Logo
শিরোনাম

ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঢাকায় শনাক্ত হয়েছে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। গত তিন মাসে আটজনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা গেছে। গত বছরও পাঁচজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত।

বুধবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, জিকা ভাইরাস দেশে প্রথম ২০১৪ সালে শনাক্ত হয়। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক।

গবেষকরা বলছেন, জিকার পাশাপাশি ঢাকা শহরে এখন চিকুনগুনিয়ায় অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এর অর্থ ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়া—এই তিন রোগে ঢাকা শহরের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ তিনটি ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কাছের সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করাতে হবে।

জিকা ভাইরাসের দুটি ধরন আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। একটি আফ্রিকান অন্যটি এশিয়ান। আইসিডিডিআরবি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের পাওয়া জিকা ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ধরনটি এশিয়ান।


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় পেয়ারা, ড্রাগন, মাল্টা ও কমলা চাষে সফল হারুন অর রশীদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার:

নওগাঁয় পেয়ারার পাশাপাশি ড্রাগন, মাল্টা ও কমলা চাষে

সফল হয়েছেন কৃষক উদ্যোক্তা হারুন অর রশীদ। তিনি ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। কৃষিতে তেমন আয় না হওয়ার কারনে এক সময় কৃষি কাজ ছেড়ে ফলদ বাগান তৈরির উদ্যোগ নেন তিনি। বাড়ির পাশের জমিতেই প্রথমে গড়ে তোলেন পেয়ারার বাগান। সফলও হোন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পেয়ারা চাষে সফলতা পেয়ে বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন। সেই সাথেই একের পর এক যুক্ত করেন ড্রাগন, মাল্টা, কমলা ও আঙ্গুরের। মাল্টার বাগানে নতুন করে রোপণ করেছেন পেয়ারা ও আম গাছের চারাও। এছাড়া বাগানের উত্তরদিকে পলিনেট হাউজে চাষ করছেন বিষমুক্ত সবজিও। ফলদ বাগানে সফল এই চাষির নাম হারুন অর রশীদ। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাগানে সফলতা পেয়ে তিনি তার একমাত্র ছেলে খালেকুজ্জামান রাজীবকেও এই পেশায় দক্ষ করে তুলেছেন। এখন তার বাগানে রয়েছে ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারা ও কমলার গাছ। অন্য বাগানগুলোতে ফল না থাকলেও মাল্টার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা। চাষি হারুন অর রশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি কাজে তেমন সফলতা পাচ্ছিলেন না। ধান, পাট, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে অধিকাংশ অর্থই ব্যয় হয়ে যেত শ্রমিক ও কীটনাশকে। সেই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এক সময় ফসল চাষ বাদদিয়ে পেয়ারার বাগান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে বাধা আসলেও পাত্তা দেননি। অল্প দিনেই সফলতা পেয়ে যান। এরপর বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন। বর্তমানে এই চাষির ৮বিঘা জমিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ বাগান। চাষি হারুন অর রশীদ আরো বলেন, বর্তমানে ৩বিঘা জমিতে ড্রাগনের বাগান রয়েছে। শুধু এই বাগান থেকে এ বছর ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন তিনি। দাম কম না হলে বিক্রির পরিমাণ আরও বেশি হত। এছাড়া ১বিঘা ১৫ কাঠা জমিতে মাল্টা, ২বিঘা জমিতে কমলা ও ১ বিঘা জমিতে পেয়ারার বাগান গড়ে তুলেছেন। অনেক এলাকায় ধর্ণা দিয়ে বাগানের জন্য উন্নতমানের চারা সংগ্রহ করতে হয় তাকে। সফল এই চাষি আরো বলেন, টেলিভিশন ও ইন্টারন্টের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব ফসল উৎপাদনে পলিনেট হাউজের বিষয়ে জানতে পারি। এরপর দফায় দফায় যোগাযোগ করি উপজেলা কৃষি অফিসে। আমার আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পলিনেট হাউজ তৈরিতে সহায়তার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিভাগে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১৫ কাঠা জমিতে এই পলিনেট হাউজটি তৈরি করে দেয়। শুরুতে মুলা, গাঁজর, ধনিয়া, পালং ও লাল শাকসহ কয়েক ধরনের সবজির চাষ করা হয়েছিল। পলিনেট হাউজটি পরিবেশ বান্ধব। পোকা- মাকড়ের আক্রমণ নেই। তাই এখানে উৎপাদিত সবজিতে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, পলিনেট হাউজ উন্নত মানের পলিওয়েল পেপারে আবৃত চাষযোগ্য কৃষি ঘর। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এই প্রযুক্তি প্রয়োগে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে বছর ব্যাপি উচ্চমূল্যের ফসল ফলানো যায়। এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগেও নিরাপদ ও অক্ষত থাকে। কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না তাই এখানে উৎপাদিত সবজি বিষমুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। কৃষক হারুন অর রশীদ একজন সফল চাষি ও উদ্যোক্তা বলেও জানান ঐ কর্মকর্তা।


আরও খবর



নওগাঁয় শীর্তাত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নওগাঁয় অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার ৭ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে নওগাঁ সদর উপজেলা অডিটেরিয়ামে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ৫শ' অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। 

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে প্রাপ্ত শীতবস্ত্র নওগাঁ বাংলাদেশ সংযুক্ত ফেডারেশন ও বহুমূখী শ্রমিক ফেডারেশনের ৫ শত অসহায়, দুঃস্থ ও শীর্তাত শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম রবীন শীষ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা আশেকুর রহমান, সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা প্রকৌশলী মাহবুব রহমান প্রমূখ।


আরও খবর



বায়ুতে আয়ু টান : অ্যাকশনের এখনই সময়

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মোস্তফা কামাল :

বায়ুদূষিত শহরের তালিকায় অবিরাম ঢাকার শীর্ষত্ব অটুট আবারও। এর মাঝে রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতির সংযোগ নেই। একেবারেই অরাজনৈতিক। রোগাক্রান্ত রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, দলীয়-অদলীয় সব মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের জন্যও ভীষণ ক্ষতিকর।

আশপাশের খবরও ভালো নয়। সর্বশেষ শনিবারের তথ্য বলছে, বিশ্বের ১২৬টি শহরের মাঝে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয়তে উগান্ডার কাম্পালা শহর। শীর্ষ চারে নেমে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি পাঁচে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ। সেই হিসাবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস পরপর দুদিনই খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বায়ুমানের অবনতির ব্যাপকতা বাড়ছেই। গত বছর থেকে বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত। শীতকালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বরাবরই বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় বিশেষত শীতকালে দূষণের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের নজরে ধরা পড়েছে ঢাকার বাতাসে দূষণের প্রধান কারণ বা উৎস অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম .)

বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি তৈরি করে। এর চেয়ে বড় কথা বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর কত মানুষের মৃত্যু হয়, সংক্রান্ত তথ্য আমাদের নেই। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে গত বছরের নভেম্বরে একটি সমীক্ষা দিয়েছিল ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-বিএমজে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে মৃত্যু হয় ৬৭ লাখ মানুষের।

রাজনৈতিক-রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক-সামাজিক নানা বাস্তবতায় ঢাকা বা অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ নিয়ে আমাদের ভাবনার সময় কই! এই বাতাসে যে বুকভরে শ্বাস নিতে পারছি না, এজন্য আমরা নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে দায়ী করতে অভ্যস্ত। অনেকে জানিও না শ্বাসের সঙ্গে যেসব দূষিত বায়ু দেহে ঢুকে তা আয়ুতে টান ফেলে কোন গন্তব্যে নিয়ে ঠেকাচ্ছে আমাদের! ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নিতে বলা হয়েছে। নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরনো ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতেও বলা হয়েছে।

বাস্তবে কে শোনে কার কথা! এসব নির্দেশনা বা ডাকদোহাইর খবর আমরা অনেকে জানিও না। বায়ুদূষণ ত্বকের কী ক্ষতি করে তা নিয়ে নতুন এক গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্কের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম১০) অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম .)-এর মাত্রা বাড়লে তা ত্বকের রন্ধ্র দিয়ে ঢুকে ত্বকের বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরি করে। বিশেষ করে সোরিয়াসিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগের বৃদ্ধি ঘটায়। বায়ুদূষণ সোরিয়াসিস রোগীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এমনকি করোনাও আমাদের দমাতে পারেনি। ত্বক বা নিঃশ্বাস সমস্যা আর কী করবেÑ এমন একটি মনমানসিকতা অনেকেরই।

সরকারের দিক থেকেও বায়ুদূষণকে মোস্ট প্রায়োরিটিতে নেওয়ার লক্ষণ নেই। মানুষের কাছেও বুকভরে শ্বাস নেওয়ার বাইরে আরও কত বিষয়। পরিবেশকর্মীরা কিছু কর্মসূচি পালন করলেও সেগুলো পত্রিকায় সিঙ্গেল কলাম বা ব্যাক পেজের নিউজ। আর টেলিভিশনে জায়গা সেকেন্ড পার্টে বা খুচরা নিউজের সঙ্গে। ঢাকাকে বায়ুদূষণমুক্ত করতে চাইলে সরকারকে এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার উৎকৃষ্ট সময়। রাজনৈতিক বা দলীয় সরকারের জন্য তা একটু জটিল। তারা সমস্যা স্বীকারই করতে চায় না, যদি না দলীয় কারও ক্ষতি হয়ে যায়! ইটভাটা, যত্রতত্র কল-কারখানা, গ্যারেজগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। যে কারণে পরিবেশ নিয়ে কথা বলা ব্যক্তিরাও ক্ষমতায় গেলে তা চেপে যান। এখন কিন্তু পরিবেশ নিয়ে কাজ করার মহাসুযোগ।

ঢাকার বায়ুদূষণের একটা বড় উৎস নির্মাণকাজ। ইটভাটা, কারখানা, যানবাহন, বর্জ্য পোড়ানো থেকে বায়ুদূষণ হচ্ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দূষিত বায়ুতে থাকার কারণে বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বছর মাস কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে ২০১৯ সালে অন্তত ৭৮ হাজার ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির দশমিক শতাংশ ক্ষতি করছে। বায়ুদূষণ দূর করা সময়সাপেক্ষ হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বায়ুমানের দুর্যোগপূর্ণসময়ে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। নিয়ম-কানুনের তদারকি চালু করতে পারে শক্ত হাতে। কারণ বাদ সাধার হোমচোমড়ারা এখন মাঠে নেই।

আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো এলাকায় পরপর দিন ঘণ্টা বায়ুর মানসূচক ৩০০ বেশি থাকলে ওই এলাকায় বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এটা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা উভয়ে মিলে নিতে পারে। এই জরুরি অবস্থার সময়ে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা, দূষণকারী শিল্পকারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ, যান চলাচলে কঠোরতা জারি এবং স্বাস্থ্যগত সহায়তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বায়ুমান ৩০০-এর বেশি হলেই তা দুর্যোগপূর্ণ হয়।

আর পরপর তিন দিন টানা তিন ঘণ্টা করে দূষণ পর্যায়ে থাকলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার রীতি আছে। এসব রীতি জরুরি বিবেচনায় প্রচলন শুরুতে দৃশ্যত কোনো বাধা নেই। বলা হয়ে থাকে, ‘উন্নয়নপরিবেশ রক্ষাদুটি বিপরীত শব্দ। উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের ক্ষতি হবেই। ফলে বিশে^ উন্নত উন্নয়নশীল দেশসমূহে দূষণ বেশি! তবে সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলংকা, লাওস, ভুটান, ইন্দোনেশিয়ার মতো অনেক দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উন্নতি করেছে। তবে পৃথিবীব্যাপী এখন দূষণকে দেখা হচ্ছেবিপর্যয়হিসেবে।

প্রকৃতির বাইরে মানবসৃষ্ট নানা কারণে পরিবেশ দূষণের প্রতিকার চাইলে বাংলাদেশে এর চেয়ে জুতসই সময় আর আসবে, সেই আশা নেই। শিল্প-কলকারখানার ময়লা বর্জ্য পদার্থ, জমিতে অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশক সারের ব্যবহার, যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের সূচনাটা অন্তত শুরু হোক। ইটভাটার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ুসহ গোটা পরিবেশের কী সর্বনাশ করছে তা নতুন করে প্রচারের আর দরকার নেই। তা কমবেশি সবারই জানা। বিষয়ের একজন সংশ্লিষ্ট কীর্তিমান উপদেষ্টা তো আছেনই।

 বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ, মাটিদূষণ, পানিদূষণ, বর্জ্যদূষণ তার ভালো করেই জানা। নিয়ে অনেক কাজের স্বাক্ষর রয়েছে তার। তাই নতুন সচেতনতা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে পদক্ষেপ। তার হাত দিয়ে অন্তত মহরতটা হয়ে যাক না। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করেই এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা পরিবেশ ধ্বংস করতে করতে এমন একটা সময় আসবে যখন থাকবে শুধু অপরিকল্পিত উন্নয়ন, দূষণ আর রোগগ্রস্ত জীবন। তখন কোনো কিছুর বিনিময়ে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সুস্থ জীবনযাপন করা বাস্তবতা সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে।

মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক-কলাম লেখক; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প, বাণিজ্য ও আর্থিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র লস অ্যাঞ্জেলেস। বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানলে ইতোমধ্যেই ১২০০ একরের কেশি এলাকা পুড়ে গেছে।

এছাড়া আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে বহু বাড়িঘর ও গাড়িও। পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১৩ হাজার ভবন আগুনের হুমকির মুখে রয়েছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ১০ একর থেকে শুরু হয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১২০০ একরের বেশি এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ফায়ার চিফ ক্রিস্টিন ক্রাউলি বলেছেন, ৩০ হাজারেরও বেশি লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং ১৩ হাজার ভবন আগুনে পুড়ে যাওয়ার হুমকির মধ্যে রয়েছে।

দাবানলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্যাসিফিক প্যালিসেডেস এলাকায় আগুন জ্বলছে এবং বাসিন্দারা আগুন থেকে বাঁচতে তাদের গাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং ঘণ্টায় ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) গতির দমকা বাতাস এবং অবিশ্বাস্যভাবে শুষ্ক অবস্থার কারণে আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি ফায়ার চিফ অ্যান্থনি মারোন বলেছেন, প্যাসিফিক প্যালিসেডস এখনও “বিপদমুক্ত নয়”। ক্যালিফোর্নিয়ায় লাখ লাখ মানুষ রেড অ্যালার্টের অধীনে রয়েছে, যার অর্থ সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার চরম বিপদ রয়েছে।

এমন অবস্থায় দাবানল আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাতে এই আগুন আরও তীব্র হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



নওগাঁয় রাতের অন্ধকারে গ্রাফিতির উপর লিখা "জয় বাংলা" মুছে দিলো ছাত্রদল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগষ্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সেদিন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল দেশের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ। এ আন্দোলনে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। সে সময় অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। আর এসব হতাহতের ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রং-তুলি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে ছবি, গ্রাফিতি ও লেখনিতে তুলে ধরে ছাত্রজনতা। রাতের আধারে সেই গ্রাফিতির উপর কে বা কাহারা "জয় বাংলা" লিখেন। গ্রাফিতির উপর "জয় বাংলা" লেখা মুছে দিলো ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হঠাৎ করে গত দু'দিন থেকে নওগাঁ শহরের কেডির মোড় ও মুক্তির মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ের দেয়ালে যেখানে ছাত্রদের গ্রাফিতি অঙ্কন করা ছিল সেখানে ‘জয় বাংলা’ লেখা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই স্লোগানটি লেখেন। এরপর সে গুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। গত সোমবার দুপুরে সেই ‘জয় বাংলা’ লিখা গুলো স্প্রে পেইন্ট ব্যবহার করে মুছে দেন নওগাঁ জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও জিয়া সাইবার ফোর্স। এসময় নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন মুক্তার, জিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ এমরান হোসেন, সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম পারভেজ, শ্রমিক দল নওগাঁ সদর থানার সভাপতি আরিফুল হক রানাসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্স এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন মুক্তার বলেন, ছাত্রজতার গ্রাফিতির উপর রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা "জয় বাংলা" লিখেছে। এই "জয় বাংলা" যারা কায়েম করার চেষ্টা করছে তাদেরকে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা আর কখনোই বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে পারবে না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫টি বছর দেশকে গুজবে পরিণত করেছে। উন্নয়নের নামে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। গত ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের কাঁধে ভর করে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করছে। বাংলার মাটিতে তা কখনো বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।


আরও খবর