Logo
শিরোনাম

ধানুয়া স্থলবন্দরে ৫৬ কোটি টাকার অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর আধুনিকায়নে ৫৬ কোটি টাকা ব্যায়ে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মান কাজ শেষে মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে আধুনিক নবনির্মিত ভবন,বাউন্ডারি ও ওয়েট ব্রীজ স্কেল। 

বন্দর সূত্রে জানা যায়,প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর এক ধাপ এগিয়ে গেলো কামালপুর স্থলবন্দর। উদ্বোধন কালে বন্দরে অন্যান্যের মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউর রাব্বি, বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ খান, ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক মাহাবুর হাসান,প্রকৌশলী মেহেদী হাসান,বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেনসহ বন্দরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়,এই বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পাথরে দেশের সিকিভাগ চাহিদা পুরন হয়। পাথর ছাড়াও জিরা, আদা,রসুনসহ বিভিন্ন পন্য আমদানি হয়ে থাকে। ২০২১-২০২২ র্অথবছরে এই স্থলবন্দর থেকে সরকাররে রাজস্ব আয় হয়েেছ চার কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০২২-২০২৩ র্অথবছরে আয় হয়েেছ সাত কোটি ১৫ লাখ টাকা। ২০২১-২০২২ র্অথবছরে ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেেক পাথর আমদানি হয়ছে এক লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। ২০২২-২০২৩ র্অথবছরে এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে। এত প্রতি বছর সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। 

ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও বন্দরের ব্যবসায়ী মশিউর রহমান লাকপতি বলেন,৫৬ কোটি টাকা ব্যায়ে বন্দরকে আধুনিকায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা অনেক খুশি। অবকাঠামো যেহেতু শেষ তাই দ্রুত এই বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর দাবি জানান তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় স্বর্ণ চোর চক্রের নারী সদস্যসহ ৩জন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জানুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অভিনব কায়দায় স্বর্ণ চুরির সাথে জড়িত আন্তঃজেলা চোর চক্রের দু'জন নারী সদস্যসহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ। এসময় চুরি যাওয়া আড়াই ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির টাকা এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গাজিউর রহমান।

আটকরা হলেন, দিনাজপুর জেলার কতোয়ালী থানার রাজবাড়ী তামলিপাড়া গ্রামের রমজান আলী (৪৬) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩০) এবং কালিতলা গ্রামের মৃত মোতাহারুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৫৫)। 

এসময় গাজিউর রহমান আরো বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের একটি জুয়েলার্স দোকান থেকে স্বর্ণ কেনার নামে কৌশলে ব্রেসলেট চুরি করে চোর চক্রের সদস্যরা। ঘটনায় থানায় মামলা করেন দোকান মালিক অনিমেষ চন্দ্র। মামলার পর চোরদের সনাক্তকরণ, গ্রেফতার ও চোরাই মালামাল উদ্ধারে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে পুলিশের চৌকস টিম মাঠে নামেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা স্বর্ণ চোর চক্রের নারী সদস্যসহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি যাওয়া ব্রেসলেট সহ আরো দুইটি স্বর্ণের চেইন এবং একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চোরাই স্বর্ণ বিক্রির ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্তে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।


আরও খবর



জবির প্রধান ফটকে ৩ দাবিতে তালা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন।

আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের জবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিতে দেখা গেছে। এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্যের আশ্বাসেও অনশন ভাঙেনি তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, সিএসই বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, আইইআর বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, গণিত বিভাগ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা শাটডাউন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

এদিকে প্রধান ফটকে তালা ঝুলানোর ফলে ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে পারছে না। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য পকেট গেট খোলা রয়েছে।

জবি শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।


আরও খবর



চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও ভারতের বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএসএফের এক কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতি বছর দুইবার করে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, মাদক বিরোধীসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই বাহিনীর প্রধান বৈঠক করেন। বিএসএফ এবং বিজিবি (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস) এর ডিজিদের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ২ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর ১৯৯৩ সালে দিল্লি ও ঢাকায় দ্বিবার্ষিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবারের বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে।

বাতিল করা বৈঠকটি একটি রুটিন বৈঠক হলেও এবার তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা, ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে আর কোনও বৈঠক হয়নি।

নভেম্বরে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশ এটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে নতুন করে আর কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ডিসেম্বরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা করা হচ্ছিলো। তবে এ মাসেও তা না হওয়ায় ২০২৪ সালে বৈঠক হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই।

এ বিষয়ে বিএসএফের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি। তাই চলতি বছর বৈঠকটি আর হচ্ছে না। গত মাসে বৈঠক স্থগিতের পর ডিসেম্বরে এর আয়োজন নিয়ে আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসু হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে সেগুলো ছোট বিষয়। যে বিষয়গুলোর সমাধান করা সম্ভব নয় সেগুলো দুই বাহিনীর প্রধানের বৈঠকে তোলা হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের বৈঠক না হওয়াটাকে আমরা বড় করে দেখছি না। কেননা, মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।


আরও খবর



দেশের স্বার্থে আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি জান্তা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ সোমবার দুপুরে সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের দমদমিয়াস্থল নাফ নদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথম থেকে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখনো সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এতে সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মাদকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‌মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদকরোধে সবার সহযোগিতা দরকার। এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফ নদে মাছশিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খোলা হবে।

তিনি বলেন, ‌সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। কিছু অসাধু বাংলাদেশি দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। এ দালালচক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার। না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সবশেষ জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দুপুরের দিকে হেলিকপ্টরযোগে ঢাকা থেকে টেকনাফ পৌঁছান। পরে বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী।


আরও খবর



খরচ কমিয়েও বাড়ছে না হজযাত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগের বারের মতোই ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে হজ করার সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব, তবে এবার খরচ কমিয়েও বাড়ছে না হজযাত্রী।

খরচা বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালে প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ হয়নি, হজে গিয়েছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এবার প্রাথমিক নিবন্ধনই সেরেছেন ৮৩ হাজার ৫২৭ জন, যা চূড়ান্ত নিবন্ধনে আরো কমতে পারে। তার মানে এবার হজযাত্রী কমছে অন্তত ১ হাজার ৭৩০ জন।

আগামী বছরের হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এর আগে দফায় দফায় সময় বাড়ানো হলেও নতুন করে আর সেই সুযোগ দিচ্ছে না ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ অনুবিভাগের উপসচিব মামুন আল ফারুক বলেন, ২০২৫ সালের জন্য হজের প্রাক, প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়সীমা আর বাড়ছে না। আমাদের শিগগির সৌদি সরকারকে কোটা (নিবন্ধিতদের তালিকা) পাঠিয়ে দিতে হবে।

হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, এবারের হজের জন্য যে ৮৩ হাজার ৫২৭ জন প্রাথমিক নিবন্ধন সেরেছেন, তার মধ্যে সরকারি মাধ্যম বেছে নিয়েছেন ৪ হাজার ৯৮০ জন। বাকি ৭৮ হাজার ৫৪৭ জন বেসরকারি মাধ্যমে হজে যেতে চান।

গত ২৫ আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, হজের প্রাথমিক নিবন্ধন ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এর মধ্যে সময়সীমা কমিয়ে-বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত তা ২৬ ডিসেম্বর বলে ঠিক করা হয়।

যারা প্রাথমিক নিবন্ধন সেরেছেন, তাদের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে বলেছে সরকার।

হজের কোটা পূরণ না হওয়ার বিষয়ে হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব  ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, হজে মূলত তারাই যান, যার জন্য ফরজ, যার সঙ্গতি আছে। সেক্ষেত্রে এরকম লোক যদি কম হয়, সেটা তো আর বাড়ানোর সুযোগ থাকে না।

তিনি বলেন, তবে এ বছর হজযাত্রী যা আছেন, তারা সবাই প্রকৃত হজযাত্রী। কেননা অন্যবারের মতো পলিটিক্যাল হাজি নেই এবার। তারপর যারা অবৈধভাবে টাকা-পয়সা কামিয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকে বারবার হজে যেতেন, তারা এবার যাচ্ছেন না। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তাই বলে।

খাবার খরচ যুক্ত করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ঘোষিত সাধারণ হজ প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা আর বিশেষ হজ প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এর সঙ্গে কোরবানি বাবদ ৭৫০ রিয়ালের সমপরিমাণ অর্থ সঙ্গে নিতে হবে।

অন্যদিকে এবার উড়োজাহাজ ভাড়া প্রায় ২৭ হাজার টাকা কমিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের মূল্য কমানো হয়েছে। তবে এবার খাবার খরচ হজ প্যাকেজে ধরা হয়নি।

সরকারিভাবে এবার প্যাকেজ-১-এর সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। আর যারা সাধারণ প্যাকেজ-২ নেবেন, তাদের সর্বনিম্ন খরচ দিতে হবে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।

এর সঙ্গে খাবার বাবদ আরো ৪০ হাজার টাকা এবং কোরবানি বাবদ ৭৫০ সৌদি রিয়ালও গুনতে হবে। সেই হিসাবে হজ প্যাকেজের খরচ আগের চাইতে খুব একটা হেরফের হয়নি। তা ছাড়া প্যাকেজ-১-এ খরচ কমানো হলেও আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে মক্কা ও মদিনা থেকে অনেকটা দূরে।

এভাবে সুবিধা কমিয়ে প্যাকেজমূল্য কমানোর বিপক্ষে হাবের মহাসচিব  ফরিদ আহমেদ মজুমদার। তার ভাষ্যে, হজের বিমানভাড়া একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে আরো যৌক্তিক করা যেত। ভাড়া কমানো গেলে হয়তো আরো কিছু হজযাত্রী বাড়ার সুযোগ থাকত।


আরও খবর