Logo
শিরোনাম

ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পহেলা মে থেকে সারাদেশে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা প্রত্যাহার করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানোর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ছাড়াও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিপিএর নেতারা ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১০ থেকে ১২ জন প্রান্তিক ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী খামারিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অধিদপ্তরের ডিজি খামারিদের ১০ দফা দাবি ও বাস্তব সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

বিপিএ জানায়, সরকারের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে সভায় উপস্থিত সব প্রান্তিক খামারি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাই সরকারের প্রতি আস্থা রেখে এবং জনগণের স্বার্থে ঘোষিত ১ মে থেকে খামার বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছে বিপিএ। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রান্তিক খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১ মে থেকে দেশের সব খামার পুরোদমে চালু রাখার পাশাপাশি খামারিদের সরকারের সব নিয়ম-কানুন মেনে বৈধভাবে খামার পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে বিপিএ।

আগামীতে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংগঠনটি।


আরও খবর



ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় একটি মাইলফলক।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপষ্টোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে (এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস) এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলকে তিনি এই আশ্বাস দেন।

এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, ক্যাম্পেইন ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রগ্রাম কর্মকর্তা থারিন্দু আবেরথনা, প্রগ্রাম কর্মকর্তা আয়ান রহমান খান এবং প্রগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমে।

এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক, যা গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচনী গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে কাজ করছে। সংস্থাটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক অংশগ্রহণে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।

সাক্ষাৎকালে এএনএফআরইএল বাংলাদেশে চলমান তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানায়; বিশেষ করে স্বাধীন, নাগরিক-নেতৃত্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টা পুনর্গঠনে তাদের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে। প্রতিনিধিদল স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করে, যার উদ্দেশ্য হলো নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জোরদার করা এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা উন্নত করার সুযোগ চিহ্নিত করা।


আরও খবর



ভবিষ্যতের আবাসন ভাবনায় ভেনিস বিয়েন্নালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান :

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্কিটেকচার প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ইতালির ভেনিসে। ভেনিস বিয়েন্নালে নামে পরিচিত এই প্রদর্শনী হয় প্রতি দু'বছরে একবার। এ বছরের প্রদর্শনীতে সরব উপস্থিতি দেখা যায় ভবিষ্যতের নির্মাণ ভাবনার।

বিয়েন্নালের দুই প্রধান ভেন্যু-জারদিনি ও আরসেনালেসহ গোটা শহর জুড়ে ছড়িয়ে আছে ৬৬টি দেশের প্যাভিলিয়ন। হাজারো দর্শকের ভিড়ে স্থান পেয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই বাসস্থান ও জলবায়ু সচেতন ডিজাইনের ধারণা।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে আমি ঘুরে দেখি- বৃটেন, ডেনমার্ক, স্পেন, হাঙ্গেরি, জাপান, ফিনল্যান্ড, ওম্যানসহ অনেকগুলো দেশের প্যাভিলিয়ন। প্রতিটি প্যাভিলিয়নে উঠে এসেছে জলবায়ুর পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকে থাকার পরিকল্পনা। 

ভেনিসের খালের পানি পরিশোধন করে তা দিয়ে বানানো কফি পরিবেশন করা হয় আরসেনালের ভেন্যুতে। অনেকের সাথে আমিও এই অভিনব প্রযুক্তি দিয়ে বানানো কফি উপভোগ করি।

এ বছর স্থাপত্য বিয়েন্নালের একটি ব্যতিক্রমী দিক হলো- বাংলাদেশের প্রভাব। ইতালীয় অধ্যাপক এলিজা বেরতুচ্ছো- বাংলাদেশের প্রতি তার ভালোবাসা ও গবেষণার স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, ইতালিতে এখন বহু প্রবাসী বাংলাদেশি কৃষিজমিতে লাউ, শিম, করলাসহ নানা দেশি সবজি চাষ করছেন, যা একসময় ছিল কেবল শখের ব্যাপার, এখন তা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। এলিজার এই গবেষণাভিত্তিক প্রজেক্ট বিয়েন্নালে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

আরসেনালের প্রধান ভেন্যুতে বাংলাদেশের স্থপতি মারিনা তাবাচ্চুমের একটি প্রজেক্ট সবার দৃষ্টি কেড়েছে। তার উপস্থাপনায় উঠে এসেছে জলবায়ুর বিপর্যয় মোকাবিলায় টেকসই, পরিবেশবান্ধব গৃহনির্মাণের সম্ভাবনা। বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবিলার বাস্তব অভিজ্ঞতা তার পরিকল্পনায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের নবীনবরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে নবীনবরণ এবং বিদায়ী কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ক্লাবের বর্তমান সদস্য, শিক্ষকবৃন্দ এবং নবীন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ক্যারিয়ার ক্লাবের অন্যতম সফল ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয় ও পূর্বের কমিটির সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। প্রথমবারের মতো ক্লাবের নিজস্ব মাসকট -ক্যারিয়ন দ্য লিডার উন্মোচন করা হয়। এই মাসকটের প্রতীকী অনুপ্রেরণার রূপ। মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের মধ্যে এটি এক অনন্য সংযোজন। সবশেষে ক্যারিয়ার ক্লাবের ওয়েবসাইট উন্মোচন করা হয়, যেখানে নিয়মিত ক্যারিয়ার গাইডলাইনভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে ক্লাবটি।

ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি তাহমিদ আলিফ বলেন, এই অনুষ্ঠানটি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি প্রজন্মের দায়িত্ব গ্রহণের সাক্ষী। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাব আবারও প্রমাণ করেছে যে, তারা শুধু একটি সংগঠন নয়,  তারা ক্যারিয়ার সচেতনতা, নেতৃত্ব এবং সৃজনশীলতার এক নির্ভরযোগ্য পথপ্রদর্শকও বটে।

ক্যারিয়ার ক্লাবের নুসরাত আমিন তূর্ণা বলেন, ক্যারিয়ার ক্লাব হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন হতে পারে, দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। এই ক্লাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ, যোগাযোগ দক্ষতা, পেশাগত নৈতিকতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সহায়তা করে। ক্যারিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এবং ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাই। এতে আমরা জানতে পারি কীভাবে একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়, নিজের আগ্রহ ও যোগ্যতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক পেশা নির্বাচন করা যায়।


আরও খবর



৫ মিনিটও সময় পাবেন না, সরকারকে চরমোনাই পীর

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকার ৫ মিনিটও সময় পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে চরমোনাই পীর বলেন, আপনারা নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করে নারীনীতিকে বাহবা দিচ্ছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা কিন্তু এমনিতেই জনগণের ভোটের সরকার নন। আপনারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছেন না। আমরা তো সবসময় আপনাদের সহযোগিতায় ছিলাম, এখনো আছি, কিন্তু আমাদের রাস্তায় নামিয়ে আপনাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ওই ফ্যাসিস্ট এবং ঘাপটি মারা শত্রুরা যেন সুযোগ না নিতে পারে। এটা আপনাদের মাথায় রাখার অনুরোধ করেছি।

তিনি বলেন, এরপরও যদি আপনারা সামনে পা বাড়াতে চান, পরিষ্কার মেসেজ, কে জানি বলছে না যে ৫ মিনিটে আপনারা আপনাদের অবস্থান থেকে সরে যান। সেই ৫ মিনিটও সময় পাবেন না।

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর আমির। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) তো ৫ আগস্ট ভাত পাক (রান্না) করেও খেয়ে যেতে পারেনি। ওরা তো বসে নেই। আমাদের বিভিন্ন পাশে চোখ খুলে যারা নজর রাখছে তারাও তো বসে নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) হয়তো বা এই সংস্কার, নারী কমিশনের এটার মাধ্যমে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে।

তিনি বলেন, এরপর যখন ওলামায়ে কেরাম রাস্তায় নামবে তখন হয়তো এই ঘাপটি মারা, যারা দেশের শত্রু তারা বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছে এই সুযোগে রাস্তায় নামার জন্য। এমন নীলনকশা তৈরি করতে পারে।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সমালোচনা করে চরমোনাই পীর বলেন, এই যে নারী কমিশন, আমার কাছে আশ্চর্য মনে হচ্ছে। বিগত সময়ে নাস্তিকরা যে চক্রান্ত করেছে আল্লাহর রহমতে কখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আজ বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের মাধ্যমে এমন হীন চিন্তা বাস্তবায়ন করবে- কিন্তু তারা তো জানে এটার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, কখনোই এটা (নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ) বাস্তবায়ন হবে না। তারপরও তারা এই পথ বেছে নিল কারণটা কী?

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

সেমিনারে চারটি দাবি জানায় জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। এ দাবিগুলো হলো-

১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাব অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

২. কমিশন সরকারিভাবে বাতিল করতে হবে।

৩. নতুন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দ্বিনদার, শিক্ষিত, দেশীয় চিন্তায় বিশ্বাসী নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৪. পরিবার ও নারী বিষয়ে প্রস্তাবের ভিত্তি হতে হবে কোরআন-সুন্নাহ, সংবিধান এবং সামাজিক বাস্তবতা।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে ৫০৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান জানান, মেদান ইম্বি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অভিবাসীদের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এখানকার অনেক দোকানঘরের ওপরের তলা ভাড়া নিয়ে অবৈধ অভিবাসীরা বসবাস করতেন।

অভিযানকালে পালানোর চেষ্টাকালে দুই বিদেশি পুরুষ আহত হন। এছাড়া উঁচু হিলের জুতা পরা এক নারীও পালাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ইমার্জেন্সি মেডিকেল রেসপন্স সার্ভিস ইউনিট তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে ৮৯৫ জনকে পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৭৪৯ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয়। আটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি ছাড়াও নেপালি (১৪২ জন), ইন্দোনেশিয়ান (১০৯ জন) এবং কিছু ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকও রয়েছেন।

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া এবং ওয়ার্কিং ভিজিট পাসের অপব্যবহার। অনেক কর্মীকে দেখা গেছে যাদের জোহরের ওয়ার্কিং ভিসা থাকলেও তারা কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছিলেন।

পরিদর্শনে আরেো দেখা গেছে, বিদেশি শ্রমিকরা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন। ছোট ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে পাঁচ-ছয়জন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি বাড়িতে ৩০ জন পর্যন্ত ভাড়াটিয়া বসবাস করছিলেন।


আরও খবর