Logo
শিরোনাম

ঢাকায় বাড়ছে বন্যার ঝুঁকি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : আগে ঢাকার মতো প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা পৃথিবীর কোথাও ছিল না। কিন্তু এরই মধ্যে সেই নিষ্কাশন ব্যবস্থা মরে গেছে। ভরাট করা হয়েছে জলাশয়, পুকুর ও খালবিল। ফলে রাজধানী শহরটি মারাত্মকভাবে বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কায় আছে।

এতে এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে নতুন করে বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছেন দেড় কোটি মানুষ, যা দেশের জনসংখ্যার ৯ শতাংশ। প্লাবনভূমি ও নদী তীরে বসতি এবং অবকাঠামো বেড়ে যাওয়ায় এ ঝুঁকি আরো বাড়ছে। ফলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বন্যার ভয়াবহতা সামনের দিনগুলোতে আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

 ( বাংলাদেশের নদী এলাকায় মানব উপস্থিতি ও বন্যার ঝুঁকির গতিবিধি ) বিভিন্ন সময়ের উপগ্রহের ছবির একটি মূল্যায়ন’ শিরোনামের গবেষণা করে জিওকার্টো ইন্টারন্যাশনাল। যা একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকীতে প্রকাশ পেয়েছে। নিবন্ধটির গবেষকদের একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক।

এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে আট কোটি ৭০ লাখ (প্রায় পৌনে ৯ কোটি) মানুষ সরাসরি বন্যাকবলিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এসব মানুষ বাস করছেন দেশের ছোট-বড় নদীগুলোর দুই কিলোমিটারের মধ্যে। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে মানুষের জন্য বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। যেমন, নদীর ১-২ কিলোমিটার তীরবর্তী বনাঞ্চল ৯১.৯৮ শতাংশ সংকুচিত হয়ে গেছে। তৃণভূমি ৬ শতাংশ ও অনুর্বর ভূমি কমেছে ২৭.৯২ শতাংশ। এ ছাড়াও প্লাবনভূমি আর নদী অববাহিকায় বসতি ও স্থাপনা নির্মাণ বেড়েছে ১১ শতাংশের বেশি।

এদিকে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্থ অবজারভেটরির এক প্রতিবেদন বলছে, ১৯৮৮ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল ৫৭ লাখ। কিন্তু ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ২০ লাখে। জনসংখ্যার এই ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর একটি এখন ঢাকা। যে কারণে এখানকার বহু মানুষকে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোতে বাস করতে হচ্ছে।

ন্যাচার সাময়িকীর এক বিশ্লেষণ বলছে, ঢাকার চারপাশেই নদী। দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা, পশ্চিমে তুরাগ, উত্তরে টঙ্গীখাল ও পূর্বে বালু নদী। ২০০০ সাল থেকে বুড়িগঙ্গা ও বালু নদীর তীরে জনবসতি বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের বন্যায় ডুবে গিয়েছিল ঢাকা। এতে দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আর ১৯৯৮ সালের বন্যায় মারা যান ৯০০ জন। প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা রাতের ছবির পিক্সেলের আলো বিশ্লেষণ করে দেশের কোথায় কোথায় মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে, সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া হয়েছে। ছবিতে কোথাও কোথাও আলোর উজ্জ্বলতা বেড়েছে।

আলোর উজ্জ্বলতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গবেষক দলের নেতা ও অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, ‘আমাদের নগর কিংবা গ্রামীণ অঞ্চলে আলো থাকে। যেসব অঞ্চলে শিল্পকারখানা আছে, সেখানেও আলো থাকে। নাসার বিশেষায়িত একটি উপগ্রহ আছে, যেটা কেবল রাত্রিকালীন আলোর তথ্য চিত্রায়ন করে। অর্থাৎ কোথায় আলো কমেছে কিংবা কোথায় বেড়েছে, তা ধারণ করতে পারে এ উপগ্রহ। এ রকম উপগ্রহ দিয়ে ১৯৯২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরের ডেটা নিয়েছি আমরা। কিন্তু এ গবেষণায় ২০০০-২০১৮ সালের তথ্য ব্যবহার করেছি।

বন্যার ঝুঁকি কেন বেড়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়ে এই গবেষক আরো বলেন, প্লাবনভূমি কমে গেলে বন্যার পানি কোথায় যাবে? তখন তা মানুষের বসতবাড়ি থেকে শুরু করে অবকাঠামোগুলো ডুবিয়ে দেবে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

গবেষণা অনুসারে ঢাকা সবচেয়ে বেশি বন্যার ঝুঁকিতে। কারণ রাজধানীর জনসংখ্যার বড় একটি অংশ নদীর পাশে বসবাস করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক, পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, আগে পানি যেখানে ওঠার কথা উঠত, এখনো যেখানে ওঠার কথা সেখানে ওঠে। কিন্তু পানি যেখানে ওঠার কথা, এখন সেখানে মানুষ থাকে। কাজেই মানুষ থাকে বলে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। আগে ঢাকার শ্যামলী পর্যন্ত পানি আসত, কল্যাণপুরে পানি আসত। এখন মানুষ থাকতে চাইলে পানি আটকাতে হবে। আর পানিকে আটকানো হয়েছে। আর ভিতরে যাতে পানি থাকতে না পারে, সে জন্য পাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে বসবাস করতে চাইলে পানি সরিয়ে দিতে হবে। কাজেই পানিকে দোষ দিয়ে কিছু হবে না, পানির কাজ পানি করবেই।


আরও খবর

অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনে হুমকির মূখে রক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পাবনা জেলা প্রতিনিধি :

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলামপাড়া এলাকায় রক্ষা বাঁধের সন্নিকটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মেতেছে বালু খেকোরা। এতে হুমকির মূখে পড়েছে ২০১৭ সালে দুই শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রক্ষা বাঁধ। প্রভাবশালী কথিত যুবলীগ নেতার নের্তৃত্বে বালু উত্তোলন করা হলেও ভয়ে এলাকার লোকজন কেউই কিছু বলতে সাহস পায়না। ইতোপূর্বে সাঁড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ঘাট হতে ইসলামপাড়া এলাকা পর্যন্ত বাঁধের সন্নিকটে বালু উত্তোলন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়। এতে ওই এলাকার কিছু কিছু স্থানে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙন শুরু হওয়ায় পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা আতংকিত। সাঁড়ার ব্লকপাড়া, থানা পাড়া ও ইসলামপাড়া এলাকার কিছু অংশ ব্যাপকভাবে ভেঙে ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে এরইমধ্যে বালুর বস্তা ডাম্পিং করার কাজ চলছে। অপরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু উত্তোলনের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ।  বালু উত্তোলন প্রতিরোধে নৌ পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।

বিগত ৫ জুন ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন এবং কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন বালু কাটা বন্ধে পদ্মায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বালু কাটা ও পরিবহনের কাজে জড়িত শ্রমিকরা গ্রেফতার হলেও মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা দখল করে গড়ে ওঠেছে অবৈধ বালু মহাল। বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রকরা বালুমহাল বলছেন না, বলছেন বালুর খোলা। অন্যান্য স্থান হতে বালু এনে এখানে স্তুপিকৃত করে ব্যবসা করছেন বলে তাদের দাবি। লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ এসব দেখেও দ্যাখেন না। নির্বিঘ্নে বালুর ব্যবসার কাজে অনেকেরই সহযোগীতা রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলমান হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগ গ্রহন করে বালু উত্তোলনে মেতেছে চক্রটি। বিগত প্রায় ১৫ দিন ধরে নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা হচ্ছে। প্রথমদিকে দিনের বেলায় বালু উত্তোলন করা হলেও গত কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে ‘চুপেচাপে’ নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। সাঁড়ার ওই এলাকায় পাহাড় সমান বালুর স্তুপ সাজিয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই শুধু ম্যানেজ করেই বছরের বছর জমিয়ে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা। খরচ বলতে নৌকা ভাড়া, চাঁদা আর লেবার খরচ। 

সরেজমিনে ইসলামপাড়া এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা কেউই বালু চক্রের হোতার নাম বলতে রাজী হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীরা জানান, বালুর উত্তোলনের সাথে যারা জড়িত, তারা খুবই প্রভাবশালী। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতেও নদীতে বালু কাটা হয়েছে। নদী থেকে মাত্র ১০-২০ মিটার দূরে বসতবাড়ি। ভাঙনে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বসতবাড়ি বিলীনের আশংকায় তারা আতঙ্কগ্রস্থ। এরইমধ্যে ভাঙনে প্রায় ৫০ একর জমি নিশ্চিহ্ণ হয়েছে। অভিযান হয় কিন্তু তবে মুল হোতারা সবসময় ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থাকে বলে অভিযোগ করেছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙন ঠেকাতে নিয়মানুযায়ী বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে। নদীর অপর প্রান্তের কিছুটা আগে জেগে উঠা চর এবং অবৈধভাবে বালু উত্তেলন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এখন নদীর স্রোত সরাসরি প্রবাহিত না হয়ে এই এলাকায় এসে আছড়ে পড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে হলে বালু উত্তোলন বন্ধের পাশাপাশি গতিপথ পরিবর্তনের জন্য দ্রুত ওই চর এলাকায় ড্রেজিং করে স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে। তবে পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিইএন-২) বীরবল মন্ডল বলেন, পদ্মা নদীর পানি প্রবাহ মূলত আপস্ট্রিমের পানি প্রবাহ। এভাবে যদি বালু কাটা হয় তাহলে হঠাৎ বণ্যা হলে  রা বাধটাকে ধ্বংস হবে। 

লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমদাদুল হক বালু উত্তোলনকারীদের সাথে তাদের কোন সখ্যতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বালু কাটার বিষয়টি এখনও আমাদের নলেজে নাই। 

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার বলেন, নদীতে অভিযান পরিচালনার জন্য লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশের ফাঁড়ি রয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


আরও খবর



রাণীনগরে গোনা ইউনিয়নে উপকারভোগীদের সাথে এমপির মতবিনিময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগরে গোনা ইউনিয়নের উপকারভোগীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার গোনা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ঘোষগ্রাম কফিলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল।

গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে ও অত্র ইউপি সদস্য এসএম জাকারিয়া সরলের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বারেক মোল্লা, ফরিদা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম হোসেন আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক জারজিস হাসান মিঠু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল খালেক, সদস্য রাহিদ সরদার, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম কচি, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা ও গোনা ইউনিয়ন আ’লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে গোনা ইউনিয়নের উপকারভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন সভায় অংশগ্রহন করে। সভায় ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা, প্রতিবন্ধি ভাতাসহ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর বিভিন্ন ভাতাভোগীরা ভাতা পেয়ে কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, ভাতা পাওয়ার পর তাদের জীবন-যাপনের কথা এবং আগামীতে আরো কি কি করলে তারা আরো ভালো থাকতে পারবেন এবং অন্যান্য বিষয়ে সুবিধাভোগীদের মতামতও শোনেন সাংসদ হেলাল।


আরও খবর



স্বতন্ত্র আতঙ্কে জোট ও আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থিরা : বসিয়ে দিতে তৎপরতা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :স্বতন্ত্র প্রার্থিদের জনপ্রিয়তার কাছে ক্রমশ কোনঠাঁসা হয়ে পড়ছে জোট ও আওয়ামী লীগের দুর্বল প্রার্থিরা।

এবারের নির্বাচনে নৌকা ও জোটের অনেক প্রার্থিরই ভরাডুবি ঘটবে জনপ্রিয় স্বতন্ত্র প্রার্থিদের জনপ্রিয়তার দাপটে তার আলামত এখনই দৃশ্যমান।

এতদিন নৌকা পাওয়া মানেই নিশ্চিত বিজয় মনে করেছিল যেসব প্রার্থিরা এবারের নির্বাচনে ইতিমধ্যেই তাদের কপালে চিন্তার বলীরেখা পড়তে শুরু করেছে।কেন্দ্রিয় কতিপয় নেতা আ,লীগের স্বতন্ত্রদের বসিয়ে দিতে নানা তৎপরতা চালালেও প্রধানমন্ত্রীর কড়া মনোভাবের কারনে তা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

দলটির উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছেন যে, হয়ত শেষ পর্যন্ত কিছু কিছু আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থি ও অজনপ্রিয় স্বতন্ত্রদের বসিয়ে দেওয়া হতে পারে তবে তা গণহারে করা হবে না।

যারা সত্যিকার অর্থেই জনপ্রিয় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হলে তাদেরকে স্বাগত জানাবে আ.লীগ।

এবারের নির্বাচনে কোন রকম হস্তক্ষেপ করা হবে না।নির্বাচনে জিতে আসার দায়িত্ব প্রার্থির নিজের।জিতার প্রশ্নে কোন রকম সহায়তা করবে না দলটি।প্রশাসন থাকবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ।কোন কেন্দ্রে বা প্রচারনায় যদি নৌকার প্রার্থিও স্বতন্ত্রদের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রদর্শণ করে তবে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ তার মহাজোট এবং ১৪ দলের শরিকদেরকে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক চলছে।

 ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১৪ দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য। 

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানেও আসন সমঝোতার বিষয়টি আলোচনা হবে। আওয়ামী লীগ শরিকদের কতগুলো আসন ছাড়বে তার দিকে তাকিয়ে আছে ১৪ দলের শরিকরা। এমনকি জাতীয় পার্টিও। 

যে সমস্ত আসন ১৪ দলের শরিকদেরকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিবে, সেই সমস্ত আসনগুলোতে ১৪ দলের শরিকরা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে এমনটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

এখানে আওয়ামী লীগ পাঁচ থেকে ছয়টি আসন দিতে রাজি। তবে ১৪ দলের অন্যতম নেতা হাসানুল হক ইনু গতকাল আমির হোসেন আমুর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বলেছেন যে, তারা ২০টি আসন প্রত্যাশা করে।

 তবে ২০টি আসনের বিষয়টিকে অতি বাড়াবাড়ি এবং অপ্রত্যাশিত চাওয়া হিসাবে মনে করছে আওয়ামী লীগ। তাদের কোন অবস্থাতেই এতগুলো আসন দেওয়া হবে না। এটা ১৪ দলের শরিকরাও জানেন।

তবে এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। ১৪ দল যে কটি আসন পাক না কেন, সেটার চেয়েও ১৪ দলের এখন বড় প্রত্যাশা জায়গা হল যে সমস্ত আসনে ১৪ দলের শরিকরা নৌকা প্রতীক পাবেন সেই সমস্ত আসনে যেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীরা না থাকে।

 স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীরা থাকলে ১৪ শরিকদের যারা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন, তাদের জয় অসম্ভব হয়ে যেতে পারে এবং তারা বড় ধরনের চাপের মুখে পড়তে পারেন। 

একারণে তারা এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেন দরবার করছেন। অন্তত নৌকা প্রতীক নিয়ে যেখানে যেখানে তারা নির্বাচন করবেন সেখানে সেখানে যেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিশেষ করে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের যেকোনো মূল্যে বসিয়ে দেওয়া হয়। 

কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। একই অবস্থা জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রেও। জাতীয় পার্টি মনে করছে যে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা যদি নৌকা প্রতীক থেকে বসে যান তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। বরং তখন সমস্যা আরও বাড়বে। 

তাদের কাছে মনে হচ্ছে যে, যদি শেষ পর্যন্ত একটি নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীক না থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগের যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন তার পক্ষে আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে একটি জোয়ার উঠতে পারে। 

এই অবস্থায় জাতীয় পার্টিতে যে কটি আসনই ছেড়ে দেওয়া হোক না কেন, প্রত্যেকেই আসনই বিপদসঙ্কুল হয়ে উঠতে পারে তাদের জন্য। আর এ কারণেই শরিকদের এখন সবচেয়ে বড় ভয়ের নাম স্বতন্ত্র প্রার্থী।

 আর এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে নির্বাচন থেকে কিভাবে বসিয়ে দেওয়া যায় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে লাগাম কিভাবে টেনে ধরা যায় সেটাই এখন জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের শরিকদের প্রধান চাওয়া। 

আর এ কারণেই ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টির নেতারা আওয়ামী লীগের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে তাদের আতঙ্কের কথা বলেছেন।

এবার নির্বাচনে যে সমস্ত দলগুলো দুর্বল, যাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা অত্যন্ত কম এবং যারা এতদিন শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের কৃপায় মন্ত্রী, এমপি মন্ত্রী হয়েছেন, তাদের জন্য বড় আতঙ্কের কারণ হিসেবে এসেছে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা।

 স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখন এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, অনেক এলাকাতেই তারা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি কিংবা ১৪ দলের শরিকদেরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম এবং সেই চ্যালেঞ্জে তারা যে বিজয়ী হতে পারে সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




গাজার কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালেন্ট বলেছেন, তাদের সেনারা এখন গাজার কেন্দ্রে অবস্থান করছে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, ইসরায়েলি সৈন্যরা স্থল, বিমান এবং সমুদ্রপথে একসঙ্গে হামলা চালিয়েছে। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও দাবি করেছিলেন যে, তাদের সেনারা গাজা সিটির ভেতরে অভিযান চালাচ্ছে।

লোকজনকে দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান নেতানিয়াহু। এদিকে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজারের বেশিই শিশু। অপরদিকে ইসরায়েলে ১৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছে দুই শতাধিক মানুষ।

গাজার চলমান সংঘাতে বিরতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র এর আগে জানিয়েছেন যে, মার্কিন ও ইসরায়েলি নেতারা সোমবার নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের সময় মানবিক কারণে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কৌশলগত বিরতি এবং জিম্মিদের সম্ভাব্য মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেকে একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তিনি তিন দিনের বিরতির পরামর্শ দিয়েছেন কি না? কিন্তু তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো শুরু থেকে ইসরায়েল এবং হামাসের সংঘাতে ইসরায়েলকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত সেখানে লাগাতার হামলা অব্যাহত রয়েছে।

খবর আল জাজিরা


আরও খবর



নোয়াখালীতে তেল কম দেওয়ায় ফিলিং স্টেশন সিলগালা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে তেল কম দেওয়ায় মেসার্স আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনকে সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের দিঘীরজান এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) প্রতিনিধিসহ হাজির হন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ। এ সময় বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত পরিমাপক যন্ত্রে প্রতি ১০ লিটার অকটেনে ৪৮০ মিলিলিটার কম তেল পাওয়া যায় এবং ডিসপ্লে নষ্ট অবস্থায় তেল বিক্রি করতে দেখা যায়। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করায় আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনকে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইনে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ বলেন, পেট্রল পাম্পটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তারা জরিমানার টাকা নগদ পরিশোধ করেছেন। পরবর্তীতে নতুন ডিসপ্লে প্রতিস্থাপন ও মেশিন ক্যালিব্রেশন করে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ডিসপেন্সিং ইউনিট পুনরায় চালু করবে।


আরও খবর