Logo
শিরোনাম

দিল্লির ১০০ স্কুলে বোমা হামলার ‘হুমকি’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বোমা হামলার হুমকি’ দিয়ে ভারতের দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) প্রায় ১০০ স্কুল ইমেইল পাঠানো হয়েছে। তবে এই ইমেইলগুলো ভুয়া উল্লেখ করে সেগুলোর উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানান জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। এ ঘটনার পর রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা উত্তর দিল্লির মডেল টাউনের ডিএভি স্কুল পরিদর্শন করেন।

ভি কে সাক্সেনা বলেন, দিল্লি পুলিশ ইমেইলগুলোর উৎস খুঁজে পেয়েছে। আমি দিল্লির নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সতর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কোনো স্কুলে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিনিয়র পুলিশ অফিসার কুমার মাহলা বলেছেন, আমরা সব স্কুল পরীক্ষা করেছি। কিছুই পাওয়া যায়নি। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।

দিল্লি পুলিশ প্রধানের কাছে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভি কে সাক্সেনা।

জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, ... আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং স্কুল ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। দুর্বৃত্ত ও অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না।

বুধবার (১ মে) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া সমস্ত স্কুলে পুলিশ এবং ফায়ার বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।

নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জানিয়ে দিল্লি পাবলিক স্কুল নয়ডার অধ্যক্ষ কামিনী ভাসিন বলেছেন, আমরা বোমা সংক্রান্ত একটি ইমেইল ​​পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থী আছে, তাই আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। অভিভাবকদের জানানো হয়েছে এবং ছাত্রদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বৈশ্বিক কর্মসূচিতে ধর্মঘট মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। একইসঙ্গে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট পালন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং টাংগাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে কাজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

গাজাবাসীর সমর্থনে আজ সোমবার ৭ই এপ্রিল, টাংগাইলে সংহতি সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিয়ে সাধারণ ধর্মঘট পালন করেছে মাভাবিপ্রবি এবং টাংগাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই ডাকের প্রতি সংহতি জানিয়ে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগে আজ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, আইইউবিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিসহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে। 

সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রেসক্লাব-নিরালা মোড়-পুরাতন বাস স্ট্যান্ড - ডিস্ট্রিক্ট গেট- প্রেস ক্লাব হয়ে পৌর উদ্যানে এসে শেষ হয়। মিছিলে তারা ইনকিলাব ইনকিলাব, আল-আকসা জিন্দাবাদ।  "শেম শেম জায়োনিস্ট, মেক ফ্রী প্যালেস্টাইন, ফ্রম দা রিভার টু দা সি প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রী, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ইসরাইল মুর্দাবাদ, ইসরাইল নিপাক যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ব্রেক ডাউন ইজরায়েল বিল্ড আপ ফিলিস্তিন, সেভ গাজা, স্টপ জেনোসাইড" ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে পৌর উদ্যানে লিফলেট বিতরণ করে  আগামী ৭ দিনের মধ্যে সকল ইসরায়িলের পণ্য সরিয়ে ফেলার আহব্বান জানানোর পাশাপাশি ৬ দফা ঘোষণা করা হয়। দফাগুলো হলো: ইজরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, ভিসায় এক্সেপ্ট ইজরায়েল লেখা, জাতীয়ভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিবৃতি প্রকাশ, ভারতের ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ ও ভারতের সাথে দালালির সম্পর্ক ছিন্ন করা।

‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম আজ সোমবার বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে সংহতি সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে।


আরও খবর



নাটোরের উত্তরা গণভবনে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পারিজাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নাটোরের উত্তরা গণভবনে ফুটেছে দুষ্প্রাপ্য পারিজাত ফুল। তাপদাহ উপেক্ষা করে ঈদের ছুটিতে গণভবনে আগন্তুক দর্শনার্থীদের মনে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে পারিজাত। ফুলকে কেন্দ্র করে হাজারো মৌমাছির গুঞ্জন মোহনীয় করে তুলেছে চারপাশ।

পারিজাত এদেশে দুষ্প্রাপ্য ফুল। উত্তরা গণভবনের প্রবেশ পথ ধরে হ্রদ পেরিয়ে গেলেই শতবর্ষী দুটো পারিজাত ফুলের গাছ। প্রায় সাত মিটার করে উচ্চতায় অনেকখানি এলাকা জুড়ে ছাতার মত ছড়িয়ে আছে চির সবুজ এ গাছ। ঘন পাতার আচ্ছাদনে গাছের নীচে সূর্যের আলো আর তাপ পৌঁছনোর উপায় নেই। কান্ড আর ডালপালা অশোকের মত। সবুজ পাতা তৈরী হওয়াটা অনেক মনোরম আর বৈচিত্রের।

কলার মোচার মত হরিণ রঙের কচি পল্লব অনেক আকর্ষণীয়। পথ পরিক্রমায় পল্লবের এক একটি মোচা রকমারী রঙ ছড়িয়ে শত শত পাতায় পরিণত হয়। আর ফুল? রক্ত রাঙা এক একটা ফুলের মধ্যে প্রায় শতটি ছোট ছোট ফুলের সমাহার। ফুলে গন্ধ নেই। তবে আছে পরাগ রেণু আর অনেক মধু। পারিজাতের এক একটি ফুলে অসংখ্য মৌমাছির সমাবেশ। দুটো গাছ জুড়ে হাজারো ফুলে মৌমাছির দল সারাদিন ব্যস্ত মধু আহরণে। ছায়া, ফুল আর মৌমাছি এ এলাকাকে স্বর্গীয় করে তুলেছে। তাই হয়তো পারিজাতকে বলা হয় স্বর্গীয় ফুল!

বিপ্রদাশ বড়ুয়া গাছপালা তরুলতাতে বলেন, দেবর্ষি নারদ স্বর্গ থেকে পারিজাত নিয়ে এসেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ এ ফুল তাঁর পত্নীকে উপহার দেন। পারিজাত ফুল নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী নার্গিসকে চিঠিতে লিখেছিলেন, তোমার যে কল্যাণ-রুপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, সে রুপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দারের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে। আর নজরুল সংগীতে বললেন, পরো কুন্তলে, ধরো অঞ্চলে/ামলিন প্রেম-পারিজাত। রবি ঠাকুর বললেন, পারিজাত কেশর নিয়ে ধরায় শশী, ছড়াও কী এ/ ইন্দ্রপুরীর কোন রমণী বাসর প্রদীপ জ্বালো

উত্তরা গণভবনের হিসাব সহকারী নুর মোহাম্মদ জানান, উত্তরা গণভবনে মোট ছয়টি পারিজাত ফুলের গাছ থাকলেও প্রবেশ পথ পেরিয়ে বাম পাশের দুটি গাছ রাজার আমলের। বয়স দুইশ বছর পেরিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন দুষ্প্রাপ্য এ গাছের বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চেষ্টা চলছে চারা তৈরীর।

ঈদ আর ঈদ পরবর্তী দিনগুলোতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার দর্শনার্থী গণভবন পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ হচ্ছেন পারিজাতের সৌন্দর্যে। এ তাপদাহে পারিজাত যেন দুদন্ড শান্তির পরশ। পারিজাতের সৌন্দর্যে প্রতিবছর এ সময়ে গণভবনে আসি। ফিরে ফিরে আসি- বললেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা।

নাটোরের জেলা প্রশাসক ও উত্তরা গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আসমা শাহীন বলেন, তাপদাহ উপেক্ষা করে হাজারো দর্শনার্থী  প্রতিদিন ঈদের ছুটিতে গণভবন পরিদর্শনে আসছেন। দর্শনার্থীদের জন্যে বসন্তের ফুল পারিজাত শান্তির হয়ে উঠেছে।  



আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫




জ্যোতির প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ইতিহাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর বসছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে, ভারতের মাটিতে। আট দলের এই বিশ্ব আসরে জায়গা করে নিতে বাছাই পর্ব খেলছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের লাহোরে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন দল, প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড। আগে ব্যাট করে অধিনায়ক জ্যোতির সেঞ্চুরিতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর করেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭১ রান। জিততে হলে এই রানের মধ্যেই থামাতে হবে থাইল্যান্ডকে।

লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিম। এরপর শারমিনের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটি গড়েন ফারজানা। দলীয় ১১৯ রানে ফারজানার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৮২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান তোলেন ফারজানা। এরপর জ্যোতির সঙ্গে ১৫২ রানের বড় জুটি গড়েন শারমিন। যেখানে জ্যোতি সেঞ্চুরি পেলেও ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন শারমিন। ৮০ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় জ্যোতি ফেরেন ১০১ রান করে। তার বিদায়ে বাংলাদেশ থামে ২৭১ রানে। থাইল্যান্ডের হয়ে মায়া, পুত্তাংয়ু ও কামছম্পু নেন একটি করে উইকেট।

থাইল্যান্ডকে পেয়ে জয় ছাড়া কিছু ভাবতে রাজি নয় বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে এবারই প্রথমবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামল বাংলাদেশ। যদিও টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের দেখা হয়েছে সাতবার, যেখানে প্রতিবারই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুভ সূচনা করতে চায় নিগার-ফারজানারা।


আরও খবর



এশিয়ার তিন দেশ সফর করবেন শি জিনপিং

প্রকাশিত:শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

এশিয়ার তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দেশগুলো হলো ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া। ১১ এপ্রিল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তো লামের আমন্ত্রণে ১৪ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভিয়েতনামে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন শি জিনপিং।

এছাড়া মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিম সুলতান ইস্কান্দার এবং কম্বোডিয়ার রাজা নরোদম সিহামোনির আমন্ত্রণে ১৫ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করবেন চীনা প্রেসিডেন্ট।



আরও খবর



বলদীপুকুর চায়না ক্যাম্পে রাত হলেই চলে চুরির হিড়িক

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রংপুর জেলা প্রতিনিধি :

মিঠাপুকুর উপজেলার বলদীপুকুর চায়না ক্যাম্পে রাত হলেই চলে চুরির হিড়িক। হাইওয়ে কাজের জন্য বলদীপুকুর - জায়গীর মধ্যস্থলে অবস্থিত চায়না ক্যাম্প।সেখানে রাত হলেই রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাংয়ের চলে চুরির হিড়িক।ভিতরে কাজের আড়ালে তাদের রয়েছে আলাদা সোর্স, ভিতরে তারা নজরদারি করে রাখে কোন মালমাল চুরি করা সহজ হবে।হাইওয়ের কাজে ব্যবহৃত মালামাল চুরি করতে  আলাদা কিশোর গ্যাং তৈরি করে রন্জু আহমেদ।চায়না ক্যাম্পে তাদের সোর্সের দেয়া তথ্য মতে,রাত হলেই রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্র সহ বিভিন্ন ভাবে ক্যাম্পে প্রবেশ করে।তার কিশোর  গ্যাংয়ের সদস্যরা চায়না ক্যাম্পের বিভিন্ন পয়েন্টে দেশীয় অস্ত্র সহ অবস্থান নেয়।সুযোগ বুঝে তারা চুরি করা মালামাল টিনের প্রাচীর ভেদ করে বাহিরে থাকা সদস্যদের কাছে পারাপার করে।চুরি শেষ হলেই তার গ্যাংয়ের সদস্যদের যেকোনো একজনের বাড়িতে রাখে।রন্জু আহমেদ রংপুরে ইলেক্ট্রিকের কাজ করে বিধায় তার চুরির মালামাল বিক্রি করা সহজ হয়।চুরির মালামাল বহনের জন্য তারা নিজেদের  আলাদা ভ্যানগাড়ি ব্যবহৃত হয়।ভ্যান গাড়িতে মালামাল তোলার পর রন্জু আহমেদের কাছে পৌছানোর পর্যন্ত তারা মোটরসাইকেল দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সেগুলো বিক্রি করে তারা গভীর রাতে বিভিন্ন হোটেলে খাবার খেয়ে মাদকের আসর জমায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের গ্যাংয়ের এক সদস্য বলেন, আমরা চায়না ক্যাম্পে থাকা সোর্সকে দিয়ে সেখানেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করেছি এমনকি চাইনিজ অস্ত্রসহ।আমাদের দলের সকল সদস্যের কাছে এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। আমরা প্রথমে ভিতরে প্রবেশ করি, আমাদের সোর্সের দেয়া তথ্য মতে সেগুলো বাহিরে বের করি।কিছুদিন সিকিউরিটি গার্ড ঝামেলা করেছিলো,পরে তাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে এগুলো চুরি করি। এখন আর সমস্যা নেই, আমরা যা চুরি করি তা সিকিউরিটি গার্ডদের কয়েকজনকে ভাগ দেই।


পরে সিকিউরিটি গার্ডদের কাছে তথ্য নিতে গেলে তারা জানান,আমরা নিরুপায় হয়ে গেছি, এখানে কিশোর গ্যাং রাত হলেই চলে আসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে।কখন কাকে তারা মেরে ফেলে তার কোনো গ্যারান্টি নেই।

উল্লেখ্য, রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া চলাফেরায় এলাকার মানুষ আতংকিত। কারণ তারা চুরির মালামাল বিক্রি করে নেশা সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে গেছে।


আরও খবর