Logo
শিরোনাম

ঢাকার আকাশে কালো মেঘ, বৃষ্টির বার্তা

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীতের মধ্যেই ঢাকার আকাশে কালো মেঘ জমেছে। ভোর থেকে আকাশ মেঘলা হয়ে উঠে। যদিও তেমন ঘন মেঘ নয়। অনেক সময়জুড়েই আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর সর্বশেষ যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে আজ ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে সামান্য অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এর পরের ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন রোববার (২২ ডিসেম্বর) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

তার পরদিন সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এদিকে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক-১) জানানো হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৩.৬° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৩.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। বর্তমানে নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার যেকোনো নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়াও সরকারের কাছে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার বলেও জানানো হয়েছে প্রস্তাবনায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা:

(ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।

(খ) নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা ।

(গ) কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়লে পুন:নির্বাচন করা।

(ঘ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোটের’ বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুন:নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:

(ক) ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(খ) কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(গ) বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত আরপিওর ধারা বাতিল করা।

(ঘ) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(ঙ) আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) শাস্তি প্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(চ) গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের/মানবাধিকারকর্মী ওপর হামলা, ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদেরকে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। (সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া দরকার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রানজিশান্যার জাস্টিসের’ যুক্তিও উত্থাপন করা যেতে পারে।)

(ছ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(জ) তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান করা।

(ঝ) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১% শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা।

(ঞ) একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা।

(ট) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপটে আপিল প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ১২৫(গ) বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না ।

(ঠ) হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।

মনোনয়নপত্র:

(ক) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সব প্রার্থীর সশরীরে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা ।

(খ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

(গ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা।

(ঘ) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা।

(ঙ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

২.৩ হলফনামা:

(ক) প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তি কর্তৃক হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।

(খ) পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করা।

নির্বাচনী ব্যয়:

(ক) সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা।

(খ) সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা।

(গ) নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারিত্ব করা।

(ঘ) প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য শাস্তির বিধান করা।

২.৬ নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা:

(ক) বিদ্যমান ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি'কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদানের পাশাপাশি বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে’ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা/বডি গঠন করা।’

(খ) নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির আওতায় প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কমিটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা মতে বিচারার্থে অপরাধ আমলে নেওয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করা।

(গ) সংসদ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলোর কার্যাবলি তদারকি করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটি’ একজন নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠন করা।

(ঘ) কার্যকালীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলো প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটির আওতায় আনা। বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোকে স্বাধীন করা।

(ঙ) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনি মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনি বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




১২৩ ফুট উচ্চতা থেকে নামিয়ে ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঝিনাইদহের ১২৩ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর কালীগঞ্জ উপজেলার শমসের নগর এলাকায় উত্তাল ছাত্র জনতার রোষানলে পড়ে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারটি। শত শত মানুষের ক্ষোভে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

জানা যায়, টাওয়ারটি বিশেষ স্থাপত্য ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতীকী ছিল। ছয়তলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ২০টি ভাস্কর্য ছিল। যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে স্থাপিত ছিল বঙ্গবন্ধুর বৃহৎ ভাস্কর্য।

স্থানীয় রাকিব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বারবাজার এলাকার শমশের নগরে শুরু হয় ছাত্র জনতার জমায়েত। ক্রমেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়। টাওয়ারটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সোহেল রানা বলেন, ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার কণ্ঠে শেখ হাসিনাবিরোধী নানা স্লোগান শোনা যায়।

এছাড়া, বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে প্রথমে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে স্থাপিত ম্যুরালে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে আগে থেকেই ভাঙচুর করা ম্যুরালটিতেও আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, কালিগঞ্জ বারোবাজার এলাকার শমশের নগরের ১২৩ ফুট উঁচু টাওয়ারটি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে কাদের নেতৃত্ব ভাঙচুর করা হয়েছে এখনো জানতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে এলাকা শান্ত রয়েছে। ওই ঘটনা ছাড়া আর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের একদফা ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকারি তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন । এবার সাত দফা থেকে সরে এসে একদফা দাবিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় তিতুমীর কলেজের সামনে শনিবার রাত আটটার দিকে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন কলেজটির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আজ থেকে আমরা আর সাত দফা চাই না। এখন থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির একদফা দাবিতে অনশন ও বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছে, আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করছি। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আমাদের সাত দফা দাবি থেকে একদফা দাবি ঘোষণা করছি। সেটা হলো- মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কলেজে এসে আমাদের বলবেন, আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হলো। তাহলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাবো।’

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে আজ শনিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাখালী থেকে গুলশান ১-এ যাওয়ার বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের এক পর্যায়ে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালী রেলগেট ক্রসিং ও আমতলী প্রদক্ষিণ করে আবার কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে যান। পরে ক্যাম্পাসের সামনে থেকে গুলশান ১ নম্বরের দিকে যান। সেখানে থেকে আবার ক্যাম্পাসের সামনে ফিরে এসে সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখেন।


আরও খবর

পদোন্নতি পেলেন মাভাবিপ্রবির ২৩ শিক্ষক

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় হত্যা রহস্য উদর্ঘাটন পূর্বক ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যার ঘটনা। অবশেষে হত্যা রহস্য উদঘার্টন সহ ৩ জন কে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতভর জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন পুলিশ। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানান, নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সফিউল সারোয়ার।

হত্যাকান্ডের শিকার জাহিদুল ইসলাম (৪১) নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে। আটককৃতরাও হলেন একই গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জাহিদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার পর মৃতদেহটি পত্নীতলা উপজেলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্ট ব্রীজের নিচে ফেলে রেখে যায় আসামিরা। এসময় মৃতদেহটি একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছিলো। এঘটনায় পরে নিহতের স্ত্রী থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন এবং গত সেমাবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকান্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামীরা মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটোচার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুরে এনে গুমের চেষ্টা করেছিলেন। এছড়াও আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে জাহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি একটি মাঠের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর আসামীরাই ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধারসহ দাফন কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতাও করেছেন যাতেকরে তাদেরকে কেউ যেন সন্দেহ না করে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসমত আলীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।


আরও খবর



শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে শৈত্যপ্রবাহের পরিধি বেড়েছে। শুক্রবার দেশের ১০ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা নেই অনেক জায়গায়। কুয়াশা ও ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। তবে এমন অবস্থায় আজ থেকে আগামী দুদিন জেলার কয়েক জায়গায় দিন এবং রাতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ ও তৎসংলগ্নএলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিন (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শনিবারের (১১ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন সকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

রবিবারের (১২ জানুয়ারি) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন সকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, এ সময়ের শেষের দিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫