Logo
শিরোনাম

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সিটি এলাকায় ব্যাটারি চালিত গাড়ি বন্ধ রাখার আগের নির্দেশ পরিবর্তন করে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে আওয়ামী ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় এ কথা জানান।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের স্বল্প আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি এলাকায় ব্যাটারিচালিত গাড়ি বন্ধের নির্দেশ পরিবর্তন করে চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যে স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে শুধু ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২২টি মহাসড়কে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে ৷


আরও খবর



রাণীনগরে ২৯ হাজার কেজি চাল জব্দের ঘটনায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর এলাকার একটি গোডাউন থেকে ২৯টন সরকারি চাল জব্দ করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ। উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান।

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান জানান সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির চাল কয়েকজন ব্যবসায়ী কিনে উপজেলার আবাদপুকুর বাজারের কুতকুতিতলা এলাকার আমজাদ মন্ডলের মার্কেটের দুইটি ভাড়া করা গোডাউনে মজুদ করে রেখেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সহকারি কমিশনার (ভ’মি) শেখ নওশাদ হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ওই দুই গোডাউন থেকে ৫০কেজির ৪৫৩বস্তা ও ৩০কেজির ২২২বস্তাসহ মোট ২৯টন ৩১০কেজি সরকারি চাল প্লাস্টিকের বস্তায় পাওয়া যায়। এ সময় গোডাউন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বেশকিছু সরকারি বস্তাও পাওয়া যায়। অভিযানের সময় চাল ব্যবসায়ী ও গোডাউন মালিকরা পলাতক ছিলো। অভিযান শেষে শুক্রবার রাতে চালগুলো জব্দ করে উপজেলা খাদ্যগুদামে মজুদ করা হয়েছে। এই ঘটনায় গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে চাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির আলম বাবুকে প্রধান আসামী এবং আরো ৩/৪জনকে অজ্ঞাত করে উপজেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান আবাদপুকুর এলাকার কুতকুতিতলায় সরকারি বিতরণকৃত চাল ক্রয় করে মজুদ করা হয়েছে মর্মে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় উদ্ধারকৃত চাল জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন যেকোন ধরণের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সদাতৎপর রয়েছে। আগামীতেও অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বাড়াচ্ছে কিশোরী মা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কয়েক বছরের ধারাবাহিক অগ্রগতির পর গত দুই বছরে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হারও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর বড় কারণ বাল্য ও কিশোরী বিয়ে। অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণের কারণে সন্তান প্রসব করার সময় রক্তক্ষরণ বেশি হয়, যে কারণে তাদের মৃত্যুর হার বেশি। এছাড়া কিশোরী মায়েদের বিভিন্ন সমস্যার প্রভাব শিশুর স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে। ফলে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, এখনো বিশ্বে প্রতি বছর তিন লাখ নারী গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর পরই মারা যান। বছরে ২০ লাখ শিশু জন্মের প্রথম মাসেই মারা যায়। আর মৃত শিশু জন্ম নেয় ২০ লাখেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতি ৭ সেকেন্ডে একটি এমন শিশু মারা যায়, যার মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেটারনাল অ্যান্ড পেরিনেটাল ডেথ সার্ভিলেন্স অ্যান্ড রেসপন্সের (এমপিডিএসআর) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ধারাবাহিকভাবে মাতৃমৃত্যু কমলেও গত দুই বছর আবার বাড়তে শুরু করেছে। ২০২২ সালে প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু হার ছিল ৬২ জন। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল লাখে ৭৫। ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৯০-এ পৌঁছেছে। গত বছর মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল সিলেট বিভাগে। এ বিভাগে লাখে ১১ জন নারী মারা যান।

যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৩ সালের হিসাব অনুসারে, প্রতি ১ লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ১৩৬ জন মা মারা যান। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ১৫৩। ২০২১ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ১৬৮।

নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কিশোরীদের গর্ভধারণের হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। ১৯ বছর বয়সের আগে প্রতি হাজারে ১১৩ কিশোরী গর্ভধারণ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশোরী অবস্থায় বিয়ে ও গর্ভধারণের হার বেড়ে যাওয়ায় মাতৃমৃত্যু বাড়ছে।

লালকুঠি মা ও ‍শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. শাহনাজ খান বলেন, যে হারে মা ও নবজাতক মৃত্যুহার কমার কথা ছিল তা কমছে না। যারা অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ করে তাদের নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। যেমন খিঁচুনি, উচ্চ রক্তচাপ, পায়ে পানি আসা। মায়েদের এ ধরনের সমস্যা থাকলে সেটার প্রভাব শিশুর স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে। ফলে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি দেখা দেয়। কিশোরী অবস্থায় বিয়ে হলে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ। যে কারণে মাতৃমৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এমপিডিএসআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সন্তান জন্মদানের সময় যেসব নারী মারা গেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে এ হার ছিল যথাক্রমে ৩১ দশমিক ৮ ও ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে যেসব নারী মারা যান তাদের বেশির ভাগই প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের একটি বড় অংশ আবার গ্রাম পর্যায়ের। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে তারা গর্ভবতী নারী ও গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকেন না। প্রসবের আগে চিকিৎসকের অধীনও হন না। তাদের মধ্যে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। প্রচার-প্রচারণাও আরো বাড়ানো জরুরি।

অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী দেশে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। গত বছর প্রকাশিত বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রতিবেদনে (২০২৩) বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার ছিল হাজারে ২৫ জন, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ২৭। পাঁচ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ২১।

অন্যদিকে এক মাসের কম বয়সী নবজাতকের মৃত্যুহার হঠাৎ বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে প্রতি এক হাজার জীবিত নবজাতকের মধ্যে ২০ জন মারা যায়। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৬। পাঁচ বছর আগে ছিল ১৫। এছাড়া ২০২৩ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ জন। ২০২২ সালে ছিল ৩১ জন। পাঁচ বছর আগে ছিল আরো কম, ২৮ জন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, নিরাপদ পানি না পাওয়া ও ভেজালযুক্ত খাবারে কারণে শিশু ও মাতৃমৃত্যু বাড়ছে। এছাড়া শিশু ও মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বাল্য ও কিশোরী বিয়ে। যে কিশোরী গর্ভধারণ করে স্বাভাবিকভাবেই তারা নিজের ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে খুব একটা সচেতন থাকে না। তাদের পুষ্টির অভাব থাকে, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

২০২৩ সালে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাল্যবিবাহের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বে অষ্টম ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের ওপর পরিচালিত ইউনিসেফের জরিপে দেখা যায়, ৫১ শতাংশ নারীর বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। এছাড়া বাংলাদেশে প্রায় ৪8 লাখ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু খর্বাকৃতির শিকার। যার অন্যতম কারণ মায়ের অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণ, ‍শিক্ষা ও পুষ্টির অভাব। বাংলাদেশে ১২ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের মধ্যে ১২ শতাংশেরই ওজন তাদের বয়স ও উচ্চতার তুলনায় কম। এছাড়া বাংলাদেশে গর্ভবতী নয় এমন প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে উচ্চমাত্রার পুষ্টিহীনতা রয়েছে।


আরও খবর



অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সহায়তায় পাশে দাঁড়ালেন সমাজকর্মী ও শিক্ষকবৃন্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী সমাজকর্মী মোঃ ইউসুফ আলী দেওয়ান তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভবেরচর ইউনিয়নের স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী দুরূহ ব্যাধিতে আক্রান্ত স্বর্ণা আক্তারের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার দীর্ঘদিন পেপটিক আলসার রোগে অসুস্থতায় ভুগছে। এতে করে একাধারে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পারিবারিক অসচ্ছলতায় কারনে তার চিকিৎসা ব্যয়ভার চালানো তার পরিবারের পক্ষে অত্যান্ত কষ্টকর বলে জানা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, অপরিমিত চিকিৎসায় ফলে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর স্বর্ণা'র রোগ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। 

 বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের সাধারন সম্পাদক, সমাজকর্মী ইঞ্জি. সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল এর বরাতে শিক্ষার্থীর ব্যাধির ভয়াবহতার খবর পেয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থী স্বর্ণাকে দেখতে ছুটে আসেন সমাজ সেবক মোঃ ইউসুফ আলী দেওয়ান। তার সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে অসুস্থ  শিক্ষার্থী স্বর্ণাকে দেখতে আরও ছুটে আসেন ভবেরচর ইউনিয়ন এর মানবিক সকল শিক্ষকবৃন্দ।

 শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন (ইংরেজি), সহকারি শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল (একাউন্টটিং), সহকারি শিক্ষক শাহাদাত হোসেন সরকার (ব্যবস্থাপনা), ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক  মনিরুজ্জামান লিটন।

এসময় উপস্থিত সকল শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য, সমাজকর্মী, মানবিক নেতৃবৃন্দ সকলেই অসুস্থ শিক্ষার্থী স্বর্ণা'র আরোগ্য কামনা করে। সে যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার ক্লাস কার্যক্রমে ফিরে পারে এমনটাই সকলে প্রত্যাশা করেন।


আরও খবর



৫ শতাধিক ব্যক্তির রয়েছে একাধিক এনআইডি!

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সারাদেশে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক বেশি ব্যক্তির কাছে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, সারাদেশে পাঁচশোর বেশি ডাবল এনআইডি রয়েছে। আগামী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পারবেন। ১৩ কোটির বেশি তথ্য একটা একটা করে খোঁজা সম্ভব নয়। কেউ যদি তথ্য দেয় আর আমরা যদি দেখতে পাই তাহলে ব্যবস্থা নিই।

এনআইডির ডিজি বলেন, জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পর্যায়ে এনআইডি সংশোধনের যে ক্ষমতা ছিল সেটা জেলা কর্মকর্তাকেও দিচ্ছি। মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে যৌক্তিক আবেদনগুলো কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে। কমিশন ও সচিবালয় মিলে মানুষেকে দ্রুত সেবা দিতে চাই। আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন ঝুলে আছে। এগুলো যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি সেজন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মাঝেও একটু ক্ষমতা পরিবর্তন করছি, যেন সেবাদান সহজ হয়। আমাদের আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা মনিটরিং করছি। অনেকেই হয়তো ক্যাটাগরি ঠিকমতো করছে, কেউ কেউ করছে না।

প্রবাসীদের এনআইডি প্রাপ্তির বিষয়ে এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রবাসী ভোটার আমরা অস্ট্রেলিয়ায় চালু করেছি। সেখানে নিয়মিত ভোটার হচ্ছে। এখন আটটটি দেশে চলছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ কানাডায় শুরু হবে। তখন নয়টি দেশ হবে। অন্য দেশগুলোতে চালু করার ক্ষেত্রে যে সমস্যা হচ্ছে সেটা দূতাবাসে জায়গার অভাব।

তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করব। সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান করে যেন ৪০টি দেশে কার্যক্রম (প্রবাসী ভোটার) এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমরা গত কয়েক মাসে সাত-আটটি দেশে করতে পারলে ভালো হতো। এ মাসের শেষ নাগাদ আরেকটু অগ্রগতি হবে বলে আশা করি।


আরও খবর



টানা ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে। সেই সঙ্গে এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে— এ অবস্থায় আজ শনিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এ ছাড়া আগামীকাল রবিবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী সোমবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপামাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

পরদিন মঙ্গলবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

এ ছাড়া আগামী বুধবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এ দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্ক বলা হয়েছে, এ সময় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর