Logo
শিরোনাম

দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে এনইসি।


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসির সভায় এই উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।



সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


তিনি আরও জানান, সভায় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন ১১ হাজার ৬৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়ন ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। 


সুতরাং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের বরাদ্দসহ এডিপির সর্বমোট আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ।


২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির আওতায় প্রকল্পের সংখ্যা ১৩২১টি। সত্যজিৎ কর্মকার জানান, বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ খাত, শ্রম-শক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাসকরণ সংক্রান্ত প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




পাঁচ টাকার নোট থেকে কুসুম্বা মসজিদের ছবি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় পাঁচ টাকার নোট থেকে ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদের ছবি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মান্দা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার বেলা সারে ১১ টার দিকে মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, কুসুম্বা মসজিদ জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অমূল্য নিদর্শন। এটি পাঁচ টাকার নোটে বহাল থাকায় দেশের মানুষ সহজেই ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারতেন। সেই নোট থেকে কুসুম্বা মসজিদের ছবি প্রত্যাহার করে নেওয়া দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অবমূল্যায়নের শামিল। অবিলম্বে কুসুম্বা মসজিদের ছবি পুনরায় পাঁচ টাকার নোটে বহালের দাবি জানাচ্ছি। এ দাবী না মানা হলে ভবিষ্যতে মান্দাসহ নওগাঁবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির নেতারা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অর্থ উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। একই দাবিতে জামায়াতে ইসলামী মান্দা উপজেলার শাখার নেতারা আলাদাভাবে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। মান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকরামুল বারী টিপু, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ও শামশুল ইসলাম বাদল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিল ও আব্দুল মালেক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তালহা জুবায়ের এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিদুজ্জামান সালেক প্রমুখ।


আরও খবর



এক কাপ চায়ের দামে ছাগলের চামড়া

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোরবানির ঈদের পর চামড়ার বাজারে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোনো চামড়াই বিক্রি হচ্ছে না। গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায়, আর ছাগলের চামড়ার দাম নেমে এসেছে মাত্র ১০ টাকায়, যা স্থানীয়ভাবে এক কাপ চায়ের দামের সমান।

এমন অবস্থায় অনেকে ছাগলের চামড়া নদীতে ফেলে দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। চামড়ার এমন বেহাল বাজারে সাধারণ মানুষ, চামড়া সংগ্রহকারী এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

আজ রবিবার ঈদের দ্বিতীয় দিন সরেজমিন ফুলবাড়ী পৌর শহরের নিমতলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে চামড়া বিক্রির ভিড়। আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকে অনেকেই চামড়া নিয়ে এসেছেন। তবে সরকার নির্ধারিত দাম তো দূরের কথা, ন্যূনতম মূল্যও পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।

এক বিক্রেতা আহসান হাবিব বলেন, সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেই দাম কেবল কাগজে কলমেই আছে। বাস্তবে কোনো প্রয়োগ নেই। আমি একটি গরু ও একটি ছাগলের চামড়া এনেছিলাম। গরুর চামড়া ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু ছাগলের চামড়ার কোনো দাম না থাকায় নদীতে ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছি।

একই অভিযোগ করেন আরেক বিক্রেতা মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, চামড়ার কোনো ক্রেতা নেই। স্থানীয় মাদ্রাসার হুজুরকে ফোন দিয়েছি, তিনিও আসেননি। তাই চামড়ায় লবণ দিয়ে রেখে দিয়েছি। ইউটিউব দেখে চেষ্টা করব বাড়িতে বসেই কিছু তৈরি করতে পারি কিনা।

প্রসঙ্গত, সরকার ২০২৫ সালে ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে ৬০-৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫-৬০ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০-২২ টাকা প্রতি বর্গফুট, আর খাসির জন্য ২২-২৭ টাকা। যদিও এই মূল্যতালিকা কোরবানি দাতাদের কিছুটা আশার আলো দেখালেও, বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

ফুলবাড়ীর স্থানীয় বাজারে কোনো ক্রেতাই ওই দামে চামড়া কিনছেন না। গরুর একটি চামড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক নিচে। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়তাও সবাই কিনতেও আগ্রহী নন।

স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী কোরবান আলী বলেন, আমরা চামড়া কিনছি কম দামে, কারণ ট্যানারিরা সরকার নির্ধারিত দামে কিনছে না। তারাও বলছে, অতিরিক্ত চামড়া তাদের প্রয়োজন নেই, সংরক্ষণের সুবিধাও নেই। আমরা আকারভেদে গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় এবং ছাগলের চামড়া মাত্র ১০ টাকায় নিচ্ছি।

তিনি বলেন, লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর প্রতি মণ লবণ ছিল ৪৭০ টাকা। এবার তা বেড়ে ৬৫০ টাকায় পৌঁছেছে।

গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতায় তিনি বলেন, গত বছর সরকারী দামে চামড়া কিনে অনেক লোকসান করেছি। অনেক চামড়া সংরক্ষণ করতে না পেরে ফেলে দিতে হয়েছে। তাই এবার সাবধানে মাত্র ২০০টি গরুর চামড়া কিনেছি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, সরকারকে চামড়ার বাজার ব্যবস্থাপনায় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যকরভাবে মূল্য নির্ধারণ বাস্তবায়ন, সংরক্ষণের ব্যবস্থা, লজিস্টিক সাপোর্ট এবং মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোর মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার।

চামড়ার বাজারে এমন ধস কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণই নয়, ধর্মীয় দিক থেকেও অনেক মুসলমানের জন্য হতাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা চেয়েছিলেন কোরবানির চামড়া দান করে সওয়াব হাসিল করতে, কিন্তু মূল্য না পেয়ে কেউ ফেলে দিচ্ছেন, কেউবা অসহায়ের মতো অপেক্ষায় বসে আছেন। এ অবস্থায় সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এখন সময়ের দাবি।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় কারাগারে কণ্ঠশিল্পী নোবেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সারেগামাপা খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ১১টায় ডেমরার আমতলার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার (১৯ মে) তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেছেন এক কলেজছাত্রী।

তিনি জানান, মামলা দায়েরকারী মেয়েটি ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

মেয়েটির বাড়ি টাঙ্গাইলে, থাকতেন মোহাম্মদপুরে। সাত মাস ধরে নোবেল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, গত নভেম্বরে নোবেল ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে আসেন। তিনি গত ৭ মাস ধরে ওই মেয়েকে বিয়ে না করে ধর্ষণ করেন। এসব ঘটনা তিনি ফোনেও রেকর্ড করেছেন। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর ওই মেয়ে ৯৯৯-এ সহায়তা চান। পরে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করি। এরপর একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। তখন থেকে নোবেল পলাতক ছিলেন। অভিযান চালিয়ে গতকাল রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর



চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে আজ শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দরবার শরিফের পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকি। এ উপলক্ষে কুরবানির পশু ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলায়ও আজ সকালে ঈদ উদযাপন হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। তার অনুসারী মুসল্লিরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সঙ্গে ঈদুল আযহা উদযাপন করেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রামে আজ ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। 


আরও খবর



ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বললেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়সীমার বাইরে একদিনও যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছেন।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির ২৪তম জাতীয় সম্মেলন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। কারণ বারবারই বলা হচ্ছে, একটা সময়সীমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের তিনটা মোটা দাগের দায়িত্ব- সংস্কার, বিচার ও ইলেকশন। তিনটিই কঠিন দায়িত্ব। ‌শুধু ইলেকশন করার জন্য আমরা দায়িত্বটা নিইনি।

দায়িত্ব পালন করতে পারছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা অনেক দূর এসেছি। সংস্কার কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট দিয়েছে। সে রিপোর্টের উপর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করছে। আমরা একটা নির্বাচনের সময়সীমা বলে দিয়েছি। বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগে ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল, এখন দুইটি হয়েছে। আগামীকাল থেকে ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এই কাজগুলো আমরা সঠিক প্রক্রিয়ায় শেষ করতে চাই। এতে সবার সহযোগিতা চাই।

আপনারা কোন চাপে আছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা- আমাদের বিবেচনা ও বিবেকে ওইটাই একমাত্র চাপ। আপনি চাইলেই হঠাৎ করে সচিবালয় যেতে পারবেন না। অথচ এ রকম অনেক দাবি আছে, যেগুলো রাস্তা বন্ধ না করে আলাপ-আলোচনার মধ্যেই সমাধান করা যায়।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত দাবি আছে, তা নিয়ে রাস্তা আটকে দিচ্ছে। ঢাকা শহর অচল হয়ে যাচ্ছে। সেই অচল অবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কিনা। আমরা ক্ষমতা নিইনি, জাতীয় দায়িত্ব পালন করছি। এই দায়িত্বটা তখনই পালন করতে পারব যখন সকলের সহযোগিতা পাব। আমরা চিন্তা করেছি, আসলেই আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারছি কিনা।

বড় দাগে তিনটা দায়িত্ব পালন করার জন্য যে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, এই প্রতিবন্ধকতা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব, আদৌ মোকাবিলা করতে পারবো কিনা, যদি মোকাবিলা করতে পারি- কীভাবে করব, যদি মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে আমাদের কী করণীয় হবে- আমরা সকলে মিলে এটা চিন্তা করছি। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি তাহলে দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আর যদি না পারি, আমাদের নিজস্ব অনেক কাজ আছে, আমরা সেই কাজে ফিরে যাব। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্বে থাকাটা আর প্রাসঙ্গিক থাকছে না।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫