Logo
শিরোনাম

ঢাকায় বাড়তে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের অঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা আজ দুপুর পর্যন্ত আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এসময় দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরো জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। আর মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের আজকের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সেইসঙ্গে রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




সাংবাদিক বনাম সেনাবাহিনী একাদশ ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

শনিবার সকালে যাত্রাবাড়ী ওয়াপদা কলোনী মাঠে যাত্রাবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের আয়োজনে এই ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। 

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে যাত্রাবাড়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্প একাদশ। নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১৭৪ রান করেন তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাংবাদিক একাদশ ৬৫ রান করলে বৃষ্টি হওয়ায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়ার। পরে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ শামসুজ্জামান, ক্যাপ্টেন আরিফ মইন,ওয়ারেন্ট অফিসার মোশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার  সাংবাদিকবৃন্দ। 

সেনাবাহিনী ক্রিকেট একাদশের অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুজ্জামান ও সাংবাদিক ক্রিকেট একাদশের অধিনায়ক ছিলেন দীপ্ত টিভির রিপোর্টার সোহাগ আহমেদ, আনন্দ টিভি সিটি রিপোর্টার মনির হোসেন, আর টিভি সিটি রিপোর্টার রায়হান আহমেদ, যুগান্তরে যাত্রাবাড়ী প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, নয়া দিগন্তর আকাশ শিকদার, এশিয়ান টিভি রিপোর্টার শাহিন আহমেদ, সহ অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা


আরও খবর



কালো টাকা সাদা করার সুযোগে বৈষম্য বাড়বে: সিপিডি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। মঙ্গলবার সকালে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এই সুযোগ থাকলে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য প্লট বা ফ্ল্যাট কেনা অসম্ভব হয়ে যাবে। এর ফলে সমাজে বৈষম্য হবে।

সিপিডি জানায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত কর ব্যবস্থায় সরকার ব্যক্তি পর্যায়ে নির্ধারিত বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে ভবন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ রেখেছে। যদিও করের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে।

সিপিডি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার যখন অবৈধ আয়, অবৈধ লেনদেন, অর্থপাচার রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তখন এ ধরনের উদ্যোগ জনগণের কাছে ভুল বার্তা পাঠানোর ঝুঁকি তৈরি করছে।এটা জুলাইয়ের চেতনার পরিপন্থী।

ব্রিফিংয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, জুলাই আন্দোলন বৈষম্যহীন সমাজের জন্য হয়েছিল। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এই প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।

বাজেটে অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে গেলে সেখানে অপ্রদর্শিত আয় দেখিয়ে বর্ধিত হারে বিশেষ কর দিয়ে সেটি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু আমরা সবসময় বলে এসেছি কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব একেবারেই বন্ধ করা উচিত। এটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়, আমরা এটা সমর্থন করছি না।

এই প্রস্তাব সৎ করদাতাদের অনুৎসাহিত করবে জানিয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, তাদের নৈতিকতার ওপর আঘাত। আমরা এই প্রস্তাব উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করছি। এটা বৈষম্য সৃষ্টির হাতিয়ার।

এর সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে জাতীয় বাজেট পেশ করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

উল্লেখ্য, গত বছর জুলাইয়ে শুরু হওয়া গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় ৫ আগস্ট। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।


আরও খবর



গাজায় ঢোকার অনুমতি পেল ১০০ ত্রাণবাহী ট্রাক

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ |

Image

গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডাসহ একাধিক দেশ ইসরায়েলকে খোলাখুলি হুঁশিয়ারি দিয়েছে।আন্তর্জাতিক সেই চাপের মুখেই নেতানিয়াহু সরকার শেষ পর্যন্ত ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিল। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে পাঁচটি ট্রাকের পরে রাতে আরও ১০০টি মানবিক সাহায্যবাহী (খাদ্য, পানি এবং ওষুধ) ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার।

বর্বর ইসরায়েলের আড়াই মাসের অবরোধের ফলে গাজায় চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ, অনাহারে আছেন অন্তত পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি বোমা-ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি, অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।

বিশেষ করে শিশুরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবিক সহায়তা বিভাগের প্রধান টম ফ্লেচার সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছোলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় মৃত্যু হতে পারে ১৪ হাজার শিশুর!

তার পরেই ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডাসহ একাধিক দেশ ইসরায়েলকে খোলাখুলি হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক সেই চাপের মুখেই নেতানিয়াহু সরকার শেষ পর্যন্ত ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিল।

জাতিসংঘেরর মানবিক সহায়তা বিভাগের আধিকারিক জেনস লার্কে মঙ্গলবার বিকেলে জেনেভায় বলেন, আমরা গাজায় আরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি চেয়েছি।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বরের হামলার পরেই অভিযান শুরু করেছিল তেলআভিভ।

কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দু’পক্ষ। তবে প্রথম দফার ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মার্চের গোড়ায় ফের গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা।

একই সঙ্গে গাজা ভূখণ্ডে খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করাসহ নানা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ফলে গাজায় কার্যত দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি) নামক এক সংস্থা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষদের করুণ চিত্র তুলে ধরেছে তাদের প্রতিবেদনে।

সেখানে দাবি করা হয়েছে, গাজার ২০ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা। এই আবহে গত সপ্তাহে হামাসকে নির্মূল করে গাজায় নিরঙ্কুশ দখলদারি কায়েমের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

তার পরে খান ইউনুস থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে। ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিলেও গাজায় হামলা থামায়নি ইসরায়েল সেনারা। মঙ্গলবারও তাদের হামলায় অন্তত ৫০ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



জরুরি সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাচনমুখী যেসব জরুরি সংস্কার করা দরকার তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আপনি আশ্বস্ত করেছিলেন, আবার আপনি সরে গেলেন, আপনি মনে করছেন আপনাকে জনগণ অসীম ক্ষমতাশীল বানিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো পরামর্শ আপনার মানার দরকার নেই। যদি তাই মনে করেন আপনার নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ হবে, ইতোমধ্যে কিছু কিছু উপদেষ্টা আপনার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করে উচ্চাভিলাষ প্রকাশ করছে। তাদের উদ্দেশ্য অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অনির্বাচিতভাবে যেন এই সরকার থাকতে পারে। আপনার কী উদ্দেশ্য তা অবশ্য আমরা জানি না।

খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি কোনোদিন নির্বাচনের দাবিতে এই সরকারকে ঘেরাও করতে হয়, তা হবে আমাদের জাতির জন্য একটি দুর্ভাগ্য। আপনি কি (প্রধান উপদেষ্টা) চান এই নির্বাচনের জন্য আপনার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হোক, এ দেশের জনগণ যমুনামুখী লংমার্চ করুক।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনি সম্মানের সঙ্গে ডিসেম্বরের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার এবং বিচার চলমান প্রক্রিয়া, তা চালু থাকবে যারাই সরকারে আসুক না কেন। অনন্তকাল ধরে আপনি বিচার এবং সংস্কারের বাহানা দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কণ্টকাকীর্ণ করবেন না। যাদের পরামর্শে আপনি বিভ্রান্ত হচ্ছেন, সেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের আপনার উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণ করুন। আমরা আগেও বলেছিলাম আপনার উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর আছে, আমরা চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম। এখন কিছু বিদেশিদের দোসর আছে। এখন আমরা তাদের অপসারণের কথা বলছি। আর যারা এনজিও মার্কা উপদেষ্টা আছে, যারা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের কথা শোনার প্রয়োজন নেই, তাদেরকে অপসারণ করুন। না হলে সসম্মানে বিদায় নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের পরে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু মনে করবেন না রোজ কেয়ামত পর্যন্ত আপনাদের আমরা এই জায়গায় দেখতে চাইবো। এখন মানুষ বলছে, আপনার সরকার এনসিপি মার্কা সরকার। আপনার সরকারে এনসিপির ২ জন প্রতিনিধি বিদ্যমান। তারা উপদেষ্টা, তারা আবার এনসিপি সংগঠন করে। যদিও অফিসিয়ালি করেন না, কিন্তু সবাই সবকিছু জানে, ওপেন সিক্রেট। যদি আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান তাহলে এনসিপি মার্কা ২ জনকে পদত্যাগ করতে বলুন, যদি পদত্যাগ না করে আপনি বিদায় করুন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে আপনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। একজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই দেশের সেনাবাহিনী নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দেবে, এটা কীভাবে ভাবলেন? তিনি রোহিঙ্গা করিডরের নামে, মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আপনি কথা বলেননি, এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা করেননি। অত্যন্ত ‘অ্যারোগ্যান্টলি’ আপনার সেই উপদেষ্টা বলছেন তাতে নাকি কিছু যায় আসে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা দাবি করছি- সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আপনি বিদায় করুন। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয় নিজে পদত্যাগ করবে, না হয় আপনি তাকে বিদায় করবেন। এই দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো জাতীয় দায়িত্ব বিদেশি নাগরিকের হাতে থাকতে পারে না। এই নাগরিক ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশে একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য, আমরা তা হতে দেব না। এই দেশে বন্দর- করিডোর সবকিছু নাকি ইউনূস সরকারের অধিকারের মধ্যে পড়ে, বিদেশে আপনি কী কন্ট্রাক্ট করে এসেছেন জানি না। আপনি কি চুক্তি করে এসেছেন অবলীলাক্রমে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর, নদী বন্দর, করিডোর সব বিদেশিদের হাতে হস্তান্তর করবেন? আপনার একমাত্র ম্যান্ডেট দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন করা।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।


আরও খবর



খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরাইলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরাইলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরাইল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।


আরও খবর