Logo
শিরোনাম

ঢাকায় কনসার্টের পরেরদিন মাকে হারালেন মোনালি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক :

ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুরের মা মারা গেছেন। ১৮ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে মোনালির মা মিনতি ঠাকুরের।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোনালি ঠাকুরের মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার বড় বোন মেহুলি ঠাকুর। শুক্রবার (১৭ মে) মেহুলি ফেসবুকে লেখেন, ‘শিকল ছিঁড়ে গেছে...অবশেষে কষ্টের অবসান...। বেলা ২টা বেজে ১০ মিনিটে মা স্থির হয়ে গেছে।’

ইনস্টাগ্রামে মায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে মোনালি ঠাকুর লিখেছেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়াই করব মা, এই একাকিত্ব এই যন্ত্রণা বড্ড অসহায় লাগছে। কিন্তু এবার সময় এসে গেছে, তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকে এবং তৈরি হতে হবে।


আমার মাকে শান্তি দাও ঈশ্বর এবং আমাকে সাহায্য করো। এখন মাকে ছাড়া আমার জীবনটাই বা কীভাবে কল্পনা করব। আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না।’

এদিকে মায়ের মৃত্যুর একদিন আগে ঢাকায় কনসার্ট করে গেছেন মোনালি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কলকাতা থেকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এক গানের অনুষ্ঠান অংশ নেন এই শিল্পী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে গান শোনানোর কথা ছিল তার। আগেই চুক্তি সেরেছিলেন গায়িকা। তাই আর না করতে পারেননি। কথা রেখে ঢাকায় এসে মঞ্চে পারফর্ম করে গেছেন।

তার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার একটি কনসার্টে মোনালি ঠাকুর গান গাইছেন তার মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার খবর পাওয়ার পরেও। আর সেখানেই তিনি তার মাকে উদ্দেশ্য করে গেয়েছেন।

বিষন্ন মনে মোনালির কণ্ঠে শোনা যায় রবীন্দ্রসংগীত। যেখানে মাকে উদ্দেশ্য করে এই সংগীতশিল্পী গাইলেন ‘তুমি রবে নীরবে’। গাইতে গাইতে গলা বুজে আসে গায়িকার। কেঁপে যায় গলা। তবুও গান থামান না তিনি।


আরও খবর



দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দাবি করা হয়েছে, নেতানিয়াহুর বিমানটি অধিকৃত অঞ্চলের বাইরে অজানা স্থানে চলে গেছে। ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অজানা স্থানে, সম্ভবত গ্রিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার হিব্রু সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২-এ খবর জানিয়েছে। তেল আবিব থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

গতকাল ভোর থেকে ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের আশপাশে এবং অন্যান্য শহরে ধারাবাহিক সামরিক হামলা শুরু করে। এরপর ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিশোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অবস্থায় নেতানিয়াহুর অজানা স্থানে চলে যাওয়ার খবর এলো।

ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার প্রতিবেদন অনুসারে, চ্যানেল-১২ নেতানিয়াহুর বিমানের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, দুটি যুদ্ধবিমান তাকে পাহারা দিয়ে ইসরাইলি অঞ্চলের বাইরে একটি অজানা স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।

পরে আরেক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নেতানিয়াহুকে বহনকারী বিমানটি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবতরণ করেছে।


আরও খবর



অদৃশ্য মহামারি থ্যালাসেমিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে রেজিস্ট্রারভুক্ত থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা অনেকটা অদৃশ্য মহামারিতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসা ব্যয়ের ভার এতটাই বেশি যে, সব রোগীর জন্য সেবা দিতে বছরে প্রয়োজন অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা। অথচ রোগটি শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য— যদি সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা নিশ্চিত করা যায়।

আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসায় প্রতি মাসে একজন রোগীর খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে দেশে প্রায় এক লাখ রেজিস্ট্রারভুক্ত রোগী রয়েছে, যাদের চিকিৎসায় বছরে ব্যয় হচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা। আর প্রকৃত রোগী সংখ্যার ভিত্তিতে হিসাব করলে এই ব্যয় দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ যার ব্যয়ে কোনো উদ্বৃত্ত নেই। এর চিকিৎসা ব্যয় শুধু বাড়তেই থাকে। সমস্যা আরও গভীর হয় যখন দুইজন বাহক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সন্তান জন্ম দেয়, যেটি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহন করে। একমাত্র সমাধান হলো সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা। আমি নিজে এই বিষয়ে সামাজিকভাবে কাজ শুরু করব এবং আমার তিনটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি জায়গায় এই রোগ নিয়ে আলোচনার আয়োজন করব।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক। তিনি বলেন, বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া বাহক শনাক্তকরণ বাধ্যতামূলক হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই রোগ থেকে রক্ষা পাবে।

শিশু হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এটি প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ, কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে প্রতিদিনই নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এই রোগীদের নিয়মিত রক্ত প্রয়োজন। তাই নিরাপদ রক্তের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাও জরুরি, যাতে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে নতুন কোনো রোগ ছড়িয়ে না পড়ে।



আরও খবর



ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বিদায় নিলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে বিদায় জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প; এ সময় মাস্কও উপস্থিত ছিলেন।

মাস্কের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ইলন এক কথায় দুর্দান্ত। তিনি প্রশাসনে আসার পর অক্লান্তভাবে কাজ করে গেছেন এবং তিনি ছিলেন বলেই আমরা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রশাসনে ব্যাপক ও ফলপ্রসূ পরিবর্তন আনতে পেরেছি। তিনি না থাকলে হয়তো এই পরিবর্তন আনতে কয়েক প্রজন্ম লেগে যেতো।”

“আজ তিনি বিদায় নিচ্ছেন; কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে এটি সত্যিকারের বিদায় নয়। তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও কোনো না কোনোভাবে আমাদের সংস্পর্শে থাকবেন। এখনও তার অনেক কিছু করার আছে।”

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন মাস্ক। নির্বাচনে জয়ের পর মাস্ককে নিজের পরামর্শক ও উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর মাস্ককে নবগঠিত সরকারি বিভাগ বা মন্ত্রণালয় ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডজ)-এর প্রধান করেন ট্রাম্প। এই বিভাগের প্রধান কাজ ছিল সরকারি ব্যয় সংকোচন এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি।

মাস্ক ডজের প্রধান নির্বাহী হওয়ার পর কয়েক মাস ধরে সরকারি অর্থ অপচয় রোধের নামে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়, স্থগিত করা হয় প্রায় সব ধরনের বৈদেশি সহায়তা প্রদান, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থাতেও সরকারি ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এসব কারণে স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে একাধিক আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চাকরিচ্যুত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ সহায়তা প্রদান স্থগিত করায় দেশের ভেতরেও সমালোচনায় বিদ্ধ হতে থাকে ট্রাম্প প্রশাসন।

মাস্কের নিয়োগ নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের এমপিদের একাংশ এবং ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির নেতা-কর্মীদের একাংশ অসন্তুষ্ট ছিলেন। কংগ্রেস এখনও ডজকে সরকারি বিভাগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।

এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল মাস্কের। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বিল স্বাক্ষরকে ঘিরে নতুন তিক্ততা সৃষ্টির অবস্থা দেখা দেয়। মাস্ক প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করেন।

নাগরিকদের কর মওকুফ এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত ওই বিলটি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প ঘোষণা করেন, যে তিনি একটি ‘বড় ও সুন্দর’ বিলে সাক্ষর করেছেন। কিন্তু এর পরের দিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক সেই বিলের সমালোচনা করে বলেন, “‘‘এটা একটা বিশাল খরচের বিল। আমরা সরকারের খরচ বাঁচাতে, অপ্রয়োজনীয় খরচে কাটছাঁট করতে এত দিন ধরে ডজ-এর আওতায় যা যা কাজ করলাম, এই বিল সেসব ব্যর্থ করে দেবে। আর আমার মনে হয়, একটা বিল হয় বড় হতে পারে, অথবা সুন্দর। দুটো একসঙ্গে হতে পারে বলে আমার মনে হয় না।”

পরে পৃথক এক সাক্ষাৎকারে ওয়াশিংটন পোস্টকে মাস্ক বলেন, তিনি তার পুরোনো কাজে ফিরে যেতে চান এবং ব্যবসায় মন দিতে চান।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে মাস্ক বিশ্বের তিনটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির মালিক— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাাণকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং নভোযান এবং মহাকাশ গবেষণা কাজে ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কোম্পানি স্পেসএক্স।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে মাস্ক বলেন, “আমি মনে করি, ডজ টিম তার গত কয়েক মাসের কাজে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



লস অ্যাঞ্জেলেস উত্তাল, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানের জেরে টানা দুই দিন ধরে এই বিক্ষোভ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টম হোম্যান শনিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসকে নিরাপদ করব।’ খবর বিবিসির

লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থানীয় সময় গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হয়। বিশেষ করে লাতিন-অধ্যুষিত একটি ডিস্ট্রিক্টে অভিযানে গেলে স্থানীয় লোকজন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান।

আইসিইর অভিযানে এ সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ১১৮ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জন আটক হয়েছেন গত শুক্রবার। যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট-দলীয় গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এ অভিযানকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব অভিযান যুক্তরাষ্ট্রে ‘অবৈধ অপরাধীদের’ অনুপ্রবেশ বন্ধ ও তাদের প্রতিহত করার জন্য অপরিহার্য।

লস অ্যাঞ্জেলেসের এখনকার পরিস্থিতিতে যেকোনো সহিংসতা কিংবা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করার চেষ্টায় ‘জিরো টলারেন্স’ দেখানোর ঘোষণা দিয়েছেন টম হোম্যান।


আরও খবর



৩০টি বড় অর্থপাচার মামলার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশ থেকে বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে চলতি বছরের মধ্যে ৩০টি বড় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার লিটিগেশন ফান্ড সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর।

লন্ডনের খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ডিএলএ পাইপার এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে বিশ্বখ্যাত লিটিগেশন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠান ও তদন্ত কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডনে চার দিনব্যাপী সরকারি সফর সম্পন্ন করেছেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন, যা দেশের সম্পদ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গভর্নর মূলত প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডনে যান। তবে তিনি স্বতন্ত্রভাবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, গোলটেবিলে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ওমনি ব্রিজওয়ে, বেঞ্চওয়াক ক্যাপিটাল, আলভারেজ অ্যান্ড মার্সাল এবং ইউনিটাস গ্লোবাল।

অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে চুক্তি (এনডিএ) স্বাক্ষর করে ঋণ খেলাপি ও পাচার হওয়া সম্পদের তথ্য বিনিময় শুরু করার ওপর জোর দেন, যাতে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ত্বরান্বিত করা যায়।

গভর্নর ড. মনসুর আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক চায় এই মামলাগুলোর মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনতে। তিনি প্রস্তাব করেন, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের মতো প্রধান অর্থপাচার গন্তব্য দেশে মামলা পরিচালনার জন্য একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) গঠন করা যেতে পারে, যা সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।

গভর্নরের এই ঘোষণাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শুধু দেশের আর্থিক খাত নয়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নতুন একটি মাত্রা ছুঁতে যাচ্ছে।

এ সফর ও রাউন্ড টেবিল আলোচনার পর আন্তর্জাতিক লিটিগেশন ফান্ডিং ও তদন্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১১ জুন গভর্নর ড. মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) পরিদর্শন করেন এবং আইএসিসিসি প্রধান ড্যানিয়েল মারফিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গভর্নর বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার টাস্কফোর্সের সঙ্গে আইএসিসিসির চলমান সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং ১১টি অগ্রাধিকার সম্পদ পুনরুদ্ধার মামলায় গঠিত যৌথ তদন্ত দলের (জেআইটি) কারিগরি সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ১৭০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ এবং সম্প্রতি বেক্সিমকো গ্রুপের শায়ান রহমান ও শাহরিয়ার রহমানের ৯০ মিলিয়ন ডলার সম্পদের জব্দকরণ বাংলাদেশের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার একটি বড় অর্জন। গভর্নর আশা প্রকাশ করেন, এই পদক্ষেপ অন্যান্য অর্থপাচার গন্তব্য দেশগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে।

এনসিএ সফরের পর গভর্নর লন্ডনে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ডিএলএ পাইপার আয়োজিত একটি গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। আলোচনায় ওমনি ব্রিজওয়ে, বেঞ্চওয়াক ক্যাপিটাল, আলভারেজ অ্যান্ড মার্সাল এবং ইউনিটাস গ্লোবালসহ বহু বৈশ্বিক তদন্ত ও লিটিগেশন ফান্ডিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে চলতি বছরের মধ্যে ৩০টি বড় মামলা চালাতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের লিটিগেশন ফান্ডিং সংগ্রহের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে গোপনীয়তা চুক্তি (এনডিএ) সই করে তথ্য বিনিময় ও সম্পদ শনাক্তকরণের কাজ শুরুর আহ্বান জানান।

গভর্নর এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোতে মামলার জন্য একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) গঠন করা হলে তা সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঝুঁকিও কমাবে।


আরও খবর