Logo
শিরোনাম

দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাইলেন রুবাইয়াত ফাতিমা তনি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image



সদরুল আইনঃ


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় মুখ এবং রাজধানীর গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুমের মালিক রুবাইয়াত ফাতিমা তনি। 



পাকিস্তানি বলে দেশীয় পোশাক বেশি দামে বিক্রি করায় এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করায় তাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রতিষ্ঠানটির মালিক তনি ভোক্তা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় তাকে জরিমানা করা হয়। দেশি থ্রিপিস পাকিস্তানি বলে বিক্রির জন্য ৫০ হাজার এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।


জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে তনি ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর নিজস্ব অফিসে একটি লাইভ অনুষ্ঠান করে। সেখানে তনি জানান, তিনি এসব অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন। তার ব্যবসায়িক পেইজে অভিযোগকারী নারী অভিযোগ জানালেও মডারেটররা এটা গুরুত্ব দেন না এবং পরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা মার্কেটে ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি নোটিশ আসে। সেটিও তনির সেলসম্যান গুরুত্ব না দিয়ে ফেলে রাখেন। 



সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ‘সানভীস বাই তনি’ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশি থ্রি পিস পাকিস্তানি বলে বিক্রি করতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতো। 



তনি শুনানিতে অংশ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সর্তক থাকবেন। এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বলে বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়।



তিনি বলেন, গুলশানের শোরুমের গিয়ে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে। আপাতত তাদের শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছি।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে পরিবেশ বিধিমালা লঙ্ঘন অপরাধে বন্ধ করা হয় অবৈধ ইটভাটা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

বাংলাদেশে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটা চালু করা অবৈধ এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। হাইকোর্টের ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখের রায়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে ইটভাটা অবৈধ বলে গণ্য হবে এবং তা উচ্ছেদ করতে হবে। 

এই আদেশের পর থেকে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামে ফারুক সরদারের মেসার্স ষ্টার ব্রিকস নামের ইটের ভাটায় অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিন। ভ্রাম্যমান আদালতে প্রসিকিউশন প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো.আমিনুল হক। 

গনমাধমে এতথ্য জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনজুমান নেছা বলেন, 'ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) এর ৫ ধারা লংঘন করার অপরাধে প্রতিষ্ঠান মালিককে একলক্ষ টাকা নগদ জরিমানা করা হয়। একই সাথে ফায়ার সার্ভিসের মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে চুল্লীর আগুন নিভিয়ে ও কাঁচা ইট ধ্বংস করে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।


আরও খবর



গাজীপুরে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইকৃত ৯৮ লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

গাজীপুর প্রতিবেদক :

মাল্টি পয়েন্ট বিডি প্রতিষ্ঠানের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/-টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার ও লুন্ঠিত নগদ টাকা উদ্ধারসহ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই গাজীপুর জেলা।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন আউটপাড়া সাকিনস্থ রিয়াজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় মাল্টিপয়েন্ট বিডি নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/-টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার, লুন্ঠিত নগদ টাকা উদ্ধার ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই গাজীপুর জেলা।

ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন (২৮), পিতা-মোঃ হাসান বেপারী, মাতা-রাবেয়া বেগম @ নিলুফা, সাং-গোবিন্দপুর, হাজী বাড়ি, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, এ/পি. সরকারবাড়ী মোড়, প্রিয়াংকা ভিলা, ওয়ার্ড নং-১৬, থানা-বাসন, গাজীপুরকে ডিএমপি, ঢাকার পল্টন থানাধীন ফকিরাপুল কাঁচাবাজার এলাকা থেকে গত ইং ২৩/০৪/২০২৫ তারিখ সময় ২০:৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করে তার দেয়া তথ্য মতে সাক্ষী মোঃ আব্দুল গফুর আকন্দ এর উপস্থাপন মতে লুন্ঠিত ২,৫৫,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ২। মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০), পিতা-মোঃ ফারুক, সাং- কাহনিয়া, থানা-ইটনা, জেলা- কিশোরগঞ্জ, এ/পি সাং- মালেকের বাড়ী হাজী মান্নানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা- গাছা, জিএমপি গাজীপুরকে ইং ২৮/০৪/২০২৫ তারিখ ০৩.১০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ৩। মোঃ উজ্জল (৩৬), ৪। মোঃ মিরাজ (২৫), উভয় পিতা-মোঃ হাসান মৃধা, সাং-ছোট চরশিবা, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী দ্বয়কে ভোলা জেলার দুলারহাট থানাধীন শিকদারের চর সাকিনে কিল্লার মাঠ এলাকা থেকে গত ইং ৩০/০৪/২০২৫ তারিখ ভোর ০৫.০০ ঘটিকায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ উজ্জল এর হেফাজত হতে ঘটনায় লুন্ঠিত নগদ ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা উদ্ধার এবং আসামী মোঃ আসামী মোঃ মিরাজ এর তথ্য ও দেখানো মতে গাজীপুর টঙ্গীপূর্ব থানাধীন মরকুন সাকিনস্থ আসামী মোঃ মিরাজ এর স্ত্রীর বড় ভাই রাহাত এর ভাড়া বাসায় রেখে যাওয়া লুন্ঠিত নগদ ১৭,৫০,০০০/-(সতের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা সহ তিন জনের নিকট থেকে সর্বমোট ২২,৫৫,০০০/-(বাইঁশ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন আউটপাড়া সাকিনস্থ রিয়াজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় মাল্টিপয়েন্ট বিডি নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত ইং ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.১৫ ঘটিকার সময় বাদী মোহাম্মদ একরামুল হক (৩২), পিতা-শাহ মোহাম্মদ মনিরুল হক, মাতা-হাসিনা বেগম, সাং-মির্জারচর, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী, বর্তমান সাং-মিরেরবাজার, থানা-পুবাইল, গাজীপুর মহানগর সহ তার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছিলেন। অফিসের কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ইং ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.৪৪ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীরা তাদের অফিসে প্রবেশ করে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীর প্রতিষ্ঠানে অবৈধ কার্যকলাপ করা হয় মর্মে জানিয়ে আসামীদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদানসহ প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বাদীসহ অন্যান্যদেরকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। একপর্যায়ে আসামীরা বাদীর অফিসের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/- (আটানব্বই লক্ষ) টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে এই সংক্রান্তে মাল্টি পয়েন্ট বিডি প্রতিষ্ঠানের জিএম মোহাম্মদ একরামুল হক বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে জিএমপি বাসন থানার মামলা নং-২০ তারিখ-১৫/০৪/২০২৫ ইং ধারা-১৭০/৩৯৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

মামলাটি রুজু হওয়ার পর জিএমপি বাসন থানা পুলিশ গত ইং ১৫/০৪/২০২৫ তারিখ হতে ০৮ দিন মামলাটি তদন্তকালীন সময়ে মামলাটি পিবিআই এর সিডিউল ভূক্ত মামলা হওয়ায় আবেদনের প্রেক্ষিতে অত্র মামলাটি পিবিআই গাজীপুর জেলা অধিগ্রহন করেন।  

অতিরিক্ত আইজিপি পিবিআই জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল মহোদয়ের সঠিক তত্তাবধানে ও জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার পিবিআই গাজীপুর মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় মামলাটি এসআই(নিঃ)/ বিশ্বজিত বিশ্বাস, বিপিএম-সেবা তদন্ত করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন এর জবানবন্দি মতে, বাইপাস থেকে বাগের বাজার পর্যন্ত নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আসামী আব্দুর রহমান ২ মাস পূর্বে চান্দনা ঈদগাহ মাঠে ঘুরতে গেলে রবিউলের সাথে তার পরিচয় হয়। তখন সে জানায় তাদের অফিসে অনলাইনে ক্যাসিনো (জুয়া) এবং অবৈধ লেনদেনের ব্যাবসা চলে। আলোচনার ১০/১৫ দিন পরে রবিউল আব্দুর রহমানকে নিয়ে তার ঘনিষ্ট বন্ধু মিরাজের কাছে যায়। মিরাজের কাছে তাদের অফিসে অনলাইন ক্যাসিনোর ব্যাবসার কথা বলে। তার ৪/৫ দিন পরে মিরাজ তার আপন ভাই মোঃ উজ্জলকে নিয়ে তার কাছে আসে। মিরাজ এবং উজ্জল @ আমিনুর দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে তারা ডিবি পরিচয়ে নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসে ঢুকে কম্পিউটার তল্লাশি দিয়ে ক্যাসিনোর সাথে সম্পৃক্ততার তথ্য সংগ্রহ করে অফিসের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিবে। গার্মেন্টসের বেতনের সময় (৭ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে) তাদের অফিসে কোটি টাকার বেশী ক্যাশ থাকে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৪/০৪/২৫ ইং তারিখ বিকাল ৫.৪৫ ঘটিকায় উজ্জ্বল, মিরাজসহ আরো ৪ জন নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসে প্রবেশ করে ডিবির পরিচয় দিয়ে অবৈধ ক্যাসিনোর সাথে উক্ত অফিসের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে অফিসে থাকা ৫/৬ জন লোককে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে অফিসের ভল্টের থাকা ৯৮,০০,০০০/- (আটা নব্বই লক্ষ) টাকা ছিনিয়ে নেয়। আসামী মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন ঘটনার দিন ০২.৩০ ঘটিকার সময় পূর্ব পরিকল্পনা করে একটি তালা কিনে আসামী উজ্জলকে দেয়। ঘটনার পর আসামী উজ্জল তালা দিয়ে অফিসের বাইরের দিক থেকে সবাইকে তালা মেরে দেয়। পরে আব্দুর রহমান অভিনয় করে তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে। মিরাজ, আব্দুর রহমানের বাসায় গিয়ে তাকে লুন্ঠনকৃত ০৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। 


আরও খবর



৫ মিনিটও সময় পাবেন না, সরকারকে চরমোনাই পীর

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকার ৫ মিনিটও সময় পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে চরমোনাই পীর বলেন, আপনারা নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করে নারীনীতিকে বাহবা দিচ্ছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা কিন্তু এমনিতেই জনগণের ভোটের সরকার নন। আপনারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছেন না। আমরা তো সবসময় আপনাদের সহযোগিতায় ছিলাম, এখনো আছি, কিন্তু আমাদের রাস্তায় নামিয়ে আপনাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ওই ফ্যাসিস্ট এবং ঘাপটি মারা শত্রুরা যেন সুযোগ না নিতে পারে। এটা আপনাদের মাথায় রাখার অনুরোধ করেছি।

তিনি বলেন, এরপরও যদি আপনারা সামনে পা বাড়াতে চান, পরিষ্কার মেসেজ, কে জানি বলছে না যে ৫ মিনিটে আপনারা আপনাদের অবস্থান থেকে সরে যান। সেই ৫ মিনিটও সময় পাবেন না।

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর আমির। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) তো ৫ আগস্ট ভাত পাক (রান্না) করেও খেয়ে যেতে পারেনি। ওরা তো বসে নেই। আমাদের বিভিন্ন পাশে চোখ খুলে যারা নজর রাখছে তারাও তো বসে নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) হয়তো বা এই সংস্কার, নারী কমিশনের এটার মাধ্যমে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে।

তিনি বলেন, এরপর যখন ওলামায়ে কেরাম রাস্তায় নামবে তখন হয়তো এই ঘাপটি মারা, যারা দেশের শত্রু তারা বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছে এই সুযোগে রাস্তায় নামার জন্য। এমন নীলনকশা তৈরি করতে পারে।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সমালোচনা করে চরমোনাই পীর বলেন, এই যে নারী কমিশন, আমার কাছে আশ্চর্য মনে হচ্ছে। বিগত সময়ে নাস্তিকরা যে চক্রান্ত করেছে আল্লাহর রহমতে কখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আজ বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের মাধ্যমে এমন হীন চিন্তা বাস্তবায়ন করবে- কিন্তু তারা তো জানে এটার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, কখনোই এটা (নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ) বাস্তবায়ন হবে না। তারপরও তারা এই পথ বেছে নিল কারণটা কী?

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

সেমিনারে চারটি দাবি জানায় জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। এ দাবিগুলো হলো-

১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাব অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

২. কমিশন সরকারিভাবে বাতিল করতে হবে।

৩. নতুন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দ্বিনদার, শিক্ষিত, দেশীয় চিন্তায় বিশ্বাসী নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৪. পরিবার ও নারী বিষয়ে প্রস্তাবের ভিত্তি হতে হবে কোরআন-সুন্নাহ, সংবিধান এবং সামাজিক বাস্তবতা।


আরও খবর



আমাকে হোটেল থেকেও বের হতে দেয়নি

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এই অভিনেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার খবর সামনে আসতেই ক্ষোভে ফুসছে শোবিজ দুনিয়া।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে থাকার পরও কেন ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা- জানতে চেয়েছেন নেটিজেনরাও। এই অভিনেতার হয়ে কথা বলেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় আছেন উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ও।

ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে তুলে ধরেছেন নিজের জীবনের কথাও। তিনি জানিয়েছেন, মাসখানেক আগে তার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয় তখন কিভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল তাকে।

আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে জয় লিখেছেন, অভিনেতা ইরেশ যাকেরের নামে মামলা দেওয়ায় সকল শিল্পী সমাজের সাথে আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আজ থেকে আট মাস আগে আমার বিরুদ্ধেও এরকম একটি হয়রানিমূলক মামলা হয়েছিল। একমাত্র আশফাক নিপুণ ছাড়া আর কাউকে পাশে পাইনি। বরং বাদ পড়েছি বিভিন্ন কাজ থেকে।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় শো করতে গিয়ে দুই একজন অতি উৎসাহী কলিগের কারণে মঞ্চে উঠা তো দূরের কথা আমাকে হোটেল থেকেও বের হতে দেয়নি। মামলার কারণে সামাজিকভাবে হেনস্তা হয়েছি। অনেক অতি উৎসাহী আত্মীয় আত্মীয়তা ভঙ্গ করেছে। অনেক কলিগ ফোনও ধরেনি। যোগাযোগ করেনি।

জয়ের বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি মামলা করেছেন তিনি বর্তমানে থানায় আছেন জানিয়ে অভিনেতা বলেন, শুনেছি, আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল সেই বাদী এখন থানায় আটক আছে। বিভিন্ন জনের নামে মামলা দিয়ে টাকা খাওয়ার অপরাধে। আমার বিরুদ্ধে পুলিশ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আমার কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। পুলিশ এবং রাষ্ট্র কোনো হয়রানি করেনি। বরং হয়রানি করেছে আমার পরিচিত কাছের স্বজনেরা এবং চিরকালের বন্ধুরা।

সবশেষ জয় লিখেছেন, যাক আমি কারো প্রতি দোষারোপ করছি না। সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমার নিজের ছোটখাটো ভুলের জন্য বারবার ক্ষমা চেয়েছি। বড় অপরাধী এবং অপরাধকে ছোট করে ফেলে এই ধরনের মামলা। যেখানে এমন একজন সেলিব্রেটির নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে মামলার চেয়ে সেলিব্রেটিকে নিয়ে চর্চা হয় বেশি। তখন আসল অপরাধীরা মুচকি হাসে। মামলাটাকে হাস্যকর মনে করে। এতে বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। আমরা চাই অপরাধীর বিচার হোক। যে যার জায়গা থেকে নতুন বাংলাদেশে ভুল সংশোধন করে নতুন করে বাচুক। সকলে সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল হোক।


আরও খবর



ঝালকাঠির রাজাপুরে গুম-খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করলো গুম-খুন কমিশন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ,ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে ২০১০ সালে গুম হওয়া একাধিক ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন গুম-খুন কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারা গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান এবং তাদের ভাগ্য নির্ধারণে গঠিত পাঁচ সদস্যের গুম-খুন তদন্ত কমিশন। 

কমিশনের সদস্যরা হলেন হাইকোর্টের দুই অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী ও মানবাধিকারকর্মী নূর খান।

রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার আলোচিত বেলায়েত জমাদ্দারের দুই ছেলে মিজান ও মোর্শেদ জমাদ্দার, ইন্দ্রপাশা এলাকার আঃ ছালাম হাওলাদারের ছেলে মোঃ অসীম (৩৫) ও মোঃ রাজীব হাওলাদার (২৫), দক্ষিণ সাউদপুর এলাকার ফোরকান এবং পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার পার সাতুরিয়া এলাকার মোঃ মুরাদের পরিবারের বাড়িতে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেন তদন্ত কমিটি। 

তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ্র, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মো. শাহ আলম, রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন এবং কাউখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে উল্লেখিত ব্যক্তিরা রহস্যজনকভাবে গুম-খুনের শিকার হন। এর আগে প্রশাসন বিভিন্নভাবে তদন্ত পরিচালনা করলেও কোনো চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত গুম-খুন কমিশন এসব চাঞ্চল্যকর ঘটনার পুনঃতদন্ত শুরু করায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশার আলো জেগেছে।

এ ঘটনায় কমিশনের সদস্যরা সাতুরিয়া, ইন্দ্রপাশা এবং পার সাতুরিয়া এলাকার গুম-খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছ থেকে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেন।

তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, “আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাইনি। তবে শুনেছি, ৭টি গুম-খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য কমিশনের সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। আমরা তাদের সাথে ছিলাম, তবে কোন কোন ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারবো না।


আরও খবর