Logo
শিরোনাম

ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে পুলিশসহ দু'জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজী করার সময় একজন পুলিশ সদস্য সহ দু'জন কে আটক করেছে থানা পুলিশ। এসময় একজন পালিয়ে যায়। এঘটনায় মামলা দায়ের করার পর শনিবার ১৮ ফেব্রয়ারি আটককৃত দু'জনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে প্রেরণ করেছেন থানা পুলিশ।

আটককৃত দু'জন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বামনসাতা গ্রামের মনজের আলীর ছেলে আনসার সদস্য কামরুজামান (৪০) ও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে পুলিশ এর এটি,এস,আই মনির উদ্দীন (৫২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টারদিকে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউপির কুশারমুড়ি গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে হাজমত আলীর বাড়ীতে ৩ জন লোক যায়। সেখানে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়ীর আসবাব-পত্র ওলটপালট করেন এবং হাজমত আলী মাদক ব্যবসা করে বলে গ্রেফতারের ভঁয় দেখিয়ে টাকার দাবী করেন ৩ জন। এসময় হাজমতের মা হাজেরা বেগম চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এলে ৩ জনের মধ্যে ১ জন পালিয়ে যান। খবর পেয়ে বদলগাছী থানা পুলিশ দুই জনকে আটক করেন।

এব্যাপারে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, আটককৃতদের কাছ থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল ( নওগাঁ-ল ১২-৮৬৪৯) নম্বর, নগদ ৫ হাজার টাকা, এক সেট হ্যান্ডকাপ ও পুলিশের ব্যাবহৃত ওয়ারলেস উদ্ধার সহ আটক করা হয়। এব্যাপারে ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আটককৃত ২ জনকে শনিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে 


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁর তালতলিতে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থান নওগাঁর তালতলিতে বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মিনারের সামনের সড়কে বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ কমিটির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ কমিটির নেতা খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ কমিটির আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শরীফ, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোকারম হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু, দলিল উদ্দিন দুলু, আজিজুল হক, একরামুল হক ঝন্টু, চাল ব্যবসায়ী নেতা মেকবুল হোসেনসহ প্রমুখ।

মাবববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার শ্রষ্ঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নওগাঁ জেলায় একমাত্র স্মৃতি বিজরিত স্থান এই তালতলী বিল। এখানে ১৯৭৩ সালে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই স্থানটিই বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সবচেয়ে যৌত্তিক স্থান। নওগাঁ জেলা সদর শহরের কাছাকাছি হওয়ায় যোগাযোগ, আবাসন, চিকিৎসা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ কমিটির আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্তারঞ্চলের মধ্যে প্রথম নওগাঁয় আসেন। এ সময় তিনি তালতলিতে জনসভায় ভাষন দেন। আজ যখন জাতির পিতার নামেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তখন তার এই স্মৃতি বিজড়িত স্থান তালতলিতেই হওয়া দরকার।

তিনি আরো বলেন, জেলা সদর থেকে ৪০-৫০ কিলোমিটার দুরের কোন স্থানে বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা। যে কোন ভাবেই এমন উদ্যোগ প্রতিরোধ করা হবে। এ জন্য নওগাঁ’র সকল মানুষকে একতাবদ্ধ থাকার আহবান জানান। উল্লেখ্য  -মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নওগাঁতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষনা দেওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় টি স্থাপনের জন্য ছাতড়া বিল, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া নওহাটামোড় বাজার ও বদলগাছীর পাহারপুর সহ নওগাঁ সদরের তালতলি বিল নামক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের দাবি তোলেন নিজ নিজ এলাকার সংগঠন সহ সচেতন মহল এবং স্থানিয়রা। ইতি পূর্বেও একাধীক বার এদাবিতে কর্মসূচিও পালন করেন তারা। জাতীয় সংসদে ''বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়'' বিল পাস হওয়ার পরই আবারো স্থান নির্ধারন নিয়ে শুরু হয় আলোচনা - সমালোচনা। নওগাঁর জেলার মধ্যমনি বা মধ্যবর্তী স্থান নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া নওহাটামোড় বাজার এলাকাটি জেলার মধ্যে সর্বদিক বিবেচনায় যৌক্তিক স্থান বলে মনে করেন নওগাঁর কয়েকটি উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ। 

কারন এস্থানটি নওগাঁ শহর থেকে ১৪-১৫ কিঃ মিঃ দূরে এবং নওগাঁ জেলা সদর সহ জেলার প্রতিটি উপজেলা সহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি জেলার সাথে বিভাগীয় শহর রাজশাহীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা সহ সর্বদিক বিবেচনায়  এস্থানটি এখন পর্যন্ত সচেতন মহলের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্ব বহন করে জানিয়ে বলিহার সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর পিন্সিপাল (অবঃ) আবু নাছের বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যায় মানে বিশাল একটি বিষয়, এর সাথে হাজারো শিক্ষার্থী, শিক্ষক সহ কর্মকর্তা ও কর্মচারির বিষয় জড়ীত। এজন্য 

''বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টি'' স্থাপনের একমাত্র যৌক্তিক স্থান হবে জেলার মধ্যেমুনি ও জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া নওহাটামোড় বাজার। এবাজারে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ প্রশাসনিক, ফায়ার সার্ভিস সহ সবদিক থেকে জেলার মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বরাখে বলেও তিনি দাবি করেন। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি সার্বিক বিবেচনা সহ যৌক্তিক স্থানে স্থাপন করেন। তাহলে সবার আগে চৌমাশিয়া নওহাটামোড় বাজার স্থানটি নির্ধারণ বা সঠিক বলেই চয়েচ করবেন এমন মন্তব্যও প্রকাশ করেন তিনি। 


আরও খবর



পিকআপ - অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু সহ নিহত চার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পিকআপ ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংর্ঘষে অটোরিকশা চালক ও শিশু সহ মোট ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দূর্ঘটনাস্থলে ৩ জনের মৃত্যু হয় এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহিদুল ইসলাম মোমিন নামে এক জনের মৃত্যু হয়।মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার ১৩ মার্চ সকাল সারে ৮ টারদিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।

দূর্ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন,

নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর ও পৌর এলাকার দামগাড়া গ্রামের মৃত আবু তালেব এর ছেলে ও অটোরিকশা চালক হেফজুল ইসলাম (৪৪), ওমরপুর গ্রামের তানসেন আলীর শিশু সন্তান ছেলে আব্দুল আলিম (৩) এবং নামুইট গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন এর ছেলে ও রাজশাহী সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম (২২)। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটধুমা গ্ৰামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মোমিন নামে এক জনের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি সোমবার সকালে নন্দীগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে বগুড়া শহরে যাচ্ছিল। পথে কুন্দারহাট বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পৌছালে নাটোর গামী একটি পিক আপের সাথে অটো রিকশার মুখোমুখি সংর্ঘষ ঘটে এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি দূর্ঘটনাস্থলে দুমড়ে মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে দূর্ঘটনাস্থল থেকে অটোরিকশা চালক ও শিশুসহ ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার সহ গুরুতর আহত অবস্থায় পিক আপের চালক, হেলপার সহ ৬ জনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানিয় কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার এস আই হাসনাত আলী জানান, সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহযোগীতায় অটোরিকশা চালক ও শিশু সহ ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার সহ গুরুতর আহত অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া দূর্ঘটনাস্থল থেকে  অটোরিকশাটি এবং পিকআপ টি উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক সহ দু' জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image


শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক সহ দু' জনের মৃত্যু।

নওগাঁর রাণীনগরে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ঐ ট্রাকের চালক আমির হোসেন (৫৮) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বান্দায়খাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাক চালক আমির নাটোর জেলার বড়ই গ্রামের মৃত দিলবর রহমানের ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ট্রাক নিয়ে বান্দাইখাড়া বাজারে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে দূর্ঘটনাস্থলেই চালক আমির গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। দূর্ঘটনা কবলীত ট্রাকটি উদ্ধারের কাজ চলছে।

অপরদিকে নওগাঁর পত্নীতলার বাকরইল রুপগ্রাম মোড়ে সকাল ১১ টায় ট্রলির সাথে মোটরসাইকেল এর সংঘর্ষে  মোটরসাইকেল আরোহী তুহিন হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত তুহিন হোসেন পত্নীতলা উপজেলার বড় মহোরন্দি গ্রামের সারওয়ার হোসেন এর ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, নিহতের পরিবার বা কারো কোন অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের  নিটক মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, নিহত তুহিন হোসেন দীর্ঘ দিন প্রবাসে থাকার পর প্রায় দু মাস পূর্বে দেশে (বাড়িতে) আসেন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। বিবাহের মাত্র কয়েক দিন পরই তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে নিহতের পরিবার-স্বজন সহ গ্রামজুড়ে লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া।


আরও খবর



ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক অব্যাহতভাবে গড়তে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা :


ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,  মহাসড়ক না হলে যেমন যানবাহন চলতে পারে না, তেমনি ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক ছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তি চলতে পারেনা। তিনি বলেন আমাদেরকে ডিজিটাল সংযুক্তির মহসড়ক অব্যাহতভাবে গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চাদপদ বাংলাদেশে অনন্য ডিজিটাল সড়ক গড়ে তুলেছেন। মন্ত্রী হাওর অঞ্চলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যেখানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে একসময় বলা হতো ‘বর্ষায় নায়ে, হেমন্তে পায়ে’- সেই হাওর এলাকার মা ডিজিটাল সংযুক্তির কল্যাণে এখন হাওর এলাকার গোয়াল ঘর বন্যায় ডুবে যাওয়ার চিত্র তার ছেলেকে মোবাইলের মাধ্যমে দেখাতে পারছে। তিনি আরও বলেন যে এই মহাসড়ক নির্মাণে বিটিআরসি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে যা আগামীতে আরও জোরদার করতে হবে।

তিনি বিটিআরসির বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। এসব উদ্যোগের মাঝে রয়েছে বিশ্বের সর্বনিম্ন ইন্টারনেট হার এক দেশ এক রেট প্রবর্তন, বাংলা এসএমএস এর অর্ধেক মূল্য নির্ধারণ, ৪জি-৫জির স্পেকট্রাম নিলাম, টেলিকম খাত থেকে বিপুল জাতীয় রাজস্ব আদায়, সকল মোবাইল গ্রাহককে বাংলায় সকল তথ্য প্রদান, হাওর-দ্বীপ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল সংযুক্তি গড়ে তোলাসহ টেলিযোগাযোগ খাতে ডিজিটাল যুগের উপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের পর  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগুচ্ছি। এজন্য আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার চক, ডাস্টার, কাগজ, কলম, চেয়ার, টেবিল এর পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি গর্ব করার মতো যে বিটিআরসি তার এসওএফ তহবিলের একটি প্রকল্পেরে আওতায় ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আজ বিকালে রাজধানীর রমনায় আইইবি ভবনের বিটিআরসি’র সভাকক্ষে সম্প্রতি ড. দীনেশ চন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক ও ‘বিজয় বন্ধু সম্মাননা প্রাপ্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে সম্বর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ড. দীনেশচন্দ্র সেন সংকলিত মৈমনসিংহ গীতিকার তিনটি সংস্করণ প্রকাশের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা প্রকাশের  উদ্যোগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবিরাম অবদান রাখা, বিজয় বাংলা সফটওয়ার এবং  বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যার উদ্ভাবনসহ  ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। আচার্য  দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোস্যাইটি ভারত এই স্বর্ণপদক প্রদান করে। সোস্যাইটি’র  সাধারণ সম্পাদক এবং দীনেশচন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী দেব কন্যা সেন এই  পদক মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। অন্যদিকে ডরপ নামক বাংলাদেশী একটি প্রতিষ্ঠান মন্ত্রী মহোদয়কে বিজয় বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে।

মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে যা করেছেন তা জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে পশ্চাদপদ ছিল। প্রিন্টিং কাজের জন্য একসময় শীসার হরফ আনা হতো পশ্চিমবঙ্গ থেকে। অথচ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের কারণেই আমাদের বাংলাদেশের ডিজিটাল হরফ ব্যবহার করছে পশ্চিমবঙ্গ। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৭২ সালে যন্ত্রে বাংলা লেখার সুযোগ হয়েছিল। মন্ত্রী বলেন, আমাদের যার যা দায়িত্ব আছে তা যথাযথভাবে পালন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মো. মাহবুব-উল-আলম, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কমিশন সচিব মো. নুরুল হাফিজ।

সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, মাননীয় মন্ত্রীকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি ও জানি। একসময় ভাই সম্বোধন করতাম। তিনি বলেন, আমিই প্রথম মাননীয় মন্ত্রীকে মন্ত্রিত্ব পদ পেতে যাচ্ছেন তার সংবাদটি দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবকরা সচেতন নয়। মানুষকে অনুপ্রেরণা দিতে হবে। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী একজন অনুপ্রেরণা দান করা সুন্দর মানুষ। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার নীতিমালা তৈরি সহ আইসিটির অনেক কাজেই তিনি মন্ত্রী হবার আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী অনেক উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন। তার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তিতে ঢুকতে পারছে।

বিটিআরসি’র মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী পুরুষ। তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তিতেই সীমাবদ্ধ নন, তিনি দেশবাসীর কাছে ডিজিটাল সেবা পৌছেঁ দেয়ার একজন কারিগর। বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন মন্ত্রীর সম্বর্ধনাকে যথার্থ মন্ত্রব্য করে বলেন, ক্ষণজন্মা মেধাবী এ মানুষটি তাঁর শ্রম ও মেধা দিয়ে দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি তার ভালোবাসাকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বের চেহারা ৯০ দশকেই তিনি বাংলাদেশের মানুষকে দেখিয়েছিলেন। তিনি ৯০ দশকেই বুঝেছিলেন, আগামির বাংলাদেশটিকে কেমন হতে হবে। ৯০ দশকেই তিনি বিজয় কী বোর্ড আবিষ্কার করে কম্পিউটারে বাংলাভাষার ব্যবহার শুরু করেছিলেন। এখন তিনি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করছেন।

বক্তব্য শেষে বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে বিশেষ স্মারক প্রদান করা হয়।

 


আরও খবর



কুমিল্লার দেবিদ্বারে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অবরুদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত’র অভিযোগ এনে তাকে ‘অবরুদ্ধ’ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

বুধবার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেবিদ্বার

উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এসময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষক ও তাঁর জামাতার

ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।এছাড়াও উত্তেজিত জনতা একটি সিএনজি ও বিদ্যালয়ের

শ্রেণী কক্ষের কয়েকটি দরজা ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে দেবিদ্বার-বিপাড়া (সার্কেল) সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা,

ওসি কমল কৃষ্ণ ধরসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনি উপস্থিত

হয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। রাত ৮টার দিকে

বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি

ছোঁড়ে এতে ২জন গুরুতর আহত হয় আহতদের উদ্ধার করে

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর