Logo
শিরোনাম

ঢাকায় পৌঁছেছেন রোনালদিনহো

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ঢাকায় পৌঁছেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রোনালদিনহো। বুধবার বিকেল তিনটার পর কলকাতা থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ব্রাজিল কিংবদন্তি।

বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে হোটেল রেডিসনে যাবেন তিনি। অভিজাত হোটেলটি রোনালদিনহোকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত। ব্যানার, বোর্ড দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে রেডিসন।

রেডিসনে বিশ্রাম নিয়ে তিনি সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে গণভবনের উদ্দেশে রওনা হবেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে ব্রাজিল কিংবদন্তির। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন রোনালদিনহো।

এ ছাড়া জাতীয় পুরুষ ও নারী দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সাবিনা খাতুনের সঙ্গে দেখা করবেন। গুঞ্জন রয়েছে, ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও সাক্ষাৎ করবেন রোনালদিনহোর সঙ্গে।

গত ৩ জুলাই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়েনো মার্টিনেজ বাংলাদেশে এসেছিলেন। মার্টিনেজকে ঢাকায় এনেছিলেন ভারতের স্পোর্টস প্রমোটার শতদ্রু দত্ত। তিনিই রোনালদিনহোকে ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। যদিও মার্টিনেজের মতো রোনালদিনহোর সফরসূচি নিয়েও সাংবাদিকদের মাঝে ধোঁয়াশা রয়েছে।

রোনালদিনহোর ঢাকা সফর নিয়ে কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে তার সঙ্গে কাজ করছেন এমন একজন বাংলাদেশি মেহেদী জামান সনেট। তিনি রোনালদিনহোর ঢাকার কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, মূল অনুষ্ঠানটা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হবে। মধ্যরাতেই তার বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা।


আরও খবর

বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসছেন পাঁচ মার্কিন বিশেষজ্ঞ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পাঁচজন বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বাংলাদেশে ছয় থেকে আট সপ্তাহ অবস্থান করবেন। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সহিংস ঘটনার মূল্যায়ন করবেন। ২১ নভেম্বর কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) গত সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠিতে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পাঁচজন বিশেষজ্ঞ পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

চিঠিতে এনডিআই ও আইআরআই ইসিকে জানিয়েছে, বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে চারজন বিশেষজ্ঞ এবং একজন বিশেষজ্ঞ সমন্বয়কারী পাঠানো হবে। তারা বাংলাদেশে ছয় থেকে আট সপ্তাহ কাজ করবেন। তারা নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।

চিঠিতে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেছেন এনডিআইয়ের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় কর্মসূচির পরিচালক জেমি স্পাইকারম্যান এবং আইআরআইয়ের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক স্টিফেন চিমার।

এতে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ মিশনের কাজ হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার জন্য কারা দায়ী, তার প্রভাব মূল্যায়ন করা। ভবিষ্যতে নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা কমাতে ওই মিশন প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে। এনডিআই ও আইআরআইয়ের বিশেষজ্ঞরা তাদের মূল্যায়ন জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন। পাশাপাশি ইসিতে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

কূটনৈতিক সূত্রে আরো জানা যায়, বিশেষজ্ঞরা নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সহিংসতার ঘটনা মূল্যায়ন করবেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের মধ্যে সহিংসতা, অন্তর্দলীয় কোন্দলের কারণে সহিংসতা, নারী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সহিংসতা, অনলাইনে হয়রানি ও হুমকি ইত্যাদি বিষয় তারা খতিয়ে দেখবেন। এসব পরিস্থিতিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাও মূল্যায়ন করবেন।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি না : টিআইবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশেষ প্রতিনিধি :

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। 

এ পর্যবেক্ষণে আমাদের ধারণা হচ্ছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বলতে যা বোঝায়, তা আমরা এবারো দেখতে পাচ্ছি না।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার: টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হয়তো এই নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ক্ষমতায় কারা অধিষ্ঠিত থাকবেন সেটিও নির্ধারণ করার সুযোগ হবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে জনগণের ভোটের অধিকারের যে নির্বাচন সেটি নিশ্চিত করা যাবে না। 

এই নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা বা ভোটের ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে বলে মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে বহাল থাকায় নির্বাচনে দলীয় বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যখন একটি দল ক্ষমতায় নির্বাচিত হয়, সেই দলটি দেশের সরকার হিসেবে নির্বাচিত হয়। তখন সেই সরকার আর কোনো দলের সরকার থাকে না। 

কিন্তু সেই সরকারের প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে প্রতীকী অর্থে হলেও সবার সরকারপ্রধান হিসেবে বা সব দলের সরকার হিসেবে নিজেকে তার ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়। 

সংসদের স্পিকারের ক্ষেত্রেও একই কথা। স্পিকার যখন নির্বাচিত হন তখন আর কোনো দলের প্রতিনিধি থাকেন না। তখন তিনি সব এমপির স্পিকার।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে পরবর্তী ৫২ বছরে দারিদ্র বিমোচন, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

 তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। স্বাধীনতার পরে বিভিন্ন সময়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে।

 দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট দ্বারা একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়।

 রূপরেখায় স্বাক্ষর করার মাধ্যমে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ, সার্বভৌম সংসদ গঠন, জবাবদিহিমূলক নির্বাহী বিভাগ প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিল।

 পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার ঘাটতির ফলে বারবার গণতান্ত্রিক পথ থেকে বিচ্যুতি ও নির্বাচনকালীন সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনসহ তথ্য অধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে নয়টি ক্ষেত্রে ৭৬টি সুপারিশ করেছে টিআইবি।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ৪

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে পৃথক ঘটনায় একরাতে গুলিতে তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উখিয়া ১৭ নম্বার মধুর ছড়া ও জামতলির ১৫ নম্বার ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতরা হলেন- উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/-এর কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৭), ক্যাম্প-১৭-এর আবুল বশরের ছেলে আবুল কাসেম (৩০), ক্যাম্প- ইস্ট ব্লক-জি/১২-এর মনি উল্লাহর ছেলে ইমাম হোসেন (৩০) এবং ক্যাম্প-১৫ ব্লক জি/-এর মো. শফিকের ছেলে আনোয়ার সাদেক (১৭)

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন জানান, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চারজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্যাম্পের ব্লক জি৩ ও ব্লক-৭ এর খালি জায়গায় গুলি করে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এ সময় দুজন নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হন। তবে সন্ত্রাসীদের আরসা বললেও নিহত ও আহতরা রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) কিনা এ বিষয়ে কিছু বলেননি ওসি।

অন্যদিকে ১৭ নং ক্যাম্পে ঘটনা নিয়ে ওসি শামীম হোসাইন জানান, কথা আছে বলে ঘর থেকে কাশিমকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। তাকেও গুলি করে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা।

নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি শামীম হোসাইন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ৪নং ক্যাম্পে আরেকটি ঘটনায় গুলি করে হত্যা করা হয় এক যুবককে। তার নাম ইমাম হোসেন (৩০)। তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা জি-১২ ব্লকের মনি উল্লাহর ছেলে।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




মোংলায় কবর থেকে উঠানো হলো মাহে আলম’র মরদেহ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাগেরহাট প্রতিবেদক:

অবশেষে বহুল আলোচিত মোংলার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে।২০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় মোংলার পশ্চিম চিলা গ্রাম থেকে ৭ মাস ১০ দিন পরে মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হবে।  গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে মরদেহটি সমাহিত হয়েছিলো। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত করেছে লাশটি মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৮ নভেম্বর বুধবার এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ্ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোংলা মোঃ হাবিবুর রহমান’র উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোন করা হবে। লাশ উত্তোলনকালে আরো উপস্থিত থাকবেন মোংলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার দীপংকর দাশ, মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্ম সামসুদ্দীন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইমরান হোসেন, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন প্রমূখ। লাশটি উত্তোলন পূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছেন বাগেরহাটের আমলী আদালত।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,  হিলটন নাথ ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয়। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের কাছে অজ্ঞাতনামা লাশটি হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে দাকোপ (খুলনা) থানা এবং মোংলা (বাগেরহাট) থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে  নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ’গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ”ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা।” অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৭ মাস ১০ দিন পরে আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় লাশটি উত্তোলন করা হচ্ছে। মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন আদালত এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ ৭ মাস ১০ দিন পরে বাবার মরহে পেতে যাচ্ছি। সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি ও অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য’র সাথে জড়িত একটি মহল আমার বাবার খুন এবং লাশ গুম এর সাথে জড়িত বলে ধারনা করছি। আশা করছি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবেন।


আরও খবর



হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে ৭৮৬ এজেন্সি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে প্রথম পর্যায়ে ৭৮৬টি এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। ১৩ নভেম্বর প্রথম পর্যায়ে অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, প্রত্যেক হজযাত্রীর সাথে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক এজেন্সি সৌদি সরকার নির্ধারিত হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ করতে হবে।

অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেয়া যাবে না। যদি কোনো এজেন্সি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সি দণ্ডিত হলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানায়, প্রত্যেক এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স দাখিল করে পরিচালক হজের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। সৌদি সরকারের নির্ধারিত সংখ্যক হজ এজেন্সি সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।

যেসব এজেন্সির লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, ঠিকানায় ভিন্নতা রয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াধীন, সেসব এজেন্সির নাম প্রথম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার জন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। হজ এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সাথে সমন্বয় করে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে।


আরও খবর

হজ নিবন্ধনে নেই আশানুরূপ সাড়া

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩

খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণা

শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩