Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ

ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

টাঙ্গাইলে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। রায়ে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় একজনকে খালাস দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (২৮), ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিনজারপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহম্মেদ ওরফে হৃদয় (২৩) এবং মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৭)। খালাসপ্রাপ্ত হয়েছেন মেহেদী হাসান টিটু ( ২৮)।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের সাথে। ২০২১ সালের ২ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে নানীর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে বীরভরুয়া নামকস্থান থেকে গত বছরের (৩ আগস্ট) এক অজ্ঞাত যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় না পেয়ে মরদেহটি বেওয়ারিশ হিসেবে স্থানীয় ভূঞাপুরের ছাব্বিশা গোরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে টাঙ্গাইল পিবিআই স্বপ্রণোদিত হয়ে গত (৫ আগস্ট) মামলাটির দায়িত্ব নেয়। বিভিন্ন সোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের ইসপিনজারপুর গ্রামে মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমানের ভাড়া বাড়িতে যোগাযোগ করে। তদন্ত টিম মিজানুরকে কৌশলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে তার ঘরে পড়ে থাকা মোবাইল ফোনের পরিত্যক্ত একটি বাক্স কুড়িয়ে পায়। বাক্সটিতে দুটি মোবাইল ফোনের ভাঙা অংশ ছিল। পরে ওই বাক্সের গায়ে লেখা আইএমই নম্বরের সূত্র ধরে অজ্ঞাত ওই স্কুল ছাত্রীর বাবার সন্ধান পান। ছবি ও পড়নের কাপড় দেখে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা অজ্ঞাত ওই নারী তার মেয়ে বলে শনাক্ত করেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তদন্ত কাজ দ্রুত এগুতে থাকে। তদন্ত টিম তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে সোর্সের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষার্থী স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক প্রেমিকসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেন। ২০২১ সালের ৬ আগষ্ট নিহত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে হত্যার রহস্য ও আসামিদের নাম বেরিয়ে আসে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌশুলী (পিপি) আলী আহমদ বলেন, রাষ্ট্র পক্ষ এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধ প্রমাণ করেছে। এই কারণেই আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আরও একজনে খালাস প্রদান করেছেন। এ রায়ে বাদি পক্ষ ও আমরা সন্তুষ্ট।


আরও খবর



বায়ুদূষণে সবার শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে আজ রোববার (১০ মার্চ)  ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। সকাল ৮টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউ এয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকায় আজ সবার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার বাতাসের মানের স্কোর ২১২। অর্থাৎ, নগরবাসীর জন্য আজ ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি তালিকার দুই নম্বরে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর, ১৯৫। বাতাসের এই মান নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ তিন নম্বরে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৮৮। অর্থাৎ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির এই শহরের বাতাসও আজ নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর

একিউআই বা বায়ুমান নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩) । একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে নগরবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।  প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে তথ্য দেয় এবং কী ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।


আরও খবর



রমজান মাসজুড়ে যেমন থাকবে আবহাওয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রোজা শুরু। সোমবার দিবাগত রাত থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে রোজা রাখার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। রমজান মাসজুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে সেটি নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। সার্বিকভাবেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এখনো তাপমাত্রা স্বাভাবিকই আছে। মাসের শেষ দিকে অবশ্য দুয়েকটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের আশঙ্কাও রয়েছে।

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির পর থেকেই সাধারণত তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত এসে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়। আর এপ্রিল মাসে দেশে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন দেশের আবহাওয়া আসলে গরমের দিকে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর চলতি মার্চ মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়েছে। সে অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে এ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হবে। দুই থেকে তিন দিন বজ্র, শিলাবৃষ্টিসহ এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখীর আশঙ্কা আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবারও দেশের দুয়েক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলছে, মাসের শেষ দিকে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ এস এম কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখন যে সময়ে আছি, সেটা গরমের দিকে যাওয়ার সময়। দিন দিন তাপ বাড়বে। আর এপ্রিল হলো দেশের সবচেয়ে গরম মাস। সে ক্ষেত্রে তখন তো তাপমাত্রা বাড়বেই।


আরও খবর



নতুন কারিকুলামে প্রতি বিষয়ে ৫ ঘণ্টার পরীক্ষা!

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত মূল্যায়ন নিয়ে তুমুল সমালোচনার পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে খসড়াটি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগের পদ্ধতিতে আর পরীক্ষা হবে না। এটিকে মূল্যায়ন বলা হচ্ছে।

আগে তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হলেও নতুন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ভিন্ন হচ্ছে। নতুন কারিকুলাম চালুর পর আগের মতো পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ছিল। শিক্ষার্থীদের অভিভাবরাও উদ্বেগে ছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেছেন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

জানা গেছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির পরীক্ষায় মার্কিং (চিহ্নিত) করার নিয়ম থাকবে না। রিপোর্টিং ভালো, অর্জনের পথে এবং প্রাথমিক পর্যায় এমন তিনভাগে ফলাফল হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে। এসএসসি পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের ওপর। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রতি বছর দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। গত বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে এ নিয়ম। এর আলোকে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে।

খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিড টার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ স্কুলে। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এতে ছয়টি সেশন থাকবে। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক। মিডটার্ম ও বার্ষিক চূড়ান্ত পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে নতুন কারিকুলামের আলোকে।

চলতি বছরের জুন মাস থেকেই এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন হবে স্কুলে। এর আগেই সব চূড়ান্ত হবে জানিয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেছেন, অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের নিয়ে খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।

চলতি মাসের শুরুতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে সমন্বয় কমিটি গঠন করে সরকার। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)। সমন্বয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান। এছাড়া, আরও বিভিন্ন দপ্তরের নয় কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর



ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঈদের পরে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিন। কারওয়ান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেওয়া যাবে না।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির আওতাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের গাবতলীর আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মেয়র একটি চমৎকার সুযোগ আপনাদের জন্য দিচ্ছেন। আপনাদের অবশ্যই এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। মেয়র বলেছেন পাশেই নদীর পাশে বিজিবি মার্কেটে মাছের আড়ৎ নির্মাণ করে দেবেন। সব সুবিধাই আপনাদের জন্য নিশ্চিত করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন মেট্রোরেল হয়ে গেছে। কারওয়ান বাজার ধীরে ধীরে সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ট্রাক ঢুকতে অনেক সমস্যা হয়। এছাড়া কারওয়ান বাজারের ট্রাক তেজগাঁওয়ের রাস্তা দখল করে রেখেছে। কারওয়ান বাজার স্থানান্তর করে ওই এলাকার পরিবেশ সুন্দর করতে হবে। গাবতলীতে স্থানান্তর হওয়ার পরে আপনাদের কি কি সুবিধা প্রয়োজন সে বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলাপ করবেন। মেয়র আপনাদেরই প্রতিনিধি তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।


আরও খবর