Logo
শিরোনাম

ডোপ টেস্ট দিয়ে শাবিপ্রবিতে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

২০১৯-২০ সেশন থেকে ষষ্ঠবারের মতো ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে এ ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ জানা থাকে না। সেজন্য প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন সঞ্চালন রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের পরীক্ষা করছে। এরপর ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। এ টেস্টে কোন শিক্ষার্থী পজিটিভ হলে তাকে কাউন্সেলিং করা হবে।

এবার ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস পদ্ধতিতে। ভর্তি কার্যক্রমে সাতটি ধাপের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি ফি প্রদান, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন যাচাই এবং হল সংযুক্তিসহ আবাসন আবেদন রয়েছে।

এদিকে প্রথমদিন ইউনিটে (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মেধাক্রম ১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম। এদিন ৫০১ থেকে ৯৫৫তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। একই দিনে স্থাপত্য বিভাগে ১ থেকে ৩০তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে।

ভর্তির তারিখ ও ফি পরিবর্তন

১৭ এপ্রিল বি ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি কার্যক্রম অনিবার্য কারণে পরিবর্তন করে ২২ এপ্রিল পুননির্ধারণ করা হয়েছে। এবার কোটাসহ ২৮টি বিভাগে এবার মোট আসন এক হাজার ৬৭১টি।

অন্যদিকে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক জরুরী একাডেমিক কাউন্সিলে ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তি ফি পুনর্বিবেচনা করে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এর আগে ছিল ১৭ হাজার টাকা। ২০২৩-২৪ সেশন ভর্তি ফি ছিল ১৮ হাজার টাকা। ফলে এবার ভর্তি ফি কমেছে ৩ হাজার ১০০টাকা।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন এরই মধ্যে হয়ে গেছে। অধ্যাদেশ অনুসারে বিষয়টি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের।

জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার যুক্তিসঙ্গতভাবে মনে করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা দরকার।

এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কাজ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লিখিত অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহু মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং অন্যদেশে পলাতক তাদের নেতাসহ অন্য নেতাকর্মী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রদান, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।

এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে যে, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

এ অবস্থায় সরকার মনে করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।


আরও খবর



নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা :

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা RSTP ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে RSTP- তে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এতে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে।

.

জানতে চাইলে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা RSTP প্রকল্প পরিচালক রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের সবগুলো লাইনেরই অলটারনেটিভ চিন্তা করছি। MRT লাইন-৫ এর নর্থ ও সাউথ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর এক্সটেনশন (সম্প্রসারণ) হতে পারে। যেগুলো এখনো হয় নাই, সেগুলোর মডিফিকেশন (পরিবর্ধন) হবে। মেট্রোতে নতুন এলাকা যুক্ত করার জন্য রুট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। MRT লাইন-২ এবং লাইন-৪ এখনো হয়নি। সেগুলো নতুন এবং ভালো কোনো অ্যালাইনমেন্টে করা যায় কি না, যাতে বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে। এসব পরিকল্পনা সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (RSTP) থাকবে।’

.

বর্তমানে RSTP- র চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। এই প্রতিবেদন-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে,MRT লাইন- ৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল কাজ অনেক আগেই শেষ। বর্তমানে ট্রেন চলছে। এটি কমলাপুর পর্যন্ত বাড়ানোর কাজ চলমান আছে। তবে নতুন করে উত্তরা থেকে টঙ্গী এবং টঙ্গীর পরে গাজীপুর পর্যন্ত লাইন-৬-এর রুট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে RSTP- তে।

.

MRT লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত। ২০২৩ সালে ৪ নভেম্বর এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এদিকে RSTP তে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে এক্সটেনশন করে নবীনগর বা বাইপাইল পর্যন্ত এবং ভাটারা থেকে জলসিঁড়ি বা ভুলতা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে।

.

MRT লাইন-৫ সাউদার্ন রুট গাবতলী-আফতাবনগর পশ্চিম পর্যন্ত ১৩.১০ কি.মি. পাতাল এবং আফতাব- নগর সেন্টার থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ৪.১০ কি. মি. উড়াল মোট ১৭.২০ কি.মি. দীর্ঘ এবং ১৫টি স্টেশন (পাতাল ১১টি এবং উড়াল ৪টি) বিশিষ্ট মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং নকশা সম্পন্ন হয়েছে। বিনিয়োগ প্রকল্পের DPP (খসড়া) অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে প্রকল্পের ক্রয় নথি প্রস্তুতির কাজ চলছে। এদিকে RSTP তে MRT লাইন-৫ সাউদান রুটের কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে এটার ফেজিং এবং প্রায়োরিটি কী হবে, সেটা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়।

.

গাবতলী থেকে- মোহাম্মদপুর-নিউমার্কেট-গুলিস্তান-কমলাপুর-সাইন -বোর্ড হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত সম্ভাব্য মেইন লাইন এবং গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ব্রাঞ্চ লাইন সমন্বয়ে উড়াল ও পাতাল মিলিয়ে প্রায় ৩৫ কি.মি. দীর্ঘ MRT লাইন-২ নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা খোঁজা হচ্ছে। এদিকে RSTP তে MRT লাইন-২-এর অলটারনেটিভ (বিকল্প) অ্যালাইনমেন্ট করা হয়েছে। তাতে এই লাইনটি পুরান ঢাকার দিকে যাবে অর্থাৎ বংশাল, লালবাগ ও বাবুবাজার ব্রিজ এলাকা দিয়ে যেন যায়, সেই প্রস্তাব রাখা হতে পারে RSTP তে।

MRT লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭২ কি. মি. পাতাল লাইন এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬৯ কি. মি. উড়াল লাইন। এই লাইনের নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। RSTP তে MRT লাইন-১-এর রুট বাড়িয়ে গাজীপুর পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হতে পারে। তবে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত BRT করিডোর যদি কোনো কারণে না হয় বা বাদ যায়, তাহলে MRT লাইন-১ বা লাইন-৬ দুটোরই গাজীপুর পর্যন্ত এক্সটেনশনের সুযোগ আছে।


আরও খবর



নবী বংশের ৩০ও ৩১ তম আওলাদ পর্যন্ত তালিকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

০১:হযরত আহম্মদ মুজতবা মুহাম্মদ মুস্তফা ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

০২:হযরত খাতুনে জান্নত ফাতেমাতুজ্জাহরা(রা:) ও হযরত আমিরুল মোমেনীন মাওলা আলী(কর:)

০৩:হযরত সাইয়্যেদেনা ইমামে আলী মোকাম হাসান(রা:)

০৪:হযরত সৈয়দ হাসানুল মুছান্না আল্ হাসানী(রা:)

০৫:হযরত আবদুল্লাহ মাহজ আল্ হাসানী(রা:)

০৬:হযরত সৈয়দ মুসা আল জুন আল্ হাসানী(রা:)

০৭:হযরত আবদুল্লাহ সানী আল্ হাসানী(রা:)

০৮:হযরত সৈয়দ মুসা আল-সানী আল হাসানী(রা:)

০৯:হযরত সৈয়দ আবু বকর দাউদ আল হাসানী(রহ:)

১০:হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ শামসুদ্দীন জাকারিয়া আল মোরেজ আল্ হাসানী(রা:)

১১;হযরত সৈয়দ ইয়াহিয়া জায়েদ আল হাসানী(রা:)

১২:হযরত সৈয়দ আবু আবদুল্লাহ আল জিলী আল হাসানী(রা:)

১৩:হযরত সৈয়দ আবু ছালেহ মুসা জঙ্গী দোস্ত আল্ হাসানী(রা:)

১৪:ইমামুল আউলিয়া গাউছূল আযম,কুতুবে রাব্বানী,মাহবুবে সুবহানী শায়খ সৈয়দ আবু মুহাম্মদ মুহীউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

১৫:হযরত সৈয়দ আবদুর রাজ্জাক আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

১৬:হযরত সৈয়দ আবু ছালেহ নছর আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

১৭:হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ জামালুদ্দীন আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

১৮:হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ দাউদ আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

১৯:হযরত সৈয়দ জালালুদ্দীন আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

২০:হযরত সৈয়দ বাহাউদ্দীন আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

২১:হযরত সৈয়দ তাজুদ্দীন আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

২২:হযরত সৈয়দ হামিদুদ্দীন শাহ্ গৌরী হিন্দি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

২৩:হযরত সৈয়দ আবদুল কাদের শাহ আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

২৪:হযরত সৈয়দ আতাউল্লাহ শাহ্ আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

২৫:হযরত সৈয়দ তৈয়বুল্লাহ শাহ আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

২৬:হযরত সৈয়দ মতিউল্লাহ শাহ আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

২৭: (ক)ইমামুল আউলিয়া হযরত গাউছূল আযম সৈয়দ আহম্মদউল্লাহ মাইজভান্ডারী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

(খ)হযরত সৈয়দ আবদুল হামিদ শাহ মাইজভান্ডারী আল্ হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

(গ)হযরত সৈয়দ আবদুল করীম শাহ মাইজভান্ডারী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(রা:)

২৮:ইমামুল আউলিয়া হযরত গাউছূল আযম সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী বাবা ভান্ডারী(রা:)

২৯:সুলতানুল মাশায়েখ হযরত সৈয়দ আবুল বশর মাইজভান্ডারী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী(ক:ছি:আ:)

৩০:গাউছে দাওরা হযরত শাহসূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী মাইজভান্ডারী(ক:ছি:আ:)

৩১:হাদী এ জামান হযরত মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী মাইজভান্ডারী(মা:জি:আ:)


আরও খবর

মাইজভান্ডারির মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫




নওগাঁয় ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষক আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষক আটক।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বাল্যবিবাহ করার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচাতে সারে ১৬ বছর বয়সী নিজ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ঐ ছাত্রীকে বিয়ে করার পর বিয়ে অস্বীকার করলে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে মান্দা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় র‍্যাব ও মান্দা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোরের বনপাড়ার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃত প্রধান শিক্ষক আকরাম মন্ডল মান্দা উপজেলার হাজীগোবিন্দপুর ফকিরপাড়া গ্রামের আফসার মন্ডলের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন একজন দুশ্চরিত্র প্রকৃতির লোক। তার পূর্বের ২টি স্ত্রী আছে। এরপরও ভিকটিম ছাত্রী স্কুলে অবস্থানকালে সে তাকে তার কক্ষে ডাকিয়া নিয়া বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিত। সে তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে তাকে পরীক্ষায় ফেল করানোসহ বিভিন্ন ধরনের ভঁয়ভীতি ও হুমকী দিত। এ গুলো ঘটনা পরিবারকে জানালে তার বাবা স্থানীয় লোকজনসহ তাকে একাধিকবার নিষেধ করেছে। কিন্তু সে নিষেধ না মেনে ঐ ছাত্রীকে আরো বেশি উত্যক্ত করতে থাকে। 

এরমধ্যে গত ২৬ মার্চ সকাল অনুমান সারে ৮ টারদিকে ভিকটিম ছাত্রী স্কুলের ২৬ শে মার্চ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। স্কুলে অবস্থানকালে সকাল অনুমান ১০ টারদিকে প্রধান শিক্ষক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেদিন থেকে তাকে তার বাড়ীতে রেখে তাকে বিয়ের প্রলোভনে জোর করে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করলে সে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়া তার বাড়ীতে রেখে বার বার ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান সোয়া ৬ টারদিকে বিয়ের জন্য বললে সে বিয়ে করতে পারবে না বলে অস্বীকার করিয়া বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিম ছাত্রীর বাবা এমদাদুল প্রতিবেদককে বলেন, আমি অশিক্ষিত মানুষ। আমাদের এলাকার মুনসুর কাজীর সহযোগী আলম এসে বিয়ে রেজিস্টারি করে আমাকে যেখানে স্বাক্ষর দিতে বলে সেখানে আমি স্বাক্ষর দিই। এরপর আমি কয়েক বার তার কাছে গিয়ে বিয়ের নকল চাইলে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করে আমাকে নকল দেননি। এরমধ্যে স্থানীয়দের করা অভিযোগের জন্য গতকাল আমাকে ডাকলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে আমার মেয়েকে বিয়ে দিইনি বলতে বাধ্য করে। আমার মেয়েকে যদি বিয়ে না করে তাহলে সে তাকে ধর্ষণ করেছে। তাই আমি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মুনসুর রহমান বলেন, মামলার পর থেকে সে পলাতক ছিলো। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে থানা পুলিশ ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে নাটোরের বনপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম,

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

নলছিটি উপজেলার পৌরসভা এলাকার সূর্যপাশা গ্রামে ধান কেনার নামে ডেকে নিয়ে এক ব্যবসায়ীর তিন ছেলেকে ধারালো দা ও রড দিয়ে কুপিয়ে,পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল থেকে নগদ ৮৭ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।


ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সূর্যপাশা এলাকার মোনাই বাড়িতে।


এ বিষয়ে আহতদের পিতা বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।  এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সূর্যপাশার বাসিন্দা ও ধান ব্যবসায়ী মো. নুরে আলম হাওলাদারের তিন ছেলে তারেক, তুহিন ও তাহিন হাওলাদার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার কাজে জড়িত। ঘটনার দিন আসামিরা তাদের মোনাই বাড়িতে ধান বিক্রির কথা বলে ডেকে নেয়। সেখানে গিয়ে ধানগুলো কাঁচা ও ভিজা দেখে তারা না নিতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।


পরে উত্তেজনার একপর্যায়ে আসামিরা তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন হিরন তালুকদার, হারুন তালুকদার, মজিবর তালুকদার, মাহফুজ তালুকদার, শরিফুল হাওলাদার ও রিয়াম।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হিরন তালুকদার দা দিয়ে তারেক হাওলাদারের মাথায় পরপর দুটি কোপ মারে, হারুন তালুকদার লোহার রড দিয়ে তার ডান হাতে আঘাত করে। অন্য দুই ভাইকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।


হামলার সময় তারেক হাওলাদারের পকেটে থাকা ধান কেনার নগদ ৮৭ হাজার টাকা এবং একটি রেডমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী পিতা মো. নূরে আলম হাওলাদার বলেন,আমার ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরে ধান কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত। সেদিন ধান দেখেই না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তারা মারার জন্যই কুপিয়েছে। এমনকি টাকাও নিয়ে গেছে। আমি থানায় মামলা করেছি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি  করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন।


আরও খবর