Logo
শিরোনাম

ধামরাইয়ে বংশী নদী ভরাট চলছে আঁটো রাইছ মিলের ছাই দিয়ে

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের সোমভাগ কাটাখালী এলাকায় কেলিয়ার উত্তরপাশে বংশী নদী ভরাট চলছে ধানের চাতালের ছাই দিয়ে। নদী ভরাটের ফলে গতি পথে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে ছাই দিয়ে ভরাটের কর্মযজ্ঞ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া এলাকায় কে এন্ড কে অটোরাইস মিল, কাদের আটো রাইস মিল, সৌদিয়া অটো রাইস মিল,সুষমা অটো রাইস মিল মালিকরা নদী ভরাট করে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।


আরও খবর



বর-কণের উপস্থিতি ছাড়া বিয়ে পড়ান চরপাথরঘাটার ভূয়া কাজী!

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক 

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজীর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও কাজীর কাছে নেই সরকারি কাবিন নামার বালাম বই। এমনকি অতিরিক্ত কাজী দাবিদার নিজে অনুপস্থিত ও জনৈক যুবক নিজেকে কাজী পরিচয় দিয়ে বর-কণের উপস্থিতি ছাড়াই বিয়ে পড়ান বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে
কর্ণফুলী ইউএনও তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলীর ১ নং (খ) চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার শূন্য পদে ভুয়া কাজীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে ৪৪ পৃষ্ঠার সংযুক্তিসহ ৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।

৩৭৮ স্মারকের ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি তিনি জেলা রেজিস্ট্রার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও অনুলিপি প্রেরণ করেন।

এতে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত অভিযোগকারী চরলক্ষ্যার কাজী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম, অভিযুক্ত পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম ও সহযোগী কামরুল ইসলামের শুনানি, লিখিত বক্তব্য ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করার কথা জানান।

পরে শুনানি শেষে ডিসির কাছে পাঠানো ইউএনও'র প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটার ইউনিয়নের কাজী মৌলানা নূরুল হুদা অবসর গ্রহণের পর থেকে পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম কয়েকবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।

দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় হাইকোর্টে রিট, কনটেম্পট পিটিশন, সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপীলসহ পাঁচটি মামলা হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম চরপাথরঘাটার অতিরিক্ত কাজীর দায়িত্ব দাবি করলেও শুনানিতে কাবিননামার বালাম বই কোথায় রাখা হয় তা জানাতে পারেননি। কাজী অফিসের চাবিও তাঁর কাছে রক্ষিত নেই। কাজীর সাইনবোর্ডে তার সহযোগী কামরুল ইসলাম নামক এক যুবকের ফোন নম্বর ঝুঁলিয়ে রেখেছেন। 

প্রতিবেদনে আরও জানান, আইনগত ভাবে এরূপ সহযোগী রাখার সুযোগ না থাকলেও 
পটিয়ার কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম সহযোগী হিসেবে জনৈক কামরুল ইসলাম কে দিয়ে অফিস ব্যবস্থাপনা করেন, বালাম লিখান, বর-কণের উপস্থিতি ছাড়া নিকাহ রেজিষ্ট্রি (বিবাহ) করেন বলে উল্লেখ করেন।

এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে তারা লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এমনকি সহযোগী কামরুল ভবিষ্যতে নিজেকে কাজী (নিকাহ রেজিস্ট্রার) পরিচয় দিবে না বলেও জানান। কিন্তু এখনো কামরুল নিজেকে কাজী পরিচয় দিয়ে অফিস খোলা রেখে বিবাহ রেজিস্ট্রার করছেন বলে  কাজী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলামের অভিযোগ।

এসব উদ্ভুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কর্ণফুলী ইউএনও প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করেন-আদালতে বিভিন্ন মামলা, শূন্য পদে কাজী নিয়োগে জটিলতা, নিকাহ রেজিস্ট্রার পরিচয়ে ভুয়া কাজী বিবাহ পড়ানো, কাজী না হয়েও সাইনবোর্ডে নিজের নম্বর লিখে প্রচার করায় জনসাধারণের মনে বৈধ কাজীর বিষয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ও জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরলক্ষ্যার কাজী সৈয়দ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, 'কাজী শরফুদ্দীন মো. সেলিম কিসের ভিত্তিতে চরপাথরঘাটার অতিরিক্ত কাজী দাবি করছেন, এটিসহ আমি ৮টি অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু ইউএনও স্যার কৌশলে বিষয়গুলো এড়িয়ে গেছেন। কেন এড়িয়ে গেছেন তা আমি জানি না। এমনকি দীর্ঘদিন শরফুদ্দীন সেলিম ও তার সহযোগী কামরুল কাজী পরিচয়ে বিবাহ পড়িয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করছেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের।'

এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, 'উভয় পক্ষের লিখিত বক্তব্য ও সমস্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ৪৪ পৃষ্টার সংযুক্তিসহ জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।'

আরও খবর



বন্যার্তদের ১০৭০ জন পরিবারের পাশে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

বন্যার্তদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

দেশের পূর্বাঞ্চলে সংগঠিত ভয়াবহ বন্যায় জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দেশের ১২ জেলা।এই সংকটময় পরিস্থিতে মাওলানা  ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(মাভাবিপ্রবি) বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য কাজ করছে।


বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে ২৯শে আগস্ট (বুধবার) দিবাগত রাত ১২ টার পর  প্রায় ১৬ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য ২টি ট্রাক ও ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষার্থী।


রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জানান,আমরা ৪ দলে ভাগ হয়ে ১০৭০ টি পরিবারের জন্য প্যাকেট করা উপহার সামগ্রীর

৪৮০টি ফেনী, ৪০০টি লক্ষীপুর, ১২০টি নোয়াখালী ও ৭০টি কুমিল্লা জেলায় নিয়ে যাবো। একটি বাস ও ট্রাক ফেনী ও কুমিল্লার উদ্দেশ্যে আরেকটি বাস ও ট্রাক নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।


অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইবাদত আলী বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা কবলিত মানুষের সহায়তায় দেশজুড়ে গণত্রাণ সংগ্রহের কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। আর্ত-মানবতার সেবায় আমরা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ছাত্র সামাজিক  সংগঠনসমূহ এগিয়ে এসেছি ।তিনি আরো জানান, আমাদের দেওয়া প্রতিটি প্যাকেজে থাকছে চাল,ডাল, শুকনা খাবার, শুকনা কাপড়, বাচ্চাদের খাবার, প্রয়োজনীয় ঔষধ, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রায় ২৫ প্রকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী।


ক্রিমিনোলোজি এন্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আলামিন ফকির জানান মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন, আঞ্চলিক ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠনসমূহের উদ্যোগে ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক,  কর্মকতা, কর্মচারীসহ আমাদের  যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি।


পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বী বলেন, বন্যার পানি কিছুটা কমলেও এখনো বেশকিছু অঞ্চলে বন্যার পানি পুরোপুরি শুকায়নি। ফলে তাদের পক্ষে রান্না করে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য আমরা শুকনা খাবারের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি প্যাকেটে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট ও খেজুর রেখেছি। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, সাবান, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও জরুরী ওষুধপত্র দিয়েছি। আশা করি একটা পরিবারের কয়েকদিনের শুকনো খাবারের যে প্রয়োজনীয়তা, এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও পূরণ হবে।


বিগত ৭ দিন যাবৎ টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, জামা-কাপড় ও প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



রাজশাহীতে বিভাগীয় দলিল লেখক সমিতির প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী::


বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজশাহী মহানগরীর নগরীর নওদাপাড়া থ্রি স্টার হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

রাজশাহী জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এস এম আয়নাল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির মহাসচিব আলহাজ্ব এম এ রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক ও বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কে এস হোসেন টমাস, যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক ও রুহুল আমিন খান, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ আলম। 

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি বলেন, যারা জাল সার্টিফিকেটে  কাজ করছেন, তারা অতি দ্রুত এ কাজ বাদ দিন। অবৈধ জাল দলিল থেকে বিরত থাকুন। এমনিতেই অনেক দুর্নাম হয়েছে আর নয়। সরকার ও ক্রেতা-বিক্রেতাকে ঠকানো থেকে বিরত থাকুন। অবৈধ কাজ বাদ দিলেও আপনাদের ডাল-ভাতের রোজগার হয়ে যাবে। তাই অবৈধ জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ করুন। অন্যায় কাজের পরিণাম ভাল হয় না। কয়েকদিন আগেই তার প্রমাণ পেয়েছেন। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কাজ বন্ধ করার আহবান জানান তিনি।


এছাড়াও সভায় উপস্থিত থাকেন নাটোর বনপাড়া দলিল লেকক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন পবা রাজশাহীর দলিল লেখক লুৎফার রহমান তারেক, পুঠিয়া রাজশাহীর দলিল লেখক আফজাল হোসেন, বেলকুচি সিরাজগঞ্জের মতিয়ার রহমান লাভলু, সদর নাটোরের আরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সদর বগুড়ার জহুরুল ইসলাম টুকু, পত্নীতলা নওগাঁর দেওয়ান আকরাম হোসেন, আটঘরিয়া পাবনার গোলাম মোস্তফা সহ বিভিন্ন জেলার দলিল লেখকরা।

আরও খবর



রাজশাহীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া’ কর্মসূচি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::


রাজশাহীতে ‘প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া’ কর্মসূচি পালন করেছেন। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশমারের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।কর্মসূচিতে রামেবি অধিভুক্ত ২৩টি নার্সিং কলেজের বিএসসি কোর্সের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। 

ইতোমধ্যে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ এবং সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রাজশাহীস্থ বিভিন্ন বেসরকারী নার্সিং কলেজের এ শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবিতে ‘প্রতীকি পরীক্ষা ও প্রতীকি বিষপান’, গলায় ‘ফাঁসির দড়ি’ ঝুলিয়ে মিছিল, ‘কাফনের কাপড়’ জড়িয়ে অনশন এবং ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছিলেন। 

এ চলমান কর্মসূচিতে অসুস্থ  ১৫ শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের অনেকেই এখনো চিকিৎসাধীন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন শিক্ষার্থীরা।


নার্সিং শিক্ষার্থীরা জানান, রামেবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তারা বৈষম্যের শিকার। তারা এর অবসান চান।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নবাজ-এর প্রতিষ্ঠাতা আমানুল্লাহ আমান বলেন, প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ও পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া কর্মসূচি নেয়া হয়। আমরা উচ্চ পর্যায়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। 

আমরা আশাবাদি, রামেবিতে শীঘ্রই নতুন কর্মকর্তা এসে আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়ে পরীক্ষা শুরু ও সেপ্টেম্বর মাসেই কাঙ্খিত ফলাফল প্রকাশ করবেন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। কাজ চলমাম। দ্রুতই সমাধান হবে।

আরও খবর

এমপক্স: পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের ?

শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ফারুকের

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১


মোস্তফা কামাল: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নব-নির্বাচিত সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, দেশের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে। 
আজ বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হবার পর সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, ‘লক্ষ্য অনেক বড়। দেশের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের এক সাথে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। যেহেতু অনেক দিন ধরে এ কাজটি চলছে, তাই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের সেসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা একটি দেশ ও ক্রিকেট প্রিয় জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে চাই। কাজটি সহজ হবে যদি আমরা নিজেদেরকে একটি দল হিসেবে চিন্তা করি এবং আমরা যদি নির্দিষ্ট কাউকে বেশি অগ্রাধিকার না দিয়ে দলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। আমরা যেন অন্য দিকে সরে না যাই।’
আজ জরুরি সভায় নাজমুল হাসান পাপন তার পদ থেকে সরে যাবার পর প্রথম সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক। 
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বোর্ডের আট পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। জালাল ইউনুস এবং আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির পরিবর্তে এনএসসির মনোনীত বিসিবির পরিচালক হন ফারুক আহমেদ এবং নাজমুল আবেদিন ফাহিম। 
সভাপতির পদ থেকে পাপন পদত্যাগ করায় বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ফারুককে সভাপতি নির্বাচিত করতে ভোট প্রদান করেন সভায় উপস্থিত পরিচালকরা। 
১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফারুক। বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসাবে দু’বার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৩-২০০৭ সালে প্রথম মেয়াদে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের দলে সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় কান্ডারি হয়ে উঠেন তারা।
এরপর ২০১৩-২০১৬ সালে আবারও প্রধান নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ফারুক। কিন্তু তৎকালীন বিসিবি সভাপতি পাপন দুই স্তরের নির্বাচন প্যানেল তৈরি করলে পদত্যাগ করেন ফারুক। কারন নির্বাচক প্রক্রিয়ায় অযাচিত ক্ষমতা প্রয়োগ করেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। 
বোর্ডে অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে সকলকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে বদ্ধপরিকর ফারুক। পাশাপাশি তাদের কাজের জবাবদিহিতার সুযোগও থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 
ফারুক বলেন, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি কারো কাজে হস্তক্ষেপ করবো না। তবে প্রত্যেকের কাজই কঠোর তদারকিতে থাকবে। আমরা সবাইকে বড় সাফল্যের জন্য সময় দিবো। কিন্তু যদি সাফল্য না আসে তাহলে এজন্য আপনাকে দায়ী হতে হবে। সভাপতি হিসেবে আমি কিছু উপদেশ দিতে পারি তবে এমন নয় যে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে তা গুরুত্ব দিতে হবে।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুক ক্রিকেট দল। শুধুমাত্র ছোট-ছোট বিষয় নিয়ে আটকে থাকলে চলবে না। আমাদের আরও বড় লক্ষ্যের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। আমি রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করতে পারি না। এখানে কতক্ষণ থাকবো সেটিও জানি না। তবে ক্রিকেটই হবে সবকিছুর উর্ধ্বে।’
এমন একটি ব্যবস্থা ফারুক গড়ে তুলতে চান যাতে কোন দুর্নীতি করার সুযোগ না থাকে। 
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ প্রক্রিয়ার বিপক্ষে প্রতিবাদ করে আমি বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছি। দুর্নীতির পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। আমাদের একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, এমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে যার মাধ্যমে কোন দুর্নীতি করার সুযোগ থাকবে না।’
আইসিসি র‌্যাংকিং অনুযায়ী বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কোথায় দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক বলেন, ‘আগেই বলেছি, আমি ক্রিকেটকে সেরা জায়গায় দাঁড় করাতে চাই। হঠাৎ পাওয়া সাফল্যে আমি খুশি হয়ে যাবো, এমনটা নয়। আমরা যদি পাঁচটি প্রতিদ্বন্দিত্বাপূর্ণ ম্যাচ খেলার পর ষষ্ঠ এবং সপ্তম ম্যাচ জিততে পারি এটিকেই সাফল্য মনে করবো।’ 


আরও খবর