Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক নেবে রোমানিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের মেয়র রবার্ট সোরিন নেগোইতা।

রোববার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (এিসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র কার্যালয়ে ডিসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও বুখারেস্টের মেয়র রবার্ট নেগোইতার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের মধ্যকার এক বৈঠকে বুখারেস্টের মেয়র এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে ছিলেন অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ এবং বুখারেস্টের মেয়রের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে বুখারেস্ট পুলিশের ডেপুটি ডিরেক্টর ভিক্টর নিয়াগু।

বুখারেস্টের সিটি ম্যানেজার মারিউস ড্যানিয়েল সিওবিকা, রোমানিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন।

বৈঠকে মেয়র রবার্ট নেগোইতা বুখারেস্টে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিকসহ পরিচ্ছন্ন কর্মীর চাহিদা রয়েছে বলে জানান এবং বাংলাদেশ থেকে সেই চাহিদার একাংশ পূরণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস তার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার করার আশ্বাস দেন।

এর আগে সকালে বুখারেস্টের মেয়র রবার্ট সোরিন নেগোইতা ও তার সফরসঙ্গীরা ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে যান। পরে রোমানিয়ার মেয়র বঙ্গবন্ধু ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। শেষে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিদর্শন বইয়ে তার মন্তব্য লিখেন।


সূত্র : বাসস


আরও খবর

রোজার আগে পেঁয়াজ-চিনি আমদানি নিয়ে আলোচনা

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




মামলা নিতে পুলিশের অবহেলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী:

সোনাইমুড়ীতে থানা পুলিশ মামলা নিতে সময় ক্ষেপন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা, হুমকী-ধুমকী ও অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার বিকেলে উপজেলা সাংবাদিক কর্ণার সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার আবিরপাড়া মৃত বদু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো: হৃদয় ও নাজির আহম্মেদের ছেলে মো: সোহেল তার একটি সরিষাক্ষেত কিছুদিন পূর্বে হালচাষ করে নষ্ট করে দেয়। এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম্য শালিশে তাদের জরিমানা করা হয়। সেই ঘটনায় তারা জরিমানা তো দেয়নি বরং কামাল হোসেনকে অনেকবার মেরে ফেলার হুমকী দেয়। গত ১০ই র্মাচ ২০২৪ রোববার রাতে তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হুকু মিয়ার বাড়ীর পাশে হৃদয় ও সোহেল পথরোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ী মারধর করে। এসময় তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে কামাল হোসেনের  পরিবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। 

কামাল হোসেন ১১ই মার্চ সোমবার সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।তিনি দাবী করেন  ঘটনার তদন্ত্যের নামে সোনাইমুড়ী থানার দারোগা কাউসার, ওসি ও তার নিজের জন্য কামাল হোসেনের কাছে অনৈতিক সুবিধা দাবী করেন। পরে কামাল হোসেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ সুপার থানা পুলিশকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। থানা পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে রবিবার (১৭ই মার্চ) সন্ধ্যা ৭.৩০ এর দিকে আবার সেই হৃদয় ও সোহেল ও আরও ৮/১০ জন সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলে এসে কামালের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণ করে ও বাড়ীর দরজা, জানালায় ভাংচুর করে। 

সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন আরও দাবী করেন, ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও সন্ত্রাসীদের পুলিশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে। এসময় তিনি সন্ত্রাসীদের এই অব্যাহত হামলা, হুমকী-ধামকী, পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা, মামলা নিতে অনৈতিক দাবীর বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চান।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শফিউল আলম, স্টাফ রিপোর্টার :

সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ-১(জামালগঞ্জ,তাহিরপুর,মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনের কমিউনিষ্ট পার্টি ও বিএনপি থেকে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেনের প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায়। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রথম  জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশের একটি চৌকুস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। 

জানাযায় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ আওয়ামীলীগ বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দ একাকার হয়ে জানাযায় অংশগ্রহন করেন। 

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট,বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী,প্রমুখ। 

উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন  বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে যান। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জের ট্যাকেরঘাট সাব সেক্টরের সহকারী অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে  সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৩ সালের ১৫ই অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপিতে যোগদান করেন। পরে ১৯৯৬ সালে ঐ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে এবং ২০০২ সালে তিনি আবারও মোট তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

পরবর্তীতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও শাহাপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানযার ইমামতি করেন মাওলানা শায়খ বাহাউদ্দীন। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আরও খবর



রোজার আগেই গরম ফল বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

পবিত্র রমজান শুরু হতে সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। এদিকে রমজানের প্রভাবে বেড়েছে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম। এ জন্য ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক বেড়ে যাওয়া, এলসি জটিলতাসহ নানা কারণকে দূষছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে দেশি ফলের দামও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর মিরপুর-৬, কচুক্ষেত, গুলশান, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশে উৎপাদিত ফলের দামও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রমজানে খেজুর ও মাল্টার চাহিদা বেশি থাকে। ঠিক এ কারণে রমজানের আগেই বেড়েছে এই ফলের দাম। এর পাশাপাশি বেড়েছে আপেল ও কমলার দামও। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মাল্টার সরবরাহ কম। এ কারণে দেশি মাল্টার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। গতকাল প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হয় ২৭০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২০ টাকা। এদিকে দেশি কমলা বিক্রি হয় ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে আমদানি করা কমলা। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। এ ছাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে আনার কেজি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে আঙুরের দাম। প্রতি কেজি সবুজ আঙুর বিক্রি করা হয় ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি কালো আঙুর বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। 

এদিকে বাজারে মারিয়াম খেজুরের দাম পড়ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০, মেডজুল ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি। বাজারে আরও উচ্চমূল্যের খেজুর আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাহিদি খেজুর। দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। গত বছরের তুলনায় সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে যে আনারস বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়, গতকাল তা বিক্রি হয় ৬০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে বড় বেলের দাম ছিল ১০০-১২০ টাকা। গতকাল বড় বেলের দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। অন্য ধরনের বেল যা আগে ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, সেটি গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। গত সপ্তাহে পাকা পেঁপের দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আর গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়। পেয়ারার দাম ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা। গতকাল তা ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। 

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ২০ কেজি আপেলের প্যাকেটে শুল্ক দিতে হতো ৩০০ টাকা। এখন সেটি দিতে হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর এক কেজি আঙুরে দিতে হতো ৩০ টাকা। এখন সেটি দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা। আবার ডলারের রেট বেশি। সব মিলিয়ে খরচও বেশি।’

তিনি আরও বলেন, খেজুরে যে পরিমাণ শুল্ক কমানো হয়েছে, তাতে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। কারণ খেজুরে শুল্কায়ন হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। কেনা দামে শুল্কায়ন করা গেলে ভোক্তার কিছুটা সুবিধা হতো। 

মিরপুর-৬ বাজারে ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, তিনি ২৫ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করেন। প্রতিবছর তিনি দেখেছেন রোজার সময় ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। রমজানের প্রথম সপ্তাহজুড়ে ধনী-গরিব সবাই চেষ্টা করেন ইফতারে ফল রাখতে। এতে চাহিদা যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। এতে দামের ওপর প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া অনেক ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর সুযোগ নিয়ে থাকেন। 


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ভূমিদস্যু নাজিমের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মানিকদি এলাকার ভূমিদস্যু নাজিম উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।এলাকার বিভিন্ন মানুষের নামে ভূয়া হয়রানী মুলক মামলা করে নানান ভাবে হয়রানি করে এই নাজিম ।

আবুল ফজল নামের এক ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উপর দিয়ে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার ও ১৫০ ফুট চওড়া মিরপুর ডিওএইচএসগামী সড়ক নির্মাণের ফলে মাটিকাটা মানিকদি এলাকার রাস্তার দুপাশের জমির মূল্য বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় এ এলাকার জমির ওপর বহু মামলার আসামি ভূমিদস্যু নাজিমের দৃষ্টি পড়ে। জোয়ার সাহারা মৌজার সিএস ও এসএ-৬১০, ৬১১, ৬১২, ৬১৩, ৬১৪, আরএস-৫৬১, ৫৬২ ও ৫৬৫ এবং মহানগর-৩৪৩০১, ৩৩৯০৪, ৩৩৯১১, ৩২২৪৮ ও ৩২২৮৯ দাগের প্রায় ১০ বিঘা সম্পত্তির রেকর্ডিয় মালিক এ এলাকার প্রায় ১০০ নিরীহ ব্যক্তি। তাদের নেই কোনো শিক্ষা, নেই কোনো অর্থ, নেই কোনো শক্তি। তাদের এ দুর্বলতার সুযোগে নাজিম মানিকদি এলাকায় কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় গড়ে তোলে এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।

মানিকদি এলাকার ১০ বিঘা সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য নাজিম উদ্দিন জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ভুয়া দলিল পর্চা দেখিয়ে মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে প্রায় অর্ধশত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও নানা প্রকার পেশাজীবীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে জমির শেয়ার ও ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সংগ্রহ করে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। জোর করে এসব জমি দখল করে নানা প্রকার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫০টির অধিক মামলা রয়েছে। নিরীহ মানুষের জমিতে নিজ নামে মসজিদ ও কবরস্থান নির্মাণ করে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নিজ দখলে নেওয়া হয়। মানুষের জমি এলাকার চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে মসজিদের সাইন বোর্ড লাগিয়ে শত শত পরিবারকে জিম্মি করে জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দিতে থাকে। জমির মালিকরা নিরুপায় হয়ে নাজিম উদ্দিনসহ ৬৬ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন। বিচারক ওই জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ, বেদখল, হস্তান্তর, অবৈধভাবে নির্মাণ থেকে নাজিম গংকে বিরত থাকতে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। এর পরও তিনি তার অবৈধ দখল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাজিম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অসহায় হয়ে পড়েছে। এলাকার কেউ এদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। কোনো মামলা হলেও নিরপেক্ষ সাক্ষীর অভাবে জনগণ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অবৈধ উপায়ে ভূমিদস্যু নাজিম হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি গড়েছেন। এর মধ্যে জোয়ার সাহারা মৌজায় প্রায় ২০ বিঘা জমি যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বাউনিয়া মৌজায় ১০ বিঘা জমি যার বাজার মূল্য ১৫ কোটি টাকা। মিরপুর ডিওএইচএস-এ ৪০০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট আছে যাহার বর্তমান বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা। মিরপুর ডিওএইচএস রোডে সিটি কাবাব-এর ৫ কাঠা জমি, যার বাজার মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা। লাল মিয়ার টেক মানিকদি এলাকায় ৫ কাঠা জমির ওপর বহুতল ভবন, যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিনটি প্লট ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা। গ্রামের বাড়িতে প্রায় ৮০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। দুবাইতে তার স্বর্ণের দোকানে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। মালয়েশিয়ায় রয়েছে তার দুটি দোকান ও একটি তেলের পাম্প, বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় পচিশ কোটি টাকা। পূর্বাচল পাতিরা মৌজায় তার রয়েছে ১০ বিঘা জমি, যার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। নাজিমের এসব অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে।

নাজিম তার কিশোর গ্যাংদের দিয়ে রাতের আঁধারে কাউসার ও ইয়াবা মনিরের মাধ্যমে অন্যের জমি দখল করে তা ভুয়া দলিল করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন।

রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অন্যের জমিতে জোর করে বালু ভরাট করে নাজিমের সাইনবোর্ড লাগালেই মালিক পরিবর্তন হয়ে যায়। একদিকে সাধারণ শেয়ার ক্রেতাদের ঠকিয়ে নিজে অর্থের পাহাড় গড়ে চলেছেন, অন্যদিকে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ভূমিদস্যুতার একটা বড় অংশ টাকা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ দিয়ে নাজিম পুরো এলাকাকে ক্রমেই অস্থিতিশীল করে তুলছেন। ভাইসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নামে শুধু ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০টি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও জোর করে জমি দখলের মামলা রয়েছে। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ ১৫০ সেনাসদস্যের সমবায় সমিতির কেনা জমি নাজিম বাহিনী জোর করে দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া মানুষকে অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় হত্যা, গুমসহ নানা ভয়ভীতি দেখালে ৫০টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নাজিম বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।

মানিকদি এলাকার ভুক্তভোগী গার্মেন্ট ব্যবসায়ী রেজাউল ও ক্যাপ্টেন জহির বলেন, আমরা আমাদের পেনশনের টাকা নাজিমের কাছে দিয়ে বিপদে পড়েছি। তার অত্যাচারে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। নাজিম বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান তারা।


আরও খবর



কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেক্স যাত্রীবাহি ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত আহত- ৫

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের তেজের বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহি বিজয় এক্সপ্রেক্স  ৭৮৫ ট্রেনটির ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।এসময় ৪/৫জন আহত হয়েছে।তবে ডাউন লাইন স্বাভাবিক।

রোববার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে  দূর্ঘটনাটি ঘটে।

 ট্রেনের ইঞ্জিলের সাথে বগির লক ভেঙ্গে  এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

লাকসাম স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান জানান- কুমিল্লার  চৌদ্দগ্রাম গুনবতি স্টেশন থেকে পার হয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়েরর হাসানপুর তেজের বাজার এলাকায় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয়এক্সপ্রেস ৭৮৫ট্রেনটির ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এঘটনা হতাহতের খবর জানা যায়নি। লাকসাম জংশন থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল করবে।

 কুমিল্লা উধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী রেলপথ পূর্বাঞ্চল লিযাকত আলী মজুমদার জানান- ট্রেনের ইঞ্জিল রেললাইনে আছে। ২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে গেছে।।তার সাথে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।  এখন পযন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।এ ঘটনায় রেলের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে দূর্ঘটনার কারণ জানতে।


আরও খবর