Logo
শিরোনাম

দশ বছরেও আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচার না হওয়ায় বিএসপি চেয়ারম্যানের উদ্বেগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের শীর্ষস্থানীয় আলেম বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারীসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যে কারণে দশ বছরেও শেষ হয়নি এই মামলার তদন্তকাজ। 


এদিকে দীর্ঘ দশ বছর পেরিয়ে গেলেও আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচারকার্য শেষ না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আগামিকাল ২৭ আগষ্ট (মঙ্গলবার ) আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী (রহঃ) এর দশম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও  বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী ২০১৪ সালের ২৭ আগষ্ট রাতে অন্যায়ভাবে ঘাতকদের হাতে খুন হয়ে দীর্ঘ দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকার এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। 

এমনকি এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বিভিন্ন সময় দিন ধার্য করা হলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে বিভিন্ন অযুহাতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সদস্যরা দীর্ঘ সময় নিয়েও এই হত্যাকান্ডের জট খুলতে পারছে না।


সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, এই ধরনের হত্যাকান্ডের বিচার যথাসময়ে না হওয়ায় ২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান সহ বিভিন্ন জঙ্গি হামলার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করা জরুরী।


বিএসপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচারকার্য সম্পাদনে সরকার আন্তরিক হলে এই ঘৃণ্য বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের জট খোলা সম্ভব।


আল্লামা শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকান্ডের বিচারকার্য অনতিবিলম্বে সম্পন্ন করনে সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন হযরত শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী।


তিনি সর্বশেষ আল্লামা শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকীর বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে ফরিয়াদ করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের এইদিনে (২৭ আগস্ট) রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ফারুকীর ছেলে ফয়সাল ফারুকী মামলা দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তিনি চ্যানেল আইয়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘কাফেলা’ ও ‘শান্তির পথে’ এবং মাই টিভির লাইভ অনুষ্ঠান ‘সত্যের সন্ধান’ উপস্থাপনা করতেন। এছাড়া তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং একটি হজ্ব কাফেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্বের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিবও ছিলেন। 


আরও খবর

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভারতের পুরোহিত কর্তৃক মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তি করায় তীব্র নিন্দা বিএসপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) কে ভারতীয় পুরোহিত কর্তৃক কটূক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে বিজেপি নেতার সমর্থনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সুফিবাদী প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল 'বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি' (বিএসপি)। ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, মোসলমান মাত্রই প্রিয় নবী (সাঃ) কে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। তাই মুসলিম সমাজ অতীতেও নবীজির শানে যেকোনো প্রকারের কটুক্তির দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে। আগামীতেও ইসলাম ও প্রিয় নবী (দ.) কে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বদ্ধপরিকর বিশ্বের নবীপ্রেমী জনতা। তিনি বলেন, ১৮০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নাম ধর্ম নিরপেক্ষতা নয়। কথায় কথায় অন্যকে অসাম্প্রদায়িকতার সবক দিলেও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায়  বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে ভারত সরকার। যেখানে উগ্রবাদীদের কঠোর হস্তে দমন করার কথা সেখানে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে একের পর এক উস্কানীমূলক মন্তব্য করে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রিয়নবী (সা.) মুসলমানদের ঈমান আকিদা আবেগ ও অনুভূতি। রাসুলের (সা.) শানে কটূক্তি হলে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। তাছাড়া এ ধরনের পরিকল্পিত উস্কানিমূলক ঔদ্ধত্যপূর্ণ ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। যারা মতপ্রকাশের নামে এ ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করে আগুনে ঘি ঢালছেন, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই চক্রের কারণেই এ উপমহাদেশে বারবার ধর্মীয় সংঘাতে লাখো মানুষের সহায় সম্বলহীন ও প্রাণ দিতে হয়েছে। ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হঠকারিতায় বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মনে করেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। তিনি আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে অপমান করার মধ্য দিয়ে মানবতার আদর্শকে অপমান করা হয়। পৃথিবীর কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে কটূক্তি করতে শেখায় না। যারা এসব করে তারা উগ্র। এদের সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। মহানবীর অবমাননায় জড়িত অভিযুক্ত পুরোহিত ও বিজেপির উগ্রবাদী নেতাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে তিনি ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানান। নবী বিদ্বেষী উগ্রবাদীদের দমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভারত সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী।


আরও খবর

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের রেমিট্যান্সের জোয়ার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মালয়েশিয়ায় দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছে বাংলাদেশ। এই শ্রমিকরা স্বল্প খরচে মালয়েশিয়া যেতে পারলে সেখানকার শ্রমিক সংকট নিরসন ও তাদের অর্থনীতিতে যেমন অবদান রাখতে পারবে তেমনি বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারবে। 

সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২২ মাসে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ শ্রমিক মালশিয়ায় গিয়েছে। এই অভিবাসী শ্রমিকরা দেশের জন্য গত  ৩ বছরে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের অদূরদর্শীতায় মালয়েশিয়া সরকারের  সমঝোতা স্মারক প্রস্তাবে রাজী হয়ে সীমিত এজন্সি দিয়ে কর্মী পাঠিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতি দায়ভার নিতে হচ্ছে এখন রিক্রুটিং এজেন্সিদের। বায়রা সদস্যদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। এর পুরোটার জন্য দায়ী দুই সরকারের তথকালীন মন্ত্রী এবং সচিব। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন সাধারণ বায়রা সদস্যরা

সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন, বিদ্যমান সমঝোতা স্মারকের আওতায় ২০২২ সালের ৮ই আগষ্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ২২ মাসে পৌনে ৫ লাখ বাংলাদেশী কর্মী মালয়েশিয়ায় গমন করেছে। বিশাল এই অভিবাসন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে অনলাইন ভিত্তিক ও স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার পদ্ধতি হওয়া কোন কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারিত হননি। 

তারা যথাযথ নিয়মে নিয়োগকারী কোম্পানিতে কাজ পেয়েছেন। এসব শ্রমিকরা ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন এবং সেটা রেমিটেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। ওই  ২২ মাসে যাওয়া শ্রমিকরা ন্যূনতম ১৫শ রিঙ্গিত মূল বেতন এবং ওভারটাইমসহ মাসে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেতন- ভাতা পাচ্ছেন। 

এই হিসেবে তারা মাসে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন। যদি আরো ৫০০ এজেন্সি এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারতো তাহলে কোন বিতর্কই থাকতোনা। তবে ১১০০ সহযোগি এজন্সি এই প্রক্রিয়ায় পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা  জানান

পুরানা পল্টনের একটি জনশক্তিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক রবিউল ইসলাম জানান, মালয়েশিয়া যাওয়া শ্রমকিরা সেখানকার কাজের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কর্মীদের প্রায় সবাই ভালো আছেন। অধিকন্তু মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্মীদের চুক্তি মোতাবেক সকল প্রকার অধিকার ও কল্যাণ আন্ত:রিকতার সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন। ওই ২২ মাসে বড় সংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজে যোগদানের পর বাংলাদেশে বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। 

বর্তমানে বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মালয়েশিয়া ৮ম থেকে ৪র্থ স্থানে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে শুধুমাত্র ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসে মালয়েশিয়া হতে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৫১ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  

জানা গেছে, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে ৩৫৮ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের নিয়োগকারী কোম্পানি সকল অভিবাসন ব্যয় বহন করেছে এবং আমাদের এজেন্সিকেও ব্যাংকিং চ্যানেলে মালয়েশিয়া হতে রিক্রুটিং চার্জ পরিশোধ করেছে। 

বর্তমান ধাপে মালয়েশিয়ায় গমনকারী পৌনে পাঁচ লাখ কর্মী ও পরিবার-পরিজন মিলে অন্তত: ২৫ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। তারা আরও জানান, মালয়েশিয়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১০১টি এজেন্সিসহ সহযোগী এজেন্সি এবং নিয়োগকারীর পাওয়ার অব অ্যাটর্নীর মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রায় ১১০০ রিক্রুটিং এজেন্সি বর্তমান ধাপের মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে। 

একজন রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক বলেস, কোন একটি দেশে কর্মী প্রেরণকারী এজেন্সির বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে দুদক বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দফায় দফায় তদন্ত অথবা গণমাধ্যমে অপপ্রচার নিয়োগকারী দেশে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে ওই দেশে কর্মীদের অভিবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়

সরকারের এ্যালোকেশন অব বিজনেস মোতাবেক জনশক্তি রপ্তানি খাতের সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন তদন্তে যারা ভালো ব্যবাসায়ী তাদেরকে সহযোগিতা ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ, তদন্ত করা উচিত। বিদ্যমান আইনের আওতায় তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হয়ে এই সেক্টরে বর্তমানে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে তা দূর হবে এবং দ্রুতই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য শীঘ্রই পুনরায় উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা যায়। 

বায়রার সাবেক সাধারণ সম্পদক আলী হায়দার চৌধুরী জানান, মালয়েশিয়া প্লান্টেশন ও কৃষি খাতে বিদেশি কর্মীর চাহিদা প্রচুর। মালয়েশিয়ান সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে সে দেশের শ্রমিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মীদের নেওয়ার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান সরকার মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিষয় সবসময় আন্তরিক। আমরা ওই দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো। 

 


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাদিত ও সাধারণ সম্পাদক সৌরভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের এর নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার   (১৯ সেপ্টেম্বরে)  সংগঠনটির উপদেষ্টামন্ডলী এবং সদ্য বিদায়ী সভাপতি আকরাম হোসাইন

 ও সাধারন সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে পুর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়


এতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সউদ বিন সরওয়ার সাদিত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদার্থ বিজ্ঞানের  বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ চৌধুরী  কে মনোনীত করা হয়েছে।


কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি সিদরাতুল মুনতাহা (বিজিই),আশেকুর রহমান (পরিসংখ্যান), নাদিরা হক তাশপি (বিজিই) যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সালসাবিল মজুমদার (ইকোনোমিক্স),শুররাহ আদিলা (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং),মাহফুজুর রহমান ফয়সাল (পরিসংখ্যান), কাশিফ আহমেদ (পরিসংখ্যান),সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাউল হাসান শাকিল (পরিসংখ্যান), দপ্তর সম্পাদক সাখাওয়াত চৌধুরী ( রসায়ন), আজীবন সদস্য নুরুল  আবছার জুয়েল।


এছাড়াও সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী হিসেবে কমিটিতে আছেন , ড. আশেকুল ইসলাম স্যার (বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি),নোমান হাসান স্যার (ম্যানেজমেন্ট),ড. মোঃ আবদুর রহমান (কেমিস্ট্রি), 

মোঃ তোফাজ্জল হাসান (ইকোনমিক্স),ইয়াসিন আরাফাত (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং),ইহসান আজীজ (বিজিই, মোহাম্মদ বিন সুলতান (সিএসই),মিসবাহ উদ্দীন মাহমুদ (সিএসই),জারিন তাসনিম ইতু (ফার্মেসি),অমিত দত্ত (বিজিই), আজাদ চৌধুরী (ইকোনমিক্স),অর্ণব ধর প্রান্ত (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং), সামস জুবাইর (সিএসই), অভি কান্তি নাথ (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং),এমরান হোসেন মামুন (আইসিটি),রাহুল দ্রাবিট চৌধুরী (ম্যাথ),কুর্সি রহমান লুবা (ই.এস.আর.এম), মোঃ দেলোয়ার হোসেন (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং),ইশতিয়াক মাহমুদ তাইমুর (ফার্মেসি),ওয়ালিদ বিন বখতিয়ার সামি (বিবিএ),জিসান বিন হাবিব (বিজিই), একরাম হোসেন রাকিব (পরিসংখ্যান),হামিমুল হুদা (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং), নন্দিতা অপর্ণা চক্রবর্তী (ইএসআরএম),আইনান আকিব (সিএসই),সৈয়দ আশরাফ উদ্দীন (বিবিএ), আসাদুল আমিন কায়েস (আইসিটি),অনন্যা গোলদার দীপা (পরিসংখ্যান), অভি সমদ্দার (সিপিএস)।


কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি সাদিত বলেন,চট্টগ্রাম-কক্সবাজার থেকে মাভাবিপ্রবিতে পড়ালেখা করতে আসা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমাদের এই সংগঠন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এর শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি ছিলো এমন একটি প্লাটফর্ম। সকলের কল্যাণে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করব, শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব। 


নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সৌরভ চৌধুরী বলেন  ,আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সকলের মতামত এবং পরামর্শের মাধ্যমে ছাত্র কল্যাণ পরিষদ টি পরিচালনা করা এবং একটি স্মার্ট ছাত্র কল্যাণ পরিষদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।


আরও খবর

এইচএসসি ও সমমানের ফল মঙ্গলবার

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪




রাজশাহীতে সার্ভেয়ারদের বেতন ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 


 রাজশাহীতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং  সার্ভেয়ারদের অন্যান্য ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ন্যায় বেতন স্কেল দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

মঙ্গলবার (১লা অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অর্ধ দিবস কর্ম বিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন। 

সমন্বয়করা বলেন আমরা চাই অন্যান্য ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ন্যায় আমাদের ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দশম গ্রেডের করা হোক। তারা বলেন আমাদের সাথে যখন প্রতিষ্ঠান জড়িত আছে তারা সকলেই আমাদেরকে সাপোর্ট করেছে ।
তারা বলেন যেমন এলজিডি বিভাগ পানি উন্নয়ন বিভাগ এছাড়াও আমাদের সাথে যে সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদেরকে মোবারক জানিয়েছেন। 

উক্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটে রাজশাহীর ডিপ্লিমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভেয়ারের ছাত্র-ছাত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



শেখ আব্দুর রশিদ নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ড. শেখ আব্দুর রশিদ চুক্তিতে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগ পেয়েছেন। যিনি চুক্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তাকে দুই বছরের জন্য এ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আব্দুর রশিদ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিনি এ নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।

শেখ আব্দুর রশিদ দেশের ২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি মো. মাহবুব হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আগামী ১৩ অক্টোবর শেষ হবে। দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত টানা চারদিন বন্ধ থাকায় বুধবারই (৯ অক্টোবর) মাহবুব হোসেনের শেষ কর্মদিবস।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৭ আগস্ট চুক্তিতে দুই বছরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। পরেরদিন তাকে সিনিয়র সচিব করা হয়।

আব্দুর রশিদ ১৯৫৭ সালের ৫ মে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নেদারল্যান্ডসের দি হেগ শহরের ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন। আব্দুর রশিদ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তৃতীয়স্থান অধিকার করেন। তিনি বিসিএসের ১৯৮২ ব্যাচের সম্মিলিত মেধাতালিকায় চতুর্থ ও প্রশাসন ক্যাডারে প্রথমস্থান অর্জন করেন।

আব্দুর রশিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক হিসেবে মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হন। এছাড়া তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিসভা ও বিভিন্ন মন্ত্রিসভা কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মূল দায়িত্ব হচ্ছে মন্ত্রিসভা ও এর কমিটিগুলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।

এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন তথা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাজের তদারক করে থাকে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কাজের সমন্বয় সাধনও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব।

সরকারের সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের অন্যতম ফোরাম সচিব সভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ সভার সভাপতি। তাছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব সিভিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে পদোন্নতির সুপারিশকারী সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভাপতি।


আরও খবর