Logo
শিরোনাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্র সহ ৮ ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‍্যাবের টহল গাড়িতে ডাকাতিকালে দেশীয় অস্ত্র সহ সংঘবদ্ধ ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১....

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি একটি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র মহাসড়কের সাধারণ যাত্রী ও বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ডাকাতি করে সর্বশান্ত করছে ও গুরতর আঘাতসহ হত্যার মত ঘটনাও ঘটাচ্ছে। মহাসড়কে ডাকাতির সময় দেশীয় অস্ত্রসহ র‍্যাব কাছে আটক হয় ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য। 

শুক্রবার দুপুরে র‍্যাব-১১'র সিপিসি -১ কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম। 

তিনি জানান, 

বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাব-১১'র একটি আভিযানিক দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাদা পোশাকে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে টহল কার্যক্রম পরিচালক পরিচালনা করতে থাকে। র‍্যাবের সাদা পোষাকের আভিযানিক দল মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার চর বাউসিয়া এলাকায় যানজটে পড়ে। এ সময় সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০/১২ জন দুর্ধর্ষ ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে র‍্যাবের গাড়ির ঘেরাও করে। র‍্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের মূলহোতাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলায় বসবাস করত। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। গত দুই বছরে তারা এই মহাসড়কে প্রায় ৫০ টির অধিক ডাকাতি করেছে। 


আরও খবর



মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আবদুল হামিদ এর ভাষণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

আসসালামু আলাইকুম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এর সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ,

মাননীয় সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ জাকিয়া নূর লিপি,

সন্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ,গণমাধ্যমের সন্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ,

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ ও ভদ্র মহিলা ও মহোদয়গণ,শুভ অপরাহ্ন।

বসন্তের এই সুন্দর বিকেলে নিজ শহরে আমার নিজের রাজনীতির চারণভূমিতে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ’ এর শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর হিসাবে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠানটি আমার নিজের এবং কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য ভিন্ন মাত্রার এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে কিশোগঞ্জবাসীর অনেক দিনের বহুকাঙ্ক্ষিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন হলো। এজন্য আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁর ঐকান্তিক আগ্রহ ও সহযোগিতার জন্য এটি সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর এই শুভলগ্নে আমি কিশোরগঞ্জবাসীকেও উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সম্মানিত সুধী,

মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস। যাঁর অসামান্য ত্যাগ আর নেতৃত্বে আজ আমরা স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক আমি সেই নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। স্মরণ করছি জাতীর চার নেতাসহ ৩০ লক্ষ শহিদ, দুই লক্ষ মা-বোন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন গণতান্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, অবদান রেখেছেন আমি তাঁদেরকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সমাজের বাতিঘর যা থেকে সবসময় আলো ছড়ায়, মনবিকতার বিকাশ ঘটায় এবং সমাজকে আলোর পথ দেখায়। বিশ্ববিদ্যালয় অর্জিত জ্ঞানের গুদাম ঘর নয়। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা থেকে জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতাদের আবির্ভাব ঘটে। নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। আজ থেকে কিশোরগঞ্জের সেই বাতিঘরের যাত্রা শুরু হলো। একে লালন করতে হবে। পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্র-শিক্ষকের বাইরে স্থানীয় জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। এলাকার পরিবেশেও ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

সম্মানিত উপাচার্য ও শিক্ষকমণ্ডলী,

বর্তমানে দেশের প্রায় সকল জেলায়ই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে বা হচ্ছে। কিন্তু সবগুলোর মান সমান নয়। আমরা চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ, শুরু থেকেই গুনেমানে সমৃদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচালিত হোক। যুগের চাহিদা ও কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা কারিকুলাম নির্ধারণ করতে হবে। বিভাগ খোলার ক্ষেত্রেও বাস্তবতা ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। 

শিক্ষার সাথে কর্মের সংযোগ ঘটাতে হবে। দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক বিভাগ রয়েছে যেখানে লেখাপড়া করলে হয়তো জ্ঞানার্জন সম্ভব হবে কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ একেবারেই সীমিত।  শিক্ষার্থীরাও বুঝে না বুঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এই ভাব ধরার জন্য এসব বিভাগে ভর্তি হন। মা-বাবা ও অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক কষ্টে লেখাপড়ার খরচ যোগান। কিন্তু পাশ করার পর সেই গানের কলি Hundred Percent Love এর মতো 100% বেকার - এ পরিণত হন। অনেক সময় বাবা-মা ও পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষা মিটাতে না পেরে কেউ কেউ বিপথেও পরিচালিত হয়। 

অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকারের চেয়ে শিক্ষিত বেকারের বোঝা পরিবার ও সমাজের জন্য অনেক বেশি কষ্টের। কারণ এরা না হয় আউল্লা, না হয় জাউল্লা। তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সময় এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন। শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য শিক্ষা বা সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাবেন না। 

মনে রাখবেন শুধুমাত্র জ্ঞান দান শিক্ষার উপজীব্য হতে পারে না। এমন শিক্ষা দিতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা বিকশিত হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করতে চাই, “শিক্ষিত জনশক্তি দেশের জনসম্পদ। আমি বাংলাদেশে এমন ব্যবহারিক শিক্ষার প্রসার চাই, যা দ্বারা প্রতিটি নাগরিক দেশের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে”।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী,

আজকাল বাবা-মা, অভিভাবক সবাই চান তাদের ছেলেমেয়েরা জিপিএ/ গোল্ডেন জিপিএ পাক বা ফার্স্ট/সেকেন্ড হোক। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেন না ছেলেমেয়েরা কতটুকু শিখল বা জানল। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ভালো ফল করে নিজের ও প্রতিষ্ঠানের নাম বাড়ানোর লক্ষ্যে সহজপাঠ্য ও চমকপ্রদ উপায়কে প্রধান্য দিয়ে থাকেন। 

কষ্ট করে টেক্সট বই না পড়ে শিক্ষকের দেয়া নোট মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় ভাল নম্বর উঠান। এক কথায় কষ্ট না করেই কেষ্ট অর্জন। এরিস্টটলের ভাষায়, ‘শিক্ষার শেকড় তেতো হলেও ফল মিষ্টি’। তাই আমরা আশা করব, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবেন যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদেরকে পরিপূর্ণ শিক্ষিত করে তুলতে পারে।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী,

হাওড়বেষ্টিত জেলা কিশোরগঞ্জ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভাটি এলাকা দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত ছিল। আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধার অভাবে লেখাপড়ায়ও হাওড় জনপদ তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। বিগত ১২/১৪ বছরে ভাটি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে লেখাপড়ায় ভাল করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভাল করতে না পারলে কিশোরগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় হলেও ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে না। এলাকা


আরও খবর



খেজুরের বাজার চড়া

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :বাজারে খেজুরের দাম বেড়ে গেছে। গত বছর পবিত্র রমজান মাসের আগে একই সময়ের চেয়ে খেজুর কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খেজুরের দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ফলের দোকানে খেজুরের বিভিন্ন জাতের মধ্যে বাপাশ ৩০০ টাকা, বরই খেজুর ৩০০ থেকে ৪০০, তিউনিসিয়ার খেজুর ৩৫০, আজোয়া ৬৫০ থেকে ১০০০, সৌদি মরিয়ম সুপরি ৬০০, ইরানি মরিয়ম ৮০০, কালমি ৬৫০ থেকে ৭০০ ও মাবরুম খেজুর ৮০০ থেকে ৯০০ টকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে মাবরুর মরিয়ম (সৌদি) ৭০০ টাকা, সৌদির কালমি ৬৫০, ইরানি মরিয়ম ৭৫০ থেকে ৮০০, মেরজুল ৬৫০ থেকে ১০৫০, সৌদির সুপরি ৫০০ থেকে ৬৫০, আজোয়া ৬৫০ থেকে ১০০০, বড়ই খেজুর ২৪০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

ফুটপাতের খেজুর বিক্রেতা বাবুল বলেন, ‘আমদানি যদি আরো কমে যায় তাহলে সামনে খেজুরের দাম আরো বেড়ে যাবে। যে দামে বিক্রি করছি ঘাটেও একই দাম। হুটহাট করে দাম বেড়ে যায়। এবার দামে স্থিরতা নেই। তবে এবার খেজুর ভালো।

বিক্রেতাদের দাবি, করোনার আগে বর্তমানের দামেই খেজুর বিক্রি হতো। দাম কমেছিল শুধু করোনার সময়।

মহাখালীতে একটি ফলের দোকানে দেখা গেছে, আজোয়া খেজুর ৭০০ টাকা, ছড়া ৫০০ ও বরই খেজুর ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ফলের দোকানি রিটন বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার খেজুরের দাম দ্বিগুন। গত বছর আজোয়া ৪০০, কালমি খেজুর ৪০০, ছড়া ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি।’

আমদানিকারকরা এবার খেজুরের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বাড়তি কর ও ডলার সংকেটের কথা জানান।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসেবে, দেশে সারা বছরে খেজুরের চাহিদা এক লাখ টন। রমজানে ৫০ হাজার টন। কিন্তু এ বছর আমদানি বেশি কমেছে। গত তিন মাসে (নভেম্বর-জানুয়ারি) খেজুর আমদানি হয়েছে ২২ হাজার ৭০০ টন। গত বছর একই সময় আমদানি ছিল ৪০ হাজার ৮০০ টনের বেশি। অর্থাৎ এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে এ বছর আমদানি প্রায় ৪৫ শতাংশ কমেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ইরাক ছাড়াও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, জর্ডান ও মিসর থেকেও বাংলাদেশে খেজুর আসে। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ইরাকের জাহেদি খেজুর, যা বাংলা খেজুর নামের গ্রামগঞ্জে কেজি দরে বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুরটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শামসুল বলেন, ‘বাংলাদেশে খেজুরের সবচেয়ে বড় চালান আসে ইরাক থেকে। এজন্য প্রায় এক মাস সময় লাগে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশ থেকেও আমদানি করা খেজুর চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ঢোকে দেশে। মিসরের অল্প কিছু খেজুর আসে বিমানে। রমজানের জন্য খেজুরের এলসি প্রায় শেষ করে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সার্বিকভাবে এ বছর খেজুর খুব কম আমদানি হচ্ছে।


আরও খবর

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৩৪২৬

রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩

রমজানে জাল নোট নিয়ে সতর্কতা

শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩




রোগীদের হয়রানি করবেন না : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দিয়ে রোগীদের হয়রানি না করতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, অসুস্থ ও অসৎ প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে।

সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই। অথচ আমাদের চিকিৎসা শিক্ষায় গবেষণা খুবই কম। চিকিৎসকদের গবেষণায় আরও বেশি নিয়োজিত হতে হবে।

রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য আবদুল হামিদ ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিএসএমএমইউ এর সেবাদান পদ্ধতি সহজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ-এর আউটডোরে প্রায়ই সকালে ল্যাবরেটরি বিভাগ খোলা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এর ফলে রোগীদের রিপোর্ট সংগ্রহে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

সক্ষমতার দিক থেকে বিএসএমএমইউকে 'সেন্টার অব এক্সিলেন্স' হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের অবহেলা, দায়িত্বহীনতা ও প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নেই। চিকিৎসার নামে সাইনর্বোডসর্বস্ব ও দালাল-নির্ভর সব ধরনের প্রতারণা বন্ধ করতে প্রশাসনিক উদ্যোগের সঙ্গে চিকিৎসকদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক অসাধু ও প্রতারক চিকিৎসকের কারণে যাতে চিকিৎসার নামে গোটা চিকিৎসক সমাজের সুনাম ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই দেখা যায় যে, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা হাসপাতাল ক্লিনিকগুলো রোগীদের জিম্মি করে ব্যবসা করে। অনেক সময় দালালদের খপ্পরে পড়েও রোগীরা, বিশেষ করে গ্রাম থেকে আসা রোগীরা চরম হয়রানির শিকার হন।

তিনি বলেন, মানবসেবা একটি স্বর্গীয় গুণ। রোগাক্রান্ত মানুষ সৃষ্টিকর্তার পর একজন ডাক্তার ও নার্সের ওপর ভরসা রাখেন। আপনাদের ভালো ব্যবহার ও চিকিৎসা যে কোনো রোগীর পরম কাম্য।

আবদুল হামিদ বলেন, চিকিৎসা সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশেও বিদেশের মতো বাণিজ্যিক নামের পরিবর্তে সাধারণ নাম চালু করার বিষয়টি ভাবতে হবে।

রাষ্ট্রপ্রধান চিকিৎসা সেবায় গবেষণা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কালের বিবর্তনে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট বহুবিধ কারণে রোগ-জীবাণুর ধরন ও প্রকোপ পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে মানব জাতির জন্য হুমকি মোকাবিলায় বিভিন্ন রোগের কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার নির্ণয়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।

বিএসএমএমইউ আচার্য বলেন, চিকিৎসা গবেষণাকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের দেশের রোগব্যাধির ধরন উন্নত ও পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে ভিন্ন। তাই আমাদের নিজস্ব গবেষণাকর্মই কেবলমাত্র পারবে এদেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ রোগগুলোর কার্যকর ও সুলভ চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করে এদেশের রোগীদের সত্যিকারের সমাধানটি সহজলভ্য করতে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি আশা করি, আপনারা উদার মন নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ‘ভালো’ ডাক্তারের পাশাপাশি ‘বড়ো’ মানুষ হিসেবেও বিবেচিত হবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ এই সমাবর্তনে ‘সমাবর্তন বক্তা’ হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাজ-বর্ধন আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য তাকে ক্যাম্পাসে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসের প্রধান বক্তা হিসেবে তার উপস্থিতি দেশের গণমানুষকে আরও ভালো সেবা দেওয়ার দিকে স্নাতকদের নির্দেশনা দেবে।

ডিগ্রিপ্রাপ্ত গবেষক, চিকিৎসক ও নার্সদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মনে রাখবেন ডিগ্রি অর্জনের পেছনে আপনাদের মা-বাবা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি রয়েছে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষেরও বড় অবদান। তাই যাদের কারণে আপনাদের রুটিরুজি তাদের প্রতি আপনাদের আরো যত্নবান হওয়া উচিত। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে থাকা হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোকে অবশ্যই গুণে-মানে সমৃদ্ধ হতে হবে। চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় মানাপের পদক প্রদান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ মানবাধিকার নাট্য পরিষদ (মানাপ) নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে পদক প্রদান ও আলোচনা সভা এবং মানাপের কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাবেয়া খাতুন বেলিকে জননী সাহসিকা সুফিয়া কামাল "পদক'' প্রদান করা হয়।  শনিবার সন্ধ্যায় নওগাঁ শহরের সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলে শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রিড়াঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এই পদক প্রদান করা হয়। পরে সেখানে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে এক আলোচনা সভা হয়। এর আগে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পদক প্রদান ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, মানাপ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি উত্তম সরকার ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সিদ্দিকী সিটু। এরপর মানাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম এ কাইয়ুম এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মানবাধিকার নাট্য পরিষদ (মানাপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ হতে ২০২৫ খ্রি দ্বি-বার্ষিক মেয়াদে এম এ কাইয়ুমকে সভাপতি, উত্তম সরকারকে সাধারণ সম্পাদক ও মোঃ আলম মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ২১সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। পরে উক্ত নব-নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির উপস্থিত সকলেই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মানাপের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলতাফুল হক চৌধুরী আরব, অধ্যক্ষ মোঃ মোফাখ্খার হোসেন পথিক, প্রকৌশলী চন্দন দেব, প্রকৌশলী গুরুদাস দত্ত বাবলু, অ্যাড. সরদার সালাউদ্দিন মিন্টু, রতন কুমার সাহা, মানাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সোনা, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক, মোঃ রুবেল পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ আলম মিয়াসহ মানাপ সকল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, মানাপ নওগাঁ জেলা শাখা, ইউনিয়ন শাখা, পৌর শাখা ও বিনাদ নাট্যদলসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ প্রমুখ।


আরও খবর



নতুন শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ প্রসংগে কিছু কথা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

মুহাম্মদ মাসুম খান, সাংবাদিক ও শিক্ষক :

সময়ের আবর্তে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন, পরিবর্ধন অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং যৌক্তিক বিষয়। শিক্ষা বিজ্ঞানে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। জীবনের জন্য যেহেতূ শিক্ষা সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তনশীল জীবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তন ও আবশ্যিক বিষয়।

 ২০১২ সালের পর এই বছর আমাদের দেশে নতুন শিক্ষাক্রম এসেছে। একটি শিক্ষাক্রম মোটেই শতভাগ ত্রুটি বা বিতর্ক মুক্ত হয় না। 

বর্তমান শিক্ষাক্রম অত্যন্ত আধুনিক,Naturalism, Pragmatism and Assentialism  শিক্ষা দর্শনকে গুরুত্ব দিয়েছে। পূর্বের শিক্ষাক্রম ছিল মূলত Idealism  বা ভাব বাদ ভিত্তিক। 

সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো না।সার্বিক ভাবে নতুন কারিকুলামকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এই কারিকুলাম বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিদ্যালয়ের বেসরকারি ব্যবস্থাপনা। 

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এদেশের ৯৭% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে।

বর্তমান কারিকুলামে সামস্টিক মূল্যায়নের চেয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নের প্রতি অধিক গুরুত দেয়া হয়েছে। খুবই ভাল দিক কারন শিখন যথার্থ হলে শিখনকালীন মূল্যায়ন যথার্থ হলে সারা বছরে এমনিতেই শিক্ষার্থীদের শিখন সম্পন্ন হয়ে যায়। পরীক্ষার আগে তাড়াহুড়ো করে, মুখস্ত করে পরীক্ষা দেয়ার যে চাপ সেটা থাকে না।

শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুমে সক্রিয় এবং স্বতস্ফুর্ত থাকবে।

কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি একেক টা একেক রকম পদ্ধতিতে চলে। ক্লাস ডিউরেশন,সংখ্যা,পরীক্ষার সংখ্যা ধরন ভিন্ন রকম। 

কিন্তু বর্তমান কারিকুলামে সামস্টিক পরীক্ষা মাত্র ২ টা এবং সেখানে মাত্র ৪০% মূল্যায়ন হবে।

পরীক্ষা না নিলেতো বিদ্যালয়ের বেতন কালেকশন হবে না। বেতন কালেকশন নাহলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিবে কিভাবে? 

শিক্ষক নিয়মিত বেতন না পেলে কিভাবে চলবে? 

দুই শিফট,অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বিষয় ভিত্তিল শিক্ষকের অভাবতো রয়েছেই।

কাজেই শিক্ষা ব্যবস্থা একই ব্যবস্থাপনায় না নিয়ে অর্থাৎ জাতীয়করণ না করে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন যথার্থ বাস্তবায়ন একেবারেই সম্ভব নয়।

বরং দারুন বাস্তবসম্মত এবং উন্নত একটি কারিকুলাম বিতর্কিত হবে,শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃস্টি হতে পারে।


আরও খবর

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩