Logo
শিরোনাম

ধামরাই বিভিন্ন মাদ্রাসা এতিমখানার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ডালি পাড়া আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমেনা জামান বালিকা মাদ্রাসা মুস্তি বেপারি বালক এতিমখানা ও জহুরুন নেছা বালিকা এতিমখানার উদ্যোগে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া মোহ্তামিম হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ নাইমুল ইসলাম 

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আমেনা নূর ফাউন্ডেশন ও সভাপতি, আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান ( সি আই পি) বলেন আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, এই স্বাধীনতা এমনিতেই আসেনি এর জন্য অনেক রক্ত দিতে হয়েছে, ৩০ লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে বাংলার এই স্বাধীনতা।যার অবধানে এই দেশ স্বাধীন হন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভূমিকা ছিল বলেই আজ এই দেশ স্বাধীন হয়েছে তার জন্ম যদি এই বাংলায় না হতো হয়তো এই বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হতো না। এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন অবশ্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বাঙালি স্বরণ করবে।

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সৈয়দ বেনজির আহমেদ মুকুল, ধামরাই পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান, ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক ধামরাই পৌর সানাউল হক সুজন, ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক বাবুল হোসেন, কুশুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ধামরাই সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি ছাত্রলীগ হাবিবুর রহমান হাবিব সহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকেই।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু ছিলেন শান্তির অন্বেষণে নিবেদিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবনব্যাপী আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন শান্তির অন্বেষণে নিবেদিত।

তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে তিনি (বঙ্গবন্ধু) কলকাতার ভয়াল দাঙ্গার মধ্যে অসহায় বিপদাপন্ন মানুষকে উদ্ধারের জন্য জীবন বাজি রেখে নির্ভয়ে ছুটে গেছেন। নবীন রাজনীতিক হিসেবে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলীয় শান্তি সম্মেলনে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন। ১৯৫৬ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদের স্টকহোম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ মে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু এক দশকেরও বেশি সময় জেল খেটেছেন এবং পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয় শান্তির এই বাণী ঘোষণা করেছেন। শান্তির এই প্রতিপাদ্যই সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছে। তিনি সবসময় এশিয়া-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকাসহ সকল মুক্তিকামী মানুষদের সমর্থন জুগিয়েছেন এবং অবিচল কণ্ঠে শোষিতের পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং সেই সঙ্গে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করছে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা এনে দিয়ে দেশবাসীর কাছে তিনি যেমন বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা হিসেবে বরেণ্য হয়েছেন, তেমনি শান্তির স্বপক্ষে আপসহীন অবস্থান তাকে বিশ্ববাসীর কাছেও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। শান্তি ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি শান্তি পদক-এ ভূষিত করেছে। নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিদেল ক্যাস্ট্রো, জওহরলাল নেহেরু, গামাল আবদেল নাসের, পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিং, ইয়াসির আরাফাত, লিওনিদ ব্রেজনেভ প্রমুখ জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্ত বিশ্ববিশ্রুত নামের তালিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামের সংযোজন প্রমাণ করে বিশ্ববাসীর চোখে আমাদের জাতির পিতার সম্মান ও মর্যাদা হিমালয়সম উচ্চতায় অধিষ্ঠিত।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ যখন যুদ্ধ এবং নানা রকমের দ্বন্দ্ব-সংঘাত পৃথিবীকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, তখন তার (বঙ্গবন্ধু) শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি আমাদেরকে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মানব জাতির সামনে শান্তির কোনও বিকল্প নেই।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত সকলকে, বিশেষ করে এ স্মরণিকা প্রকাশের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ স্মরণিকা বিশ্ব শান্তির প্রবক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আরও নিবিড়ভাবে জানার ক্ষেত্রে উপযোগী হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

সূত্র : বাসস


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




ডিমলায় বেপরোয়া ট্রাক্টর কেড়ে নিলো স্কুল ছাত্রের প্রাণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

মহিনুল ইসলাম সুজন নীলফামারী :

নীলফামারীর ডিমলায় বেপরোয়া ট্রাক্টরের ধাক্কায় শাহিন আলম(১৪)নামে এক স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার(৯ মে)সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ডিমলা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে উত্তর তিতপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত শাহিন আলম উত্তর তিতপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে ও জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলামের বাড়ী থেকে বাবলু পাগলার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণ কাজ চলায় ঠিকাদার শামীম ইসলামের বালুর ট্রাক্টরের ধাক্কায় শাহিন আলম মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায়।পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় শাহিনকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ বিষয় ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)লাইছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল হতে ড্রাইভার মেরাজ ইসলামকে আটক করে ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে।এ ঘটনায় সড়ক পরিবহণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।নিহত ছাত্রের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজীপুর বাসীর নগরমাতা হলেন জায়েদা খাতুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুরবাসী নগরমাতা হিসেবে পেয়েছেন তাদের সাবেক মেয়র এর মা জায়েদা খাতুন কে।

গত ২০১৩ ইং সালে যাত্রা শুরু করা দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন এর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ইতিপূর্বে মেয়রের মা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জায়েদা খাতুন। 

১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে তিনি হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।

মোট ৪শ' ৮০ টি কেন্দ্রে এর ফলাফলে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯শ' ৩৪ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭শ' ৩৭ ভোট।

বিগত প্রথম বার ২০১৩ ইং সালের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী এম. এ মান্নান এর কাছে হেরেছিলেন আজমত। বলা যায় এবারের হারে গাজীপুরে তাঁর রাজনীতির পথ অনেকটাই সংকুচিত হলো।

বে-সরকারি ভাবে ফল ঘোষণার পর পরই সেখানে উপস্থিত গাজীপুরের সাবেক মেয়র, আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, এ জয় গাজীপুর বাসী তথা গাজীপুর এর মানুষের।

নির্বাচনটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কারণে ধারণা ছিলো ভোট গ্রহণের পর ঘন্টা দুয়েক এর মধ্যেই হয়তো ফলাফল ঘোষণা হয়ে হবে। ঘোষণা করতে সেই সময় গিয়ে ঠেকল রাত দেড় টায়। রাত সোয়া একটার কিছু পরেই ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্য সবগুলোর  ফলাফল ঘোষণা করেন জিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম। এ সময় বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছাড়া আর কোনো মেয়র প্রার্থী বা তাদের সমন্বয়কদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। 


এ সময় পুলিশের উপ-কমিশনার ইব্রাহীম খান বলেন, ফল ঘোষণার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো মিছিল এবং স্লোগান দেওয়া যাবে না। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা যেভাবে ভোট দিয়েছেন। ফলাফল হয়েছে সবাই মেনে নিয়ে সংযত থাকবেন।

২০১৮ ইং সালে নৌকা প্রতীকে গাজীপুর এর নগর পিতা নির্বাচিত হোন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি'র অভিযোগে মেয়াদ পূর্তির পূবেই পদ হারাতে হয় তাকে। দল থেকে সাময়িক বরখাস্তও হোন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পর হোন স্থায়ী বহিষ্কার। কিন্তু নিজের বয়স্ক মাকে নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। মায়ের পক্ষে ভোট চাইতে দিন-রাত ছুটেছেন গাজীপুরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ২৫ মে' এর নির্বাচন এর ফলাফল নিজেই বলে দিল অনেক প্রশ্নের উত্তর। অবশেষে গাজীপুরবাসী পেলেন নগর মাতাকে।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




গজারিয়ায় নির্মাণাধীন কোম্পানি রির্মাকে এক শ্রমিকের অপমৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় বাউশিয়া এলাকায় নির্মাণাধীন রিমার্ক এইচ.বি. লিমিটেডে নামে প্রসাধনী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে মেশিন চাপায় এক শ্রমিকের অপমৃত্যু হয়। জানা যায় এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, দূর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের নাম কাউসার হোসেন (২২)। সে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাই'র উপজেলার চান্দহর গ্রামের মোনাফ হোসেনের ছেলে। ঘটনায় আহত অন্য শ্রমিকের নাম রবিউল (২১)।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২৭ মে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এমন ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির নিচ তলায় ফেস ওয়াশ তৈরির মেশিনে কাজ করছিলেন মেশিনটির এসিস্ট্যান্ট অপারেটর কাউসার হোসেন। সূত্র আরও জানায়, মেশিনটি কিছুদিন আগে কোম্পানিতে আনা হয় সেজন্য এটিকে স্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপিত করা হয়নি। মেশিনটির নিচে চাকা আছে যার মাধ্যমে এটিকে সুবিধামতো জায়গায় নিয়ে কাজ করা যায়। অপারেটর কাউসার মেশিনটিকে টেনে  সামনে আনতে চাইলে পেছনের চাকা উপরে উঠে যায় এবং অর্তকিত মেশিনটি তার উপর এসে পরে। তাৎক্ষনিক তার মাথা থেতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রবিউল নামে আরো এক শ্রমিক আহত হয়।


আহত শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রিমার্ক কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা তৌহিদ হোসেন বলেন, ঘটনাটির সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময়ের। আমরা অফিস শেষ করে ইতিমধ্যে ঢাকাতে চলে এসেছি তবে মুঠোফোনে এরকম একটা খবর পেয়েছি। শুনেছি দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিক নিহত ও একজন আহত হয়েছে। 

বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান বলেন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



অননুমোদিত পরিবহন এশিয়ায় শীর্ষে খুলনা ও ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ২০ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআরটিএ ) । যদিও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বাইরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরো বেশ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনের জন্য রিকশা , স্কুলভ্যান , ইজিবাইক , স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার কিংবা ঘোড়ার গাড়ির মতো অননুমোদিত যানবাহনের ব্যবহার সড়কে রয়েছে। এর পাশাপাশি চলাচলের অনুমতি থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেসবিহীন বাস - মিনিবাস , মাইক্রোবাস , সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মতো যানবাহনও সড়কে চলছে।

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ( এসকাপ ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই এমন যানবাহন ( ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট ) চলাচলে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের দুই শহর খুলনা ও ঢাকা। এর মধ্যে খুলনা শহরে যত যানবাহন চলে তার ৫৮ শতাংশেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। আর রাজধানীতে অননুমোদিত পরিবহনের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাব - রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক শীর্ষক এক কর্মশালায় ওই প্রতিবেদনের এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ইউএন - এসকাপের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা মদন বি রেগমি। তিনি জানান , এশিয়া মহাদেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা। শহরটিতে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্টের মোড শেয়ার ৫৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার মোড শেয়ার ৫৪ শতাংশ। ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ( ৫০ শতাংশ ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা ( ৩৮ শতাংশ ), ভারতের সুরাট ( ৩০ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং ( ১৭ শতাংশ ), কম্বোডিয়ার নম পেন ( ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া ( ১১ শতাংশ ) ও ভারতের জয়পুর ( ১১ শতাংশ ) ।ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ কোনো দেশের রাস্তায় কী ধরনের যানবাহন চলাচল করবে , সেসব যানবাহনের মডেল কী হবে এ ধরনের বিষয়গুলো ওই দেশের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়। এটাকে আমরা টাইপ মডেল অনুমোদন বলি।

 এ টাইপ মডেলের অনুমোদন নিয়েই যানবাহন আমদানি বা উৎপাদন করে সেগুলো রাস্তায় চালানো হয়। কিন্তু অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এ ধরনের যানবাহনকে আমরা বলি ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট । যেহেতু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে না , সেহেতু এসব যানবাহনের কাঠামোগত দুর্বলতা , নিরাপত্তার ঘাটতির মতো বিষয়গুলো থেকেই যায়। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ বর্তমানে ২০ ধরনের যানবাহনকে রাস্তায় চলাচলের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স , অটোরিকশা , অটো টেম্পো , বাস , কার্গো ভ্যান , কাভার্ড ভ্যান , ডেলিভারি ভ্যান , হিউম্যান হলার , জিপ , মাইক্রোবাস , মিনিবাস , মোটরসাইকেল , পিকআপ , প্রাইভেট কার , স্পেশাল পারপাজ ভেহিকল , ট্যাংকার , ট্যাক্সিক্যাব , ট্রাক্টর , ট্রাক ও অন্যান্য। বিআরটিএর তথ্য বলছে , চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ ২০ ক্যাটাগরিতে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি।

 সড়ক পরিবহন আইন - ২০১৮ অনুযায়ী , এসব ক্যাটাগরির যানবাহন ছাড়া সড়ক - মহাসড়কে চলাচল করা সব ধরনের মোটরযানই অবৈধ। অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষে থাকা খুলনা শহরজুড়ে রয়েছে ইজিবাইকের দাপট। এসব যানবাহনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে খুলনা সিটি করপোরেশন ১০ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। যদিও এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সিটি করপোরেশনের নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ , অনুমতি পাওয়া ১০ হাজারের বাইরে আরো প্রায় ৪০ হাজার ইজিবাইক বর্তমানে এ শহরে চলাচল করছে। মূলত ইজিবাইকের কারণেই খুলনা অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। অন্যদিকে প্যাডেলচালিত রিকশা , ব্যাটারি রিকশা , ইজিবাইক , বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার যানবাহনের আধিক্যের কারণে ঢাকা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।এসব যানবাহন কিন্তু লুকিয়ে চলে না।

 কর্তৃপক্ষের সামনে দিয়েই চলে। আবার ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের অননুমোদিত যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন বা আমদানি করাও সম্ভব নয়। অন্যদিকে এসব যানবাহনকে কেন্দ্র করে একটা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে। যখন এসব যানবাহন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন ছিল , তখন কর্তৃপক্ষ অলস বসে থেকেছে ’ , বলেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন , ‘ এটা ঠিক যে অননুমোদিত যানবাহনগুলোয় নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। কাঠামোগত ত্রুটিসহ নানা ধরনের অসংগতি আছে। কিন্তু এসব যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া উচিত হবে না।

বরং অননুমোদিত যানবাহনগুলোর কাঠামোগত মানোন্নয়ন , নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এগুলো অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে , এসব যানবাহন যেন কখনই শহরের মূল সড়ক ও মহাসড়কের গণপরিবহন না হয়। শুধু শহরের ফিডার রোড ও সরু সড়কগুলোতেই এসব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। বাংলাদেশের শহরগুলোতে অননুমোদিত পরিবহনের আধিক্যের বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। তবে তারা বলছেন , মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকার স্বার্থে চাইলেও এসব অননুমোদিত যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে এসব যানবাহন তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ বাংলাদেশের শহরগুলোকে বলা হয় রিকশার শহর। সংস্কৃতিগতভাবেই কিন্তু এটা চলে আসছে।

 দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ শহরে বসবাস করে। এসব মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য রিকশা , ইজিবাইকের মতো যানবাহন দরকার। কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই যদি আমরা এসব যানবাহন বন্ধ করে দিই , তাহলে পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকার কী হবে ? ’ ‘ এটা মানুষের বিহেভিয়ারেরও বিষয়। অনেক কিছু জোর করে পরিবর্তন করা যায় না। যখন বিকল্প আসবে , মানুষ সেটাকে বেছে নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন , ‘ ঢাকার মতো জনবহুল একটা শহরে কিন্তু চাইলেই আমরা রিকশা তুলে দিতে পারি না। তবে আমরা বসে নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় ঢাকা শহরে ঘোড়ার গাড়ি ছিল। এখন কিন্তু তা উঠে গেছে। আমরা ঢাকার বেশ কয়েকটি শহরে রিকশা চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি - হুইলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দেশ থেকে সব ধরনের অননুমোদিত যানবাহন তুলে দেয়া হবে।


আরও খবর