Logo
শিরোনাম

ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৬ জন ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মাসুদ উল হাসান,জামালপুর প্রতিনিধি : 

১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা বোনের সম্ভমের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। পেয়েছি স্বাধীন রাস্ট্র। দেশকে বাচাঁতে জীবন বাজি রেখে যারা অস্্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন তাদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা। সেই দিন বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর কো অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে তাঁরা বীরের মতো লড়াই করেছেন। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বশির আহমেদ, নূর ইসলাম ও মতিউর রহমান।

জানা যায়, জামালপুর জেলার সর্ব উত্তরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর। কামালপুরের পাশেই ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মহেন্দ্রগঞ্জ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের এই মহেন্দ্রগঞ্জ। কৌশলগত কারনে ধানুয়া কামালপুর ছিলো পাক হানাদার বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ন স্থান। যে কারনে কামালপুরে ঘাঁটি গেড়েছিল পাকিস্থানী বাহিনী। কামালপুর দখলে নিতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সম্মুখ যুদ্ধে পা হারান কর্ণেল আবু তাহের। 

শহীদ হন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজসহ শতাধিক বীর যোদ্ধা। এক সময় অবস্থা বেগতিক দেখে ৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্থানী বাহিনী। মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। কামালপুরে এমন বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাবে বীর বিক্রম, বীর উত্তম ও বীর প্রতীক খেতাব পান মোট ২৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৭১ সালের সেই সময়টায় বিভিন্ন সেক্টর ও সাবসেক্টরে ভাগ করা হয় পুরো দেশকে। মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন কোম্পানিতে মুক্তিযোদ্ধা নিয়োগ চলছে এমন খবর চলে আসে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা নাম লেখাতে শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। একে একে ৬৬ জন শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য প্রশিক্ষন নিতে ছুটে গেলেন ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে। প্রশিক্ষন নিয়েই ঝাপিয়ে পড়লেন শত্রুবাহিনীর উপর। দীর্ঘ ৯ মাস বীরের মত লড়াই করে ছিনিয়ে আনলেন লাল সবুজের পতাকা।  

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বলেন,ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয়ে আমি তখন নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। দেশের পরিস্থিতি আমরা বুঝে গিয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক আমাদের কাছেও পৌঁছে গেছে। প্রামাঞ্চল হলেও নানা মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের খবর পাচ্ছিলাম। আর ওপাশেই ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ, সেখানে গিয়ে দেখতাম যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। আমাদের বয়সী অনেকেই যুদ্ধে যাচ্ছে, নিজেকে ঘরে রাখা কঠিন হয়ে গেল। চলে গেলাম মুক্তিযুদ্ধে। আমাদের স্কুলের ৬৬ জন ছাত্র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। 

জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার হরদেব সিং ক্লের বললেন কামালপুর পাকিস্থানি ক্যাম্পে কে যাবে আত্মসমর্পণের চিঠি নিয়ে। কামালপুর সীমান্তঘেষাঁ ভারতীয় গ্রাম ব্রাহ্মণপাড়ায় তখন মুক্তি বাহিনীর হাজারো সদস্য উপস্থিত। তবে কেউ সাহস করে বলতে পারছিলো না কে যাবে। বিগ্রেডিয়ার ক্লের যখন প্রশ্নটা দ্বিতীয়বার করলেন, ঠিক তখনই মুক্তিবাহিনীর এক কিশোর যোদ্ধা বলে উঠলেন,আমি যাব চিঠি নিয়ে। সেই কিশোর যোদ্ধা সাহসী বশির আহমেদ। 

বশির আহমেদ বলেন,আমাদের স্কুলের ১০০ গজ দূরেই ক্যাম্পটি। আত্মসমর্পণের চিঠিটি পকেটে নিয়ে পাকিস্থানি ক্যাম্পের সামনের রাস্তায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আমার হাতে থাকা সাদা পতাকা নাড়ালাম। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া পেলাম না। ভয়াবহ অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ, শত্রুপক্ষের ছোড়া একটি গুলিই কিশোর বশির আহমেদের জীবন কেড়ে নিতে পারত। তবে কোণঠাসা পাকিস্থানী বাহিনী একসময় ক্যাম্পের ভেতরে তাঁকে ডেকে নেয়। তিনি আত্মসমর্পণের চিঠি পৌঁছে দিলেন বিওপির কমান্ডার ক্যাপ্টেন আহসান মালিকের হাতে। দীর্ঘক্ষণ চিঠির বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না পাক বাহিনী। এরই মধ্যে মিত্রবাহিনীর চারটি যুদ্ধবিমান হামলা শুরু করল পাকিস্থানী ক্যাম্পে। বশির আহমেদকে বাংকারে ঢোকানো হলো। কয়েকজন সৈনিক হতাহত হলো। পাকিস্থানী বাহিনীর মনোবল আরও ভেঙে গেল। এরই মধ্যে মুক্তিবাহিনীর আরও একজন এলেন আত্মসমর্পণের চিঠি হাতে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুর রহমান। চারপাশ থেকে হামলায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী। শত্রুমুক্ত হয় কামালপুর রণাঙ্গন। 

বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন,আমি গর্বিত যে আমার এই বিদ্যালয়ের ৬৬ জন প্রাক্তন ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৬৪ সালে এই স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় আশপাশের এলাকায় কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল না। সবাই কামালপুরেই পড়তে আসতো। প্রায় ৮০০ শ শিক্ষার্থী ছিলো বলে জেনেছি। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গুরুত্তপূর্ণ এক রণাঙ্গন ছিল বলে স্কুলের এত ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বিষয়টি আমাকে প্রতিদিনই সকল কাজে উৎসাহিত করে। আমি গর্বিত এমন ইতিহাস সৃষ্টিকারী একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলে। তিনি আরো বলেন,১১ নম্বর সেক্টরের এই বিদ্যালয়টির আশানুরুপ উন্নয়ন হয়নি। ক্লাস রুমের সঙ্কট রয়েছে। ইতিহাস রক্ষায় বিদ্যালয়টি আধুনিকায়নের দাবি জানান তিনি। 

ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বলেন, ১৯৬৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৭১ সালে এই বিদ্যালয় থেকে ৬৬ জন ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। এটা অবশ্যই ইতিহাসের অংশ। এই ইউপি’র চেয়ারম্যান হিসেবে গর্বিত আমি।


আরও খবর



আইন, আদালতকে ও সম্মান করে না ভূমিদস্যু, নাজিম!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার ত্রাস, সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা, ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত নাজিম উদ্দিন ভুইয়া। নিউগিনি প্রপার্টিজ নামক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তিনি। নাজিম উদ্দিন ভূইয়া ও তার চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এলাকার কিছু কিশোর বয়সী ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়া বাহিনী দিয়ে অন্যের জমি জোর পূর্বক অবৈধ দখল, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল অবসর প্রাপ্ত লোকের কাছে।

 লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামে শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন নাজিম উদ্দিন। এসব জমির নিরীহ মালিকগণ নাজিম বাহিনীর ভয়ে নাম মাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর একবিঘা জমি কিনে আশে পাশে দশ বিঘা জমিতে জোর পূর্বক সাইন বোর্ড লাগিয়ে দখলে নিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাট করে জমির চেহারা পাল্টে ফেলে নিজের কোম্পানির সাইন বোর্ড লাগিয়ে, জোর পূর্বক আশে পাশের রাস্তা বন্ধ করে এলাকার মানুষকে জিম্ম করে ফেলে নাজিম উদ্দিন। অন্যের জমি দখল করে মসজিদ ও কবরস্থানের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন তিনি।

 শেয়ার মালিক ও ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলে জমির আসল মালিকগণ আদালতে দেওয়ানী মামলা করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই নাজিম বাহিনী নির্মাণ কাজ শুরু করে নিউগিনি প্রপার্টিজ। এলাকায় নাজিম উদ্দিনের ক্ষমতার জোর দেখিয়ে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে নাজিম উদ্দিন তথা নিউনিগি প্রপার্টিজ। আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজউক এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের সহযোগীতায় গত ২০ই মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ ও উচ্ছেদ অভিযোনে গেলে সৃষ্টি হয় এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

 নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটর নির্দেশে উক্ত ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করতে গেলে সদলবণে সেখানে উপস্থিত হয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন ভূইয়া। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সরাসরি বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারওয়ারকে লাঞ্চিত করেন ও প্রশাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নাজিম উদ্দিন। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপর চূড়ান্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার হুমকি দেন নাজিম উদ্দিন।

ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকান্ডকে অবৈধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকি প্রদান করেন। তার অসৌজন্য মূলক আচরণ এবং বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর চাপে অবশেষে ভদ্র মহিলা (নিঃম্যাঃ) নিজের সম্মান বাচাতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে শুধুমাত্র নোটিশ প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

 অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে রাজউক নকশা অনুমোদন করিয়ে রাজউকের নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন। তার কোম্পানির নেই কোন ইঞ্জিনিয়ার, নেই কোন অভিজ্ঞ লোকজন। সকল কার্য পরিচালনা করেন নিউগিনি প্রপার্টিজের এমডি নাজিম উদ্দিন। তিনিই মালিক, তিনিই ইঞ্জিনিয়ার তিনিই সেলসম্যান তিনিই কন্ট্রাকক্টর, তিনিই পার্চেজার। সব কিছুই তিনি তার মতো করে করেন।

তার ধারনা তিনি যা করেন সেটাই আইন, সেটাই আদালত। আইন, বিচার শালিস, আদালত, প্রশাসন কোন কিছুকেই পরোয়া করেন না নাজিম উদ্দিন। ক্যান্টনমেন্ট থানাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ধারায় প্রায় ৩০টি মামলার আসামী নাজিম উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যগণ। আর সাধারণ ডায়েরী রয়েছে অসংখ্য। এর মধ্যে প্রায় ১০টি মামলা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)এর (ঈ) ১০/১২, ১৪৩/৩৪১/৪২৭/৩২৫ সহ অন্যান্য ধারায়। নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, জামাত শিবিরের অর্থযোগান, মানিলন্ডারিং সরকারের কর ফাঁকি, দুর্নীতি কোন কিছুই আর সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকছে না নাজিমের বেলায়। নাজিমের এসব কর্মকান্ডে বেশ কয়েকবার জেল খাটার পর টাকা আর ক্ষমতার জোরে জেল থেকে বেরিয়ে নাজিম উদ্দিন গর্ব করে বলেন তাকে আটকে রাখার মত জেলখানা বাংলাদেশে তৈরী হয়নি। কোথায় নাজিমের খুঁটির জোর কেউ জানে না। এক অদৃশ্য শক্তির জোরে ইসলামী লেবাচে চলাফেরা করে নানা প্রকার বে-আইনী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানিকদি মাটিকাটা এলাকায় অঘোষিত ক্ষমতার নায়ক নাজিম উদ্দিন।

তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এজন্য নিরপেক্ষ স্বাক্ষীর অভাবে খারিজ হয়ে যায় নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ। পুলিশ, র‍্যাব সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাজিম উদ্দিনের সব মামলার তদন্ত করতে ভয় পায়। স্বাধীন দেশে এক পরাধীন এলাকা মাটিাকাটা-মানিকদি। এলাকার লোকজনের কাছে নাজিম বাহিনীর বিষয়ে জানতে চাইলে সবাই কৌশলে এড়িয়ে যায়। আবার চেষ্টা অনেক করেও নাজিম উদ্দিনের দেখা পেলে সব প্রশ্নের জবাব উগ্র ও সন্ত্রাসী ভাষায় প্রদান করেন তিনি।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




বৈশাখের প্রভাবে ইলিশের দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আর একদিন পরই পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের পয়লা দিনটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়। দিনটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র বাজারে ইলিশের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এবার সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে ইলিশ কম ধরা পড়ায় বাজারে সরবরাহ কম। বৈশাখ উপলক্ষে চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পয়লা বৈশাখের প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে। জুরাইন, যাত্রাবাড়ী ও সূত্রাপুরের মাছ বাজারে  ৭০০ ও ৮০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজির চেয়ে একটু বড় ইলিশ একবারেই কম। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা কম।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর ১ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা নেই। ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। আর বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দামও একটু বেশি।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর



রাজধানীতে কোথায় কখন ঈদের জামাত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়।

এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের পাঁচটি জামাত হবে পর্যায়ক্রমে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দান

ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৩৫ হাজার নারী-পুরুষ একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করবেন। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায় ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম এ জামাতে ইমাম থাকবেন।

মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূর উদ্দীন তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন। এ জামাতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ইমাম থাকবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান এ জামাতে ইমামতি করবেন।

তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন। এ পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। রাজধানীর অন্যান্য ঈদ জামাত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় জমঈয়তে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় সকাল ৮টা ও সকাল ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদ ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লন মসজিদ এবং ঢাবির আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে।

সকাল সোয়া ৭টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে খেলার মাঠের পরিবর্তে নামাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে প্রথম জামাত বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত বকসি বাজার বায়তুস সালাম মসজিদে সকাল ৮ টায় এবং আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল ৮টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

কাজীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনটি জামাত যথাক্রমে সকাল ৭টা, ৮টা ও ৮টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে, দারুস সালাম মীর বাড়ি আদি (মাদবর বাড়ি) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার মিয়া সাহেবের ময়দান খানকা শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৭টায়, লক্ষ্মীবাজার নূরানি জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট ও সকাল সাড়ে ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গণে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সায়েদাবাদ চিশতিয়া দরবার শরফয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, সিলেটের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায় মোট তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন মোল্লাহ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। কামরাঙ্গীরচর হাফেজ্জী হুজুর মসজিদ মাদরাসায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




ঈদের ছুটি : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ নির্দেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ঈদের ছুটিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোয় কর্মরতদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রবিবার অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, চলতি বছর শবেকদর, ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দীর্ঘ ছুটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ছুটির এই সময়ে হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থাপনার জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

নির্দেশনাগুলো হলো

১. ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।

২. প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অনুকূলিতভাবে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

৩. প্রতিষ্ঠান সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালক-কে অবহিত করে শুধু ঈদের ছুটিকালীন নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।

৪. জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

৫. জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৬. অন্তঃবিভাগে ইউনিট প্রধানরা প্রতিদিন কাজের তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৭. ছুটি শুরু হবার পূবেই ছুটির সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ভি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলার অবস্থান করবেন।

৮. অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৯. ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।

১০. প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন হবে এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।

১১. প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণকারী কর্মকার্তা সকল দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

১২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন এবং রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

 


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪