Logo
শিরোনাম

ধামরাই পৌরসভায় স্থানীয় সরকার দিবস পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন(স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর সভার আয়োজনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালন উপলক্ষে সরকারের দেয়া বিভিন্ন ভাতা  গ্রহণকারী উপকারভোগীদের নিয়ে রেলী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ  মঙ্গলবার( ১৯ সেপ্টেম্বর)পৌরসভা চত্ত্বরে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির মোল্লার  সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।  বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, সানোড়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

এ সময় বিভিন্ন ভাতা  উপকারভোগীদের উদ্দেশ্য করে এমপি বলেন, পনের বছর আগে আপনাদের কথা কেউ চিন্তা করেনাই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য বই ফ্রী করে দিয়েছেন। 

এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মতো।  মা যেমন প্রত্যেক সন্তানদের ভাল ও  সুখে রাখার জন্য  অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তেমনিই  প্রধানমন্ত্রীও আপনাদের  ভাগ্য উন্নয়নের জন্য  পরিশ্রম করেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান করেন।  

পৌর মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  অসহায় মানুষ অর্থাৎ আপনাদের কথা চিন্তা করে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। ধামরাইয়ে ছিন্নমূল মানুষের বসবাসের জন্য ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন। নৌকায়  ভোট দিয়েছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সম্মান করে  সকল  সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে।  তাই  আগামী নির্বাচনে নৌকায়  ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে  বিজয়ী করলে আরো সুযোগ সুবিধা পাবেন। সব শেষে সেরা কর দাতাদের মাঝ ক্রেস্ট বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বৃন্দ ও সুধিজন।


আরও খবর



লিবিয়ার পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মৃত্যুপুরী লিবিয়ায় বন্যা দুর্গতদের মানবিক সহায়তায় জরুরি ত্রাণ-সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত লিবিয়ার মানুষের সাহায্যের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০ জে পরিবহন বিমান প্রয়োজনীয় ত্রাণ-সামগ্রী ও ওষুধসহ দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করে।

সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক বিমানটির লিবিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ উপলক্ষে ব্রিফ করেন। এ সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুলমুতালিব এসএম সুলাইমান উপস্থিত ছিলেন।

ওই পরিবহন বিমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ত্রাণ-সামগ্রী হিসেবে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং জরুরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাঠানোর কথা জানানো হয়। সেনাবাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী উল্লিখিত বিমানে লিবিয়ায় পাঠানোর কথাও জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় বাংলাদেশের দেওয়া চিকিৎসা ও অন্যান্য সামগ্রীর লোডিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। তার আবেদনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানি, বিভিন্ন স্থাপনাসমূহের ক্ষয়ক্ষতিসহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের তাণ্ডব এবং আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ হাজার ৩০০ জনে। এ ছাড়া ২০ হাজার জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। খাবার, জ্বালানি, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পর্যাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আশ্রয়ের অভাবে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা পরবর্তী সময়ে লিবিয়ায় এক সংকটময় পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বন্যার পর দেরনা শহর ভবিষ্যতের জন্য আর বাসযোগ্য থাকবে না। শহরটির অন্তত ৮০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেরনায় যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগই এড়ানো যেত। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের প্রধান পেটেরি তালাস জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, যদি স্বাভাবিক কোনও অপারেটিং আবহাওয়া পরিষেবা থাকত, তাহলে তারা সতর্কতা জারি করতে পারত। আর সেটি হলে জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হতো।


আরও খবর



এশিয়ান গেমসে পদক জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

এশিয়ান গেমসের এবারের আসরে প্রথম পদক জিতল বাংলাদেশ। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে চীনের হ্যাংজুর ঝেজিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নারী ক্রিকেটে ব্রোঞ্জ পদক পায় বাংলাদেশ।

এর আগে ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটে এই পাকিস্তানের কাছে হেরে বাংলাদেশ রৌপ্য পদক জিতেছিল। ৯ বছর পর ব্রোঞ্জ জিতল, তাও সেই পাকিস্তানকে হারিয়ে। যদিও মাঝে এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০১০ সালে নারী ক্রিকেট দল জিতেছিল রৌপ্য। সেবারও তারা পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল।

আজ ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায়। নিগার সুলতানা জ্যোতির সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। পাকিস্তানকে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রানের বেশি করতে দেননি তারা। জবাবে ১৮.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

 

কখনো কখনো নিজেকে চিনতে পারিনা | হ্যাংলা পাতলা একটা মানুষ এসেছিলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে | তখন ভাবতাম, আমি শিক্ষক হিসেবে এসেছি | সময় যত গড়িয়েছে ততই বুঝেছি শিক্ষক হওয়া খুব কঠিন, বরং যতই দিন যাচ্ছে ততই বুঝতে পারছি আমি শেখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি | আমি শিক্ষক হতে পারিনি, তবে ছাত্র হবার চেষ্টা করছি |

তখন চোখে চশমা ছিলোনা, এখন কানের উপর ভর করে দু'চোখে চশমা জায়গা দখল করে নিয়েছে | যখন চোখে চশমা ছিলোনা তখন ব্ল্যাকবোর্ড আর সাদা চক ছিল সম্বল | বই হাতে কখনো ক্লাসে ঢুকবোনা, নিজেই একটা বই হবার চেষ্টা করবো, এমন একটা চিন্তা নিয়েই আমার এখানকার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল | জানিনা নিজে বই হতে পেরেছি কিনা, তবে যাদের ছাত্র হিসেবে পেয়েছি তারাই আমার কাছে এক একটা বই, এক একটা বিস্ময় হয়েছে | ওদের পড়াতে গিয়ে, নিজে শিখেছি | শিখতে গিয়ে বুঝেছি, শিক্ষক হওয়া হয়তো আর কখনো হয়ে উঠবেনা | অদ্ভুত মনে হলেও সত্য, এখনও শিক্ষক হতে পারিনি, তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি | হয়তো এই চেষ্টাটা আমৃত্যুই চলতে থাকবে, কিন্তু শিক্ষক হওয়ার পিপাসাটা কখনোই মিটবেনা |

গবেষণার কিছুই জানতাম না, এখনো জানিনা | এখনও গবেষণা শিখছি, আমার ছাত্ররাই আমাকে শেখাচ্ছে | ওদের নতুন নতুন চিন্তা, নতুন নতুন আইডিয়া, নতুন নতুন স্বপ্ন, আমাকেও বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে আগ্রহী করছে | ওদের মতো এতো মেধাবী আমি নই, ওদের চিন্তার গতির সাথে আমার চিন্তার গতি কখনোই পেরে উঠেনি, বরং ওদের চিন্তা আমার চিন্তাকে এগিয়ে নিয়েছে | আমার কাছে আমার ছাত্ররাই আমার শিক্ষক, আমি তাদের ছাত্র | আর শিক্ষকরা মেধাবী হলে গবেষণায় ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই | বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে মনে হয়েছিল, গতানুগতিক শিক্ষাদানের মধ্যেই বুঝি শিক্ষা বন্দি হয়ে থাকবে | কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই বুঝেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের চেয়েও বড় নতুন নতুন জ্ঞানের জন্ম দেওয়া | কিন্তু সেটাতে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটা এগিয়েছে, সেটা হয়তো ভাবনার বিষয় | সেখানে আত্মসমালোচনটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ | কিন্তু আত্মসমালোচনাতে আমরা ভয় পাই, যতটা সাহসী আমরা আত্মপ্রচারে | এর সাথে ক্ষমতার অসুখও এখন প্রায় সবার শরীরে বাসা বেঁধেছে | শরীরের রোগ সরানো যায়, মনের রোগ সারানোর কোনো ওষুধও নেই, চিকিৎসাও নেই |

তখন শুনেছি, গবেষণা করার পরিবেশ এই দেশে নেই | গবেষণা করতে দামি দামি যন্ত্রপাতি লাগে, অনেক অর্থের বাজেট লাগে | এতো অর্থ, এতো দামি যন্ত্রপাতি কেনার কি আমাদের সাধ্য আছে | এমন সময়টাতেই আমার ছাত্ররাই খুব কম বাজেটে আধুনিক যন্ত্রপাতি ডিজাইন করেছে, তৈরী করেছে | | গবেষণার অধরা স্বপ্ন ওদের সৃজনশীল সৃষ্টি দিয়েই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে | সেই ধারা এখনও অব্যাহত আছে | ওদের এখন দেখছি, মলিকুলার ডিনামিক্স, ডেনসিটি ফাংশনাল থিওরি, মেটল্যাবের মতো জটিল জটিল বিষয়গুলো কত সহজে সমাধান করছে | তখন আমি মাথায় হাত দিয়ে চুলগুলোকে এলিয়ে নিচ্ছি, যদি চুলগুলো নড়াতে গিয়ে আমার ভোঁতা মগজটাই নতুন করে নড়েচড়ে উঠে !

ব্ল্যাকবোর্ড-চকের যুগ গেলো, হোয়াইট বোর্ড-মার্কার পেনের যুগ গেলো, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের যুগ গেলো, এখন এসেছে স্মার্ট বোর্ড | খুব আনস্মার্ট আর বোকা মানুষ আমি, স্মার্ট বোর্ডে পড়াতে গিয়ে যখন প্রায় প্রতিদিন খেই হারিয়ে ফেলি, তখন আমার এখনকার মেধাবী ও সম্ভাবনাময় ছাত্ররাই আমাকে শিখিয়ে দিচ্ছে কত সহজে স্মার্ট বোর্ড ব্যবহার করে সারা পৃথিবীর জ্ঞানভাণ্ডারকে হাতের নাগালে আনা যায় | ওদের কাছে শিখতে গিয়ে খুব আনন্দ পাচ্ছি, গর্বিত হচ্ছি, ওরাও আমার মতো বোকা একটা ছাত্র পেয়ে আনন্দ পাচ্ছে | শিক্ষার মধ্যেই তো আনন্দ, যে শিক্ষায় আনন্দ নেই, সেই শিক্ষা মূল্যহীন | বড় বড় মনীষীদের কথা | খুব ছোট একটা মানুষ আমি | কিন্তু যখন দেখছি আমার ছাত্ররা দেশ ছাড়িয়ে সারা পৃথিবী জয় করে চলেছে, তখন চোখে আনন্দ অশ্রু, গর্বিত বুক | সন্তানরা যখন এগিয়ে যায় বাবারা তখন সত্যিকার অর্থেই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হয়ে উঠে |

আমি ঝুলন্ত তারার মতো, কখনো কেঁদেছি, কখনো হেসেছি, কখনো অভিমান করেছি কিন্তু জীবনের সবচেয়ে পরম পাওয়াগুলো আমার প্রিয় সন্তানরাই দিয়েছে | আমি ঝুলন্ত তারা, যেদিন আকাশ থেকে খসে পড়বো, সেদিনও ওদের জীবনজয়ের জয়োধ্বনিগুলো কান পেতে শুনবো | আমার মতো একটা সাধারণ মানুষকে কেউ হয়তো মনে রাখবেনা, এটাই প্রকৃতির নিয়ম, সময়ের স্রোতে সব যে হারিয়ে যায়, তবে জীবনের অনেক না বলা কথা থেকে যাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গে তরঙ্গে |

আমি হয়তো মানুষ না, ছিলামও না, হয়তো আমি একটা চিত্রকরের কল্পনায় আঁকা ছবি | আমি কাঁদছিনা, আমি বৃষ্টিতে কল্পনায় হাটছি, বৃষ্টিতে কাঁদতে গেলে বৃষ্টি সেই কান্না খেয়ে ফেলে, হাসিমুখটা তখন বেরিয়ে আসে | হয়তো কান্না লুকিয়ে হাসির চেষ্টাটাই জীবন | জীবন খুব কঠিন একটা বিষয়, এর পরীক্ষাটাও কঠিন, কারণ জীবনের পরীক্ষায় পাশ-ফেল নেই |


আরও খবর

নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভারত-কানাডার উত্তেজনা তুঙ্গে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বড় ধরনের কূটনৈতিক বিরোধের মধ্যেই এবার কানাডায় ভারতীয় সব ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এমন পদক্ষেপের ফলে ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান বিরোধ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রক্রিয়াগত কারণ দেখিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভারতের সব ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে কানাডা সরকার।

ভিসা আবেদন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বিএলএস ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে দেয়া এক পোস্টেও বলা হয়েছে, প্রক্রিয়াগত কারণে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কানাডায় ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত থাকবে।

এদিকে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই কানাডায় আরেক শিখ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় সুখদুল সিং নামে খালিস্তানপন্থি ওই নেতা নিহত হন। তিনি সুখা দুনেকি নামেও পরিচিত।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। সুখদুল সিং কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি কানাডার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালিস্তানি সন্ত্রাসী সুখদুল সিং নিজ দলের প্রতিপক্ষের সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। তিনি ভারতের পাঞ্জাবের জেলা শহর মোগার ক্যাটাগরি এ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন, যিনি ২০১৭ সালে জাল পাসপোর্টে কানাডায় পালিয়ে যান।

খালিস্তানপন্থি নেতা অর্শদীপ দাল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন সুখদুল সিং। এছাড়া বুধবার ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা এনআইএ খালিস্তান এবং কানাডার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪৩ জন গ্যাংস্টারের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানেও নাম রয়েছে সুখদুল সিংয়ের।

শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত ও কানাডার প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের মধ্যেই আরেক শিখ নেতাকে হত্যার এই ঘটনা ঘটল। এর ফলে দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এরইমধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

চলতি বছরের জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন হারদীপ সিং নিজ্জার। ভারতে শিখদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবির আন্দোলনের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হারদ্বীপ।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




মাভাবিপ্রবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন বরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মো.হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

 টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)  এর  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের নবীনবরন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সন্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসআরএম বিভাগের গ্যালারী রুমে  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের (চিত্রক-১৬) শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। 

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের  চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জয় কৃষ্ণ সাহা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রকৌশলী এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ উপস্থিত ছিলেন। 

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  সহযোগী  অধ্যাপক  প্রকৌশলী এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার যেমন দরকার আছে, ঠিক তেমনিই জীবনে মানুষের মত মানুষ ও রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজ এর অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে । কারণ প্রথাগত বইয়ের সাথে তোমার ভালো সম্পর্ক হতেই পারে, কিন্তু বইয়ের বাহিরেও একটা বিশাল জগৎ আছে। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস এর মাধ্যমে সুন্দর করে গুছিয়ে  কথা বলা, সৃজনশীল চিন্তাশক্তি বিকশিত করা, বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপনা করা ইত্যাদি গুন গুলো তোমার মধ্যে সঞ্চারিত হবে। তুমি একজন ভালো ছাত্র হতেই পার, কিন্তু তুমি একজন ভালো এডমিনিস্ট্রেটর নাও হতে পারো এবং তুমি একজন ভালো ছাত্র হতে পারো আবার একজন  ভালো শিক্ষক নাও হতে পারো। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সব সময় সবদিক দিয়েই সেরা। তাই এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস বাস্তব জীবনে সাফল্য অর্জন করতে সহায়তা করবে। 

সর্বশেষে তিনি সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন ও সফল করার জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


আরও খবর