Logo
শিরোনাম

দুর্নীতির মামলায় ডোমার পৌর মেয়র কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

৫৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক এর মামলায় নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানুকে কারাগারে পাঠিয়েছে বিশেষ জজ আদালত।

সোমবার নীলফামারী জেলা বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন পৌর মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু। কিন্তু বিচারক মো. মাহমুদুল করিম জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুদক রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ গত ২৩ আগস্ট বাদি হয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় নীলফামারী অগ্রণী ব্যাংক শাখার সাবেক ম্যানেজার রথিন্দ্র নাথ সরকারসহ আরও দুই জনকে আসামি করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন মেয়র দানু।


আরও খবর



মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের দলের এই অবস্থানের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি। নির্বাচন কমিশনে সময় শেষ হয়ে গেলে কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারেন না।

 এই বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেওয়া হবে।

চূড়ান্ত পর্যায়েও কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল, সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্টের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা পাবনায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে একই সাথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন সারা দেশেই একই অবস্থা দিনের বেলায় বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যথাসম্ভব ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রোক ছাড়াও নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে অবস্থায় বয়স্ক মানুষ, শিশু, গর্ভবতী মহিলা, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সঙ্গে জড়িত তারাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার তাপ সতর্কতার মধ্যে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিএমডির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই সময়ের মধ্যে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে এমতাবস্থায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে 

তাপপ্রবাহের এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা প্রয়োজন ছাড়া রোদে ঘর থেকে বের না হতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন। যশোরের বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটেখাওয়া মানুষ। যশোরের রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে গতকাল। অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। শহরের রিকশাচালকরা বলছেন, রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। আয় রোজগার কমে গেছে। এতে সংসার খরচের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা আয় হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা শহরের হকার-ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমে লোকজন বাইরে বের হচ্ছে কম, তাই বেচা-বিক্রি বেশি একটা হচ্ছে না। এখানে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩৫ রোগী। যার মধ্যে ১৫ জনই শিশু রোগী।

এদিকে লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই গরমে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। এদিকে পানির স্তরও নেমে গেছে, টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। যশোরের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত ১৩ দিন ধরে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। কৃষিজমির স্যালোমেশিনের পানি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন তারা। কোথাও কোথাও স্যালোমেশিনেও কম পানি উঠছে। ছয় লিটার তেল ব্যয় করেও সাড়ে তিন বিঘা ধানের আবাদি জমি ভেজানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চাষিরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠার কারণে মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। যেসব গ্রামে গভীর নলকূপ (ভ্যাটিক্যালযুক্ত টিউবওয়েল) রয়েছে সেখানে পানি নেয়ার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।  

চুয়াডাঙ্গার অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ। অবস্থায় হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের। জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন। জাকির হোসেনের বাবা আমির হোসেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আমির হোসেন বলেন, ‘তীব্র গরমে মাঠের ধান মরার মতো অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে মাঠে যায় জাকির। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে স্ট্রোক করেছে। মাঠের অন্য কৃষকরা ছেলেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পরই মারা যান একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৬০) কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জেলায়। শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৪১., বৃহস্পতিবার ৪০., বুধবার ৪০. মঙ্গলবার ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তা ছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, টানা তাপপ্রবাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানবশূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। অন্যদিকে, তীব্র গরম থেকে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে ঠাণ্ডা পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে

চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা জেলাও। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলার ঈশ্বরদীতে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন গতকাল জেলা শহরে হিট স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। গতকাল ঈশ্বরদীতে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েক দিন ধরে পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোক করে মারা যান সুকুমার দাস নামে একব্যক্তি। তিনি শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিতে পারিনি


আরও খবর



নোবিপ্রবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

মোঃ সিনান তালুকদার,নোবিপ্রবি প্রতিনিধি;

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের  (GST)  গুচ্ছভুক্ত স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল ২০২৪) সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নোবিপ্রবির বিভিন্ন কেন্দ্রে বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ‘এ’ ইউনিটের ৪৫০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৩৯৫৫ জন, পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৭.৮৫ শতাংশ।

পরীক্ষা শুরু হলে নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহ ঘুরে দেখেন। এসময় নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং পরীক্ষা পরিচালনা ও আসন বিন্যাস উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নোবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আনিসুজ্জামান, রেজিস্ট্রার ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, শৃঙ্খলা ও ভিজিল্যান্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিম হাসানসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

হল পরিদর্শন শেষে নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বলেন, তীব্র তাপদাহের মধ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতিগত দিক থেকেই অত্যন্ত মনোরম ও ছায়াসুনিবিড়। এরপরও গরমে যাতে অভিভাবকদের কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, পরীক্ষায় উপস্থিতির হার অনেক বেশি, যা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এসময় তিনি ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যবৃন্দসহ, নোবিপ্রবির শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি নোয়াখালী জেলা প্রশাসন, নোয়াখালী পৌরসভা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা, সাংবাদিকবৃন্দসহ যারা ভর্তি পরীক্ষায় সহায়তা করেছেন সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

এর আগে সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে যৌথ সভায় ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, একই দিন আজ বিকেল ৩.৩০ থেকে ৪.৩০ পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটভুক্ত আর্কিটেকচার এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ ও ১০ মে ২০২৪ তারিখে ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

নাড়ির টানে ঈদ করতে শেষ মুহূর্তে বাস, লঞ্চ ও রেলে রাজধানী ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। ঈদের আগে একদিন ছুটি থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ কেউ আগেই ছুটি নিয়ে রাজধানী ছেড়েছেন।

এবার বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের ছুটি। এরপর শনিবার (১৩ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি। পরের দিন রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের ছুটি। অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ছুটি কাটাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই আবেদন করে দুই দিন ছুটি নিয়েছেন। যেসব সরকারি কর্মচারী দুদিনের বাড়তি ছুটি নিয়েছেন, এবার তাদের ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল থেকে। কারণ, সরকারি ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুসারে ৫ ও ৬ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক-বিমা খোলা থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিনের ছুটি নিলেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ রয়েছে। কারণ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি। আবার ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ছুটি। তাই মাঝখানের মাত্র দুই দিনের ছুটি নিয়েই একসঙ্গে ১০ দিন ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এবারই প্রথম দীর্ঘ ছয়দিনের ছুটি পেয়েছেন সংবাদমাধ্যমকর্মীরা। এবার গণমাধ্যমকর্মীরা ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ভোগ করবেন।

ঈদ ও নববর্ষের ছুটি শেষে আগের নিয়মে ফিরবে সরকারি অফিস, আদালত ও ব্যাংক। রমজান মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। ছুটির পর আগের মতোই অফিস সময় চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।


আরও খবর



ঈদে সড়কে মৃত্যু বেড়েছে, মোটরসাইকেলেই বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ঈদে প্রতিবারই সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এবারের ঈদুল ফিতরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিনসহ গত তিন দিনে সড়কে প্রাণহানির পরিমাণটা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সী তরুণ এবং যুবকরা ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক মোটসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনজন পর্যন্ত মারা যাওয়ার খবর আসছে। যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বয়সও বেশি নয়। স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছাত্রও রয়েছেন। ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ঈদের দিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল আরোহী।নিহতদের মধ্যে পঞ্চগড়ে চারজন, খাগড়াছড়িতে তিনজন, নরসিংদীতে দুইজন, ঢাকায় একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, যশোরে একজন, নেত্রকোনায় তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন এবং নড়াইলের দুইজন রয়েছেন।

ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার এবং আজ তৃতীয় দিন শনিবারও সারাদেশে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

এসব দুর্ঘটনায় শুধু নিহতই নয়, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার সংখ্যাটিও বেশ উদ্বেগজনক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত মোট তিন দিনে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানেই (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৪৫৪ জন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যাটিও অনেক। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তরুণ-যুবক।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক তপন দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

এই চিকিৎসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২৫৬ জন। যাদের মধ্যে ৭৬ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। বেশিরভাগই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের ছুটিতে রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন। পাশাপাশি নিয়ম-নীতি না মানা, কমবয়সি কিশোর ও তরুণদের অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। দল বেঁধে প্রতিযোগিতা ছাড়াও ট্রাফিক তদারকির অভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শীর্ষে বাংলাদেশ। প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের পর কম্বোডিয়ায় ১১ দশমিক ৯, লাওসে ১১ দশমিক ৫, থাইল্যান্ডে ১১ দশমিক ২, ভারতে ৯, মিয়ানমারে ৮ দশমিক ৬, মালয়েশিয়ায় ৪ দশমিক ৪, ভিয়েতনামে ৪ দশমিক ১, ইন্দোনেশিয়ায় ২ দশমিক ৫ এবং ভুটানে ২ দশমিক ১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঈদের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের মোট দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশিই মোটরসাইকেলে ঘটে থাকে। তার মধ্যে ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি ঘটে। এই সময় অনেকেই মহাসড়কে যানজট এড়াতে বাড়ির পথে যাত্রা করেন। দেখা যায়, সাধারণ সময়ে হয়তো মোটরসাইকেলে একজন থাকেন; কিন্তু ঈদের সময় স্ত্রী, বাচ্চা এবং নিজে থাকার পরেও পেছনে একটা কাপড়ের ব্যাগ থাকে। যেটা ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। এই কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।


আরও খবর