রতিক্রিয়ায় তাদের প্রস্তুতি বাড়িয়েছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সির তথ্যানুসারে, রেড ক্রিসেন্ট নিরবচ্ছিন্ন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং দ্রুত হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করতে তার উদ্ধারকারী দলগুলোর জন্য সম্পূর্ণ অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।

এছাড়া জনগণকে উপত্যকা, নিম্নভূমি এবং বৃষ্টির পানি জমতে পারে এমন এলাকা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মুনাফার হার বাড়ছে সঞ্চয়পত্রে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুনাফার এ হার বাড়ছে অন্তত ১ শতাংশ। তবে, সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীরা মুনাফা কিছুটা বেশি পাবেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোর মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর বলে বিবেচনা করা হবে সঞ্চয়পত্রের এই নতুন মুনাফার হার। ৫ বছর ও ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার (সর্বশেষ ছয় মাসের নিলামের ভিত্তিতে) অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে এ মুনাফা। তবে, সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীদের হিসাবে সর্বোচ্চ ৫০ বেসিস পর্যন্ত প্রিমিয়াম যোগ হবে। এতে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কিছুটা বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে।

নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য সঞ্চয়পত্রের সম্ভাব্য মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে সরকার। সেই হিসাবে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীদের মুনাফার হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর বেশি অঙ্কের বিনিয়োগকারীদের মুনাফার হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে মুনাফা হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ ছাড়া তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সম্ভাব্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এক্ষেত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। বর্তমানে এ স্কিমে মুনাফার হার হচ্ছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হলে পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে। আর সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। বর্তমানে এ স্কিমে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের প্রাচীন উৎসবগুলোর মধ্যে পুরান ঢাকার সাকরাইন উৎসব অন্যতম। যদিও এটা সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী পালিত হয় না। কিন্তু এটি খুব জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশি সংস্কৃতি। এটাকে ঐক্য এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। বর্তমানে এ উৎসবে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। অর্থাৎ আজ সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো।

প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি নানা আয়োজনে পালন হয় সাকরাইন ঘুড়ি উৎসব। সাকরাইন শব্দটি সংস্কৃত শব্দ সংক্রাণ থেকে এসেছে। যার আভিধানিক অর্থ হলো বিশেষ মুহূর্ত। অর্থাৎ বিশেষ মুহূর্তকে সামনে রেখে যে উৎসব পালিত হয় তাকেই বলা হয় সাকরাইন। মকর সংক্রান্তি বা পৌষ মাসের শেষ দিন হিন্দু জমিদারেরা তাদের জমিদারিতে ব্রাহ্মণ ও প্রজাদের আতিথেয়তা দেন। উন্মুক্ত মাঠে ভোজ উৎসব হয়। বিতরণ করা হয় চাল, গুড়, তেলের তৈরি পিঠা ও ডাবের পানি। এটি বাস্তু পূজা নামে পরিচিত। এ উপলক্ষে বিক্রমপুরে কুস্তি, লম্বদান ইত্যাদি প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এই হলো সংক্রান্তির ধর্মীয় দিক।

যুগের পরিক্রমায় সাকরাইন একটি নিজস্ব উৎসব যা ঢাকার জনপ্রিয় ও দীর্ঘ সাংস্কৃতিক চর্চার ফল। সারাদিন ঘুড়ি উড়ানো, বাড়ি ঘর ছাদে জমকালো আলোকসজ্জা, আগুন নিয় খেলা, সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি ও ফানুশে ছেয়ে যায় পুরান ঢাকার আকাশ। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে আকাশে ঘুড়ির সংখ্যা ও উৎসবের মুখরতা। সাকরাইন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় পুরান ঢাকার নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারের।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, লক্ষ্ণীবাজার, নয়াবাজার, তাঁতীবাজার, গেন্ডারিয়া ও সূত্রাপুর এলাকায় ঘুড়ি, নাটাই ও মাঞ্জা দেওয়া সুতা বেচাকেনার ধুম পড়েছে। সন্ধ্যা নামলেই সাকরাইন। শাঁখারীবাজারের দোকানগুলোতে আকার ও মান ভেদে নানা ধরনের ঘুড়ি দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভোয়াদার, চক্ষুদার, দাবাদার, রুমালদার, চিলদার, রকেট, স্টার, টেক্কা, শিংদ্বার, রংধনু, গুরুদার, পান, লাভসহ রয়েছে অসংখ্য ঘুড়ি। আকারভেদে একেকটা ঘুড়ির দাম ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।আবার নাটাইয়ের পসরাযুক্ত ঘুড়ির দাম ১০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা এবং সুতার দাম হাঁকানো হচ্ছে মান ভেদে ৮০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা রাজু হাওলাদার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সাকরাইনের মূল আনন্দ হলো ঘুড়ি ওড়ানো। ছাদে উঠে আমরা ঘুড়ি উড়াই। অন্যের ঘুড়ি কেটে দেওয়ার মধ্যেই আসল মজা। তাই এবার ১০টি ঘুড়ি ৩০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এই দেখা মিলে নানা রকম রঙিন ঘুড়ি, সুতা ও নানা রকমের নাটাই। এছাড়া সাকরাইন উৎসব ঘিরে সন্ধ্যার পর পুরান ঢাকার অলি-গলিতে এবং অনেক ভবনের ছাদে দেখা চলে ডিজে পার্টি।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা উৎসব বড়ুয়া প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা ঢাকায়। সাকরাইন উপলক্ষে নানা রকমের পিঠাপুলি ও বিভিন্ন স্বাদের খাবার রান্না করা হয় বাড়িতে বাড়িতে। সারা দেশে এই সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে থাকলেও সাকরাইন উপলক্ষে কিছুটা ধরে রেখেছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। আগে ডিজে পার্টি না থাকলে ইদানীং ছেলেরা সাকরাইন উপলক্ষে ভবনের ছাদে ডিজে পার্টির আয়োজন করে। কিছু বলতে পারি না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকতে হয়।

কলতাবাজারের বাসিন্দা আছমা বেগম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সাকরাইনের রাতে ছাদে গান-বাজনা চলে, আর ঘরে ঘরে ভালোমন্দ রান্না করা হয়। আসলে ছোট থেকে দেখে আসছি বলে এখন আর এই রান্নাবান্নার কাজটা বাদ দিতে পারি না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ করি।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসে বিষ, মাস্ক পরার পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে পর্যাপ্ত পানি ছিটানো ও কার্যকর পদক্ষেপ নেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের । রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিষাক্ত বাতাস। বায়ুদূষণের এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ঝুঁকিপূর্ণ এ অবস্থায় জনসাধারণকে মাস্ক পরিধানসহ বাইরে না যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। প্রতিবছরই বায়ুদূষণ তালিকার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এবারও শীতের শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা যায় যেন ধুলার রাজ্য। ধুলাবালির কারণে সড়কের পাশের গাছগাছালিও ধসর রঙ ধারণ করেছে। অথচ পর্যাপ্ত পানি ছিটিয়ে এ ধুলাবালি কমাতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া যারা চলাচল করে নগরীতে তাদের অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা এমন পরিস্থিতিতে বাইরে যেতে শঙ্কিত হন। এমন পরিস্থিতিতে ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে পানি ছিটানোর উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তবে পানি ছিটানোর এ কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয়।

 নামেমাত্র ছিটানো পানি ২০ মিনিট পর শুকিয়ে যায়। পরে আবার উড়তে থাকে ধুলা। ঢাকার দুই দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বায়ুদূষণ রোধে পানি দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। গাড়িতে করে পানি ছিটানো হয়। শুষ্ক আবহাওয়ায় ছিটানো পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। অনেক এলাকার সড়ক ছোট হওয়ায় পানি ছিটানো গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে বৃষ্টি না থাকায় দূষণ বাড়ছে। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।


পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সাত বছরে পরিবেশ দূষণ মাত্রায় দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেখানে বায়ুদূষণ মাত্রার বার্ষিক গড় মান ৩৫ এর কাছাকাছি থাকার কথা; সেখানে প্রতিবছরই ঢাকায় এ মান থাকে ৮০ এর উপরে। গতবছর ঢাকায় এ দূষণের মান ছিল ৮৩.৯। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণের মাত্রা যে হারে বাড়ছে তাতে পূর্বের বছরগুলো ছাড়িয়ে যেতে পারে। বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা ২০২৪ থেকে ২০৩০ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ইটভাটা বন্ধসহ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

আইকিউএয়ারের মান অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তসত্তা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। গত বুধবার সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ছিল ৪১৪। যা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত।

বাংলাদেশে বছরে প্রায় এক লাখ দুই হাজার ৪৫৬ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। ছোট শিশুরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রতি বছর পিএম ২.৫ সংশ্লিষ্ট লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশনে পাঁচ হাজার ২৫৮ শিশুর মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালে বিশ্বের দূষিত দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বালু কণার বার্ষিক গড় মান ছিল ৭৯ দশমিক নয় মাইক্রোগ্রাম; যা বার্ষিক জাতীয় মান ৩৫ মাইক্রোগ্রামের দ্বিগুণের বেশি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। সিআরইএর মতে, বাংলাদেশের জাতীয় বায়ুমানের মান (৩৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) পূরণ করা সম্ভব হলেও মৃত্যুহার ১৯ শতাংশ, আয়ুষ্কালজনিত সমস্যা ২১ শতাংশ এবং অক্ষমতা নিয়ে বসবাসের বছর ১২ শতাংশ কমতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলা সম্ভব হলে প্রতি বছর ৮১ হাজার ২৮২ মানুষের জীবন রক্ষা করা যাবে।

ক্যাপস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এটি শুধু মানবদেহকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই, এ মুহর্ত থেকেই দূষণ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ এবং নীতিমালা গ্রহণ করা না হলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বায়ুদূষণের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সরকারের উন্নয়ন দর্শনে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এজন্য আইন সংস্কারসহ এর কঠোর প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। সরকার বায়ুদূষণের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই নিচ্ছে না। শুধু পানি ছিটিয়ে দায় ছাড়ছে। সরকার যদি বায়ুদূষণকে গুরুতর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করত, তাহলে ইটভাটাগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হতো। ঢাকার অপরিকল্পিত উন্নয়নই বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। গাছ কমে যাওয়া, নদী দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার মতো ধ্বংসাত্মক কাজ চলছে। এসবের কারণেই বায়ুদূষণ হয়। বায়ুদূষণের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত না করে সরকার শুধু দায় এড়ানোর জন্য পানি ছিটানোর আশ্রয় নিয়েছে।


আরও খবর



খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানী শনিআখড়ায় প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। দীর্ঘ চার ঘন্টা সড়ক অবরোধে সব ধরনের সড়ক পরিবহন যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়ক জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে  পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাসের পরে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। 

নিহত মিনহাজের পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  সাকরাইন উড়াতে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসলে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে ছুরিকাঘাত করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে পথচারীদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। তিনি বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর গ্রামে। মিনহাজ বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। 

কদমতলীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। তার বাবা হাফেজ কারী মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জানায়,নিহত মিনহাজ তাদের সহপাঠী ছিলেন। আগষ্টে ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরকার পরিবর্তনের পরে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত থেকে চাঁদা নেয় মাহফুজ গংরা। কয়েকদিন আগে চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় হত্যাকারীদের সাথে বিবাধ হয় মিনহাজের। পরে অভিযুক্ত মাহফুজসহ করেকজন তাকে হুমকী দেয়। এর পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।

যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওয়ারী জোনের ডিসিসহ  উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা। এসময় তারা হত্যা কারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা কথা বলেন। এ হত্যার ঘটনায় বুধবার নিহতর ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০৬।


আরও খবর