Logo
শিরোনাম

দুই বছর পর খুলল বান্দরবানের দেবতাখুম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

প্রায় দুই বছর পর উঠিয়ে নেয়া হলো বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রাকৃতিক পর্যটন স্পট দেবতাখুমে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। গতকাল সন্ধ্যার পর জারি করা বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এর ফলে পর্যটকরা আগের নিয়মের তুলনায় আরো সহজে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন। পর্যটক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলায় পর্যটন শিল্প বিকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৭০ শতাংশ মানুষ এ খাতে সম্পৃক্ত রয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আবির্ভূত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তাণ্ডবে জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি, আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি দেখা দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত চার বছরে বিভিন্ন সময় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে এ খাত স্থবির হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ বাস্তবতায় নতুন বিনিয়োগকারী যেমন আসছে না, তেমনি আগের বিনিয়োগকারীরাও হতাশ। তবে আজ থেকে দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে আগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় বর্তমান অন্তর্বতী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। সবশেষ গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই দিন দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেছিলেন, সদর উপজেলা, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপাতত কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।

একই সঙ্গে প্রান্তিক লেক, মেঘলা, নীলাচল, বান্দরবান-থানচি সড়কের শৈলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড় ও নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করতে পারবে পর্যটকরা। তবে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সেখানে পর্যটক ভ্রমণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গতকাল জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মাসের ১৬ তারিখ জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ও চলতি মাসের ৪ তারিখ রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রেরিত পত্রের আলোকে আজ হতে উপজেলাটির দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রটি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের অন্তর্গত।

আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় দেবতাখুম পর্যটক কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ উন্মুক্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। আজ সকালে ইউনিয়নের লিরাগাঁও বাজারে করা এক স্টপ সার্ভিস কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। আগের নিয়মে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের রোয়াংছড়ি থানায় গিয়ে পরিচয়পত্র দেখানোসহ রেজিস্ট্রেশন করা লাগত। এবার নতুন নিয়ম করা হয়েছে। এ নিয়ম অনুযায়ী পর্যটকরা সরাসরি লিরাগাঁও বাজারের ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্রে নিজেদের পরিচয়পত্র অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করে সরাসরি দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন।

এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় রয়েছে। ফলে পর্যটকরা কম সময়ে ও সহজে নৈসর্গিক দেবতাখুম ভ্রমণ ও উপভোগ করতে পারবেন বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বস্তরের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে দেবতাখুম থেকে পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।


আরও খবর

প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪




ডাকাত-ধর্ষকদের রক্ষার নোংরা খেলা বন্ধ করুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাশেদ মেহেদী, সিনিয়র সাংবাদিক :

ভুক্তভোগী যাত্রীদের বর্ণনায় এটা স্পষ্ট যে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের "আমরি ট্রাভেলসের" বাসটিতে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় বাসের চালক ও তার সহকরারিরা জড়িত। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই চালক ও সহকারিরাই ডাকাত দলকে বাসে তুলে ডাকাতি করার সুযোগ দিয়েছে। 

অথচ ঘটনার তিন দিনে কোন মামলা হল না। পরে চালক ও তার সহকারিদের জামিন দেওয়ার পর একজন যাত্রীকে মামলা করার জন্য থানায় ডাকা হল। দেখা গেল থানায় অভিযুক্ত চালক আর তার সহকারিরাও গেছেন আরেকটি মামলা করতে...! 

এটা অসৎ, দূর্নীতিবাজ পরিবহন নেতাদের নোংরা খেলা। তারা শুরু থেকেই মামলাটি দুর্বল করতে চাচ্ছেন। সে কারনে তারা প্রশাসনকেও ব্যবহার করছেন। 

বাংলাদেশে অভ্যুত্থান হয়, সরকার বদল হয়, আগের সরকারের প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা বদলায়, কিন্তু পরিবহন খাত ঘিরে সন্ত্রাসী, দূর্নীতিবাজ অটুট থাকে। বিগত সরকারের আমলে পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করা নেতা নামধারী সন্ত্রাসীদের কেউ জেলে, কেউ পালিয়ে, কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখুন আগের সরকারের সেই নেতাদের বন্ধুরাই এখন বিপ্লবী সেজে পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক, গডফাদারের পদ অলংকৃত করে আছেন।

আমার প্রায় ৩০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় দেখেছি পরিবহন খাতে রাজনৈতিক দলে ছড়িয়ে থাকা সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের সদস্যদরা দৃশ্যত প্রতিপক্ষ হলেও পর্দার আড়ালে তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু।  এ কারনেই সরকার বদলায়, কিন্তু পরিবহনের সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট আর তাদের নোংরা খেলা অটুট থাকে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অস্বস্তি কাটেনি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

একের পর এক ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মব সৃষ্টি করে ভাঙচুর ও লুটপাটসহ অপরাধ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। গতকাল শনিবার এই বিশেষ অভিযানের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে, অভিযানের লক্ষ্য কতটা পূরণ হয়েছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সমাজ চিন্তক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশেষ অভিযান সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। এখনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি কাটেনি, বরং আতঙ্ক বেড়েছে। এ সময়েই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ অঞ্চলে চরমপন্থিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই, ডাকাতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, তৌহিদী জনতার নামে মব সৃষ্টি করে মানুষের বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বেড়েছে নারী হেনস্থা এবং ধর্ষণের ঘটনাও।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনার পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এই বিশেষ অভিযান এখনও চলমান আছে। তবে ডেভিল হান্ট নামে আর অভিযান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্ট বিশেষ অভিযানে সারাদেশে ১১ হাজার ৮৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময়ে সারাদেশে মোট গ্রেপ্তার করা হয় ৩০ হাজার ৭২৩ জনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জুলাই-আগস্ট মামলার আসামিও রয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশন নামটা যতটা প্রভাবশালী; অভিযানটা তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না। কারণ ১১ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার হওয়ার পরও যদি একই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়, তা হলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কোন অপরাধীদের? তিনি বলেন, অভিযানটা সামগ্রিকভাবে হওয়া উচিত ছিল। পেশাদার অপরাধীদেরও যদি একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হতো, তা হলে অবস্থার আরও উন্নতি হতো।

তবে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বিত টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রমের কারণে কয়েক দিন ধরে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আপাতত ঢাকাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার বাইরেও পুলিশের কার্যক্রম আগের তুলনায় আরও গতিশীল করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য বলছে, অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হওয়ার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে ৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ফেব্রুয়ারিতে সেটি বেড়ে ৫৭টি হয়। জানুয়ারিতে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ১৫টি। ফেব্রুয়ারিতে তা ১৭ হয়েছে। এর মধ্যে দুই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হতে হয়েছে। বেড়েছে দলবেঁধে ধর্ষণচেষ্টার সংখ্যাও। সর্বশেষ গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘুরতে গিয়ে এক কলেজছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বিকেল তিনটার দিকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করা হয়।

বিশেষ অভিযানের মধ্যে গণপিটুনির ঘটনাও কমেনি। এক সপ্তাহ আগে শরীয়তপুরে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হয় আরও কয়েক জন। গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাত সন্দেহে আরও দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বুধবার রাতে ঢাকার মগবাজারে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় জনতা একজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে গণপিটুনিতে ১২ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে গণপিটুনির ঘটনায় আটজনের প্রাণ যায়। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাদেরকে ফুটওভার ব্রিজের রেলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর তীরে অন্তত তিনটি ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একদল অস্ত্রধারী বালুর ঘাটে হামলা চালিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের দুই লাখ টাকা লুট করে নেয়। ওই ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে স্থানীয় একজন গুলিতে আহতও হন।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বেড়া-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তলট এলাকায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত একটার দিকে গাছ ফেলে অন্তত ১০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের মারধরে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শশানঘাট এলাকায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে শক্তির জানান দেয় চরমপন্থি দলের নেতা কালু। হত্যার দায় স্বীকারও করে সে। গতকাল পর্যন্ত কালু গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলায় এই বাহিনীর হাতে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর পরই যৌথ বাহিনীসহ র‌্যাব-পুলিশ দৃশ্যমান তৎপরতা শুরু করে। গভীর রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শুরু করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাত্রিকালীন টহলও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে বসেছে চেকপোস্ট। এ অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে ১৪ জন সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের নানামুখী ব্যবস্থার কারণে ঢাকায় পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ছিনতাই কমে আসছে।

তবে ঢাকার একাধিক এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে, রাতে ঢাকার রাস্তায় র‌্যাব-পুলিশের দৃশ্যমান তৎপরতা বেড়েছে। তবে পাড়া-মহল্লায় তাদের উপস্থিতি বাড়েনি। ফলে আগের মতোই আতঙ্ক নিয়ে তাদের ঘর থেকে বের হতে হয়। ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করা পুলিশ সদস্যরাও বিভিন্ন জায়গায় মার খাচ্ছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে তল্লাশি চৌকিতে থামার জন্য ইশারা দেন পুলিশের এসআই ইউসুফ আলী। এর কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন এসে ভুয়া পুলিশ অপবাদ দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি। সারাদেশে আরও কয়েক জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর এ ধরনের ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণে বা মব তৈরি করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ২২৫টি ঘটনার মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২৪টি, অক্টোবরে ৩৪, নভেম্বরে ৪৯, ডিসেম্বরে ৪৩, জানুয়ারিতে ৩৮ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৭টি হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর  বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আন্তরিকতা এবং পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে লক্ষ করেছেন বিভিন্ন আভিযানিক কার্যক্রমে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপরাধ প্রতিরোধে কৌশলগত বিভিন্ন কার্যক্রমের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মব জাস্টিস কোনোমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ অপরাধ করলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানাতে হবে। পুলিশ এক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে রেসপন্স করবে। পুলিশের আইনি দায়িত্ব পালনে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তাদেরকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

 


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

রবিবার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সে‌স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। গত বছরের অক্টোবরে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন।


আরও খবর



নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতি, ৬ ডাকাত আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছেন পুলিশ। সোমবার ৩ মার্চ দুপুর ১টায় নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে  এসব তথ্য জানান নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।

গ্রেফতারকৃত ৬ জন হলেন, জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম সব্দুল (২৭),  হাতিয়র গ্রামের অরুণ চন্দ্র বর্মনের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র বর্মন (৩০), ও একই উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ ওরফে নাঈম (২৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরন্দর গ্রামের মনসুর বেপারীর ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৭) ও একই গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার সিন্ধুরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় একটি বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তদন্ত শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়ায় অভিযান পরিচালনা করে ৬ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে জয়পুরহাটের কালাই থেকে, দুইজন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এবং একজন বগুড়ার কাহালু থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, একজোড়া কানের দুলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে করাত, কয়েকটি হাসুয়া, একটি প্লাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নওগাঁয় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ৫জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারী পাবনার সাঁথিয়ায় সংঘটিত ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ৬টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে ২টি, শামীমের বিরুদ্ধে ২টি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান এবং অন্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য নওগাঁ জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ফারজানা হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ভোট সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ভোট সম্ভবত চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার হাজদা লাহবিব দেখা করতে গেলে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ইইউর কমিশনার হাজদা লাহবিব বলেন, ইইউ এ বছর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা ও মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সংঘাতে আটকে পড়া মানুষের সহায়তায় ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে।

তিনি বলেন, এ অনুদান গত বছরের প্রাথমিক ইইউ অবদানের চেয়ে বেশি হলেও ক্যাম্পের মানবিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতি ঠেকানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়, কারণ তহবিলের ঘাটতি ক্রমশ বাড়ছে।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। এটি বহু বছর ধরে চলমান, কিন্তু এর কোনো সমাধান নেই। এর কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ নেই।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনার বাংলাদেশ সফর আমাদের জন্য আনন্দের। জাতিসংঘের মহাসচিবও আসছেন। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছি।’

ইইউ কমিশনার বলেন, ‘এ সংকটের একমাত্র সমাধান হলো শান্তি। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন দুর্যোগের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়ানোও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এক ঘণ্টার এ বৈঠকে তারা জলবিদ্যুৎ আমদানি, বন্যা ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য ইইউ’র সমর্থন চান, কারণ এটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে উত্তরণের পথ সুগম করবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে।

‘আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলি, আর এটি হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি। নেপাল ও ভুটান— উভয় দেশই আমাদের কাছে জ্বালানি বিক্রিতে আগ্রহী-যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইইউ কমিশনার দুর্যোগ প্রস্তুতি, ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে ‘সেরা অভিজ্ঞতা’ এবং প্রস্তুতি কৌশল বিনিময়ের জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।

দেশের সংকটকালীন মুহূর্তে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে লাহবিব বলেন, ‘আপনি অসাধারণ সময়ে অসাধারণ কাজ করেছেন। আমার মূল বার্তা হলো— আমরা আমাদের সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি ইইউর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সময় প্রত্যক্ষ করছি। আমরা জানি, পরিবর্তন আনতে গেলে সবসময় প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়। তাই এখনও অনেক কিছু করার বাকি। আমরা আপনাদের পাশে আছি।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫