Logo
শিরোনাম

ধামরাইয়ে আমিনুর হত্যার প্রতিবাদে এলাকা বাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের জহির উদ্দিনের ছেলে আমিনুর হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় কাশিপুর আঞ্চলিক সড়কের দুপাশে প্রায় ২ হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। 


এসময় নিহত আমিনুরের চাচা মহর উদ্দিন বলেন আমার ভাতিজার সাথে কুল্লা ইউনিয়নের কফিলউদ্দিনের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া উর্মির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যে রাতে আমার ভাতিজা আমিনুর কে হত্যা করা হয়, সেদিন রাত ০৯ টার দিকে উর্মি ফোন করে নিয়ে যায় নেওয়ার পর তার পিতা মাতা মিলে আমিনুরের হাত, পা বেধে তারপর তাকে হত্যা করে তারা ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে উর্মি আমাদেরকে ফোন করে বলে যে আমিনুর মারা গেছে আমরা গিয়ে ভাতিজার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি, আমরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মেয়ের বাবা কফিল উদ্দিন ও মেয়ে উর্মি জিজ্ঞাসা বাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়।


ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও এখনোও থানার পুলিশ কোন মামলা নিচ্ছে না। আমারা গরীব বলে কি বিচার পাবো না দেশবাসীর কাছে জানতে চাই? 


এসময় নিহতের মা আমেনা বলেন আমার ছেলেকে যারা এভাবে হত্যা করলো আমি তাদের ফাঁশি চাই। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আরও বক্তব্য দেন প্রতিবেশী চাচা বাবুল হোসেন,ফায়ারসার্ভিস কর্মকর্তা বাসেদ এবং ফুফু সাহেদা বেগম সহ উপস্থিত ছিলেন এলাকার হাজার ও লোকজন।


আরও খবর



মরুভূমির নিচে বিশাল পানির ভান্ডার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মরুভূমিতে পানির অভাব, অথচ মাটির নিচেই রয়েছে প্রাচীন জলাধার। সুদানসহ আফ্রিকার বড় কয়েকটি দেশজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ ভান্ডারের অস্তিত্ব রয়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সেই পানির সদ্ব্যবহারের চেষ্টাও চলছে।

সুদানের যত উত্তরে যাওয়া যায়, জমি ততই শুষ্ক হয়ে ওঠে। কয়েকশ কিলোমিটারজুড়ে শুধু মরুভূমি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বালুর স্তূপের নিচে কিন্তু পানির বিশাল ভান্ডার রয়েছে। মিশর, সুদান থেকে চাদ ও লিবিয়া পর্যন্ত সেই জলাধার বিস্তৃত। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে খননের সময় নিউবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার নামের সেই ভান্ডার আবিষ্কার করা হয়েছিল।

ভূতত্ববিদ হিসেবে আব্দুল্লাহ ওমর গত ২০ বছর ধরে অ্যাকুইফার নিয়ে গবেষণা করছেন। কয়েকটি জায়গায় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি পানির নাগাল পাওয়া যায়। ২০০৪ সালে খননের সময় ওমর এল গা-আব অঞ্চলে একটি উৎস খুলে দেন।

ওমর বলেন, উত্তরের অংশে গভীরতা ৬০ মিটার অথবা আরও কম। ভাবতে পারেন? একটি সেচ প্রণালী দিয়ে ৫০ হেক্টর জমিতে সেচ করা সম্ভব। সেটা সত্যি অনন্য। এতে জলাধারের শক্তিশালী প্রবাহ স্পষ্ট হয়ে যায়।

গা-আব এল-হাশার মতো স্থানীয় গ্রাম এর ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে। ২০ বছর আগে সেই উৎস আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ নিয়মিত পানির নাগাল পাচ্ছে।

আব্দুল হাফিজ সাইদের মতো চাষি সেই সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করছেন। কয়েকশ হেক্টরজুড়ে তার নিজস্ব খেতে তিনি নানা ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করছেন। ফাভা বিনস, জোয়ার এবং আলফালফার পাশাপাশি চলতি বছর তিনি গম উৎপাদনে মনোযোগ দিয়েছেন।

আব্দুল হাফিজ বলেন, কৃষিকাজে পানি ঠিকমতো ব্যবহার করা উচিত। অর্থাৎ আমার মতে, উন্নত পদ্ধতি ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পানির সাশ্রয় করা সম্ভব। কিন্তু প্রথাগত পদ্ধতি ব্যবহার করলে বেশি পানি লাগে।

বেশ কয়েক বছর ধরে প্রাচীর গড়ে তোলার সুফল ভোগ করে আব্দুল হাফিজ সাইদ নিয়মিত তার খেতে সেচের কাজ করতে পারেন। প্রত্যেকটি উৎসের জন্য তার প্রায় সাড়ে চারশো ইউরোর মতো ব্যয় করতে হয়। কিন্তু তারপর গ্রামবাসী ও চাষিরা বিনামূল্যে পানি পেতে পারেন।

নিউবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার বিশ্বের সবচেয়ে বড় জীবাশ্ম জলাধার। অর্থাৎ কয়েক লাখ বছর আগে সেখানে পানি জমা হয়ে মাটির নিচে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অ্যাকুইফারের পানির ভাণ্ডার মোটেই অফুরন্ত নয়। কয়েকটি জায়গায় কম হলেও নতুন করে পানি আসে। অন্য জায়গায় একেবারেই সেটা ঘটে না।

কয়েকজন গবেষকের ধারণা অ্যাকুইফারের আয়ু কমপক্ষে আরও দুইশো বছর। তবে সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। এছাড়া সময়টাও বেশি নয়। এক আন্তর্জাতিক চুক্তি ও জাতিসংঘের এক প্রকল্পের মাধ্যমে সেই পানি ন্যায্য ও টেকসই উপায়ে ব্যবহার করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।

সুদানের সরকার ২০২২ সালে পানির ব্যবহার সংক্রান্ত একটি আইনে সম্মতি জানিয়েছিল। সেচ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সেটি কার্যকর করার কথা। এখনও পর্যন্ত সরকার জনগণের জন্য ৩৮টি ছোট এবং ছয়টি গভীর কূপ তৈরি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের পানি বিশেষজ্ঞ অটমান আহমেদ বলেন, আমরা দেশের উত্তরে ও নীলনদের কাছের প্রদেশগুলোতে গম উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছি। আমরা জানতে পেরেছি, যে অ্যাকুইফারের পানি ব্যবহার করে দুই লাখ দশ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে গম উৎপাদন করতে পারি। পানির স্তর না কমিয়ে বা অ্যাকুইফারের ক্ষতি না করেই সেটা সম্ভব।

এখনও পর্যন্ত অ্যাকুইফারে জমা বিশাল পরিমাণ পানি অন্তত কাগজে-কলমে কমেনি। তা সত্ত্বেও মানতে হবে, গোটা অঞ্চলের জনসংখ্যা এবং সেইসঙ্গে চাষি ও পশুপালকদের সংখ্যাও বাড়ছে। ভূতত্ত্ববিদ আব্দুল্লাহ ওমর নিয়মিত উত্তরের প্রদেশগুলোর গ্রামে গিয়ে পানির ব্যবহারের ওপর নজর রাখেন।

তিনি বলেন, গোটা উত্তর প্রদেশে ১১টি ডিভাইস ছড়িয়ে রয়েছে, যেগুলোর পানির স্তরে পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রাখার কথা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়ে চলা মরুকরণের অর্থ, এই অঞ্চলে অতীতের তুলনায় পানির গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। বিশাল অ্যাকুইফারের জীবাশ্ম পানি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগাতে পারলে সেখানে মানুষ ও প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষা করা অনেক সহজ হবে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




রাজধানীতে ঘণ্টায় ২৩ মিনিট নষ্ট হয় যানজটে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকায় প্রতি ঘণ্টার যাত্রাপথে ২৩ মিনিটই নষ্ট হয় যানজটে এর ফলে নষ্ট হয় কর্মঘণ্টা শ্রমের মান বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতার কারণে বছরে গড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয় ঢাকার বাসিন্দাদের

রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে রিডিউসিং পলিউশন ফর গ্রিনিং সিটিস শীর্ষক আলোচনা সভায় তথ্য জানায়- সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)

ঢাকার সিটি করপোরেশন এলাকার ৫০০ জনের ওপর জরিপ করে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে সিপিডি। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- সিপিডির রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-সিপিডির নির্বাহী পরিচালক . ফাহমিদ খাতুন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেলসহ দেশি বিদেশি পরিবেশবিদরা উপস্থিত ছিলেন

সিপিডি আরো জানায়, জরিপে অংশগ্রহণ করা ৭৬ শতাংশ মানুষই মনে করে গত - বছরের বায়ুদূষণের পরিমাণ আরো বেড়েছে। আর ৭৩ শতাংশ মনে করছে এই সময়ে প্লাস্টিক দূষণ আগের তুলনায় বেড়েছে। ৪৩ শতাংশ পরিবার মনে করেন সরাসরি রাস্তায় প্লাস্টিক ফেলার কারণে দূষণ বাড়ছে

আলোচনা অনুষ্ঠানে সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি বায়ুদূষণ রোধে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি

তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে স্থায়ী চিমনি ইট ভাটা বন্ধ করতে একটি নীতিমালা করা উচিত। যেন পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সমস্ত স্থায়ী চিমনি ইট ভাঁটাগুলো বন্ধ করা যায়। একইসঙ্গে ইট উৎপাদন কম দূষণকারী প্রক্রিয়ায় স্থানান্তরিত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন: উন্নত জিগজ্যাগ ভাটা, হাইব্রিড হফম্যান ভাটা, এবং উল্লম্ব খাদ ইট ভাটা। আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা-ভিত্তিক পাওয়ারপ্ল্যান্টগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার সুপারিশও করেন তারা

সুপারিশে আরো বলা হয়, নতুন কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট অনুমোদন করা বন্ধ করতে হবে। ধীরে ধীরে সমস্ত বিদ্যমান কয়লাভিত্তিক পাওয়ারপ্ল্যান্টগুলোকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ফেজ আউট করার পদক্ষেপ নিতে হবে

এছাড়া, পরিবেশ সারচার্জ বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয় সিপিডির গবেষকরা। গবেষকরা জানান, অর্থ আইন পরিবেশ দূষণকারী শিল্প দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের ওপর শতাংশ সারচার্জ নির্ধারণ উচিত। যা পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যয় হবে। প্লাস্টিক দূষণের জন্য মূলনীতি সুপারিশ পলিথিন ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার পাশাপাশি প্লাস্টিক পণ্যের রিসাইক্লিংয়ের ওপরে জোর দিতে হবে

পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, আইন করে এসব দূষণ বন্ধ করা যাবে না। এর জন্য দরকার জনসচেতনতা। বিদ্যমান যেসব আইন আছে, তা আংশিক প্রয়োগ করলেও বাংলাদেশ সোনার বাংলা হয়ে উঠবে। অভ্যন্তরীণভাবে সভা-সেমিনার না করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতার উদ্যোগ নিতে হবে


আরও খবর

ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য কী?

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

স্বাস্থ্য ডেস্ক : আধুনিক জীবনযাত্রার পদ্ধতি, পরিবর্তিত খাদ্যভ্যাস, নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ের অভাব শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছেন সবাই। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্‌রোগ। তবু হৃদ‌্‌রোগের বিষয় এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেই ধারণাই স্পষ্ট নয় অনেকের মধ্যে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি, যখন হৃদ্‌পিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃদ্‌পিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে যান।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের উপসর্গ কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের একাধিক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক অন্যতম। জন্মগত হার্টের সমস্যা বা যাদের হৃদ্‌যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে, তাদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সময়, রোগীরা হঠাৎ চেতনা হারিয়ে ফেলেন। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আগে কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যেমন বুকে হালকা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তি বোধ করা এবং মাথা ঘোরানো ইত্যাদি। তবে বেশির ভাগ মানুষই এই লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না, যার পরিণতি হয় মারাত্মক।

হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে তফাত কোথায়?

করোনারি ধমনীর মধ্যে যদি ব্লকেজ তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে হৃদ্‌পিণ্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদ‌যন্ত্র সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে না, তবে তার কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। অন্যদিকে, হঠাৎ করে যদি কোনও ব্যক্তির হৃদ্‌স্পন্দন পুরোপুরি থেমে যায়, তাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। সাধারণ ভাষায় যাকে চিকিৎসকরা তাকে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকও বলে থাকেন। এর ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। নিশ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে যায় তৎক্ষণাৎ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়।

হার্ট অ্যাটাক হলেই যে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তার কোনও মানে নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাক। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অন্যান্য অবস্থার কারণেও ঘটতে পারে, যেমন কার্ডিওমায়োপ্যাথি (পেশির রোগ) এবং ইলেক্ট্রোলাইট অস্বাভাবিকতা যা হৃদ্‌পিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

দিল্লির রাজীব গান্ধী হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. অজিত জৈন বলেছিলেন যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হার্ট অ্যাটাকের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। হার্ট অ্যাটাকের পরেও একজন ব্যক্তির জীবন বাঁচানো যায়। ছোটখাটো হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কম। হার্টের ধমনীতে ব্লকেজের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃত্‍পিণ্ড হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এ কারণে মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অংশে অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্ক মৃত হয়ে যায়।

ডা. জৈন বলেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গত তিন বছরে এ সমস্যা বাড়ছে। এমনকি কম বয়সে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

AIIMS-এর কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. মিলিন্দ ব্যাখ্যা করেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। যদি একজন ব্যক্তি এই ৪টি সমস্যার সম্মুখীন হন তবে এইগুলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ। যেমন : হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, নাড়ি বন্ধ, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে।

ডা. মিলিন্দ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরপরই যদি কার্ডিওপালমোনারি রেজিস্ট্যান্স (সিপিআর) দেওয়া হয়, তাহলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। সিপিআরে ব্যক্তির বুকের মাঝের অংশে ধাক্কা দিতে হয়। এক মিনিটে ১০০ বারের বেশি পুশ করা হয়। এতে করে হৃত্‍পিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং রোগী হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা পায়।


আরও খবর



নিরাপত্তাহীনতায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন নাগরিকরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। শুনতে অবাক লাগলেও, সম্প্রতি এমন তথ্যই দিয়েছে ইউরোপীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো ইউরো স্ট্যাট। এর কারণ হিসেবে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, বন্দুক হামলাসহ একাধিক বিষয়কে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউরোপীয় অভিবাসীদের জন্য পছন্দের জায়গা যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ। নানা সংকটের মুখে লাখ লাখ ইউরোপীয় নাগরিক একসময় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটছে উল্টো ঘটনা।

ইউরোপের পরিসংখ্যান ব্যুরো ইউরো স্ট্যাটের তথ্যমতে, আমেরিকান হাজার হাজার নাগরিক দেশ ছেড়ে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন। ভালো স্বাস্থ্যসেবা, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, বর্ণবাদমুক্ত পরিবেশ আমেরিকানদের ইউরোপে বসবাসে আগ্রহী করে তুলেছে বলে মত অনেকের।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি বন্দুক সহিংসতা। এসব কারণে অনেকেই দেশটি ছাড়ছেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

গত এক যুগে ইউরোপের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনেকটা এগিয়ে গেলেও, সেখানে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বন্দুক হামলা ও বর্ণবাদ। এছাড়া জীবন ধারণের জন্য ইউরোপের তুলনায় আমেরিকানরা প্রতিদিন অনেক বেশি সময় কাজ করে থাকেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ইউরোপে প্রায় বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

ইউরোপের অনেক দেশেই স্থায়ীভাবে বসবাস করা কঠিন। তাই মাল্টা, পর্তুগাল, স্পেন, সাইপ্রাস ও ক্রোশিয়ার মতো সহজে স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী দেশগুলোতে বেশি আবেদন করছেন তারা।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ি ও সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টার দিকে দিঘীনালা সাজেক সড়কের শুকনা ছড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।

তিনি জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের ফলে বাঘাইছড়ির ১০ নংশুকনাছড়ি বড়ইতলী সংলগ্ন ৫৪ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ও সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, সীমান্ত সড়কের জন্য পাথর নিয়ে যাওয়া একটি ট্রাকও বর্তমানে আটকা পড়েছে। তবে পাহাড় ধসে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, পাহাড় ধসের বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সকলকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি সকালের মধ্যে সড়কের মাটি সরিয়ে ফেলা যাবে। এতে পর্যটকদের কোনো সমস্যা হবে না।


আরও খবর

তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩