Logo
শিরোনাম

দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে খালাস

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

অপর দুইজন হলেন- সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




সচিবালয় গেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের ফাঁকা গুলি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ সচিবালয়ের ১ নং গেটের সামনে পুলিশের সাথে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শতাধিক শিক্ষার্থীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ের সামনে এমন ঘটনা ঘটেছে।

স্থায়ী ক্যাম্পাস ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে আজ দুপুর আড়াইটার দিক থেকে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। তারা সেখানে ৩০ মিনিটের মতো ছিলেন। পরে শিক্ষা ভবনের দিকে তারা চলে যান।

ঘটনাস্থল থেকে জানা গেছে, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পক্ষে চার সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল ভেতরে যান। শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে তাদের বেলা ৪টা ৩০ মিনিটে সাক্ষাতের কথা ছিল। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শতাধিক শিক্ষার্থী। অপেক্ষারত সেসব শিক্ষার্থীরাই পুলিশের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়ে।


আরও খবর



ব্রহ্মপুত্রের উজানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ দেবে চীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে অবস্থিত তিব্বতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে চীন। একবার এই বাঁধ নির্মাণ হয়ে গেলে বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎকেন্দ্র মধ্য চীনের থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে সেখানে তিনগুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। তবে এই প্রকল্পের জেরে তিব্বতে ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের পানি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। খবর রয়টার্সের।

এই বাঁধটি ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নপ্রবাহে নির্মাণ করা হবে। সেখান থেকে প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২০ সালে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ কোম্পানি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অব চায়নার দেয়া একটি অনুমান থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধটি হলো চীনের মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত থ্রি গর্জেস ড্যাম। এখান থেকে বছরে ৮৮.২ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। নতুন এই বাঁধের উৎপাদন ক্ষমতা থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে তিনগুণের বেশি।

ইয়ারলুং সাংপো নদীটি গলিত হিমবাহ এবং পাহাড়ের ঝরনা থেকে উৎপত্তি। হিমালয়ের পানিরেখা দিয়ে প্রবাহিত নদীটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত।

এই কারণে ভারত ও বাংলাদেশ এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পটি স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ও নদীর নিম্নধারে পানির প্রবাহ ও পথ পরিবর্তন করতে পারে বলে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশ দুটি।

তবে চীনা কর্মকর্তাদের দাবি, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা নদীর নিম্ন প্রবাহে পানি সরবরাহের ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। এ ছাড়া ইয়ারলুং জাংবো নদীর (ব্রহ্মপুত্র) উজানে চীন ইতিমধ্যে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে এবং আরও প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বাঁধটি চীনের কার্বন নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছানোর এবং কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উৎসাহিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




সবজির স্বস্তি তেল-চালে ম্লান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুই সপ্তাহ ধরে সবজির বাজারে স্বস্তি রয়েছে। বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে গেছে। তবে চাল, মাছ ও মুরগি ও তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হতাশ সাধারণ ভোক্তারা। আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্য পরিবহনে দলীয় কর্মীর চাঁদাবাজি কমে গেছে। বাজারেও তেমন কেউ ঝামেলা করছে না। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কহি ৫০ টাকা ও পটোল ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ১২০-১৩০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শালগম ২৫-৩০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।

এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৩০-৪০ টাকা, নতুন আলু ৫০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৮০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৪০-৬০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। এর প্রভাবে কমছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০-৮০ টাকা। তবে গতকাল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা ও দেশি পুরোনো পেঁয়াজেও কেজিতে ৩০ টাকা দাম কমেছে। গতকাল এক কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় ও দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়।

এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত সেপ্টেম্বরে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সে সময় উল্টো দাম বেড়ে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে এ দুটি পণ্যের বাজার। নানা অভিযান ও সভা শেষে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে এলেও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ফের উত্তাপ বাড়ছে মুরগির বাজারে। যা এখনও চলছেই।

গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম। অন্যান্য মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০-২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬৫০ টাকায়।

৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ায় ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো। এরপর দুই সপ্তাহ পার হলেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বিক্রেতারা জানান, কোম্পানিগুলো স্বল্পসংখ্যক বোতলজাত সয়াবিন দিচ্ছে, তবে তা ভোক্তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। বাজারে দুই সপ্তাহ আগে চালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছিল। বর্তমানে সেই দামেই স্থিতিশীল রয়েছে।

ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের বাজারে অস্থিরতা। সব ধরনের চাল কেজিতে সর্বোচ্চ ৪ টাকার মতো বেড়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের এক ক্রেতা বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় আমন ধান উঠেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে।

খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়তি। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইছ এজেন্সির বিক্রেতা জানান, চালের দাম অনেক বেড়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহে চিকন চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৮ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে।

বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭৪-৭৮ টাকা, আটাইশ ৬০-৬২ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।

স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।


আরও খবর



চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও ভারতের বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএসএফের এক কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতি বছর দুইবার করে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, মাদক বিরোধীসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই বাহিনীর প্রধান বৈঠক করেন। বিএসএফ এবং বিজিবি (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস) এর ডিজিদের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ২ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর ১৯৯৩ সালে দিল্লি ও ঢাকায় দ্বিবার্ষিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবারের বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে।

বাতিল করা বৈঠকটি একটি রুটিন বৈঠক হলেও এবার তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা, ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে আর কোনও বৈঠক হয়নি।

নভেম্বরে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশ এটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে নতুন করে আর কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ডিসেম্বরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা করা হচ্ছিলো। তবে এ মাসেও তা না হওয়ায় ২০২৪ সালে বৈঠক হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই।

এ বিষয়ে বিএসএফের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি। তাই চলতি বছর বৈঠকটি আর হচ্ছে না। গত মাসে বৈঠক স্থগিতের পর ডিসেম্বরে এর আয়োজন নিয়ে আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসু হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে সেগুলো ছোট বিষয়। যে বিষয়গুলোর সমাধান করা সম্ভব নয় সেগুলো দুই বাহিনীর প্রধানের বৈঠকে তোলা হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের বৈঠক না হওয়াটাকে আমরা বড় করে দেখছি না। কেননা, মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাতা সদস্য নিয়ে বিরোধ, মারপিটে আহত-৪

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image



শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি না দিয়েও ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য হওয়ার দাবী করাকে কেন্দ্র করে স্থানিয় চেরাগপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক শাহাজান গংয়ের মারপিটে আহত হয়েছেন রাজু আহমেদ জুয়েল, সাজু, হাবিব ও উৎসব নামে ৪ যুবক। নেক্কার জনক এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী সকাল সারে ১০ টারদিকে ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ভেতর। মারপিটের ঘটনাটি জানাজানি হলে, শাহাজানের শাস্তির দাবী করে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী- অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের বই দেওয়ার দিন স্থানিয় চেরাগপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাজানকে দাওয়াত না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ওই বিদ্যালয়ের জমির দাতা হিসাবে নিজেকে দাবী করেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী ওই বিদ্যালয়ের জমির প্রকৃত দাতা আব্দুল রাজ্জাক মাস্টারের স্বজনেরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাধান শিক্ষককে তাদের দলিল দেখানোর সময় খবর পেয়ে শাহাজান তার দলবল (শাকিব, শামিম, আরাফাত, রহুল, সালাম) সহ আরো কয়েক জনকে সাথে নিয়ে লাঠিসোটা সহ বিদ্যালয়ের অফিসের ভেতরে থাকা প্রকৃত জমি দাতার স্বজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং প্রধান শিক্ষিকাকে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করবে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী আজ বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন করেন। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, শাহাজান বলেন, আমি তাদের মারপিট করিনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা। তারা আমার ভাবির কাথায় ইট মেরে মারান্তক জখম করেছে, আমার ভাবি নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, শাহজাহন ও রুহুল এসে আমাদের মেডামকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে ও হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি মেয়ে মানুষ না হলে এতোক্ষনে আপনাকে পিটিয়ে সরাইতাম, আপনি মেয়ে মানুষ হয়ে বেঁচে গেলেন। এখনো সময় আছে নিজে থেকেই বদলী নিয়ে সরে পরেন, না হলে আপনার চাকুরি খাব। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্চিতা রানী সরকার বলেন, শাহজাহান আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে চাকুরিচুত করার হুমকি দেন। শাহজান গংয়ের হুকমিতে আমি ও অপর শিক্ষকরা সবাই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রযে়ছি। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করাহলে চেরাগপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হারুন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান, তার ছোট ভাই ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ মোঃ শামিম এবং তার আরেক ছোট ভাই যিনি, নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা দাবী করেন তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাধান শিক্ষকের কাছে দাতা সদস্য হিসাবে দাবী করলে প্রধান শিক্ষক তাদের (কাগজ) দলিল দেখাতে বলেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি প্রকৃত জমি দাতার ছেলেসহ স্বজনরা জমির দলিল (কাগজ) সহ বিদ্যালয়ের অফিস রুমে গিয়ে শিক্ষকদের দেখানোর সময় ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান এর নের্তৃত্বে বেশ কয়েক জন বিদ্যালয়ের অফিসের মধ্যে ঢুকে জমি দাতার ছেলে ও স্বজনদের মারপিট সহ শিক্ষককে গালিগালাজ ও হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, এক পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে এবং অন্য পক্ষও অভিযোগ দেওয়ার জন্য এসেছে। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর