Logo
শিরোনাম

ধামরাইয়ে প্রায় দুই একর খাস জমি উদ্ধার করে খেলার মাঠ নির্মান

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন(স্টাফ রিপোর্টার)

ঢাকার ধামরাইয়ে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে প্রায় দুই একর খাস জমি উদ্ধার করে খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।


সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমুর গ্রামে দুই একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- দীর্ঘদিন ধরে আমছিমুর এলাকার প্রভাবশালী দুটি পরিবার প্রায় দুই একর খাস জমি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছে। পরে খাস জমি উদ্ধারের জন্য আমছিমুর বনলতা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মাহফুযুল হক শাহীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেন। পরে ইউএনও এই অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খাস জমি উদ্ধার করে খেলার মাঠ নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেন। বনলতা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মাহফুযুল হক শাহীন বলেন- আমাদের স্কুলের পিছনে প্রায় দুই একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। তা অবৈধ ভোগ দখল করে আসছে এলাকার কিছু লোকজন। আমাদের এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুবকরা বিষয়টি আমাকে জানায়। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন আমাদের এখানে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রথম ফায়ারিং হয়। আমরা চাই এই জায়গাটাতে যেন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর ও মুক্তিযোদ্ধা মাঠ নির্মাণ হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি অনুযায়ী আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করি এই খাস জমি উদ্ধার করে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর ও মুক্তিযোদ্ধা মাঠ নির্মাণের জন্য। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সরজমিনে তদন্ত করে দখলদারদের উক্ত জমির মালিকানার কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি দখলদাররা। যার ফলে আজ অবৈধ দখলের কবল থেকে প্রায় দুই একর খাস জমি উদ্ধার করে খেলার মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নেন ইউএনও।


বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ বলেন- আমরা দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছি। পরাধীনতার চাদর থেকে স্বাধীনতা লাভ করার জন্য প্রাণপণ যুদ্ধ করেছি। আমরা নিজেদের স্বার্থ কখনো দেখিনি। তাই আমরা আমাদের গ্রামে একটা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর ও মুক্তিযোদ্ধা পার্ক চাই। এজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেছি। তাছাড়া আমাদের অভিভাবক ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদকে বিষয়টি জানালে সম্মতি দেন। আজ অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খাস জমি উদ্ধার করে মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় ইউএনও সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ।


ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন- অবৈধভাবে কেউ খাস জমি ভোগ দখল করতে পারবে না। আজ যে জমিটি উদ্ধার করা হয়েছে এটি খাস জমি। দীর্ঘদিন অবৈধ ভোগ দখল করে আসছিলো। এখানে প্রায় দুই একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। জমিটিতে আমরা একটি খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে এটিকে খেলার উপযোগী মাঠে রুপান্তর করা হবে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধসহ আহত অনন্ত ১৫ জন। বৃহস্পতবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জেলার বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতুর সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর পাশে ফরাজিকান্দা বাজারের জমি দখল নিতে পিজা শামীমের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত দুর্বৃত্ত চারটি গাড়ি ও ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তারা পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জমি মাপা শুরু করে। মাপঝোঁক শেষে ফরাজিকান্দা মসজিদের পাশে জাতীয় পার্টির নেতা ও কলাগাছিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত রাইসুল হকের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় রাইসুল হকের ছেলে মনিরুল হক পারভেজ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তাকে বাঁচাতে দৌড়ে আসে পারভেজের স্ত্রী সুমা হক। তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় রাইসুল হকের স্ত্রী মাহফুজা হককেও মারধর করা হয়।

এ সময় এলাকাবাসীর ধাওয়ায় পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় সেতুর টোল প্লাজার সামনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের চারটি হোন্ডা ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। পরে দুটি হোন্ডায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

গুলিবিদ্ধ মনিরুল হক পারভেজ জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিতে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ি। পিজা শামীমের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক যুবক ফিল্মি স্টাইলে রাস্তা থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাসায় প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়।বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দিলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, জমি নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। এ ঘটনায় কারা দোষী তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম আরও চড়া

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম আরও চড়া । সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পড়েছে নিন্ম ও নিন্মমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। আর ৩ দিন পর শুরু হবে রমজান মাস। রোজার আগে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য থাকে লাগামহীন। অথচ প্রতিবারই রমজান এলে সরকারের সংশ্লিষ্টরা সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেন। বলা হয়, রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে। বলা হয়, রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে। কিন্তু বাস্তবতা তথৈবচ। আদতে হয় না এসবের কোনোকিছুই। ঘটে না আশ্বাসের প্রতিফলনও ।

এবারও দুয়ারে কড়া নাড়ছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। এরই মধ্যে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও একটু একটু করে আরও বাড়তে শুরু করেছে। শেষ পর্যন্ত আকাশছোঁয়া এ দাম কোথায় গিয়ে থামে, তা নিয়েই এখন দরিদ্র ও নিন্মমধ্যবিত্তের মানুষের যত চিন্তা।

গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কি কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে? শুক্রবার সকালে এ প্রশ্নের জবাবে রাজধানীর পাচভাই লেন বাজারের মুদি ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, সবকিছুরই তো দাম বেড়ে রয়েছে, আর কতো বাড়বে? কোনো পণ্যের দাম কমেছে কি না- এ প্রশ্নে তার সাফ জবাব, এ দেশে কোনোকিছুর দাম বাড়লে আর সেটা কমে না।
হোসেন মিয়া একটু কাঠখোট্টা মানুষ। এরপর আর কোনো কথা বলেননি। পাশের অন্য একটি মুদি দোকানে গিয়ে জানা গেল, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ছোলা, অ্যাংকর ডাল, বেসন ও ট্যাংয়ের দাম। আর আগে থেকে বাড়তি চিনি, তেল, আটা-ময়দার দাম কমেনি।

রমজান সামনে রেখে বাজারে অস্বস্তি বাড়ছে। নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে নাভিশ্বাস উঠছে নিন্মমধ্যবিত্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তাদের। এ-দোকান ও-দোকান ঘুরেও সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছেন না অনেকে। প্রতিদিনের ডাল-ভাতের হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে চুপচাপ বাজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।

রমজানের আর অল্প কিছুদিন বাকি, তাই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে রাখতে চান। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্যের সীমাবদ্ধতা আছে তাদের। অনেকে বাজারে গিয়ে দরদাম করেই ফিরে আসছেন। কেউ কেউ দাম একটু কমার অপেক্ষা করছেন। তবে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও যে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন থাকবে, সেটা বুঝতে বাকি নেই সীমিত আয়ের মানুষের। আর সে কারণেই তাদের যত অস্বস্তি।

রোজায় ইফতারি তৈরিতে সাধারণত ছোলা, অ্যাংকর ডাল, বেসনের বেশি ব্যবহার হয়। গত কয়েকদিনে এসব পণ্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। এমনকি শরবত তৈরির জন্য যে ট্যাং লাগে বাজারে সেটার এখন রীতিমতো সংকট। যেসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে, তারাও বিক্রি করছেন গত রমজানের থেকে কেজিপ্রতি প্রায় ২০০ টাকা বাড়তি দামে। বর্তমান বাজারে ট্যাং ১৪০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে বাজারে গত এক মাসে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। মাসখানেক আগে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা দরে, যা এখন ৯৫-১০০ টাকা। ছোলার সঙ্গে ছোলাবুটের দামও বেড়েছে ৫-১০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ছোলাবুট বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।

এছাড়া অ্যাংকর ডাল কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে ৭০-৮০ টাকা এবং একইভাবে বেসনের দাম বেড়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত কয়েক মাস ধরেই বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে তেল-চিনি মিলছে না। বেঁধে দেওয়া দামে প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১১৭ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ১৭২ থেকে ১৭৫ টাকায়। খোলা চিনির ক্ষেত্রে নির্ধারিত দাম ১০৭ টাকা হলেও এখনো খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল চিনি (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা দামে।

এদিকে মসলার বাজারে আদা-রসুনের বাড়তি দাম কমেনি। উল্টো পেঁয়াজের দাম সপ্তাহ ব্যবধানে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মাছ-মাংস এখন অনেকটাই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মুরগির বাজার এক-দেড় মাস ধরেই অস্থির। দফায় দফায় বেড়ে ব্রয়লারের কেজি এখন ২৫০-২৫৫ টাকা। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকা। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা দরে।

মাসের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে মানভেদে রুই-কাতলার কেজি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা। চাষের তেলাপিয়া পাঙাশও ২০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে সবজির বাজারে ইফতার শুরুর আগেই বেড়ে গেছে লেবুর দাম। এক হালি লেবু আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০টাকা পর্যন্ত। একই কারণে বাড়ছে বেগুনের দামও। গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা দরে। তবে লম্বা বেগুন ৫০-৭০ টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে।

রাজধানীর কলতাবাজারের ব্যবসায়ী সাদ্দাম বলেন, রমজান ঘনিয়ে আসছে। তাই বেগুন-লেবুর চাহিদাও বেড়েছে। অনেকে রমজানের আগেই বেশি পরিমাণে কিনছে।


আরও খবর



ধামরাই সুয়াপুর ইউনিয়নে ছয়শতাধিক পরিবারের মাঝে টিসিবির পণ্য বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে ১৫ ই মার্চ বুধবার সকাল ১১ টায় ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন তিনিই বলেন সামনে রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সারাদেশে এই টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় গরীব অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে বলেই স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে কিভাবে অল্প টাকায় মানুষকে ভালো খাওয়ানো যায় সে চিন্তা করে বলেই ২ লিটার সয়াবিন তেলে,১ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুরের ডালও ২ কেজি করে ছোলা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় দেশের উন্নয়নে কাজ করে সুয়াপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।যা অন্য কোন সরকারের আমলে হয়নি, তারপর ও একটা দল আছে তাদের চোখে এই উন্নয়ন চোখে পড়ে না। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনারা অবশ্যই নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও দেশের উন্নয়নের অংশীদার হন।তিনি সকলের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চান বলেন নেত্রী যদি ভালো থাকে ভালো থাকবে দেশ, নেত্রী যদি ভালো থাকে ভালো থাকবো আমরা সাধারণ মানুষ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা প্রিন্স,আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ হোসেন সহ উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার গণ।


আরও খবর



বিএনপি ইসি'র সঙ্গে সংলাপে যাবে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন

বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো সংলাপেই যায়নি বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। তবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলটির সঙ্গে আলোচনায় বসতে হাল ছাড়ছেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার  দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। তবে বিকেলে পাঠানো চিঠি হাতে পেলেও ইসির আমন্ত্রণে সাড়া না দেওয়ার বিষয়ে অনড় বিএনপি।

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাতে বলেছেন, এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা নির্বাচন কমিশনে কোনো আলোচনায় যাব না। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করা অনর্থক।

এর আগে সন্ধ্যার দিকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তাদের দলের অন্যান্য নেতাসহ প্রয়োজনে সমমনা দলগুলোকে ইসির পক্ষ থেকে সিইসি ডিও পত্রের মাধ্যমে আলোচনা ও মতবিনিময়ের জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

এদিকে সিইসির পাঠানো চিঠিতে আলোচনার জন্য কোনো দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়নি।

ইসি সূত্র জানায়, বিএনপি আলোচনায় আসতে রাজি হলে তাদের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। যদিও অনানুষ্ঠানিকভাবে দলটির নেতারা জানিয়ে দিলেন, তারা সংলাপে সাড়া দিচ্ছেন না।

 


আরও খবর



ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটা কাপুরুষ : প্রিয়াংকা গান্ধী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন

Image

মোদিকে চোর বলায় জেল হয় আর শহীদের ছেলেকে মীর জাফর বললে কেন মামলা হয় না...এ প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা প্রিয়াংকা গান্ধী। তিনি বলেন, আমার ভাই (রাহুল গান্ধী) একজন শহীদের সন্তান। আপনি আমার ভাইকে বিশ্বাসঘাতক এবং মীরজাফর বলছেন। আপনি (মোদি) তার মাকে অপমান করেছেন। আপনার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাহুল গান্ধী জানেন না তার মা কে। আপনি প্রতিদিন আমার পরিবারকে অপমান করেন, কিন্তু কোনও মামলা হয় না।s

তিনি আরও বলেন, আপনার প্রধানমন্ত্রী ভরা পার্লামেন্টে বলেছেন, কেন এই পরিবার নেহরু নামটি ব্যবহার করে না। তিনি (মোদি) কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুরো পরিবারকে অপমান করেছেন।

গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপির বেপরোয়া আক্রমণের নেতৃত্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আছেন বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিত বংশকেও অপমান করেছেন মোদি

রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিজেপির বক্তব্যের প্রতিবাদে রবিবার দিল্লিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে কংগ্রেস। এতে নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপিকে একহাত নেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে।

রাহুল গান্ধীকে শহীদের সন্তান অভিহিত করে তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, বিজেপি প্রতিদিন তাকে (রাহুল) অপমান করে। এমনকি নেহরু-গান্ধী পরিবারকেও তারা রেহাই দেয়নি।

রাহুল গান্ধীকে সংসদীয় আসন থেকে অযোগ্য ঘোষণার প্রতিবাদে রবিবার ভারতজুড়ে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করছে কংগ্রেস। প্রথমে মহাত্মা গান্ধী স্মৃতিসৌধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে পুলিশ তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং কংগ্রেস প্রধান খারগে দিল্লির রাজঘাটের বাইরে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমান করায় গুজরাট আদালতের দোষী প্রমাণিত হন রাহুল। ওবিসি (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী) সম্প্রদায়কে অপমান করার দায়ে কংগ্রেস নেতাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সাজা পাওয়ায় ভারতের সংবিধান অনুযায়ী এমপি পদ হারান রাহুল।

কংগ্রেস সভাপতি খারগে বলেন, নিরভ মোদি কি ওবিসি? মেহুল চোকসি কি ওবিসি? ললিত মোদি কি ওবিসি? তারা তো পলাতক।

তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী কেবল কালো টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়াদের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। কংগ্রেস আজকের মতো সারা দেশে শত শত বিক্ষোভ করবে। আমরা বাকস্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়াই করবো। রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি সব বিরোধীদলকে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পি চিদাম্বরম, জয়রাম রমেশ, সালমান খুরশিদ, প্রমোদ তিওয়ারি, অজয় ​​মাকেন, মুকুল ওয়াসনিক ও অধীর রঞ্জন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। যদিও গোটা এলাকায় কঠোর নজরদারিতে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। রাজঘাটের আশপাশে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে তারা।

একদিন আগে রাহুল গান্ধী তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার বক্তৃতায় ভয় পেয়েছিলেন বলে আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আমি তার চোখে ভয় দেখেছি। সে কারণেই তারা চান না আমি সংসদে কথা বলি।

তিনি বলেন, আমার নাম সাভারকার না। আমি একজন গান্ধী। আমি ক্ষমা চাইবো না।

গত সপ্তাহে গুজরাটের আদালত রাহুলের জামিন মঞ্জুর করে। সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ দিয়ে ৩০ দিনের জন্য সাজা স্থগিত করেন বিচারক। রাহুলের আইনজীবীরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।

এর পর পর কেরালার ওয়েনাদে রাহুলের নির্বাচনি এলাকা শূন্য ঘোষণা করে লোকসভা। নির্বাচন কমিশন এখন আসনটির জন্য বিশেষ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারে। সূত্র: এনডিটিভি

 


আরও খবর

পরিবহণ ধর্মঘটে অচল জার্মানি

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩