স্টাফ রিপোর্টার :
আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের শীর্ষস্থানীয় আলেম বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারীসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যে কারণে দশ বছরেও শেষ হয়নি এই মামলার তদন্তকাজ।
এদিকে দীর্ঘ দশ বছর পেরিয়ে গেলেও আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচারকার্য শেষ না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।
আগামিকাল ২৭ আগষ্ট (মঙ্গলবার ) আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী (রহঃ) এর দশম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী ২০১৪ সালের ২৭ আগষ্ট রাতে অন্যায়ভাবে ঘাতকদের হাতে খুন হয়ে দীর্ঘ দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকার এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এমনকি এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বিভিন্ন সময় দিন ধার্য করা হলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে বিভিন্ন অযুহাতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সদস্যরা দীর্ঘ সময় নিয়েও এই হত্যাকান্ডের জট খুলতে পারছে না।
সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, এই ধরনের হত্যাকান্ডের বিচার যথাসময়ে না হওয়ায় ২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান সহ বিভিন্ন জঙ্গি হামলার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করা জরুরী।
বিএসপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচারকার্য সম্পাদনে সরকার আন্তরিক হলে এই ঘৃণ্য বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের জট খোলা সম্ভব।
আল্লামা শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকান্ডের বিচারকার্য অনতিবিলম্বে সম্পন্ন করনে সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন হযরত শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী।
তিনি সর্বশেষ আল্লামা শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকীর বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে ফরিয়াদ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের এইদিনে (২৭ আগস্ট) রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ফারুকীর ছেলে ফয়সাল ফারুকী মামলা দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তিনি চ্যানেল আইয়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘কাফেলা’ ও ‘শান্তির পথে’ এবং মাই টিভির লাইভ অনুষ্ঠান ‘সত্যের সন্ধান’ উপস্থাপনা করতেন। এছাড়া তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং একটি হজ্ব কাফেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্বের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিবও ছিলেন।