Logo
শিরোনাম

দূষিত শহরের তালিকায় চার নম্বরে ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দূষিত শহরের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ঢাকা। সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২০৮। গতকালের চেয়ে এই মাত্রা বেশি। রোববার ঢাকার এই স্কোর ছিল ১৮৫।

ঢাকার চেয়ে দূষণের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে, পাকিস্তানের লাহোর (২৮৯), চীনের উহান (২৪০) এবং ঘানার রাজধানী আক্রা (২৩০)। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এই তালিকা প্রকাশ করে।

বাতাসের মান পরীক্ষা করে এই সূচক তৈরি করে একিউআই। সংস্থাটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। এছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য শহরের বাতাসে কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়।

একিউআই স্কোর ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্যসতর্কতাসহ জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নোয়াখালী-১ আসনে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং বর্তমান সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিমকে আচারণ বিধি লঙ্ঘন করে জনসভা, নির্বাচনি প্রচারণামূলক বক্তব্য ও ভোট প্রার্থনা করায় শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।  


রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংসদীয় আসন নং-২৬৮, নোয়াখালী-১ এর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। একই সাথে আগামী ৭দিনের মধ্যে এর যথাযথ জবাব দেওয়ার নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে।


আদেশের ২নং স্মারকে বলা হয়ে, গত শুক্রবার ১ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নোয়াখালী-১ সংসদীয় আসনের পাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্বাচনি প্রচারণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন আসনটির বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম। ওই সময় তার উপস্থিতিতে নেতাকর্মীরা তার জন্য ভোট প্রার্থনাস হ প্রচারণামূলক বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে যা অনলাইন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয় এবং বিষয়টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নজরে আসে।


প্রার্থীর এমন কর্মকাণ্ড জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচারণ বিধিমালা ২০০৮ বিধি ৬ (গ)  ও ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছে। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচনি আচারণ বিধি ভঙ্গের কারণের সঠিক বাখ্যা আগামি ৯ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি কার্যালয়ে প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  


এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিমের মুঠোফোনে কল করা হলে তার পিএস সুমন ফোন রিসিভ করেন। পরে শোকজের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।  


তবে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান শোকজ করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।


আরও খবর



জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলই থাকবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলই থাকবে। ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে রবিবার সকালে হরতালে আইনজীবী আসতে পারবেন না কারণ দেখিয়ে নিববন্ধনের শুনানিতে আপিল বিভাগে ৬ সপ্তাহ সময় চায় জামায়াতের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর জুনিয়র জিয়াউর রহমান। তবে সময়ের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

গত সপ্তাহেও (১২ নভেম্বর) আপিল বিভাগে সময় চাওয়ার পর এক সপ্তাহ সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৮ সপ্তাহ সময় চান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

গত ১ আগস্ট দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে পক্ষভুক্তের আবেদন করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধাসহ জামায়াতে সমর্থক ৪৭ নাগরিক। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন।

পরে জামায়াতের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে আপিল বিভাগে বক্তব্য তুলে ধরতে ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক আবেদন করেছেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, হামিদুর রহমান আজাদ, হাফেজা আসমা খাতুন, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এম উমার আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং তিন জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

এদিকে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনে পক্ষভুক্ত হতে চেয়েছেন ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।


আরও খবর



রামগড়ে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে ২৩-২৪ অর্থ বছরে বরি মৌসুমে বোরো ধানের উফশি আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের যৌথ আয়োজনে কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন রামগড় ১নং ইউপির চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আঞ্জুম, সহকারি উদ্ভিদ ও সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো.সানাউল হক, উপ-সহকারী মো.তসলিম উদ্দিন বাহার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চাষীদের মধ্যে হাইব্রিড ধান-৫ কেজি, এমওপি-১০ কেজি, ডিএপি-১০ কেজি বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



বিএনপির চার নেতার কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পুলিশের কাজে বাধা এবং নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ চার নেতাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিদের কারাদণ্ড দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি হলেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফুজ্জামান আলী সপু ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব।

এর মধ্যে সোহেল, হেলাল ও সপুকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার একটি মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় আরো ১১ জন আসামি রয়েছেন। তাদেরও একই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ১০ বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি নীরবকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলার আরো ৬ আসামিকে একই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ৬ আসামি হলেনসাজেদুল ইসলাম সুমন, গান্ডু শাহিন, বেল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও আবু বক্কর সিদ্দিক। পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল ও শাকিল আহমেদ রিপন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র সুপার পাওয়ার, তাদের অগ্রাহ্য করতে পারি না

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুপার পাওয়ার। আমরা তাদের প্রত্যাখ্যান করতে পারি না। আমরা করিও না। আমাদের কোনো উদ্দেশ্যও নেই।

ড. মোমেন বলেন, উন্নত দেশ (যুক্তরাষ্ট্র), তাদের তো আমরা কখনো অগ্রাহ্য করতে পারি না। আমরা তো এজন্য তাদের পরামর্শকে অত্যন্ত গুরত্বসহকারে গ্রহণ করি। তবে আমাদের দেশের একটা বাস্তবতা আছে। বাস্তবতার নিরিখে তারা যদি কোনো প্রস্তাব দেয় আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখি।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র কিছু চায় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা কিন্তু বেশি কিছু চায় না। তারা চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরাও চাই। তারা আমাদের সাহায্য করছে। আমরা নিজেরা একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চাই। আমরা যদি এটা করি, আমেরিকা আমাদের সঙ্গে থাকবে। তারা আমাদের বন্ধু দেশ। শুধু নির্বাচন নয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন রকম সম্পর্ক আছে। আমেরিকা সবসময় বাস্তববাদী।

তিনি বলেন, বরং আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বলব, যারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে, তাদের তারা ভিসা পলিসির মধ্যে ঢুকাক। তারা তাদের যা করার করুক নির্বাচনে যারা বাধা দেবে। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে চাই না। আমেরিকা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি, তারা আমাদের সঙ্গে আছে।

একাত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের সঙ্গে না থাকার প্রসঙ্গ টানেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একাত্তরে সমর্থন দেয়নি। তারা পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন করেছে। কিন্তু আমরা ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমেরিকা প্রতিনিয়ত আমাদের সমর্থন দিয়ে গেছে। কোনো দিন আমাদের বিরুদ্ধে যায়নি। এটা কি মিন করে? তারা আমাদের সঙ্গে আছে।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা কম দেখা যাচ্ছে। সরকার কি বিদেশিদের চুপ থাকতে বাধ্য করল কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমাদের সেই ক্ষমতা নেই। আমাদের বন্ধু দেশ যারা তারা অনেক সময় আমাদের উপদেশ দেয়, যেটা ভালো সেটা গ্রহণ করি। অন্যের যদি ভালো উপদেশ থাকে সহায়ক নির্বাচনের জন্য, আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরে বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। সম্প্রতি তারা বলছে, সংঘাতমুক্ত, আমরাও চাই। কিন্তু সেটা আমরা একা পারব না।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের যদি সম্পৃক্ততা থাকে, জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে সেটা অংশগ্রহণমূলক। আমাদের প্রায় নির্বাচনে শতকরা ৫০ ভাগ লোক ভোট দেয়। আমেরিকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবসময় নির্বাচন হয়। সিনেটর কেনেডি, সিনেটর জন কেরি তাদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না। সম্মানিত লোকের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে ঐতিহাসিকভাবে রাজনীতিবিদদের দায় দেখছেন মোমেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে আমাদের রাজনীতিবিদ এটার জন্য দায়ী। কিছু হলেই মিশনে গিয়ে ধরনা দেয়। সাম্প্রতিককালে আমাদের মিডিয়াও এটার জন্য দায়ী। কিছু বাঙালি বিদেশি আছে, তারাও এটার জন্য দায়ী। কয়েকটি গোষ্ঠীর কারণে বিদেশিরা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়। প্রত্যেক দিন মার্কিন মুখপাত্রকে ত্যক্ত করে ফেলে বাংলাদেশি সাংবাদিকরা, বাংলাদেশি লোকেরা।

মন্ত্রী বলেন, তারানকো সাহেব কিছু করতে পারছে? আমরা চাইব না, বিদেশিরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। তবে সহায়কের ভূমিকা পালন করলে স্বাগত জানাব। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই, এখানে যদি কেউ সহায়তা করতে চায়, স্বাগত জানাব। কিন্তু আমরা মাতব্বরি করতে দেব না। যারা মাতব্বরি করবে, তাদের আমরা সহ্য করতে পারি না।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পরও যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, বিদেশিরা গ্রহণ করবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই গ্রহণ করবে। যদি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হয়। একটি বড় দল যদি না আসে। মিশরে বড় দল ছিল ব্রাদারহুড, তারা নির্বাচনে আসেনি; আফগানিস্তানে তালেবান আসেনি। যুক্তরাষ্ট্র এটা গ্রহণ করেছে। কোনো একটি বিশেষ দল যদি না আসে, এটা খুব গুরত্বপূর্ণ নয়।

তিনি বলেন, সরকার হিসেবে সব দলকে চাই, নির্বাচনে আসুক। আর আমরা আমাদের নিজেদেরও যাচাই করতে চাই। তাদের যদি কোনো জনসমর্থন থাকে তারা নির্বাচনে আসবে এবং প্রমাণ করবে তাদের অবস্থান।

র‌্যাব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমেরিকা পরিণত সরকার। তারা জানে, র‌্যাব অত খারাপ কাজ করে না। আমেরিকা র‌্যাবকে সমর্থন করবে। হয়ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আমাদের দেশের লোকেরা আগেভাগে দুশ্চিন্তা করে। আমরা বিদেশে যে জিনিসপত্র বিক্রি করি, কেউ আমাদের দয়াদাক্ষিণ্য দেখায় না। সস্তায় ভালো জিনিস বিক্রি করি এবং যথাসময়ে পায় বলে কেনে। সুতরাং আমাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩