Logo
শিরোনাম

ঢাকার ১০০টি সুস্বাদু খাবারের তালিকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

১. বেচারাম দেউরীতে অবস্হিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ-পোলাও।

২. কামালের বিরিয়ানী৷

৩. খিঁলগাও এর ভোলা ভাই বিরিয়ানী এর গরুর চাপ এবং মুক্তা বিরিয়ানী এর গরুর চাপ, খাসীর চাপ এবং ফুল কবুতর।

৪. মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এবং হীরাঝীলের ভূনা খিচুড়ী।

৫. হোটেল আল-রাজ্জাকের কাচ্চি+গ্লাসি।

৬. লালমাটিয়ার স্বাদ এর তেহারী।

৭. নবাবপুর রোডে হোটেল স্টার এর খাসীর লেকুশ, চিংড়ি, ফালুদা।

৮. নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরীতে ৭০টি আইটেমের বুফে।

৯. হাতিরপুল মোড়ে হেরিটেজ এর শর্মা।

১০. ধানমন্ডির কড়াই গোশত এর ইলিশ সস।

১১. মোহাম্মদপুর জেনেভা/বিহারী ক্যাম্পের গরু ও খাশির চাপ।

১২. মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সামনের বিহারী ক্যাম্পের "মান্জারের পুরি"

১৩. চকবাজারের শাহ সাহেবের বিরিয়ানী।

১৪. মিরপুর-১০-এর শওকতের কাবাব।

১৫. নারিন্দার শাহ সাহেবের ঝুনার বিরিয়ানী।

১৬. ইংলিশ রোডের মানিকের নাস্তা।

১৭. গুলশানের কস্তুরির সরমা।

১৮. রয়্যালের বাদামের শরবত লালবাগ।

১৯. পুরান ঢাকার মদিনা হোটেলের লুচি-ডাল৷

২০. নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানী।

২১. জেলখানা গেটের পাশে হোটেল নিরবের ব্রেন ফ্রাই।

২২. নয়া বাজারের করিমের বিরিয়ানী।

২৩. হাজি বিরিয়ানী এর উল্টা দিকের হানিফের বিরিয়ানী।

২৪. লালবাগের ভাটের মসজিদের কাবাব বন।

২৫. মোহাম্মদপুরে সেন্ট জোসেফ স্কুলের গেটে এক মামার চানাচুর মাখা।

২৬. বংশালের শমসের আলীর ভূনা খিচুড়ী।

২৭. খিলগাঁও বাজারের উল্টো পাশে আল রহমানিয়ার গ্রীল চিকেন আর তেহারী।

২৮. মতিঝিল সিটি সেন্টারের পিছনের বালুর মাঠের পিছনের মামার খিচুড়ী।

২৯. চানখারপুলের নীরব হোটেলের ভুনা গরু আর ভর্তার সাথে ভাত।

৩০. ধানমন্ডী লায়লাতির খাসির ভুনা খিচুড়ী।

৩১. হোসনী দালান রোডে রাতের বেলার পরটা আর কলিজা ভাজি।

৩২. নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লার বটি কাবাব আর গুরদার।

৩৩. পুরানা পল্টনে খানা-বাসমতির চাইনিজ প্যাকেজ।

৩৪. বনানীর বুমারস রেস্টুরেন্টের বুফে প্যাকেজ।

৩৫.  মিরপুর ১ ঝালমুড়ি মামার মুড়ি ভর্তা৷ (কান্ট্রি বয়ের সামনে৷)

৩৬. গুলশান ২ এর খাজানার মাটন দম বিরিয়ানী এবং হাইদ্রাবাদী বিরিয়ানী।

৩৭. উত্তরার একুশে রেস্তোরার গ্রীল চিকেন।

৩৮. ধানমন্ডি/বনানীর স্টার হোটেলের কাচ্চি এবং কাবাব।

৩৯. মৌচাকের স্বাদ রেস্তোরার ভাতের সাথে ৩৬ রকমের ভর্তা।

৪০. সাইন্স ল্যাবে মালঞ্চ রেস্তোরার কাচ্চি বিরিয়ানী।

৪১. ফার্মগেটের ছোট সিঙ্গারা

৪২. বেইলী রোডে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সামনের গরু, খাশির চাপ+স্যুপ।

৪৩. চানখারপুলের মামুন হোটেলে'র স্পেশাল (প্রতি মাসের ১ম শুক্রবার) কাচ্চি।

৪৪. মালিবাগ সোহাগ বাস কাউন্টারের সামনে শীতলের গ্রিলের সাথের সস (কিনতে পাওয়া যায় অর্ডার দিলে, খুব বেশী জোশ)।

৪৫. ধানমন্ডি ৮ নম্বরের চাপের দোকান।

৪৬. সেগুন বাগিচার এনজইয় রেস্টুরেস্ট এর গরুর কাবাব আর নান; দই ফুচকা।

৪৭. পুরানা পল্টনের ভাই ভাই রেস্টুরেন্ট এর কাচ্চি।

৪৮. হোটেল আল কাদেরিয়ার গ্রীল ৷

৪৯. স্টারের লেগ রোস্ট।

৫০. গ্যান্ড নওয়াবের কাচ্চি বিরিয়ানী৷

৫১. নবাবী ঝালমুড়ি (রামপুরা)

৫২. নীলক্ষেত এ ইয়াসিন আর ঢাকা বিরিয়ানি এর গরুর কাচ্চি।

৫৩. চকের নুরানী লাচ্ছি।

৫৪. চকবাজারের আলাউদ্দিন এর ভাযি-পুরি।

৫৫. চকবাজারের Bombay এর আফ্লাতুন।

৫৬. চকবাজারের আমানিয়া-র খাসীর গ্লাশী।

৫৭. মধ্য বাড্ডায় (গুদারাঘাট) 'নয়ন বিরিয়ানি হাউজ'-এর কাচ্চি, মোরগ পোলাও, তেহেরি (স্পেশাল)।

৫৮. গুলশানের পিনক সিটিতে 'Baton Rouge' এর বুফে।

৫৯. মটকা চা এন্ড মমো ৷

৬০. ঠাটারীবাজার স্টার এর কাচ্চি বিরিয়ানি।

৬১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকসু ভবনের পিছনের ফুসকা মামার ফুসকা৷

৬২. মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের মুস্তাকিমের চাপ৷

৬৩. লক্ষীবাজার এর মাসহুরের লুচি, ভাজি আর ডাল

৬৪. সুলতান ডাইন মেন্যু সেট।

৬৫. ভূত এর কাকড়া, সিজলিং, সূপ

৬৬. শর্মা এন পিজ্জার বীফ শর্মা

৬৭. মিরপুর ঝুট পট্টির রাব্বানির চা

৬৮. চকের নূরানি ড্রিংস এর লাচ্ছি

৬৯. চকের বিসমিল্লাহ হোটেলের মোঘলাই পরটা

৭০. সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের সামনের মামার আলুর দম।

৭১. সোহরয়ার্দী কলেজের সামনে জসিমের চটপটি ও ফুচকা।

৭২. কলকাতা কাচ্চি ঘরের কাচ্চি বিরিয়ানী৷

৭৩. অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারের (শাঁখারীবাজার) হালুয়া, পরোটা, সন্দেশ।

৭৪. গোপীবাগের খাজা হালিম ও টিটির কাচ্চি

৭৫. বাসাবোর হোটেল রাসেলের "শিককাবাব"

৭৬. বায়তুল মোকাররমে অলিম্পিয়া কনফেকশনারীর "চকলেট পেস্টি"

৭৭. কর্নফুলি গার্ডেন সিটির চার তালার "ফুচকা" ৷

৭৮. কাঁটাবন ঢালে অষ্টব্যঞ্জনের বিফ খিচুড়ী ৷

৭৯. নারিন্দা/রায় সাহেব বাজারের সফর বিরিয়ানি (তেহারি)

৮০. ডিসেন্ট (মতিঝিল, হাতিরপুল, বনশ্রী, ধানমন্ডি, চক, নওয়াব---এদের প্রচুর শাখা) এর ডেজার্ট আইটেমগুলা ভালো।

৮১. ব্রাক ভার্সিটির কাছে নন্দনের বিফ আইটেম।

৮২. গুলশান ২ এর মোড়ে ঝালমুড়ি ওয়ালার টমেটো মাখানো।

৮৩. মহাখালি কন্টিনেন্টাল হোটেলের শর্মার সঙ্গে সস৷

৮৪. নিউমার্কেট এরিয়ায় পেয়ারা, আম মাখানো।

৮৫. নিমতলির বাদশাহ মিয়ার চা৷

৮৬. আগামাসিহ লেনের মাকসুদের খাসসির পায়ার নেহারী৷

৮৭. রায় সাহেব বাজারের বিউটি লাচ্ছি ৷

৮৮. ভিক্টোরিয়া পার্কের সুলতান ভাইয়ের দারুন মজার চা ৷

৮৯. ফকরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি।

৯০. বিহারি ক্যাম্পের গরুর মগজ ফ্রাই ৷

৯১. মিরপুর ১ এর মিজানের ঝাল ফুচকা।

৯২. আরমানিটোলা তারা মসজিদের পাশে জুম্মন মামার চটপটি ৷

৯৩. পলাশীর মোড়ের ফ্রেশ ফলের জুস ৷

৯৪. সুত্রাপুর বাজারের রহিম মিয়ার খাসির বিরিয়ানি ৷

৯৫. গেন্ডারিয়ার আল্লার দান বিরিয়ানি আর রহমান এর কাবাব৷

৯৬. কলতাবাজারের নাসির হোটেলের বিখ্যাত গরুর মাংশ আর পরাটা ৷

৯৭. সিদ্দিক বাজারের মাজাহার সুইটস ৷

৯৮. সোনা মিয়ার দই

৯৯. উর্দু রোড এর খেতাপুরি, বাখরখানি ৷

১০০. নর্থ ব্রুক হল রোডের চৌরঙ্গীর লুচি-ডাল ৷

[বিঃদ্রঃ ইহা অনেকগুলো পুরাতন পোষ্ট থেকে মিলিয়ে করা৷ এর অনেক কিছুই হয়তোবা এখন পরিবর্তন হয়েছে৷ আগের অনেক কিছুতেই আগের সেই টেষ্টটা এখন পাওয়া যায়না৷ আবার নতুন অনেক রেষ্টুরেন্টও হয়েছে যেগুলোর খাবারের মান অনেক ভালো৷ তাই সকলে কমেন্ট করে জানান কোন কোন জিনিসগুলো এই লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া উচিত আর কি কি এড করা উচিত৷]


আরও খবর

শীতের সবজি রান্নার রেসিপি

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শেষ পাতে ফিরনির রেসিপি

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪




দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম কাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম কাজ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা, বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ‘আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইন্সটিটিউট’ এর অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনের পর এটিই তার জনসম্মুখে দেওয়া প্রথম দীর্ঘ বক্তব্য। ট্রাম্প বারবার বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অবিলম্বে ওই যুদ্ধ বন্ধ করবেন। যদিও কিভাবে কী করবেন, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

এরপর তিনি তার সমর্থকদের জানান, তার অন্যান্য অগ্রাধিকার হবে মধ্যপ্রাচ্য এবং “দুর্নীতিগ্রস্ত, ভঙ্গুর, ব্যর্থ প্রশাসনকে সাফ করা”। তবে এই পরিকল্পনাগুলো সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন।

এই অনুষ্ঠানটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (নির্বাচিত প্রার্থীর) বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইন্সটিটিউট’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজেরই সংস্থা। ২০২১ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় ওই সংস্থাটি। এই প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একাধিক রক্ষণশীল নীতির প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা যে এভাবে জিতে যাবো, তা কেউ জানতো না। এটি একটি বড় বিজয় ছিল।”

জনতার মাঝে থাকা অনেককে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। তাদের মাঝে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের মিলেই এবং হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ছিলেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলার মালিক ইলন মাস্কের কথাও বারবার উল্লেখ করেছেন। ইলন মাস্ক গত কিছুদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার বাসভবনে ছিলেন।

“তিনি এই জায়গাটি পছন্দ করেন। আমি তাকে বের করে দিতে পারি না। আমিও এখানে তাকে পেয়ে আনন্দিত,” ইলন মাস্ককে মজা করে বলছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আরও কিছু হাই-প্রোফাইল সমর্থককেও ধন্যবাদ জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেমন– সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাস্বামী ও মার্কিন রাজনীতিবিদ টালসি গ্যাবার্ডকে। তাদের দু’জনকেই সিনিয়র পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, ফ্লোরিডায় বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি হোম সেক্রেটারি হিসাবে ডগ বারগামকে মনোনীত করেছেন। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ফেডারেল জমির ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের দায়িত্ব যে বিভাগের আওতায়, এক সময়ের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডগ বারগাম সেই বিভাগটি পরিচালনা করবেন এবার।

এই পদটিসহ বেশিরভাগই মন্ত্রিপরিষদ পদের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার ঘোষণা করা হবে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর এই সময়টিকে উপভোগ করছেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। তবে তার শপথ গ্রহণ জানুয়ারির আগে হবে না। তাই তাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু আজকের এই আয়োজন ছিল তার ভক্ত ও সমর্থকদের সামনে বিজয়ের উদযাপন।

২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, দুই-ই গ্রহণ করবেন। রীতি অনুযায়ী, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

তবে তার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে এবং সেটি করা হবে ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুসরণ করে। আগামী ১৭ জানুয়ারি ইলেক্টোরাল কলেজের প্রতিনিধিরা একসাথে বসে তাদের ভোট দেবেন। বিবিসি বাংলা


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সুফী একটি আত্মা বিষয়ক অধ্যায় । আত্মা সম্পর্কিত আলোচনা এর মুখ্য বিষয়। সুফিবাদের একমাত্র মূল বিষয়টি হল, আপন নফসের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া। জীবাত্মাকে পরমাত্মার অধীন করা। আল্লাহ পাক যে শয়তানটিকে
আমাদের পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়েছে তার সাথে জিহাদ করে তার থেকে মুক্ত হয়ে এ জড় জগত থেকে মুক্তি পাওয়া। আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই হলো এই দর্শনের মর্মকথা। পরম সত্তা মহান আল্লাহ কে জানার


এবং আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আধ্যাতিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সূফী দর্শন বা সূফীবাদ বলা হয়

হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) এর মতে, আল্লাহর ব্যাতীত অপর মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে প্রবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ন রূপে আল্লাহুতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সূফী বাদ বলে

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহঃ


সুফীবাদ এক প্রকার রহস্যময় হৃদয়ভিত্তিক ও আত্মোপলব্ধিমূলক মতবাদ। একে রুহানী প্রশিক্ষণও বলা হয়। ব্যক্তির আত্মার পরিশুদ্ধি ও পরম সত্তার সন্ধানই এর লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য সুফীগণ কতগুলো মূলনীতি ও স্তর তৈরি করেছেন। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো

মূলনীতি সমুহঃ-


১. তাওবা : অন্যায় ও পাপের ওপর আন্তরিক অনুশোচনা, অন্যায়ের স্বীকৃতি ও বিষ্যতে এ কাজ না করার দীপ্ত শপথ। তাওবা হচ্ছে সুফী মতবাদের প্রথম মূলনীতি


২. তাওয়াক্কুল : সর্বাবস্থায় দয়াময় আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করাই তাওয়াক্কুল


৩. পরিবর্জন: এ প্রসঙ্গে নিজামুদ্দীন আওলীয়া বলেন : স্বল্প আহার, স্বল্প কথন, স্বল্প মেলামেশা, স্বল্প নিদ্রার

 মধ্যেই নিহিত আছে মানুষের পূর্ণতা।


৪. সবর : যে কোন অবস্থায় অস্থির না হয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে মেনে নেয়াই সবরের একমাত্র দাবী


৫. আত্মসমর্পণ : গুরুও কাছে নিজ আত্মাকে সোপর্দ করে দিতে হবে


৬. ইখলাস : নিছক আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সব কাজ করতে হবে


৭. আল্লাহর প্রেম : অন্তরে পার্থিব জগতের কোনকিছুর প্রেম ও মোহ থাকতে পারে না। সর্বক্ষণ আল্লাহকে পাওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকতে হবে


৮. আল্লাহর যিকর : আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন ও অন্তরকে পরিশুদ্ধি করার জন্য সর্বদা আল্লাহর যিকর


৯: শুকুর : আল্লাহর অফুরন্ত নেয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান ও আনুগত্যকরণ শুকর বলা হয়

স্তরসমুহঃ 
১. ফানাফিস শায়েখ : এই স্তরে সাধক তার মোরশেদের সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে তার মোরশেদ চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে মোরশেদ তাকে রাসুল (দ:) এর কাছে পৌছে দেন

২. ফানাফির রাসূল : এই স্তরে সাধক গন রাসুল (দ:) এর সাথে বিলীন হয়ে যায় আর সে ওই ভাবেই চলে যেভাবে রাসুল (দ:) চালায়। আর এই অবস্থায় স্থায়ী হলে রাসুল (দ:) তাকে এর মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে পৌছে দেন

৩. ফানাফিল্লাহ ও বাকাবিল্লাহ :


ফানা ফিল্লাহ এবং বাকাবিল্লাহ হচ্ছে সুফী সাধনার সর্বোচ্চ স্তর। এ স্তরে পৌঁছলে সুফী নিজের ব্যক্তিগত চেতনাকে মুছে দিয়ে ঐশী চেতনায় উন্নীত হন। ব্যক্তিগত চৈতন্য খোদার ধ্যান ও প্রেমে সমাহিত হয়। তাই আত্মচেতনার অবলুপ্তিকেই বলা হয় ফানা


ফানার শেষ পর্যায়ে শুরু হয় বাকার প্রাথমিক পর্যায়। এ স্তরে সুফী সাধক আল্লাহর চিরন্তন সত্তার অবস্থান করেন

প্রাপ্তি কাশফ : সুফীগণ যখন আধ্যাত্মিক সাধনার চরম পর্যায়ে উপনীত হন তখন তার অন্তদৃষ্টি খুলে যায় এবং তার সামনে গোপনীয় সকল রহস্যদ্বার খুলে যায়। এক পর্যায়ে তিনি আল্লাহর অসীমতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন

 


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




শুধু নির্বাচন দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বললেন, শুধু নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কেয়ারটেকার সরকার নয়। তাই শুধু নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়। ইতিমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।

সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেচির সঙ্গে সাক্ষাতে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়, এমন যেকোনো কাজ করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে যে গণহত্যা হয়েছে, তার বিচারপ্রক্রিয়া চলমান। এ বিচার নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সারা পৃথিবী থেকে সমর্থন পেয়েছে, যা এখনো অব্যাহত আছে।

কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব লুইস ফ্রান্সেচি নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারসহ সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগে কমনওয়েলথের সমর্থনের আশ্বাস দেন।

তিনি বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য কমনওয়েলথের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের পাশে তারা আছেন জানিয়ে বলেন, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সাইবার নিরাপত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কমনওয়েলথ।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহম্মদ মেহেদী হাসান, কমন‌ওয়েলথের অ্যাডভাইজার অ্যান্ড হেড অব এশিয়া দিনুসা নিহারাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরের জনপদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পৌষ মাস শুরুর আগেই জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে উত্তরের জনপদ। পর্যায়ক্রমে যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তরের জনপদের পাশাপাশি শীত নেমেছে রাজধানীতেও। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।

শীতের কারণে উত্তরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে গ্রামগ্রঞ্জে বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের অবস্থা কাহিল। ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা আরও করুণ। সবচেয়ে বিপদে আছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় অবশ্য বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা। আর বর্ধিত ৫ দিনেও একই অবস্থা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ঘনকুয়াশায় ঢাকা ঠাকুরগাঁও : তীব্র শীতে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় প্রতিবছর এই জেলায় শীতের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে। এবছর অক্টোবর মাসে শীতের আমেজ শুরু হলেও নভেম্বরের দিকে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতো। তবে ডিসেম্বরের শুরুতে হালকা কুয়াশা ও হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকলেও হঠাৎ করে ৯ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ঘনকুয়াশার দাপট অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক থেকে শুরু করে পথচারী ও জনসাধারণ পড়েন চরম বিপাকে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় উত্তরের এই জেলা। কুয়াশার এতোই ঘনত্ব যে যানবাহনের হেডলাইটও হার মেনেছে। লাইটের আলো ১০-১৫ গজ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারছে না। সড়কে গাড়ি চালানো প্রায় অনোপুযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে চালকদের।

গাড়ি চালক স্বপন সরকার বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।

এর আগে কখনো এতো ঘন কুয়াশা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ দেখেনি। আগামী দিনগুলোতে আরও কুয়াশা ও শীত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষগুলো। রাস্তার ধারেই যে যা পারছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতার জন্য আগুন পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে ঠান্ডার প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডার কারণে নবজাতক ও কমবয়সী শিশুরা বেশি ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতিনিয়ত প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনের ওপর রোগী ভর্তি থাকেন। সচরাচর শীতের সময় রোগীর বেশি চাপ থাকে। তবে এবার আগের মতোই রোগীর চাপ থাকলেও বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালটিতে ৪০ শয্যার শিশু ওয়ার্ড হলেও সোমবার রাত ১১ টার দিকে ১৩০ জনেরও বেশি রোগী ভর্তি ছিলেন। যা ধারণ শয্যার থেকে তিন গুণ বেশি বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশু ওয়ার্ডে ভতিকৃত বেশিরভাগ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান রোগীর অভিভাবক ও স্বজনরা।

শীতকালে নবজাতক শিশুদের ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ পানসহ অন্যান্য বয়সী শিশুদের পুষ্টিকর তাজা খাবার খাওয়ানোর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে দেরি না তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু মো. রাজিব-উল-দোজা (তূর্য)’র।

তিনি বলেন, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি। এটা আমাদের পেশা ও দায়িত্ব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তার তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এমন আবহাওয়ায় কৃষিক্ষেত্রেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের শীত সহনশীল পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের পরামর্শসহ কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকরা শীত সহনশীল পদ্ধতি অবলম্বন করলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার তেমন সুযোগ নেই।

ইতোমধ্যে চাহিদা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠকুরগাঁও জেলার জন্য ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দফতরের পাঠানো হয়েছে। সেগুলো পেলে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা।

তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন : উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলছে শীতের দাপট। হিমালয়ের হিম বাতাসে এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে। মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে রয়েছে পুরো জেলা। তীব্র শীত অনুভূত না হলেও ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। সে কারণেই এই অঞ্চলে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়ায় ১১ ডিগ্রির নিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আহসান হাবীব নামে একজন জানান, রাতে তীব্র ঠান্ডা লাগছে। আজও ভোরে কুয়াশা ছিল, তবে গতকালের মতো না। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসার মতো অবস্থা। রাতে এখন ডাবল কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পৌষ মাসের ঠান্ডা শুরু হয়েছে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।


আরও খবর



নওগাঁয় যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, লাইভে বলা কথা, হত্যার শিকার.!

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বিলছাড়া এলাকা থেকে সুমন হোসেন নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর পূর্বে সুমন হোসেন তার ফেসবুক আউডিতে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে থেকে লাইভ ভিডিওতে এসে সে বাঁচার জন্য বন্ধু ও পরিচিত জনদের সহযোগীতা চেয়ে আকুতি জানায়, এমনকি তার বাবা নেই পরিবারে তার মা ও বোন রয়েছে। তার মা ও বোন কে দেখবে সহ তাকে ভ্যান চালকের ছেলে নব্য অনেক টাকার মালিক বুলবুল ও তার লোকজন বাঁচতে দিবে না মেরে ফেলবে এমন নানা কথা ও বলেছেন সেই কথাগুলো ইতি মধ্যেই জন-সাধারনের মাঝে ভাইরাল হয়েছে।

যুবক সুমন হোসেন হলেন, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্টান্ড এলাকার কম্পিউটার ব্যবসায়ী এবং বিলছাড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিন এর ছেলে। এছাড়াও তিনি নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) পত্নীতলা উপজেলা শাখার একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন। সুমন হোসেন এর মৃত্যুর ঘটনায় তার গ্রাম সহ নজিপুর বাজারের ব্যবসায়ী মহলসহ সর্ব সাধারনের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। সুমনকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সুমন হোসেন হত্যায় জড়ীতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সোমবার ১৮ নভেম্বর দুপুর ১২টায় নজিপুরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। 

যুবক সুমন হোসেন এর মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ

এনায়েতুর রহমান জানান, সোমবার ১৮ নভেম্বর সকালের দিকে স্থানীয়রা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবক সুমনের মৃতদেহ দেখতে পান। পরে ঘটনাটি থানা পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, যুবক সুমন হোসেন ডিজিটাল মার্কেটে কিছু ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টা আগে ''সুমন হোসেন'' নামে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক আইডি থেকে করা লাইভে 'অন্ধকারে' কিছু কথা বলতে শোনা যায়। ৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড অন্ধকারে করা ঐ লাইভে অভিযোগ করা হয়, বুলবুল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি সুদের উপর ৭০ হাজার টাকা ধার গ্রহন করেন সুমন। টাকা ধার গ্রহনের সময় বুলবুল নামের ব্যক্তি সুমন হোসেন এর কাছ থেকে ফাঁকা ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। টাকা গ্রহনের পর কয়েক ধাপে বুলবুল কে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয় সুমন হোসেন। কিন্তু পরে বুলবুল সুমন হোসেন এর কাছ থেকে ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পান বলে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুমন হোসেন কে ধাওয়া করা হয়। ঘুটঘুটে অন্ধকারে করা ঐ ভিডিও রেকর্ডে আরো দাবি করা হয়, অন্ধকারে তাকে যারা ধরতে খুজছেন তারা বুলবুল লোকজন এমটায় নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে জানিয়ে তার মৃত্যু হলে মৃত্যুর জন্য বুলবুল-ই দায়ী।

এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আরো জানান, ঐ ফেসবুক আইডিটি আসলেই সুমনের কিনা কিংবা লাইভের অডিও’র ঐ ব্যক্তিটি কি সুমন হোসেন না অন্য কেউ তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি বুলবুল নামে কোনো ব্যক্তির সাথে সুমন হোসেন এর আসলেই কোনো আর্থিক লেনদেন ছিলো কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসবের সত্যতা বের হলেই আসল রহস্য উন্মোচন হবে বলেও মনে করেন পুলিশ কর্মকর্তা। অপরদিকে উদ্ধারকৃত সুমন হোসেন এর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ। 


আরও খবর