ডিজেল ও ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ফসল উৎপাদনে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ট্রাক্টর দিয়ে কৃষকের জমি চাষে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ইউরিয়া সারের দাম বাড়ায় সার কেনার ঘর খরচ বেড়েছ কৃষকের। এ অবস্থায় কৃষক জমি চাষ করে ফসল উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছেন। কৃষি অফিসও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকেরা ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেছেন কৃষকেরা নাকি সার অবচয় করে। সে জন্য সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঞ্জুরুল হক নামের একজন কৃষক বলেন, ‘জমিতে যতটুকু সার প্রয়োজন সেটাই দেওয়া হয়। জমিতে বেশি সার দেওয়া হলে জমিতে ফসল হবে না। বর্তমানে দেশে যে অবস্থা কৃষকদের বাঁচতে দেবে না। কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ধানের দাম তো বাড়ানো হয়নি। এভাবে সব জিনিসের দাম বাড়তে তো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জমি চাষে এখন বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।
চিলমারীতে আমনের ভরা মৌসুমে সার ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় কৃষক। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির আগেই ইউরিয়া সারের দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা বেড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ ও পরিবহন খরচ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এসবের দাম না কমলে চাষবাদ করতে হিমশিম খেতে হবে বলে অভিযোগ করেছে কৃষক।
কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এক একর জমিতে এবার আমন আবাদ করেছেন। এরআগে তার এক একরে জমি চাষ ও সেচে খরচ পড়তো প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকার মতো। জ্বালানি ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার খরচ বাড়বে প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা।
কৃষক সুমার আলী বলেন, সার ও তেলের দাম বাড়ায় এখন চাষাবাদ ছেড়ে দিতে হবে। কারণ ফলন উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে অন্যদিকে কৃষক তার ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। কৃষক যদি ধান চাষ না করে, তাহলে দেশের অবস্থা তো অনেক খারাপ হয়ে যাবে।
ডেমনারপাড় এলাকার কৃষক জব্বার আলী বলে, হঠাৎ এই দাম বাড়ার ফলে এখন জমি আবাদ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার যদি দাম কমায় তাহলে হয়তো স্বাভাবিকভাবে চাষাবাদ করতে পারবো।
কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাশ জানান, দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়তে পাড়ে। সরকারিভাবে কৃষকদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে। তারা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে আশা করছেন বলে জানান তিনি।