Logo
শিরোনাম

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল রিপোর্ট:


ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এ স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প।  রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। তবে এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।


বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে বিভিন্ন এলাকা।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমার।এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬।



 


আরও খবর



গৃহবধূ সালমা হত্যাকান্ড-নেপথ্যে মাদক ও অনৈতিক কাজ- ৩ জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও হত্যার পর মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনা নিয়েছে নতুন মোর। হত্যাকান্ডে নিহতের ছেলে জড়িত নয়। বাসার নারী ভাড়াটিয়ারা

মাদক সহ অনৈতিক কাজে জড়ীত থাকার ঘটনাটি জানতে পেরে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় গৃহবধূ উম্মে সালমা (৫০) কে হত্যা করার পর তার মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজের ভেতর রাখেন বাসার 

নারী ভাড়াটিয়া ও তার সহযোগী। ইতি মধ্যেই এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঐ বাসার ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগম সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঐ বাসার ভাড়াটিয়া ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার উত্তর সাজাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাবিয়া বেগম (৫০) এবং তার দু'জন সহযোগী তালুচ পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (২৬) ও নিখিল রবিদাসের ছেলে ভ্যান চালক সুমন রবিদাস(২৮)। 

এলাকায় ব্যাপক আলোচিত এহত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার ১০ নভেম্বর বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বগুড়া টু নওগাঁ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত 'আজিজয়া মঞ্জিল' নামক একটি বাসায়। গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও ডিপ ফ্রিজে মৃতদেহ রাখার ঘটনায় সে সময় আটক করা হয় হত্যাকান্ডের শিকার

গৃহবধু উম্মে সালমা'র ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে।

শুক্রবার ১৫ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ঐ বাসা থেকে খোঁয়া যাওয়া রাউটার ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সেই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগমকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাবিয়া বেগম স্বীকার করেন, ৪ মাস আগে উম্মে সালমার বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। এছাড়াও ভাড়ার পাওনা টাকা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হোন মাবিয়া বেগম। সেইজের ধরে তার দু'জন সহযোগী মোসলেম ও সুমন রবিদাসকে নিয়ে উম্মে সালমাকে হত্যার পর তার মৃতদেহ ফ্রিজে রাখেন তারা। উম্মে সালমা হত্যাকান্ডের সাথে জড়ীত নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুপচাঁচিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নাসিরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য- সে সময় র‌্যাব জানিয়েছিলো, হাত খরচের টাকার জন্য ছেলে তার মাকে হত্যা করেছিল এবং ছেলে তার মায়ের মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু শুক্রবার ১৫ নভেম্বর থানা পুলিশের তদন্তে নিলো নতুন এক মোড় যেখানে বেড়িয়ে আসলো হত্যাকান্ডের নেপথ্যে মাদক ও অনৈতিক কাজ।


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে বড় নিয়োগ আসছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলে ২২ হাজার নতুন নিয়োগ আসছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেয়া হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ২২ হাজার নতুন নিয়োগ আসছে। এখানে সব কটিই কর্মকর্তা পদ। বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ হবে, নাকি বিশেষ বিসিএস হবে, বিষয়টি দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণা দেয়া হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকলেসুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্ভিস নিয়োগ নিয়ে কথা বলবেন। নিয়োগের ব্যাপারে তিনিই বিস্তারিত জানাবেন।


আরও খবর



আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, দেশের সামগ্রিকভাবে একটি পরিবর্তন চাই। সেই পরিবর্তনের জন্যই আমরা সংস্কার চেয়ে আসছি। ড. ইউনূস সরকারকে অন্তত কেউ তুলতে পারছে না। যে বিএনপি এক সময় আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, এখন তারা বলছে এ দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে না। পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হয়, বলে মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের কে. আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ: যেভাবে বাংলাদেশ আগাচ্ছে এবং নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি যখন ভঙ্গুর অবস্থা। বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সহায়তা দিতে সাহস পাচ্ছে না, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তা চলে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, কেউ বলছে, আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন। আবার কেউ বলছে, আগে নির্বাচন। সংস্কার শেষ করে ভোট; এ কথার ভিত্তি নেই। ভোটও হবে, সংস্কারও হবে। ভোটও একটি সংস্কার। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে তাদের (সরকারকে) মিনিমাম কিছু সংস্কার করতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার জরুরি রলে মন্তব্য করেন তিনি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অনেকে ধরেই নিয়েছে এ সরকারের সময় সব কিছু করা যাবে। সব দাবি নিয়ে আসছে। তারা তো সবকিছু করতে পারবে না। সক্ষমতা বিবেচনা করতে হবে। দেশ একটা স্বৈরাচারের অধীনে ছিল, সেখান থেকে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন চলছে। আওয়ামী লীগের আবার ফিরে আসা সম্ভাবনা খুবই কম। তারা যা করেছে, তিনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নিজেই বলেছিলেন, তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি কোনো কিছুরই বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। সুতরাং, জুলাই অভ্যুত্থানকে বিপ্লব বলা যায় না। এখন অনেকে বলছে, এখানে কিছু ভুল ছিল। কেউ বলছে, একটা বিপ্লবী সরকার গঠনের উচিত ছিল। এতে সন্দেহ নেই যে, মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা কঠিন লড়াই করেছে, সেখানে বিপ্লবী চেতনা ছিল বলেই সম্ভব হয়েছিল।


আরও খবর



ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। সেবা পেতে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর থেকে আঞ্চলিক অফিসগুলোতে বার বার ঘুরছেন নগরবাসী। অধিকাংশ কাউন্সিলর অফিসগুলোতেই স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আঞ্চলিক  অফিসেও সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন নগরবাসী। জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো নিতে হয়রানি আর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। এতে উষ্মা প্রকাশ করছেন নগরের বাসিন্দারা।  

   

সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে,  গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে সরকার। তাই কাউন্সিলরদের পরিবর্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব এবং সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ড সচিবকে দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক কাউন্সিলর অফিস এখন বন্ধ রয়েছে। অসংখ্য অফিস সময়মতো খুলছে না। কাউন্সিলরদের অবর্তমানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও ঠিকমতো অফিস করছেন না। সকাল থেকে সেবাগ্রহীতারা অফিসগুলোতে গিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।

এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানেন না, জন্ম মৃত্যুসনদের সেবাগুলো তারা কোথায় পাবেন? ওয়ার্ড সচিবরা কোথায় বসেন সেটিও তারা জানেন না কেউ কেউ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে প্রশাসনিক বাড়তি দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনেক ওয়ার্ড সচিবকে দুই ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তাই তারা নাগরিক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। লোকবল বাড়িয়ে নাগরিক সেবা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬২ ৬৩ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, দুপুর পেরিয়ে বিকাল হলেও সেখানে কাউন্সিলর অফিস বন্ধ। তার থেকে কিছু দূরে একটি দোকানে ওয়ার্ড সচিব এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে দায়িত্ব পালন করেন। গত আগস্ট সরকার পতনের পর ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোস্তাক আহমেদ পলাতক রয়েছেন। সেখানে ওয়ার্ড সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. রিপন হোসেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, মৃত্যু সনদপত্র ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেক জায়গায় অতিরিক্ত টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে সেবা পাচ্ছেন  না তারা।

ডেঙ্গু মশা নিধনে কর্মচারীরা দায়িত্বে অবহেলা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মশক নিধনকর্মীরা নিয়মিত আসেন না। কিছু এলাকায় কয়েক মাস ধরে মশকনিধনকর্মীর দেখা মিলেনি- এমন অভিযোগও আছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ছেলের জন্মসনদ নিতে এসেছেন। কিন্তু নানা জটিলতায় জন্মসনদ পাচ্ছেন না। তরুণ উদ্যোক্তা রহমত উল্যাহ। স্বল্প পুঁজিতে অনলাইন ব্যবসা শুরুর স্বপ্ন তার। ঢাকা দক্ষিণ  সিটি করপোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ডের এই বাসিন্দা ট্রেড লাইসেন্স করাতে কার্যালয়ে দু’-একদিন পরপরই যাচ্ছেন এবং প্রতিবারই নিরাশ হয়ে ফিরছেন। তিনি বলেন, যিনি ট্রেড লাইসেন্সের কাজ করবেন, তাকে অফিসে পাইনি। গেলেই বলা হয়, তিনি আজ আসবেন না। সাজ্জাদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ওয়ারিশান সনদ নিতে আজকে ১৫ দিন ধরে ঘুরছি কিন্তু অফিসে লোক না থাকায় ওয়ারিশান সনদ পাচ্ছি না। শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী। তাই নিজেই এসেছেন ছেলের জন্মসনদ নিতে। গত এক মাস ধরে সিটি করপোরেশনে ঘোরাঘুরি করছেন। তিনি বলেন, আজকে এখানকার একজন আমাকে জন্মসনদ নেয়ার জন্য ডেকেছেন। তবে এখনো পাইনি। মাহতাব নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আগে নিয়মিত কাউন্সিলর অফিস খোলা থাকলেও এখন তা হচ্ছে না। ফলে অনেকে জরুরি কাজে আসলেও ফিরে যেতে হয়। ৬২ নং ওয়ার্ডের সচিব মো. রিপন বলেন, বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। একটা মৃত্যু সনদের জন্য মানুষকে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। মৃত্যু সনদের জন্য ধলপুরের আঞ্চলিক অফিসে গেলে তথ্যের অভাবে তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। ছাড়া স্থায়ী অথবা অস্থায়ী নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটের জন্য মানুষকে বিভিন্ন অজুহাতে ধলপুরের অফিস থেকে ফিরে আসতে হয়।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খিলগাঁওয়ের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে গিয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম।নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান সংশোধনের জন্য কয়েকদিন ধরে ঘোরাঘুরি করছেন। শফিকুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান ভুল আসায় আমাকে চার দিন আসতে হয়েছে। আজ হয়তো আমার কাজটা হবে। তার মতো অসংখ্য সেবাপ্রত্যাশীদের দেখা যায় খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে। খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব রেজাউল করিম বলেন, এখানে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে না। যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে এখানে সেবা নিতে আসাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

ষাটোর্ধ্ব রহিমা বেগম ঢাকা উত্তর সিটির ৪৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার বয়স্ক ভাতার খোঁজ নিতে কাউন্সিলর অফিসে গিয়েছিলেন। এর আগেও দুদিন এসে ফিরে গিয়েছেন। বয়স্ক ভাতার কোনো তথ্য পাননি। আক্ষেপ করে রহিমা বেগম জানিয়েছেন, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন তিনি। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে কার্ড নেয়ার জন্য কাউন্সিলর অফিসে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনদিন ধরে কার্ড নিতে এসে ফিরে গিয়েছেন তিনি। রহিমা বেগম বলেন, দুইবার আসছিলাম কার্ড নিতে। কিন্তু এখানে কাউকে পাই নি। অফিস বন্ধ পাইছি। আজকে তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। এখন  অফিস খুলেছে। কিন্তু কার্ড কখন  দেবে জানি না। রহিমা বেগমের মতো অন্তত ২৫ জন এসেছেন কাউন্সিলর অফিসের কার্যালয়ে। তাদের সবার অভিযোগ একইরকম।

গত আগস্টের পর থেকে কাউন্সিলর পালিয়ে যাওয়ার পর অফিসের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এতে  ৪৯ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত কাওলা, আশকোনা, গাওয়াইর এলাকার সেবাগ্রহীতারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই কার্যালয় খুব কম সময়ই খোলা হয়। সেবার জন্য সরাসরি উত্তরার আঞ্চলিক কার্যালয়ে যেতে হয়। সরজমিন দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কাউন্সিলর অফিসে এসেছিলেন সিটি করপোরেশনের মশকনিধনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তাকে অফিসে দেখা যায়নি। বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের জায়গায় গড়ে উঠেছে হরেক রকমের দোকানপাট, হোটেল, রেস্তরাঁ ইত্যাদি। ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সচিব মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যারা সেবা নিতে আসছেন তারা খুব খুশি মনে সেবা নিচ্ছেন। তারা সেবা নিতেই যায়। আমাদের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে সচিব পদ ছিল না। কিন্তু সেখানে কাজ থেমে নেই। ৪৯ নং ওয়ার্ড আমাদের নতুন ওয়ার্ড, সেখানেও সচিব ছিল না। 


আরও খবর

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে মাভাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম নগরে আদালতের অদূরে সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) নামে এক আইনজীবীকে হত্যার বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

মঙ্গলবার রাত ১০ টায় ক্যাম্পাসের হল চত্বর থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।এরপর ২য় গেট হয়ে সন্তোষ বাজার দিয়ে প্রধান ফটক দিয়ে মিছিল তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও রুখে দাও’, ‘উগ্রবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ইসকন সনাতন এক নয় এক নয়’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, ইসকনের রক্ষা নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভাই, ইসকনের রক্ষা নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরের কোতয়ালী থানা এলাকায় আদালতের অদূরে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) খুন হন। সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানোর সময় তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। তখনই সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ছাত্র-জনতা। গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশের সময় সেই জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়।পরে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)। 

সেই মামলায় গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় দাসকে। পরে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরই দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেন ভক্তঅনুসারীরা।


আরও খবর