Logo
শিরোনাম

ঢাকা শহরের যানজটের সমাধানের আর কোন আশা আমি দেখি না

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ড. কাজী সাইফুন নেওয়াজ, যোগাযোগ বিশ্লেষক :

আমরা শুধু শুধু ট্রাফিক পুলিশের উপর একটা পাহাড় ঠেলে সরানোর কাজ দিচ্ছি যে পাহাড়ের উপরে আমারাই ক্রমাগত পাথর বোঝাই করে ওজন বাড়াচ্ছি...  

১) ব্যাটারি রিক্সা আর প্যাডেল রিক্সা যেভাবে এবনারমালি আমরা বাড়াচ্ছি তা আমাদের জন্য অভিশাপ হবে। না পারব সরাতে না পরব রাখতে...। এরা অগণিত...।  যে কোন ইন্টারসেকশনের সিগ্ন্যালে ৮০% তারা। এরা না দিচ্ছে ট্যাক্স বরং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ এ আমার উপর বিলের বোঝা চাপাচ্ছে। এরা নিয়ম মানেও না। হুটকরে উল্টা পথে চলে যায়, আর আমি লজ্জায় থাকি। এদের নিয়ন্ত্রণ করেন , না হলে দয়া করে আপনারা চলাচলের সময় প্রটোকল দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে চলে না গিয়ে আমাদের মত চলেন... আপনাদের জীবন/সময়ের দাম আছে তেমন আমাদের ও আছে...। নিজে উপলব্ধি করলে বুঝবেন যানজট কতটা ক্ষতিকর একটা মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এর উপর...। 


২) বাস রুট ফ্রাঞ্চাইসি হলে তখন অনেকের অনেক হিসাব-নিকাশ বন্ধ হয়ে যাবে... তাই ক্রমাগত চেষ্টা হচ্ছে ফ্রাঞ্চাইসি বন্ধ করার। যখন DTCA , এ বিষয়ে তোড়জোড় করে কাজ শুরু করছিল তখন একপক্ষ নিয়ে আসল "গোলাপি কালার বাস"... একই জিনিস শুধু নাম বদল... । সিস্টেম এর কোন চেঞ্জ নাই।  কারন সিস্টেম ভালো হলে যাত্রীদের লাভ কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের লস ... । এটা আপনারা জানেন কিন্তু করেন না কারন শেষ কবে আপনি বা আপনার পরিবার বাসে চড়ছেন সেটা আপনি ভুলে গেছেন...।

আজ বিকাল ৫ টা নাগাদ পলাশী মোড়ে মোটরসাইকেল ( বর্তমান সময়ের ক্রেজ ব্র্যান্ডের) কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল ব্যাটারি রিক্সা... ২ জনেই টান দিলে থামাতে চায় না , থামায় না...  এই ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে, আরও বাড়বে...। আপনারা ধাক্কা খান না, কারন আপনারা যে রাস্তায় চলেন সে রাস্তা ফাঁকা করে দেয়া হয়,... আর যারা ফাঁকা করে দেয় আর যারা আপনাদের চলে যাওয়া দেখে তারা ধাক্কা খায়... আর ট্রাফিক পুলিশকে গালি দেয়। অথচ আমরা পাহাড় কে পর্বত বানাচ্ছি ক্রমাগত। যতটুকু ছিল তার চাইতে ভালো করতে না পারেন কিন্তু খারাপ কইরা দিয়ে যাইয়েন না। দেশেই থাকতে হবে আমাদের। আপনাদের মত সবার পরিবার আছে, সবার ছেলে-মেয়েই চায় তাদের বাবা একটু আগে বাসায় ফিরে আসুক...।  

কিছু একটা করেন আপনারা, এভাবে চলতে পারে না... এভাবে চলতে পারে না।


আরও খবর



১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিতে রাজি হয়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রত্যাবর্তনের যোগ্য ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রথম ধাপে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছে যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে তারা ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০১৮-২০ সালের মধ্যে ছয় ধাপে এ সংক্রান্ত মূল তালিকা সরবরাহ করা হয়েছিল।

এখনো ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও নাম অতিরিক্ত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ৬ষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শোয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে এ তথ্য জানান।


আরও খবর



ব্যবসা দখলে মিথ্যা ছড়িয়ে ভাইকে ‘হত্যাচেষ্টা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রাত-দিন ডুকরে কাঁদছেন রাজধানীর রামপুরার বিখ্যাত আল কাদির রেস্টুরেন্টের মালিক ফিরোজ আলম সুমন। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের খাবার, পানি ও অন্যান্য সহায়তা করে আসছিলেন তিনি। একাধিকবার পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছাত্ররা আশ্রয় নিয়েছিলেন তার রেস্টুরেন্টে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী ছাত্রদের তিনবেলা নিজের রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ান সুমন। কিন্তু অপতথ্য ছড়িয়ে ছাত্র-জনতাকে উত্তপ্ত করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তারই আপন ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন।

ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাইকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কাজে লাগিয়ে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রচার চালিয়ে ছাত্রদের দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই বড় ভাই। তবে অভিযুক্তরা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

এই বড় ভাইয়ের নাম ফিরোজ আলম সুমন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আছে তার। আল কাদেরিয়া নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক তিনি। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নানা পুরস্কার পেয়েছেন। সুমন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রথম যুগ্ম মহাসচিব।

১৯ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা থানায় নিজের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন প্রায় ১৪ মাস ধরে সুমনকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা চালান।

প্রায় ১৫ বছর আগে আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলেন তিনি। খাবারের মানের কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়, ব্যবসাও প্রসারিত হয়। রামপুরা, মালিবাগ, বসুন্ধরা, গুলশানসহ কয়েকটি এলাকায় রেস্টুরেন্টটির শাখা গড়ে ওঠে। কিন্তু করোনার সময় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে কয়েকটি শাখা বন্ধ হয়ে যায়। করোনা শেষে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসায় আরও ভালো করার জন্য পারিবারিক সিদ্ধান্তে ছোট দুই ভাই ইফাতিখারুল আমিন ও হাসনাইন আমিনকে প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার দায়িত্বে আনেন।

তিনি জানান, দুই ভাইকে ব্যবসায় যুক্ত করার পর হঠাৎ করেই দেখেন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি আরও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। দৈনন্দিন হিসাবে গরমিলসহ মাসে অন্তত ৮/১০ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তখন তিনি গোপনে প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ক্যামেরা বসান। এরপর খেয়াল করেন যে, তার আপন দুই ভাই ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ফিরোজ আলম সুমন তার ছোট ভাই হাসনাইন আমিনকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরে ফেললে ভাই-ভাইয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

সুমন বলেন, আমি চেষ্টা করেছি আমার ভাইদের ব্যবসা শেখাতে। কিন্তু তারা ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন তারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। আমি প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণ করেছি ওই সময়। আমি তাদের বোঝাতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আমাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে চায়।

তিনি বলেন, আসিফ নামে এক যুবককে টাকা দিয়ে ভাড়া করে তারা। আমার বিরুদ্ধে তাকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে বলে, যাতে করে ওই পোস্ট দেখে উত্তেজিত হয়ে লোকজন আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এতে তারা দ্বায়মুক্ত থাকে। এমন ষড়যন্ত্র তারা করেছিল। এছাড়া আমাকে অসংখ্যবার নানাভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়, সেগুলোও প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, আসিফ নেওয়াজকে তারা টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পোস্ট দিতে বলেছে। কিন্তু তারা আসিফকে বলেনি যে, আমি তাদের আপন ভাই। এসব বিষয়ে রামপুরা ও বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেছি। সেগুলোর তদন্তও হচ্ছে। অন্য একটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়নাও জারি রয়েছে।

ফেসবুকে পোস্টদাতা আসিফ নেওয়াজ বলেন, ইফতিখারুলের উদ্দেশ্য ছিল এই পোস্টের কারণে লোকজন উত্তেজিত হয়ে সুমনের ওপর হামলা করবে। আমাকে সে বলেনি সুমন তার ভাই হন। এছাড়া প্রায় এক বছর ধরে সে আমাকেসহ আরও অনেককে ব্যবহার করে সুমনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমি ইফতেখারুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। সিআইডি ও ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিট বিষয়টি তদন্ত করছে।

ভাইদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে রাজধানীর ভাটারা থানার সাঈদনগরে সুমনদের বাসায় গেলে তাদের বাবা নুরুল আমিনকে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

তাদের প্রতিবেশী ইমরান হোসাইন বলেন, আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্টটি সুমন সাহেবের। তিনি তার ভাইদের বসিয়েছিলেন। পরে শুনলাম, তার ভাই টাকা-পয়সা আত্নসাৎ করেছে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়েও তাদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে।  ঘটনাটি নিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।

সাইফুল ইসলাম নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, এক সময় তাদের পারিবারিক সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বছর খানেক ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো না। নানা দ্বন্দ্ব হচ্ছে শুনেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে কার দোষ এটা আমরা ওইভাবে বলতে পারবো না। যেহেতু এটি থানা পুলিশ ও আদালতে গেছে সেখানে গিয়ে সব বলবো।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, সুমন একজন ভালো ব্যবসায়ী। আমাদের সংগঠনের নেতাও। তার ভাইদের কাছে হেনস্থার শিকার তিনি। আমরা এর প্রতিবাদও জানিয়েছি।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সবগুলো অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




ছুটিতে এটিএম সেবা সবসময় চালু রাখতে নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের টানা ৯ দিনের ছুটিতে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিকভাবে খোলা থাকবে। এর মধ্যে এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু থাকবে। গ্রাহকদের সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

একই সঙ্গে অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যাতে সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এটিএম বুথের নিরাপত্তার সঙ্গে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে কোনো সাইবার হামলার বার্তা পেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকদের সতর্ক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এটি সব মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সাপ্তাহিক ছুটি, ঈদের ছুটি ও বিশেষ ছুটি মিলে এবারের ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি থাকছে। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে ঈদের ছুটি। চলবে টানা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এ হিসাবে আজ মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ও আগামী বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিক লেনদেন হবে।


আরও খবর



নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের সব জায়গায় ঈদের জামাতে যারা শরীক হয়েছেন ও নারী-প্রবাসী শ্রমিকসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে স্থায়ীভাবে সেই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।

জাতীয় ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস।তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে,‌ সব প্রতিকূলতার সত্ত্বেও সেই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।

সেই সঙ্গে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি ও বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।

এ সময় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন এবং হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন ছিল।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



আশার আলো দেখছেন রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয়ে থাকা আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে আংশিক যাচাই-বাছাইয়ে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গার চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে ছবি ও নাম মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে। ওই তালিকার বাকি সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই কাজও দ্রুত সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমার।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পের অধিকাংশ রোহিঙ্গা আশার আলো দেখছেন। দীর্ঘদিন পর নিজের জন্মভূমিতে ফেরার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন তারা। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার খবরে ইতোমধ্যে অধিকাংশ ক্যাম্পে হুলুস্থুল কাণ্ড বয়ে যাচ্ছে, অনেকে আনন্দ উল্লাসে মেতেছে। তবে উদ্বিগ্ন ও ভয়ের কারণও দেখছেন অনেক রোহিঙ্গা। এছাড়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে জটিল সমীকরণও দেখছেন বিশ্লেষকরা।

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ফয়েজ উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন পর একটা সুসংবাদ পেলাম। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আরাকানে ফিরে যেতে। আরাকান আমাদের দেশ আমাদের চিরস্থায়ী বসবাস সেখানে হবে৷ রোহিঙ্গা ফয়েজ উল্লাহ আরও বলেন, আমাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

রোহিঙ্গা বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, জন্মভূমি আরাকানে ফিরতে পারবো খবরটি শুনে খুব ভালো লেগেছে। জানি না কবে সেটি কার্যকর হবে। তবে দাবি থাকবে আরাকানে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জীবন জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে হবে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আজকেই আমরা (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।

রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা সালাউদ্দিন বলেন, আরাকান আমাদের জন্মভূমি, সেখানে ফিরতে পারলে আমাদের সকলের জন্যে ভালো। কিন্তু এই প্রত্যাবাসন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কি না! সেটিও ভাবতে হচ্ছে। বর্তমানে আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের অনেক রাজ্য আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের (রোহিঙ্গা) প্রত্যাবাসন সঠিক প্রক্রিয়ায় হবে কি না সেটি নিয়েও ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় নাগরিকেরা জানান, অনেক হয়েছে এবার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। তাদের কারণে স্থানীয়রা অনেক হয়রানি, বিড়ম্বনা ও ঝুঁকির মধ্যে আছে। এসব রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের বনভূমি, কৃষিজমি, শ্রম বাজার নষ্ট হয়ে গেছে। বেড়ে গেছে খাদ্য পণ্যের দাম। রোহিঙ্গাদের বর্জ্যের কারণে শত শত একর কৃষিজমি অনাবাদি পড়ে আছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা জন্মসনদ ও জাতীয়তা সনদ নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। স্থানীয় এবং দেশকে ঝুঁকিমুক্ত করতে রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এত সহজ হবে না। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এই প্রক্রিয়াটি আলো'র মুখ দেখতে পারে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা আরাকানে ফিরতে ইচ্ছুক। তবে কিছু এনজিও সংস্থার 'প্রেসক্রিপশন' এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থামিয়ে দিতে পারে। এতদিন রোহিঙ্গাদের ভুলভাল বুঝিয়ে কিছু এনজিও সংস্থা ফায়দা নিয়েছিল। কারণ রোহিঙ্গারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন তাদের (এনজিও) লাভ। দেশ এবং কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রক্ষায় দ্রুত সময়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হোক। তারা যতদিন থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে থাকবে বলে মনে করেন এই জনপ্রতিনিধি।

বাংলাদেশের একজন সাবেক কূটনীতিক মুন্সী ফয়েজ আহমদ জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক অগ্রগতি। তবে, এখনই কোনো উপসংহারে পৌঁছানো উচিত হবে না বলে মনে করছেন তিনি। নিঃসন্দেহে এটি একটি পজিটিভ ডেভেলপমেন্ট। কিন্তু, এর মধ্য দিয়ে কনক্লুসিভ ডেভেলপমন্টে পৌঁছানো সহজ হবে না। কারণ রোহিঙ্গাদের আবাসভূমি ও রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। সময়টা একটু জটিল। রাখাইন এখন প্রধানত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। সেখানে জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। ফলে, জান্তার তৎপরতার পাশাপাশি অন্যদের সম্পৃক্ততা জরুরি। যেহেতু এক লাখ আশি হাজার রোহিঙ্গার একটা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিললো, আজ হোক কাল হোক প্রত্যাবাসনের জন্য একটা প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করবে এই স্বীকৃতি। তবে, রাখাইনে জান্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পেলে, সেগুলো নিছকই দলিল হয়েও থেকে যেতে পারে। আর যদি জান্তা বাহিনী বা কেন্দ্রীয় সরকার কখনো নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়ও, স্থানীয় প্রশাসনে রাখাইনদের আধিপত্য থাকবেই। সেক্ষেত্রে, তাদের সঙ্গেও একটা বোঝাপড়া কিংবা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন সাবেক এই কূটনীতিক।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। রাখাইনের পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল, যেখানে নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিবও বলেছেন, রাখাইনে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই প্রত্যাবাসনের কথা বিবেচনা করা হবে। এখন সেখানে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য বাড়িঘর নেই। দ্বিতীয়ত, যেসব এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসতি ছিল, সেসব এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে? কখন, কীভাবে, কার ক্লিয়ারেন্সে তা সম্ভব হবে এসবই অনিশ্চিত।

সরকার প্রধানের দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সঙ্কট ও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমানকে এ তথ্য জানান মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউ। বাংলাদেশ ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছয়টি ধাপে ওই আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছিল।

প্রধান উপদেষ্টার দফতর বলছে, মিয়ানমার প্রথমবারের মতো ‘প্রত্যাবাসনের যোগ্য’ রোহিঙ্গাদের এমন তালিকা দিল, যা দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা ঢলের শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতেও সই করে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।

এরপর আসে কোভিড মহামারী; রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগেও ঢিল পড়ে। বিশ্বজুড়ে সেই সংকটের মধ্যেই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সু চির সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সামরিক জান্তা জেনারেল মিন অং হ্লাইং। তাতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আসে নতুন ধাক্কা।

এর মধ্যে চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে কয়েকবার রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের যুদ্ধের তীব্রতার মধ্যে প্রত্যাবাসনের আলোচনা কমে আসে। উল্টো রাখাইনে যুদ্ধের কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়।

এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আরও ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া সব এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দখলে চলে যাওয়ার মধ্যে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগেও ভাটা পড়ে ঢাকার।

এর মধ্যে গত ১৪ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কষ্ট নিজের চোখে দেখেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে তিনি সেদিন ইফতারও করেন।

প্রত্যাবাসনই যে রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান, সে কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ প্রধান সেদিন বলেন, “শেষমেষ মিয়ানমারেই সমাধান পেতে হবে আমাদের। এখানে থাকা সব শরণার্থীর স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্ষান্ত হব না।


আরও খবর