Logo
শিরোনাম

ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলনে ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে।

তারেক রহমান বলেন, আছিয়ার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একইসঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে একাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের। আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদেরকে বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন-দিন বেড়েই চলছে। আধুনিক এই যুগে মানব জাতি এরূপ অমানবিক, পৈশাচিক ও বর্বরোচিত কাজে লিপ্ত হতে পারে, তা কল্পানাতীত।

তারেক রহমান বলেন, ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র। আমাদের সমাজে যে নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে চলছে, তা মানবতা ও নৈতিকতার মৌলিক ভিত্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখছি, পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নারী হেনস্থা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এই ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে। এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।


আরও খবর



খেলাধুলা শিশু ও তরুণদের মেধা বিকাশে অবদান রাখে

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, খেলাধুলা শিশু ও তরুণদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান ও কর্তব্যপরায়ণতার সৃষ্টি হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস-২০২৫ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। তারুণ্যের শক্তি ধারণ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস আয়োজন করায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড, ক্রীড়া সংগঠকসহ সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের ক্রীড়া দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘তারুণ্যের অংশগ্রহণ, খেলাধুলার মানোন্নয়ন’ নির্ধারণ করা সময়োপযোগী ও যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, দেশ বদলের প্রত্যয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশের এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে পুনরুজ্জীবিত করতে দেশব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদযাপন করেছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত মূল্যবোধের মেলবন্ধনে আয়োজিত এই উৎসবে তরুণরা তাদের সৃজনশীলতা, মেধা, যোগ্যতা ও মননশীলতার স্বাক্ষর রেখেছে।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের তরুণরা আন্তর্জাতিক ক্রীড়ায় ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করছে। ক্রিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে গৌরব ও সুনাম অর্জন করেছে। আমাদের নারীরা গত বছর নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছে।

দাবায়ও সাফল্য এসেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুই দশক পর ইরানের তেহরানে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল ব্রোঞ্জ পদক পুনরুদ্ধার করেছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে যৌথ চ্যাম্পিয়ন এবং নেপালে অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ হকির ছেলেদের বিভাগে প্রথমবার বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ যুব হকি দল। নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছে আমাদের তরুণরা।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে।

পর্যটকেরা জানান, যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ কাটাতে কক্সবাজারের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন তারা। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিনেও লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। রমজানে পর্যটক কম থাকলেও ঈদের ছুটিতে ভিড় বাড়ছে।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাড়ে পাঁচ শতাধিক আবাসিক হোটেলের প্রায় ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকড রয়েছে। তৃতীয় দিন থেকে শতভাগ বুকিং পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটকের ঢল অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, 'ঈদের প্রথম দিনে পর্যটক তুলনামূলক কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন থেকে পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ এপ্রিল এক লাখের বেশি পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন এবং ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে জানান, প্রতিটি হোটেলে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানানো থাকে এবং প্রতারণা এড়াতে অনলাইন বুকিং ব্যবস্থাও চালু রয়েছে।

এদিকে, সৈকতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সী সেইফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গনি জানান, বিপদ এড়াতে লাইফগার্ড সদস্যরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন এবং পর্যটকদের নির্ধারিত স্থানে গোসলের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পরিদর্শক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, 'সৈকতসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত টহল ও অভিযোগ কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটকদের যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, বার্মিজ মার্কেট, মহেশখালী ও রামুর বিভিন্ন স্থানে পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নয়, চলছে পরীক্ষার প্রহসন

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আমি পপি আক্তার—একজন সংবাদকর্মী। কিন্তু আজ আমি কোনো চায়ের কাপ হাতে টেবিলে বসে রিপোর্ট লিখছি না। লিখছি বিছানায় শুয়ে, ব্যথায় কাতর শরীর নিয়ে। জায়গাটা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আজ আমি রোগী। আমার কণ্ঠে আজ হাজারো রোগীর আর্তনাদ, যাদের চিকিৎসা না পেয়ে চোখে জল, মনে ক্ষোভ, মুখে নীরবতা। গত এক সপ্তাহ ধরে আমি গুরুতর অসুস্থ। ভর্তি হয়েছি চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগে। প্রথমদিন সাংবাদিক ভাই মো. কামাল উদ্দিন হাসপাতালে এসে আমাকে দেখে সেবা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন। কর্তৃপক্ষ তার উপস্থিতিতে কিছুটা সাড়া দেয়, কয়েকজন ডাক্তার-প্রফেসরও আমাকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু তারপর? নীরবতা, উপেক্ষা, উদাসীনতা। আজও আমার চিকিৎসা সুনির্দিষ্ট নয়। এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ঠেলাঠেলি, এক পরীক্ষা থেকে আরেক পরীক্ষায় পিষে যাওয়া আমার মতো শত শত রোগীর গল্প একই। পরীক্ষাই যেন এখানে একমাত্র চিকিৎসা। শুধু টেস্ট, আর টেস্ট। ওষুধ নেই, পরিকল্পনা নেই, করুণা নেই।

পেশার মেশিনও নেই, খাবার আসে বিকেলে- বলেন তো, একটা সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ডে যদি পেশার মেশিনই না থাকে, তাহলে উচ্চ রক্তচাপের রোগী কিভাবে বাঁচবে? পেশার মাপতে বললে আয়ারা বলেন—মেশিন নাই! গায়ে জ্বর, মাথা ঘোরে, বুক ধড়ফড় করে—তবুও সাড়া নেই। দুপুরের খাবার আসে ৩টা বা ৪টায়। সেই খাবারও রোগীর নয়—বিনাভাবে অভিভাবক খায়, কারণ রোগী এতক্ষণে অজ্ঞান বা নি:শেষ।

নারী ওয়ার্ডে পুরুষদের অনুপ্রবেশ, রাতে ঘুমায় পাশেই! সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা, মহিলা ওয়ার্ডেও রক্ষা নেই। পুরুষরা দিনের বেলায় যেমন ঘোরাঘুরি করে, রাতেও এসে পাশেই শুয়ে পড়ে। নারীর ব্যক্তিগত সুরক্ষা এখানে এক ভিন্নরকম ব্যঙ্গ। হাসপাতালের নিরাপত্তা যেন নিছক কল্পকাহিনি। বাথরুমে আলো নেই, কল ভাঙা, পানি পড়ে না। নারী ওয়াশরুমেও পুরুষ! ওয়াশরুমের অবস্থা বর্ণনাতীত। একটামাত্র আলো, তাও কাঁপছে। পানির কল সব ভাঙা। গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। নারী ওয়াশরুমেও পুরুষের অবাধ প্রবেশ, যেন নারীত্বের লজ্জা কেউ দেখে না, বোঝেও না।ডাক্তাররা থাকেন সকালে—তারপর নিখোঁজ- সকাল বেলা হয়তো দু’একজন ডাক্তার আসেন। কিন্তু তারপর গোটা দিন ওয়ার্ড যেন জনশূন্য। রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে, জ্বর গায়ে উঠে, ব্যথায় কাতরায়—কিন্তু চিকিৎসা নেই, চিকিৎসক নেই, কেবল দয়া-ভিক্ষার ভরসা। টেস্ট করতে হয় টাকার বিনিময়ে, সিরিয়াল ভেঙে, তাও চিকিৎসা মেলে না

আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, এক্স-রে—প্রতিটি পরীক্ষার পেছনে টাকা গুনতে হয়। সিরিয়ালের তোয়াক্কা না করে ডাক্তাররা বলেন, ‘ইমারজেন্সি’। দেরি হলে ফাইল ফেলে দেন। একজন রোগী তো বলেই ফেললেন—"সিস্টেম নাই, আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন!" এই কি আমাদের রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যব্যবস্থা? আমি লিখছি, কারণ আমি সাংবাদিক। কিন্তু আমার পাশের বেডে যে নারীটি শুয়ে আছেন, যিনি চট্টগ্রামের কোনো প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলশিক্ষিকা, তার কণ্ঠ নেই, কলম নেই। তার চিৎকার কে শুনবে? আজ আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মাননীয় উপদেষ্টা Asif Mahmud Shojib Bhuyain স্যার, আপনি দেখুন এই হাসপাতালে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে।

চিকিৎসা নয়, এখানে মানুষ শুধু প্রহসনের শিকার হচ্ছে। এখানে শুয়ে থেকে আমি দেখেছি, কিভাবে মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মরে যাচ্ছে, আর কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শক।

এই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কি মৃত্যুর এক কারখানা হয়ে যাচ্ছে?

একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, একজন নারী হিসেবে, একজন রোগী হিসেবে এবং একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমি অনুরোধ জানাই—এই অব্যবস্থাপনার পরিবর্তন হোক। মানুষ যেন অন্তত সরকারি হাসপাতালে এসে সুস্থ হওয়ার আশায় মরতে না হয়। আমি চাই, এই লিখন একটি জবাব পাক। শুধু আমার জন্য নয়, আমার মতো হাজারো কণ্ঠহীন রোগীর জন্য। চট্টগ্রাম মেডিকেলের প্রতিটি অসংগতি যেন আজ সরকারের চোখে পড়ে।


আরও খবর



গাজায় ৮২ শতাংশ মানবিক সহায়তা বন্ধ, চরম খাদ্য সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গাজায় ৮২ শতাংশ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বাধার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (OCHA)।

মার্চ ১৮ থেকে ২৪ পর্যন্ত এক সপ্তাহে এসব কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে, যা জরুরি সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং বেকারিতে জ্বালানি সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজকে কার্যত থামিয়ে দিয়েছে।

গাজায় তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ত্রাণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর নিরাপদ চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) সতর্ক করেছে যে, গাজার লাখ লাখ মানুষ চরম খাদ্য সংকট এবং অপুষ্টির মুখে পড়তে যাচ্ছে।

WFP জানায়, গাজায় সামরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে বাধার ফলে সাহায্যকর্মীদের জীবনও বিপদে পড়ছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় কোনো ত্রাণ প্রবেশ করতে পারেনি, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য এক চরম মানবিক সংকট তৈরি করেছে।

সূত্র : আল-জাজিরা


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




৭৬ বছরে চিত্রনায়ক আলমগীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নায়ক আলমগীরের আজ ৭৬তম জন্মদিন। ৭৬ বছরে পা রাখলেন তিনি। ১৯৫০ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অভিনেতার কাছে জন্মদিন একেবারেই সাধারণ একটা দিন। খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না। তারপরও পরিবারের সদস্যরা দিনটি নিজেদের মতো করে উদযাপন করে থাকেন। চলচ্চিত্রে আলমগীরের অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে আমার জন্মভূমি সিনেমা দিয়ে। ১৯৮৫ সালে তিনি পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে মা ও ছেলে সিনেমায় অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলেন আলমগীর। গত বছর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন গুণী এই অভিনেতা। শিল্পকলা (অভিনয়) শাখায় এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

অভিনয় ক্যারিয়ারে ২২৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এ ছাড়া ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন এ অভিনেতা। শুধু অভিনয় নয়, গানও গাইতে পারেন আলমগীর। এক সময় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি স্কুলে সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদীর কাছে গান শিখেছিলেন। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন। আগুনের আলো চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম কণ্ঠ দেন। এরপর কার পাপে, ঝুমকানির্দোষ চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন।


আরও খবর