Logo
শিরোনাম

ঢাকার খাল-নদী দূষণ করছে হাসপাতালের বর্জ্য

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক)। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটিতে নেই কোনো তরল বর্জ্য শোধনাগার বা ইটিপি প্লান্ট। পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, ঢামেকের তরল বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে ঢাকার জীববৈচিত্র্যের আধার হিসেবে খ্যাত বুড়িগঙ্গা। শুধু ঢামেক নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএসএমএমইউ) ২২০টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের তরল বর্জ্য দূষিত করছে রাজধানীর খাল ও নদ-নদীগুলোকে। 

দূষণকারী হাসপাতালের তালিকায় নাম রয়েছে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল, ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল, ইনফেকশাস ডিজিজেস হসপিটাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর। পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত চিঠি দিলেও হাসপাতালগুলো তরল বর্জ্য নির্গমন কমাচ্ছে না। 

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে ঢাকা জেলার নদ-নদী, খাল-বিল দূষণকারীদের তালিকা চাওয়া হয় ২০২১ সালের নভেম্বরে। এক মাস পর পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকার খাল ও নদ-নদী দূষণকারীদের তালিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে প্রাথমিকভাবে দূষণের ২৮০টি উৎস চিহ্নিত করা হয়। সেখানে দেখা যায়, শিল্পবর্জ্যের পাশাপাশি রাজধানীর হাসপাতালের তরল বর্জ্যও দূষণের একটি বড় উৎস। প্রতিবেদনে উল্লিখিত ২৮০টি উৎসের মধ্যে ২২০টিই ছিল হাসপাতাল। 

রাজধানীর হাসপাতালগুলোর তরল বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে বুড়িগঙ্গা নদী, তুরাগ নদ, বালু নদ, রামপুরা খাল, কল্যাণপুর খাল, বেগুনবাড়ি খাল, ভাটারা খাল, হাজারীবাগ খাল, রামচন্দ্রপুর খাল, বাড্ডা খাল, আদি বুড়িগঙ্গা ও রূপনগর খাল। দূষণকারী হাসপাতালের মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এসপিআরসি জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, তাকওয়া স্পেশালাইজড হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল, মেডিলাইফ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ইত্যাদির নাম উল্লেখযোগ্য। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের হাসপাতালের বর্জ্য চিকিৎসা বর্জ্যের শর্তগুলো মেনে সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয়। আমরা কোনোভাবেই নদী বা খালে বর্জ্য ফেলি না। আর ইটিপির প্রয়োজন শিল্প-কারখানায়। হাসপাতালে প্রয়োজন হয় বলে আমার জানা নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোয় ইটিপি নেই বললেই চলে। পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে ইটিপি বা ছাড়পত্র নেয়ার বিষয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে কড়াকড়ি করা হয় না। মূলত হাসপাতাল বিবেচনায় এ বিশেষ ছাড় দেয়া হয়। যদিও সংস্থাটির মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্টের পরিচালক মোহাম্মাদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীর দাবি, হাসপাতালে ইটিপি স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে কয়েকটি হাসপাতালকে জরিমানা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের উদ্যোগের পর এখন অনেক হাসপাতালই ইটিপি স্থাপন করছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, বেসরকারি হাসপাতালে ইটিপি স্থাপনের বিষয়ে তারা জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর পরও ইটিপি আছে এমন বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়। তবে সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার অভিযোগ মানতে রাজি নন মোহাম্মাদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী। তিনি বলেন, আমরা মূলত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে থাকি। সরকারি হাসপাতালের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।

হাসপাতালগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিচ্ছেএ অজুহাতে নদী-খাল দূষণের মতো পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে এমন কাজগুলো হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই বলে মত দিয়েছেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর এক্ষেত্রে দুটি কাজ করবে। প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারিভাবে যারা ইটিপি সার্ভিস দেয় তাদের নিয়ে একসঙ্গে বসবে। তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। এরপর একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেবে। ওই সময়ের মধ্যে যদি ইটিপি স্থাপন না করে কিংবা ছাড়পত্র না নেয় তাহলে অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎ-পানি ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

একসময় রাজধানীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বড় নদী। কারওয়ান বাজারের নড়াই ও পুরান ঢাকার দোলাই নদী খুব দ্রুতই পরিণত হয়েছে ঝিল ও খালে। অপরিকল্পিত নগরায়ণে হারিয়ে গেছে অনেক খাল ও উল্লেখযোগ্য নদ-নদী। 

ঢাকাকে বাঁচাতে হলে বিদ্যমান জলাশয়গুলো রক্ষার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, হাসপাতাল হলো মানুষের সুস্থ হওয়ার জায়গা। কিন্তু সে হাসপাতালই যদি রাজধানীর ধুঁকে ধুঁকে টিকে থাকা জলাশয়গুলো দূষিত করে তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? এসব দূষণের কারণে আজ আমাদের খাওয়ার পানিও নষ্ট হয়েছে। এখন পানি আনতে হয় মেঘনা থেকে। হাসপাতালের ডিসচার্জ করা পানি খেয়ে মানুষ তো আবার হাসপাতালেই যাবে। এভাবে চলতে পারে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ঢামেক বা সরকারি বড় হাসপাতালগুলোর তরল বর্জ্যে নদী দূষণের বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা নিয়ে আরো ডিটেইল কাজ করছি। নীতিমালা করে দেব। এগুলো বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়লেন শান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়বেন–এমন একটা গুঞ্জন চাউর হয়েছিল গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু সেটা সত্যি হয়নি। আফগানিস্তান সিরিজেও শান্তই ছিলেন টাইগারদের অধিনায়ক। তবে দৃশ্যপট বদল হতে খুব একটা সময়ও নেয়নি। নতুন বছরের শুরুতেই জানা গেল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কের পদটা ছেড়ে দিচ্ছেন শান্ত।

ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজ তাদের এক খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু সেটা গুঞ্জন থেকে আর বাস্তব হয়নি। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত। নিজের ব্যাটিং নিয়ে আরও মনোযোগী হতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।

তবে এই দফায় আপাতত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব থেকেই সরে আসছেন শান্ত। টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন। ক্রিকবাজ বিসিবির শীর্ষ এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, ‘শান্ত শেষ পর্যন্ত আমাদের জানিয়ে দিয়েছে সে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকছে না। আর আমরা সেটা মেনে নিয়েছি, কারণ আমাদের এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই। তবে কোনো ইনজুরি সমস্যা না থাকলে নাজমুল টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকবে। এই বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে।


আরও খবর



জাবি ভর্তি পরিক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও ভিসি কোটা বাতিল

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও ভিসি কোটা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আলী রেজা বলেন, ‘আজকে ভর্তি কমিটির সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা ভিসি কোটা চূড়ান্তভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছাড়া ১০ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ (বি ইউনিট) জীববিজ্ঞান অনুষদ (ডি ইউনিট) অপরিবর্তিত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট রদবদল করার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের তারিখ পিছিয়ে জানুয়ারি থেকে জানুয়ারি হতে পারে।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




সচিবালয় গেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের ফাঁকা গুলি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ সচিবালয়ের ১ নং গেটের সামনে পুলিশের সাথে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শতাধিক শিক্ষার্থীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ের সামনে এমন ঘটনা ঘটেছে।

স্থায়ী ক্যাম্পাস ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে আজ দুপুর আড়াইটার দিক থেকে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। তারা সেখানে ৩০ মিনিটের মতো ছিলেন। পরে শিক্ষা ভবনের দিকে তারা চলে যান।

ঘটনাস্থল থেকে জানা গেছে, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পক্ষে চার সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল ভেতরে যান। শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে তাদের বেলা ৪টা ৩০ মিনিটে সাক্ষাতের কথা ছিল। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শতাধিক শিক্ষার্থী। অপেক্ষারত সেসব শিক্ষার্থীরাই পুলিশের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়ে।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫




আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের বর্ণাঢ্য রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবালের। শনিবার (১০) জানুয়ারি ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের জার্সিতে অনেক নতুন রেকর্ড জন্ম দিয়েছেন এবং অনেক রেকর্ডও ভেঙ্গেছেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। তার সেসব রেকর্ডের দিকেই চোখ বুলানো যাক।

টেস্ট :

টেস্ট অভিষেক : ৪ জানুয়ারি, ২০০৮, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ডানেডিন

শেষ টেস্ট : ৪ এপ্রিল, ২০২৩, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর

৭০ টেস্টের ১৩৪ ইনিংসে ৫১৩৪ রান, সেঞ্চুরি-১০টি, হাফ-সেঞ্চুরি- ৩১টি, গড়- ৩৮.৮৯

বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২টি এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ১টি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টেস্টে টানা ৫ ইনিংসে অন্তত হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টানা পাঁচ ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া তার ঐ পাঁচটি ইনিংস ছিলো এমন- ৮৫, ৫২, ৫৫, ১০৩ ও ১০৮।

টেস্টে টানা ৭ ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি আছে তামিমের। ২০১০ সালে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচে অর্ধশতক করেন তামিম। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭ ছক্কা মেরেছেন তামিম। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭টি ছক্কা ও ১৭টি চারে ২৭৮ বলে ২০৬ রান করেছিলেন তামিম।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এখনও সর্বোচ্চ গড়ের মালিক তামিম। ৭০ টেস্টে তার গড় ৩৮.৮৯ টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪১ বার হাফ-সেঞ্চুরির বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম।

টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে নাম আছে তামিমের। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েসের সাথে ৩১২ রান করেছিলেন তিনি।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪১ ছক্কা মেরেছেন তামিম।

ওয়ানডে :

ওয়ানডে অভিষেক : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, হারারে

শেষ ওয়ানডে : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর

২৪৩ ওয়ানডের ২৪০ ইনিংসে ৮৩৫৭ রান, সেঞ্চুরি-১৪টি, হাফ-সেঞ্চুরি- ৫৬টি, গড়- ৩৬.৬৫

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তামিমের। ২৪৩ ম্যাচে ৮৩৫৭ রান করেছেন।তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সেঞ্চুরির মালিক তামিম।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক হাফ-সেঞ্চুরির বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম। সর্বমোট ৭০টি।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে সাকিব আল হাসানের সাথে রেকর্ড ভাগাভাগি করেছেন তামিম। সাকিব ও তামিম সমান ৫৬টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে লজ্জার রেকর্ডও আছে তামিমের। দেশের হয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৯বার শূন্যতে সাজঘরে ফিরেন তামিম।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তামিমের।

বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে যেকোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে অবদান আছে তামিমের। ২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসকে নিয়ে ২৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম।

ওয়ানেডে ইতিহাসে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড তামিমের। মিরপুরে ৮৭ ম্যাচের ৮৫ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৮৯৭ রান করেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে টানা পাঁচ ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি আছে তামিমের। ২০১২ সালে পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ইনিংসে অর্ধশতক করেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান। ২০০৮ সালে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ঐ সময় তামিমের বয়স ছিল ১৯ বছর ২ দিন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৯৩০টি চার মেরেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৬, ৭ ও ৮ হাজার রানের মালিক তামিম।

টি-টোয়েন্টি :

টি-টোয়েন্টি অভিষেক : ১ সেপ্টেম্বর, ২০০৭, কেনিয়ার বিপক্ষে, নাইরোবি

শেষ টি-টোয়েন্টি : ৯ মার্চ, ২০২০, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মিরপুর

৭৮ টি-টোয়েন্টির ৭৮ ইনিংস ১৭৫৮ রান, সেঞ্চুরি-১টি, হাফ-সেঞ্চুরি- ৭টি, গড়- ২৪.০৮

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তামিম। ২০১৬ সালে বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬৩ বলে অপরাজিত ১০৩ রান করেছিলেন তামিম।

টি-টোয়েন্টি যেকোন সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তামিম। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে ২৯৫ রান করেছিলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত ভার্সনে যেকোন উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটিতে নাম আছে তামিমের। ২০১২ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৩২ রান করেছিলেন তিনি।

অধিনায়ক তামিম :

টেস্টে এক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

৩৭ ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। তার অধীনে ২১টিতে জয়, ১৪টিতে হার ও ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেননি তামিম।

তিন ফরম্যাটে তামিম :

বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ২৫টি সেঞ্চুরির মালিক তামিম।

তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।

তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৬বার শূন্যতে ফিরেছেন তামিম।


আরও খবর



প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

দৈনিক কালবেলা অনলাইনে গত  ১৯ শে ডিসেম্বরে প্রকাশিত "লেনদেন ছাড়া ফাইল পড়ে না পাসপোর্ট অফিসে" সংবাদটি ভিত্তিহীন ও সঠিক নয় বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাইবান্ধা  আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো: শফিউল্লাহ  প্রতিবাদী বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন প্রকৃতপক্ষে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সকল সরকারি নীতিমালা ও প্রতিটি সেক্টরের কাজ মনিটরিং করে সম্পূর্ণ করে থাকেন। পাসপোর্ট এর কোন কাজে কখনো অনিয়ম হয়নি কতিপয় দালাল চক্রকে পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় সংবাদে মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সুনাম বিনষ্ট করা হয়েছে।

সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে যাদের বক্তব্য নিয়েছেন তারা কখনো কোন পাসপোর্ট করতে অফিসে আসেননি। 

গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।


আরও খবর